কর্তার ভূত গল্পের বড়ো প্রশ্ন উওর-'মানুষের তো মৃত্যু আছে ভূতের তো মৃত্যু নেই' কে,কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো'

0

 

একাদশ শ্রেণির বাংলা কর্তার ভূত গল্পের 'মানুষের তো মৃত্যু আছে ভূতের তো মৃত্যু নেই' কে,কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো'- প্রশ্ন উওর
একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় কর্তার ভূত গল্পের প্রশ্ন উওর

আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় কর্তার ভূত গল্পের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 'মানুষের তো মৃত্যু আছে ভূতের তো মৃত্যু নেই' কে,কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।' এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।

'মানুষের তো মৃত্যু আছে ভূতের তো মৃত্যু নেই' কে,কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।। 

উওরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত রূপক ধর্মী গল্প 'কর্তার ভূত' এ যখন বুড়ো কর্তার মৃত্যুর সময় চলে আসে, তখন দেশের লোক তার কবর্তমানে তাদের কী অবস্থা হবে বা তাদের ভবিষ্যত কি হবে সেই ভেবেই তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং বলে ওঠে 'তুমি গেলে আমাদের কি দশা হবে'। এই কথা শুনে মৃত্যুপথযাত্রী বুড়োকর্তা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত এবং দুঃখিত হয়ে পড়েন। তখন দেবতা প্রশ্নদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে জানান যে, বুড়ো কর্তা মৃত্যুর পরে ভূত হয়েই দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে থাকবেন। ফলে দেশবাসীর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না।। 

ক্লিক করো👉 ; অন্যান্য নোটস পেতে আমাদের গ্রুপে যোগদান করো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত গল্পটি হলো একটি রূপকধর্মী গল্প। এই গল্পের সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন ধর্ম সমাজ ব্যবস্থার স্বরূপ এবং জনসাধারণের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। এখানে বুড়ো কর্তা বলতে প্রাচীন সভ্যতা ও তার ধর্মতন্ত্রের মাধ্যমে লোকের ঘাড়ে চেপে থাকার কথা বোঝানো হয়েছে। আর দেশের লোকও বুড়োকর্তার ঘাড়ে চেপে থাকাটাকে খুব সহজভাবে মেনে নিয়েছেন।।কারণ বুড়োকর্তা তাদের ঘাড়ে চেপে থাকলে বা এই ধর্মতন্ত্রের কাছে আত্মসম্মান করলে নিজেদের ভাবনা আর ভাবতে হয় না।। কারণ মানুষ মরণশীল হলেও ভূতের মৃত্যু নেই। তাই তারা সারাজীবন এই ভূততন্ত্রের আশ্রয়েই কাটাতে চায়।

ক্লিক করো👉 ; অন্যান্য নোটস পেতে আমাদের গ্রুপে যোগদান করো

ভূতগ্রস্ত দেশের মানুষেরা চোখ বুজে চলে আর ভবিষ্যৎকে ভূতের খোঁটায় বেঁধে রাখে। বুড়োকর্তা যদি ভূত হয়ে দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে বসেন তাহলে দেশবাসীকে আর অভিভাবকহীন হতে হয় না। সেক্ষেত্রে, তারা তাদের ‘আদিম চলা’ অর্থাৎ চোখ বুজে চলা অব্যাহত রাখতে পারে। নিজের শক্তি ও আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে অন্ধ সংস্কারের ওপর নির্ভরশীল থাকাটাই দেশবাসীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাই নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও কাজ করার বাসনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভূতরূপী ভবিতব্যের ওপরই দেশবাসী নির্ভর করে থাকে। এই নির্ভরশীলতা থেকেই আসে ভীতি। মানুষের মনের এই অন্তহীন ভয়ের সূত্র ধরেই প্রাচীন ধর্মব্যবস্থার ভূত টিকে থাকে সমাজে। অর্থাৎ বুড়োকর্তা তথা প্রাচীন সভ্যতার ভূতরূপী ধর্মতন্ত্র অমর হয়ে থাকে।

আশাকরি যে, একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় কর্তার ভূত গল্পের 'মানুষের তো মৃত্যু আছে ভূতের তো মৃত্যু নেই' কে,কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।' এই প্রশ্নটির উওর তোমাদের ভালো লাগবে।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top