একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উওর || নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ।

0

একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উওর || নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ। 


Class 11 Bengali Question Answer | Class 11 Bangali Notes | Class 11 Bengali Suggestion 2022 | ক্লাস 11 বাংলা বড় প্রশ্ন উওর
একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উওর


আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) জয় গোস্বামী " নুন " কবিতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ। " সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। পরিক্ষায় তোমাদের নুন কবিতা থেকে " নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ। অথবা, নুন কবিতায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও। " প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো

নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ। || নুন কবিতায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।

ভূমিকাঃ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি জয় গোস্বামী রচিত " নুন " কবিতাটি হল নিম্নবিত্ত বা সাধারণ সমাজের এক অতি সাধারণ পরিবারের দুঃখ"বেদনার কাহিনী।। জয় গোস্বামী রচিত নুন কবিতাটি অনেকটা সাধারণ দরিদ্র মানুষের আত্মহত্যার মতো। জয় গোস্বামী তার নুন কবিতায় এক অতি সাধারণ দরিদ্র পরিবারের,দৈনন্দিন জীবনের নানা দুঃখ-যন্ত্রণাকে নানা ভাবে তুলে ধরেছেন।। যেমন -

বিলাসীতাহীন জীবনঃ নুন কবিতায় আমরা সাধারণ মানুষের দুঃখ যন্ত্রণার যেই দিকটা সবার প্রথমে দেখতে পাই,, সেটা হলো " আমরা তো অল্পে খুশি। কী হবে দুঃখ করে? আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাত-কাপড়ে। " কবিতার এই লাইনের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, সাধারণ মানুষের বিরাট কোনো চাওয়া পাওয়া থাকে না। তারা শুধুমাত্র অল্পতেই খুশি হয়ে যায়। যদিও না পাওয়ার অনেক দুঃখ থাকে। কিন্তু না পাওয়ার দুঃখ করেও তাদের কিছুই হবে না। সাধারণ ভাত কাপড়েই তাদের দিন চলে যায়, তাই অন্য কিছু নিয়ে বিলাসিতা করার কোনো সুযোগই তাদের কাছে নেই।।


অসুখ এবং ধারদেনাঃ দরিদ্র মানুষের জীবনে আর্থিক সংকট থাকবে না,  তেমন হতেই পারে না। সেজন্য কবি বলেছেন, চলে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে। রাত্তিরে দু-ভাউ মিলে টান দেই গঞ্জিকাতে।। অর্থাৎ ধারদেনা করে তাদের জীবন খুবই সাধারণভাবে চলে যায়। এবং তাদের যে এই আর্থিক সংকট বা অন্যান্য কষ্ট, সেই কষ্টটাকে ভুলে থাকার জন্যেই বাপ বেটা মিলে মাঝে মাঝেই গঞ্জিকাতে টান দিয়ে,নিজেদের নেশার মধ্যে ডুবিয়ে  রাখেন।।

প্রবল আর্থিক দুরবস্থাঃ  " মাঝে মাঝে চলেও না দিন। বাড়ি ফিরি দুপুর রাতে। খেতে বসে রাগ চড়ে যায়, নুন নেই ঠান্ডা ভাতে " কবিতার এই দুই লাইনের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি সাধারণ মানুষের প্রবল আর্থিক দুরবস্থার কথা। তাদের আর্থিক দুরবস্থা এতটাই যে, কখনো কখনো তারা নিজেদের পান্তা ভাতে অথবা ঠান্ডা ভাতে  সামান্য নুন পর্যন্ত জোগাড় করতে পারেন না। তাই সাধারণভাবে সারাদিন পরিশ্রম করার পর, যখন মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা হয়, তখন খেতে বসে যখন দেখা যায় যে, সেই ঠান্ডা ভাতেও নুন নেই,তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের রাগ মাথায় চড়ে যায়।।

সামান্য দাবিঃ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত  তাদের জীবনের দুঃখ দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন।  এবং তারা শেষ পর্যায়ে এসে, নিজেদের সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষাকে সরিয়ে রেখে, তাদের দাবিদাওয়াকেও অতি সামান্য করে তুলেছেন। তাই তারা চেয়েছেন, তাদের এই দুঃখ দারিদ্র্যের মধ্যে অন্তত যেন,তাদের শুকনো ভাতে সামান্য লবনের ব্যবস্থা করা হয়।।

মূলত এভাবেই জয় গোস্বামী রচিত নুন কবিতায় সাধারণ দরিদ্র মানুষদের জীবনের নানা কথা আজীবন থাকে উঠেছে।


Tags : একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উওর | নুন কবিতায় নিম্নবিত্ত সমাজের যে দুঃখ যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ। | Class 11 Bengali Question Answer | Class 11 Bangali Notes | Class 11 Bengali Suggestion 2022 | ক্লাস 11 বাংলা বড় প্রশ্ন উওর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top