![]() |
চর্যাপদের প্রশ্নোত্তর || বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদের নোট |
চর্যাপদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাঃ
বাংলা সাহিত্য অনুসারে সব যুগকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা প্রাচীন যুগ মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগের মধ্যে প্রাচীন যুগের সময়কাল হল 900 থেকে 1200 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এখন প্রাচীন যুগে যে সাহিত্য রচনা হয়েছিল তার মধ্যে যে একমাত্র নিদর্শনটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল সেটি হল চর্যাপদ।। চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। নিচে চর্যাপদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়া হলো।
চর্যাপদ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করো👇
• চর্যাপদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
বিষয় | তথ্য |
---|---|
চর্যাপদ | বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। |
রচয়িতা | ২৪ জন বৌদ্ধ সহজিয় সাধক। |
রচনাকাল | দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে। |
সবচেয়ে বেশি পদ রচনাকারী | কানহুপাদ |
পূর্বেকার নাম | চর্চাচর্য বিনিশ্চয় |
মোট খন্ড | ৫১ টি |
প্রাপ্তিকালে মোট খন্ড সংখ্যা | ৪৬½ টি |
কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল | আলো-আধারী ভাষা বা সন্ধ্যাভাষা |
চর্যাপদের কয়েকজন কবি | চর্যাপদ এর 24 জন রচয়িতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কাহ্নপাদ, ঢেন্ডন পাদ, ভুসুকু পাদ, লুই পাদ, সবর পাদ, ধামপাদ প্রমুখ।। |
চর্যাপদের আবিষ্কারকারক | শ্রী মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় |
আবিষ্কারের সময় | ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে |
কোথা থেকে আবিষ্কার করা হয়েছিল? | নেপালের রাজদরবার থেকে। |
গ্রন্থাকারে প্রকাশ | ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে |
যেখান থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল | বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে |
নতুন নাম | হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা |
চর্যাপদ তিব্বতি অনুবাদের আবিষ্কারক | প্রবোধ চন্দ্র বাগচী |
চর্যাপদের টিকা করে নাম কি | মুনিদও |
চর্যাপদ যে বাংলা ভাষার অথবা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন সেটা প্রমাণ করেছিলেন ভাষাচার্য সমিতি কুমার চট্টোপাধ্যায় তার ওডিবিএল গ্রন্থে। Origin And Development Of Bengali Language গ্রন্থে ভাষাচার্য সমিতা কুমার চট্টোপাধ্যায় এক এমন কিছু যুক্তি দিয়েছেন যার মাধ্যমে এটা প্রমাণ হয় যে - চর্যাপদই হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।