মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল গুলি আলোচনা করো | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর
মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল |
আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমি তোমাদের সঙ্গে দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় " সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা " এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন,যেটা প্রায়শই মাধ্যমিকে এসে থাকে সেটা নিয়ে একটি নোট তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এর আগে একটি পোস্টে আমরা মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজের মনোভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছিললাম। আজকে আমরা 1857 খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সম্পর্কে আরও কিছুটা আলোচনা করবো। আজকের এই পোস্টে আমরা " মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল " নিয়ে আলোচনা করবো। ক্লাস টেনের ইতিহাস বইয়ে মহাবিদ্রোহের কারণ প্রত্যক্ষ কারণ কী অথবা, মহাবিদ্রোহের কারণ গুলি কি কি ছিল, এবং মহা বিদ্রোহের ফলাফল বা মহাবিদ্রোহের গুরুত্ব সম্পর্কে খুবই সংক্ষেপে আলোচনা করো হয়েছে। আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা ক্লাস টেনের ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় " সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন উত্তর " হিসেবে 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ ও ফলাফল এবং তার পরবর্তী পোস্টে আমরা 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ সম্পর্কে তোমাদের সঙ্গে তার নোট শেয়ার করবো করবো।
আজকের বিষয় :
• সিপাহী বিদ্রোহ কাকে বলে?
• মহাবিদ্রোহ বলতে কী বোঝো?
• কত খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ শুরু হয়েছিল বা কত খ্রিস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল?
• সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে বা মহা বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে?
• সিপাহী বিদ্রোহ কত সালে হয়েছিল অথবা মহাবিদ্রোহ কত সালে হয়েছিল?
• সিপাহী বিদ্রোহের বিস্তার
• সিপাহী বিদ্রোহ কেন হয়েছিল অথবা সিপাহী বিদ্রোহের কারণ কি অথবা মহাবিদ্রোহের কারণ কি
• সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্ব মহাবিদ্রোহের ফলাফল গুরুত্ব
• মহাবিদ্রোহ বলতে কী বোঝো?
• কত খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ শুরু হয়েছিল বা কত খ্রিস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল?
• সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে বা মহা বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে?
• সিপাহী বিদ্রোহ কত সালে হয়েছিল অথবা মহাবিদ্রোহ কত সালে হয়েছিল?
• সিপাহী বিদ্রোহের বিস্তার
• সিপাহী বিদ্রোহ কেন হয়েছিল অথবা সিপাহী বিদ্রোহের কারণ কি অথবা মহাবিদ্রোহের কারণ কি
• সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্ব মহাবিদ্রোহের ফলাফল গুরুত্ব
মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল গুলি আলোচনা করো | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর
ভূমিকা : 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল এর প্রচলন। মূলত এনফিল্ড রাইফেল এর প্রচলন ছিল সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ। এনফিল্ড রাইফেলের যে টোটা ব্যবহার করা হতো, তাকে দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হতো । এই সময় সেনাবাহিনীতে এই গুজব ছড়ায় যে,এনফিল্ড রাইফেলের যে টোটা তৈরি হয়,তাতে এবং গরুর এবং শুয়োর চর্বি মেশানো থাকে। এই গুজব ছড়ানোর পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় হিন্দু এবং মুসলিম সিপাহীদের মধ্যে তাদের ধর্মের ধর্মনাশের ভয় সৃষ্টি হয়। যার ফলে হিন্দু এবং মুসলিম সিপাহীরা এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারে অরাজি হয় এবং এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আস্তে আস্তে একটি ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। এরপর ব্যারাকপুরে সেনানিবাসের 34 নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সিপাহীরা 1857 খ্রিস্টাব্দে 26 শে জানুয়ারি প্রথম বিক্ষোভ শুরু করে। সুতরাং, সিপাহী বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয় ব্যারাকপুরে। এবং এরপর ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে সিপাহী মঙ্গল পান্ডে 1857 খ্রিস্টাব্দের 29 শে মার্চ প্রথম সিপাহী বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। মঙ্গল পান্ডে এনফিল্ড রাইফেল এর ব্যবহারের বিষয়টকে নিয়ে লেফটেন্যান্ট বোগকে আক্রমণ করে এবং এই কাজের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। এবং বিচারের তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এইভাবে মঙ্গল পান্ডে হয়ে ওঠেন সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ। মঙ্গল পান্ডের মৃত্যুর পরই সিপাহী বিদ্রোহ আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করতে থাকে।
সিপাহী বিদ্রোহের অন্যান্য আরো কিছু কারণ : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সিপাহীদের বিদ্রোহ পেছনে এনফিল্ড রাইফেলের টোটাল ব্যবহার ছাড়াও,আরো অন্যান্য নানা কারণ জড়িত ছিল। মূলত বলা যায় সিপাহী বিদ্রোহে পিছনের একাধিক কারণ লুকিয়ে ছিল। যেমন -
◆ ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণা : বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রিটিশরা কখন ভারতীয়দের ভালবাসার চোখে দেখতো না। তারা সবসময়ই ভারতীয়দের ঘৃণা এবং তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখতো। এবং এই বিষয়টা প্রত্যেক ভারতীয়র মনেই ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল।
◆ সামাজিক বৈষম্য : সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ভারতীয়দের শাসক এবং ভারতীয়রা ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে শাসিত হওয়া তাদের হাতের পুতুল। তারা যেভাবে চাইতো ভারতীয়দের সেভাবেই চলতে হতো। এই সামাজিক বৈষম্যও ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল।
