ফরাসি বিপ্লবের কয়েকটি দিক অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর |
আজের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ফরাসি বিপ্লবের কয়েকটি দিক ( WBBSE Class 9 History Question Answer & Notes in Bengali ) অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 4 মার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 'রাজনৈতিক কারাগার বলতে কী বোঝোয়? ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার বলা হতো কেন? ' তার উওর ( WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আর আমরা প্রতিদিন তোমাদের জন্য নোটস শেয়ার করে যাবো। তাই তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকো।।
প্রশ্নঃ রাজনৈতিক কারাগার বলতে কী বোঝোয়? ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার বলা হতো কেন?
উওরঃ ফরাসি বিপ্লবের আগে 1789 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের বাস্তিল দুর্গ মূলত রাজনৈতিক কারাগার নামে পরিচিত ছিল। রাজনৈতিক কারাগার বলতে বুরবো বংশের রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের কঠোর শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়।।
ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার বলার পেছনে কারণঃ
বাস্তিল দুর্গকে রাজনৈতিক কারাগার বলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। এজন্য বিভিন্ন দার্শনিকরা একে রাজনৈতিক কারাগার বলে অভিহিত করেছেন। যেমন -
স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রঃ
ফরাসি বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের বুরবো বংশের রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। বুরবো বংশের বংশানুক্রমিক স্বৈরাচারীরা রাজারা কঠোর ভাবে তাদের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। ফ্রান্স রাজা ষোড়শ লুই এর শাসনকালে বিভিন্ন দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়লেও তার দম্ভ কখনোই কমেনি এবং তিনি নিজের ইচ্ছামত কঠোরভাবে ফ্রান্সের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।
ইনটেনডেন্টদের অত্যাচারঃ
ফ্রান্সের প্রাদেশিক শাসনকর্তারা বা রাজকর্মচারী যাদের ইনটেনডেন্ট বলা হতো, তারা প্রচুর পরিমাণে অত্যাচারী হতো। ফ্রান্সের রাজ কর্মচারীরা যে সমস্ত অঞ্চলে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন, সেখানে তারা নিজের ইচ্ছামত অত্যাচার চালাতে পারতেন। মূলত তাদের মাধ্যমেই ফরাসি রাজার স্বৈরাচার বাস্তবায়িত হতো। ফরাসি ইনটেনডেন্টদের মাধ্যমে জনগণ এতটাই অত্যাচারিত হতে যে,সাধারণ জনগণ সেই সমস্ত রাজকর্মচারীদের রক্তলোলুপ নেকড়ে বলে অভিহিত করেছিল।
লেতর দ্য ক্যাশেঃ
ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার বলার সবচাইতে বড় কারণ হল লেতর দ্য ক্যাশে নামক এক প্রকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ফ্রান্সের রাজ কর্মচারীরা অথবা ইনটেনডেন্টগন লেতর দ্য ক্যাশে নামক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাহায্যে যেকোনো ব্যক্তিকে যেকোনো কারণে বিনা বিচারেই গ্রেপ্তার করে রাখতে পারতো এবং সেইসঙ্গে তার বিচার না করেই নিজের ইচ্ছামত তাকে দীর্ঘ কাল পর্যন্ত আটক করে রাখতে পারতো। এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ জনসাধারণের হাতে ছিলনা।।
ন্যায় বিচারের অভাবঃ
ফ্রান্সের সাধারণ জনগণের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বাক-স্বাধীনতার অধিকার ছিল সীমাবদ্ধ। ফ্রান্সে প্রচলিত রাজতন্ত্রেএ বিচার ব্যবস্থা খুবই দূর্বল থাকায় সাধারণ জনগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার পেতনা।
জনসাধারণের সীমাবদ্ধ অধিকারঃ
ফরাসি বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের বুরবো রাজবংশের শাসনকালের জনসাধারণের যে সমস্ত সামাজিক? রাজনৈতিক এবং বাক স্বাধীনতার অধিকার ছিল, তা ছিল সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ জনগণের হাতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল না। এবং জনগণের সমস্ত অধিকার এবং কার্যকলাপ ই বুরবো রাজবংশের রাজাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।।
উপরোক্ত কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াও আরও নানা ছোটখাটো কারণে ফ্রান্সকেই মূলত ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার বলে বিভিন্ন দার্শনিকরা অভিহিত করেছিলেন।।
Tags :