একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |
আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়-আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন" নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও " অথবা " নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো " এই প্রশ্নের উওর একাদশ শ্রেণির ইতিহাস নোট হিসাবে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
আজকের বিষয় :
• নব্য প্রস্তর যুগ কাকে বলে?
• নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল
• নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও বা নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো
• নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল
• নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও বা নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর-নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও
ভূমিকা : প্রাচীন প্রস্তর যুগের সমাপ্তি কাল অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব 10, 000 অব্দ থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব 5000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন যুগের মানুষের জীবনযাত্রারর তুলনায় মধ্য যুগের মানুষের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই উন্নত এবং আধুনিক। যেমন -
ক্লিক করো👉 ; অন্যান্য নোটস পেতে আমাদের গ্রুপে যোগদান করো
◆ উন্নত হাতিয়ারঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের হাতিয়ার ছিল খুবই উন্নত। প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং মধ্য প্রস্তর যুগ পেরিয়ে নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের হাত থেকে উন্নত থেকে আরও উন্নত করে তোলে। নব্য প্রস্তর যুগেরবুল্লেখযােগ্য পাথরের হাতিয়ারগুলির মধ্যে ছিল - কাটারি, নিড়ানি, ছেনি, বাটালি, কাস্তে, বর্শার ফলা, ছােরা, ছুঁচ প্রভৃতি। কুঠার, কোদাল-সহ বেশ কিছু হাতিয়ারে কাঠের হাতল লাগানাের কৌশল এসময় চালু হয়। নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ এসব উন্নত হাতিয়ার শিকার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। কৃষি ক্ষেত্রে এবং শিক্ষারের ক্ষেত্রে উন্নত হাতিয়ার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের অনেক সুবিধা হতো।
◆আগুনের ব্যবহারঃ নব্য প্রস্তর যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, সেই যুগেই মানুষ পাথর ভাঙার মধ্য দিয়ে প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল। আগুনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছিল। যেমন -
• আগুনের সাহায্যে তারা কাঁচা মাংস আগুনে পুড়িয়ে নিয়ে বা সেদ্ধ করে খেতে শিখেছিল।
• গুহার মুখে আগুন জ্বালিয়ে ভয়ানক জানােয়ারদের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে শেখে।
• শীতের সময় আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে শীতের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতো।।
◆ কৃষি সূচনাঃ মূলত নব্য প্রস্তর যুগেই সঠিকভাবে কৃষির সূচনা হয়েছিল। নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ ভালোভাবে চাষবাস করতে শুরু করে। নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল কৃষির আবিষ্কার। সে সময় মানুষ তাদের কৃষি ক্ষেত্রে পশুশক্তিকে এবং বিভিন্ন উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি - যেমন - কাস্তে, ন্যাকানি ইত্যাদি কৃষিতে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। এর ফলে নব্য প্রস্তর যুগে কৃষির উন্নতি ঘটে। এবং এভাবে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের মানুষের জীবনযাত্রায় অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
ক্লিক করো👉 ; অন্যান্য নোটস পেতে আমাদের গ্রুপে যোগদান করো
◆ বসতি স্থাপনঃ নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ কোনো এক জায়গায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করে। এই যুগের মানুষ তাদের গৃহনির্মাণ করতে শেখে। যার তাদের যাযাবর জীবন শেষ হয়ে, একটি নতুন জীবন ধারা শুরু হয়।।
◆ পশুপালনঃ নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ নিজেদের স্থায়ী বসবাস স্থাপন করার পর তারা পশু পালনের ক্ষেত্রেও আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পশুদের পোষ মানাতে শেখে। এরপর তারা সেই পশুদের বিভিন্ন কাজে লাগাতে শুরু করে। যেমন বিভিন্ন পশুর চামড়া সংগ্রহ, খাদ্য হিসেবে মাংস এবং দুধ, লোম ইত্যাদি। এছাড়াও তারা বিভিন্ন পশুকে নিজেদের কৃষিকাজেও ব্যবহার করতো।
ক্লিক করো👉 ; অন্যান্য নোটস পেতে আমাদের গ্রুপে যোগদান করো
◆ ভাষার বিকাশঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর, সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকে,একে অপরের সঙ্গে ভাবের আদান প্রদানের জন্য ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভাষার বিকাশ করতে ও উন্নতি ঘটতে শুরু করে।
◆ যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটায়। এই যুগের মানুষ জলপথ ও স্থলপথ, উভয় প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই যথেষ্ট উন্নতি ঘটায়। স্থলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে বিভিন্ন পশু শক্তির সাহায্যে তৈরি বিভিন্ন যানবাহন,যেমন- গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ইত্যাদি এবং অন্যদিকে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হিসাবে ছোটো খাটো নৌকা ছিল।
◆ চাকার আবিষ্কারঃ নব্য প্রস্তর যুগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই যুগেই চাকার আবিষ্কার করতে শিখেছিল। চাকা আবিষ্কার করার ফলে, তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসতে দেখা গিয়েছিল। প্রথমত তারা চাকা কে ব্যবহার করে বিভিন্ন মৃৎপাত্র তৈরি করতো। বিভিন্ন মৃৎপাত্র তারা সেই সময় নিজেদের বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করতো।
দ্বিতীয়তঃ তারা চাকাকে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন স্থলজ যানবাহন তৈরি করতে পেরেছিল।।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা অন্যান্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার তুলনায় অনেকটাই আধুনিক এবং উন্নত ছিল।।