গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো। || একাদশ শ্রেণির বাংলা গুরু নাটকের বড় প্রশ্ন উওর

0

গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো। || একাদশ শ্রেণির বাংলা গুরু নাটকের বড় প্রশ্ন উওর 


গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো। || একাদশ শ্রেণির বাংলা গুরু নাটকের বড় প্রশ্ন উওর
 Class 11 Bengali Question Answer 


আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা " গুরু নাটকের " একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো " সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। পরিক্ষায় তোমাদের গুরু নাটক থেকে " গুরু নাটকের বড় প্রশ্ন হিসাবে " গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা " খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো।

গুরু নাটক অনুযায়ী পঞ্চকের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো। 

ভূমিকাঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গুরু নাটকের প্রধান চরিত্র গুলির মধ্যে পঞ্চক হলেন একজন।। 'অচলায়তন' নামক অন্ধ বিশ্বাস এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আধুনিক মুক্ত চিন্তাভাবনা এবং এবং মানসিকতা যুক্ত, এমনই এক চরিত্র হলেন পঞ্চক। অচলায়তনের একজন ছাত্র হিসেবে পঞ্চকের মধ্যে সাধারণত যে বৈশিষ্ট্যগুলি থাকা দরকার,তা আমরা পঞ্চকের মধ্যে দেখতে পাইনা। পঞ্চকের চরিত্রে আমরা এমন কিছু আলাদা দিক দেখতে পাই, যা তাকে সবার থেকে আলাদা করে রাখে। যেমন - 

কূপ্রধা বিরোধীঃ অচলায়তনের একজন ছাত্র হিসেবে পঞ্চকের মধ্যে  বিভিন্ন পুথিপত্রের বাধা-নিষেধ, কুসংস্কার,;অন্ধ বিশ্বাস,,কুপ্রথা ইত্যাদি থাকা দরকার। কিন্তু তা আমরা পঞ্চকের মধ্যে দেখতে পাইনা। কাহিনীর গোড়া থেকেই পঞ্চক এইসমস্ত কিছুর বিরোধী বা এসব থেকে মুক্ত হতে চাইছে। পঞ্চক এসব কুসংস্কার এবং অন্ধ বিশ্বাসের বিরোধী বলেই গুরুর আগমনের কথা শুনেই সে সমস্ত পুথিপত্র ফেলে দেয়। এবং সমস্ত নিয়মকানুনকে ছাড়িয়ে পঞ্চক খুবই সাধারণভাবে গুরুর আগমনের অপেক্ষায় সময় গুনতে থাকে।


স্বাধীনতাকামীঃ অচলায়তনের বিভিন্ন পুথিপত্রের বাধা-নিষেধ,,অন্ধ বিশ্বাস এবং কুপ্রথা বিরোধী পঞ্চক সবসময়ই চায় স্বাধীনতা। সেজন্যই পঞ্চক অচলায়নের থাকা নানা নিয়মকানুন  বারবার ভেঙ্গেছে। অবশ্য সেজন্যই তাকে শাস্তিও পেতে হয়েছে।অচলায়তনের যখন গুরুর আগুনের কথা উঠে,তখন কারো মনে গুরুক নিয়ে সঠিক কোনো ধারণা ছিল না,,যে গুরু আসলে কে এবং কেমন?  কিন্তু পঞ্চম ভেবে নিয়েছিল,, যস গুরুই হল সেই, যে আয়তনের এই সমস্ত বাধা নিষেধকে ভেঙে ফেলে অচলায়তনে স্বাধীনতার নতুন দরজা খুলে দেবে।।  সেকারণেই পঞ্চক শুরু থেকেই গুরু আগমনকে নিয়ে এতটা উৎসাহি ছিল।

আরও পড়ো👇

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো

শিশুপ্রেমঃ   পঞ্চকের মধ্যে যে ভয়ঙ্কর শিশুপ্রেম ছিল, তা আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি। অচলায়তনের উত্তর দিকে জানালা খুলে দেওয়ায় শুভদ্র নামক ছাত্রকে যখন শাস্তি দেওয়ার কথা হচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে থেকেই পঞ্চক শুভদ্রকে বাঁচানোর জন্য নানা চেষ্টা করে যাচ্ছিল। শিশু প্রেমের খাতিরেই, শুভদ্রকে বাঁচাতে গিয়ে পঞ্চককে অচলায়তনের বিশিষ্ট ব্যক্তি, এমনকি নিজের দাদা মহাপঞ্চকেরও বিরুদ্ধে যেতে হয়। কিন্তু পঞ্চক তাতেও পিছু হটে না।

মুক্তিপ্রিয়তাঃ অচলায়তনের বদ্ধ চারদেয়ালের মধ্যে আটকে থেকে পঞ্চকের মধ্যে একধরনের একঘেয়েমি চলে এসেছিল। এরকম অবস্থায় পঞ্চক চেয়েছিল অচলায়তনে সেই একঘেয়েমি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে। এজন্যই পঞ্চক যখনই সুযোগ পেয়েছিল, তখনই সে অচলায়তনে দেয়াল টপকে যুনকদের সঙ্গে মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে নাচে-গানের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল।।

তাই বলা যায়, পঞ্চকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এরকম আরো নানা দিক, পঞ্চকের চরিত্রকে গুরু নাটকে একটি আলাদা স্থান দিয়েছে।।


Tags : একাদশ শ্রেণির গুরু নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Bengali Question Answer | Class 11 Bangali Notes | Class 11 Bengali Suggestion 2022 | ক্লাস 11 বাংলা বড় প্রশ্ন উওর


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top