উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন উওর || West Bengal Board HS Bengali Question Answer & Suggestion 2023

0

 

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন উওর || West Bengal Board HS Bengali Question Answer & Suggestion 2023
রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

আজকের এই ব্লগে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারানের কূলে কবিতার (wb class 11 Bengali Question Answer & Suggestion 2023 ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 4 টি বড় প্রশ্ন উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এর আগের কিছু পোস্টে উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারানের কূলে কবিতার MCQ & SAQ Question Answer গুলো শেয়ার করা হয়েছে। তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট থকে সেগুলো দেখে নিতে পারো। 

প্রশ্নঃ 'রূপনারায়ণের কূলে জেগে উঠিলাম'- কবির থেকে ওঠা তাৎপর্য আলোচনা করো

উওরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের 11 সংখ্যক কবিতা রুপনারনের কুলে জীবনের মধ্যে থেকেই জীবনকে উপলব্ধি করার কথা বলেছেন। কবি এখানে রূপনারান কথাটি কোনো বিশেষ নদীকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করেননি। তিনি রূপ রুপনারান বলতে তিনি রূপময় বিশ্বজগতকে বোঝানোর জন্যই ব্যবহার করেছেন।।

কবি যে বিশ্বজগতকে বুঝিয়েছেন তা কল্পনার দ্বারা আচ্ছন্ন নয় বরং সেই বিশ্বজগৎ অসংখ্য আঘাত ও বেদনার মধ্যে দিয়েই রয়েছে. এবং সে আঘাত বেদনার মাধ্যমেই জীবনের বিকাশ ঘটে। জীবনের ক্ষেত্রে এটাই সত্য যে আমাদের আঘাত এবং বেদনা পেতে হয়।


Read More👇

What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You


  এবং আঘাতে,বেদনায়,রক্তের অক্ষরে অর্থাৎ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে দিয়ে কবি সেই সত্যকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। সেই সত্যি কঠিন, দ্বন্দ্বমুখর কিন্তু সত্যিই কবি সেই কঠিন সত্যকেই ভালবাসেন। কারন কবির কথা সত্য কঠিন হলেও সেখানেই প্রাণের গতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্য এক কবিতায় লিখেছেন যে,

"সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত 

নাচাও যে ঝংকারে,

আরাম হতো ছিন্ন করে 

সেই গভীরে লও গো মোরে, 

অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান"

জীবন মানে আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা। এই দুঃখের তপস্যার উদ্দেশ্য আসলে সত্যের মূল্য দিয়ে জীবনের সমস্ত দেনা শোধ করে দেওয়া। তারপরেই সম্ভব মৃত্যুতে নিজেকে সমর্পণ করে দেওয়া। এইভাবেই অলীক কল্পনা বা ভাবের জগৎ থেকে রবীন্দ্রনাথ দুঃখ, আঘাত-সংঘাতমুখর পৃথিবীতেই মানবের মুক্তিকে প্রত্যক্ষ করেছেন। জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে কবি মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও মানবসংসারের তীরেই নিজের আশ্রয় খুঁজেছেন। ‘রূপনারানের কূলে’ জেগে ওঠা আসলে সেই সন্ধানেরই কাহিনি।

প্রশ্নঃ 'জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয়।' - কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো।

উওরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের 11 সংখ্যক রুপনারানের কুলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জীবনকে নিয়ে নতুনভাবে বোঝার বা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'জন্মদিনে' কবিতায় লিখেছিলেন -

"আমি পৃথিবীর কবি যেথা তার যত ওঠে ধ্বনি

আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিব তখনি" আমাদের আলোচনাতেও রবীনাথ ঠাকুর এই পৃথিবীতে আসতে চেয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের স্বপ্ন এবং কল্পনারব যে মায়া আবরণ রয়েছে,সেই সমস্ত কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে এই জগতকে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক যন্ত্রণা,হতাশা,রাজনৈতিক নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদি এবং এর মধ্যে রয়েছে আমাদের বেদনা-কাতর। প্রতিদিন ব্যক্তিগত জীবনে আমরা প্রত্যেকেই নানা হতাশার যন্ত্রনা সামাজিক এবং রাজনৈতিক নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদির মধ্যে এগিয়ে চলি এবং কবি এই এগিয়ে চলার মধ্যেই জীবনের যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায় বলে মনে করেন। তাই কবি বলেছেন আমাদের এই জীবন স্বপ্নের রঙে রঙিন নয়, তা রক্তের অক্ষরেই এর যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায়। সে জীবনে 'দুঃখের তপস্যা ই হয়তো সত্য, কিন্তু তার মধ্যেই ঘটবে জীবনের বিকাশ। রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় স্বপ্নের বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে 'সত্য'। এই 'সত্য' হল জীবনকে তার যথাযথ তাৎপর্যে বুঝতে শেখা। 'মানুষের ধর্ম’-এ রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—“তাই বিরাটকে বলি রুদ্র, তিনি মুক্তির দিকে আকর্ষণ করেন দুঃখের পথে।” জীবন দুঃখময়, কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই মানুষের চৈতন্যের বিকাশ ঘটে। সে জীবনের ধর্মকে অনুভব করতে পারে। তাই স্বপ্নবিলাসিতায় নয়, দুঃখের তরঙ্গমুখরতাতেই জীবন ‘সত্য’কে খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ- 'সত্য যে কঠিন / কঠিনেরে ভালোবাসিলাম' কবির কাছে সত্যের ধারণা প্রকাশিত হয়েছে,তা নিজের ভাষায় প্রকাশ করো।

উওরঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের 11 সংখ্যক রুপনারানের কুলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে রূপনারায়ণের কূলে অর্থাৎ ‍এই পৃথিবীর চরম বাস্তবের সামনে জেগে উঠেছেন। তিনি জেগে উঠেছেন এই পৃথিবীর বাস্তবের সামনে, যেখানে তিনি মায়াস্বপ্ন বা কল্পনাকে খুঁজে পাননি তার বদলে তিনি যেই রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছেন সেখানে তিনি পেয়েছেন আঘাত ও সংঘাত। জনজীবনে অজস্র বেদনা এবং রক্ষক্ষরণকে কবি এখানে প্রত্যক্ষ করেছেন। ‘আত্মপরিচয়'-এ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন—“সত্যের লক্ষণই এই যে, সমস্তই তার মধ্যে এসে মেলে। ... তাই সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা করে পৃথিবীটি বস্তুত যেমন, অর্থাৎ নানা অসমান অংশে বিভক্ত, তাকে তেমনি করেই জানবার সাহস থাকা চাই।” কবিতাতেও তাই সত্যের কঠিন স্বরূপকে প্রত্যক্ষ করেও রবীন্দ্রনাথ তাকেই ভালোবেসেছেন, কারণ কবির ভাবনায় সত্য কখনও বঞ্চনা বা ছলনা করে না। জীবন আসলে দুঃখের তপস্যা। কিন্তু তা এই সত্যের মূল্য শোধ করার জন্যই। কল্পনা বা স্বপ্নবিলাসের দ্বারা জীবনের এই সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ জীবনের স্বাভাবিক গতিকে, তার যথার্থ স্বরূপকে অস্বীকার করা। অন্য দিকে কঠিন সত্য জীবনের যথার্থ স্বরূপকে চিনিয়ে দেয়।

প্রশ্নঃ- 'চিনিলাম আপনারে'- কে,কখন, কিভাবে নিজেকে চিনেছিল? এর ফলে তার মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা নিজের ভাষায় সংক্ষেপে লেখ।

উওরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারানের কূলে কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য প্রশ্নে কবি নিজেকে নিয়েই এই মন্তব্যটি করেছেন। কবি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে রূপনারানের কূলে অর্থাৎ এই পৃথিবীর বাস্তব জগতে জেগে উঠেছিলেন এবং সেখান জেগে ওঠার পর কবি বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই পৃথিবী কোনো স্বপ্নের রঙে রঙিন।।  কবি বুঝতে পেরেছিলেন,কবি যে কল্পনার জগত চিন্তা করতেন তার সঙ্গে এই বাস্তব জগতের কোন মিল নেই। 'জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়'- বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কবি এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। কবি এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে, আমাদের এই জীবনের বিকাশ একমাত্র আঘাত সংঘাতের মধ্যে দিয়েই সম্ভব। সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে দিয়েই যে সভ্যতার বিকাশ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে টানাপোড়েন এবং রক্তক্ষরণ - কবি তাকেই সত্য বলে উপলব্ধি করেছেন এবং এভাবেই তিনি নিজেকে চিনতে পেরেছিলেন।। 'রক্তের অক্ষরে’ কবি নিজেকে চিনতে পেরেছিলেন আঘাতে বেদনায় আর তখনই কবির উপলব্ধি হয়েছিল যে সত্যের প্রকৃত স্বরূপ অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি সেই কঠিন সত্যকেই ভালোবেসেছেন এই বিশ্বাস থেকে যে, প্রকৃত সত্য কখনো বিভ্রম তৈরি করে না, তাই তার দ্বারা বঞ্চিত হতে হয় না। “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা”—জীবন সেখানে সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করার জন্য মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর, প্রো এই উপলব্ধি কবির হয়েছে। সত্য ও জীবনে যথার্থ স্বরূপের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করার ঘোষণাই ছিল কবির অঙ্গীকার।


আশাকরি, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারানের কূলে কবিতার ( WB Class 12 Bengali Question Answer & Suggestion 2023 ) যে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন উওর শেয়ার করা হয়েছে, তা তোমাদের কাজে লাগবে।।

Tags : উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর | উচ্চ মাধ্যমিক রূপনারানের কূলে বড় প্রশ্ন উওর | WB Class 12 Bengali Question Answer | HS Bengali Suggestion 2023 | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতার প্রশ্নোত্তর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top