◆ বিভিন্ন প্রকার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের সমাজে যেসব অন্ধবিশ্বাস বা কূপ্রথা প্রচলিত ছিল, যেমন -বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ,সতীদাহ প্রথা,গঙ্গায় সন্তান বিসর্জন ইত্যাদির বিরুদ্ধে তারা কোনো নেতিবাচক মনোভাব দেয়নি বা সমাজ থেকে তারা এই সমস্ত জিনিস দূর করতে চায়নি। কারণ তাদের মনে করেছিল যে,যদি তারা ভারতীয়দের ধর্মীয় ও সামাজিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে তাহলে ভারতীয়রা ব্রিটিশদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেসমস্ত কুসংস্কারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল। এবং তাদের এই ইতিবাচক মনোভাব সেই সময়কার বহু ভারতীয়দের অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল।
◆ বিভিন্ন ধর্মীয় কর : মহারানীর ঘোষণাপত্রে এট ঘোষণা করা হয়েছিল যে ন এখন থেকে তারা ভারতীয়দের ধর্মীয় এবং সামাজিক বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সুতরাং এটা ধরা যায় যে, মহারানির এই ঘোষণাপত্রের আগে অর্থাৎ 1858 খ্রিষ্টাব্দের আগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের ধর্মীয়-সামাজিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতো। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের ওপর বিভিন্ন রকমের ধর্মীয় কর চাপিয়ে দিতো।। যার ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
◆ উচ্চপদস্থ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সুযোগ না দেওয়া : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের সরকারি উচ্চপদ পথগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্বেতাঙ্গদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখে দিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয়রা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি লাভ করতে পারত না।
◆ কুটির শিল্প ধ্বংস : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরেই ভারতে ইংল্যান্ডের শিল্পজাত দ্রব্য ভারতের বাজারে আসতে শুরু করে। যার ফলে ভারতে তাদের নিজস্ব বাজার করে ওঠে এবং এই কারণেই ভারতের নিজস্ব কুটির শিল্প ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে শুরু করে। ফলে ভারতীয় শিল্পীরা ব্রিটিশদের এই কার্যকলাপের যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
◆ স্বতবিলোপ নীতি : গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির আমলে স্বত্ববিলোপ নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই নীতির মাধ্যমে কোনো দেশীয় রাজার যদি নিজের সন্তান না থাকে, তাহলে সেই রাজা কোনো সন্তান দত্তক নিতে পারবে না।। বা নেওয়ার আগে সরকারের কাছ থেকে তাকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু কাজটা ছিল খুবই কঠিন। কারণ এই নীতির মাধ্যমে, কোম্পানির উদ্দেশ্য ছিল - সেই রাজার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।।
উপরোক্ত নানা কারণ ছাড়াও আরও একাধিক কারণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মনে অনেক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। এবং এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল 1857 খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ বা সিপাহী বিদ্রোহ।
আরও পড়ুন
সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্ব | মহাবিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্ব
ভূমিকা : 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও, মহাবিদ্রোহের বা সিপাহী বিদ্রোহের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল ছিল। যেমন -
◆ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ; 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও, এই মহাবিদ্রোহে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকে অনেকটাই দূর্বল করে দিয়েছিল। যার ফলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট 1858 খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসন্বর দায়িত্বভার তুলে দেয় মহারানী ভিক্টোরিয়ার হাতে। এবং এরপরেই মহারানীর রাজপ্রতিনিধি হিসেবে একজন গভর্নর জেনারেলের মাধ্যমে ভারতের শাসন শুরু হয়।
◆ সেনাবাহিনীতে পরিবর্তন : মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতেও অনেক পরিবর্তন করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদে ভারতীয়দের নিয়োগ করা হবে না। এছাড়াও সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের ভারতীয় নিয়োগ সংখ্যা কম করে ব্রিটিশ সেনা নিয়োগ এর সংখ্যা বাড়ানো হয়। এবং এছাড়াও গোলন্দাজ বাহিনীতে ভারতীয় সেনা নিয়োগ করা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
◆ স্বাধীন দেশীয় রাজ্য ; মহাবিদ্রোহের আগে দেশীয় রাজ্য গুলি বাইরে থেকে স্বাধীন হলেও তারা ছিল মূলত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসনের অধীনে থাকা ব্রিটিশদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত রাজ্য। দেশীয় রাজ্যগুলির রাজাদের সবসময়ই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কথা মেনে চলতে হতো। সুতরাং দেশীয় রাজ্যগুলো সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন ছিল না। কিন্তু মহাবিদ্রোহের পর দেশীয় রাজ্যগুলির ব্রিটিশ শাসনের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয় এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করার কথা বলা হয়।
◆ মহারানির ঘোষণা পত্র : মহাবিদ্রোহের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল মহারানীর ঘোষণাপত্র। মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে ভারতকে এখন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তাদের কিছু পুরনো নিয়ম-নীতি বাতিল করে কিছু নতুন নিয়ম নীতি চালু করতে হবে। এটা বুঝতে পারার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার তুলে দেয় মহারানী ভিক্টোরিয়ার হাতে। মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নেওয়ার পর,তার একটি ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ভারতবাসীর কল্যাণকারী একাধিক নীতির কথা তুলে ধরেন।
মহারানির ঘোষণা পত্র সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো
মহারানি ঘোষণা পত্র কী? | মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য | মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী ছিল?
আশাকরি যে উপরের আলোচনা থেকে তোমরা ক্লাস টেনের ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা এর " মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল গুলি " সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছো। এই অধ্যায়ের পরবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে পরবর্তীকালে শেয়ার করব।
Tags :