দশম শ্রেণির বাংলা পথের দাবী গল্পের বড় প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন ২০২৩
![]() |
ক্লাস টেনের পথের দাবী গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |
'দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি,নিজে খাইনে' মিথ্যেবাদী কোথাকার! - কার উদ্দেশ্যে উক্তি? তাকে দয়ার সাগর ও মিথ্যাবাদী বলার কারণ কী??
উওরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের এক অদ্ভুত চরিত্র হলো গিরীশ মহাপাত্র। গল্পের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত আমরা তার মধ্যে এক রহস্য খুঁজে পাই। আসলে গিরীশ মহাপাত্র হলেন পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক। পুলিশি তল্লাশি থেকে বাঁচতে অথবা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই সব্যসাচী মল্লিক গিরীশ মহাপাত্রের মতো এক অদ্ভুত ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষের ছদ্মবেশ নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন।।
পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক খুঁজে পাওয়ার জন্য পুলিশ তল্লাশি করতে শুরু করে। সব্যসাচী মল্লিককে খুঁজে পাওয়ার জন্য কয়েকজন সন্দেহভাজনকে পুলিশ স্টেশনে আটকে রেখে তাদের তল্লাশি চালানো হয়।
তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন গিরীশ মহাপাত্র। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা যায় যে, সে এখানে কোনো একটি বিশেষ কাজে এসেছে। এরপর কথায় কথায় যখন গিরীশ মহাপাত্র তল্লাশি করা হয়, তখন তার পকেট থেকে একটি টাকা এ গন্ডা ছয়েক পয়সা, একটি ফুটরুল, একটি কাঠের কম্পাস একটি একটি গাজার কলিকা পাওয়া যায়। পকেট থেকে এরকম হয়ে একটি গাজার কলিকা উদ্ধার হওয়ায়, বৃদ্ধ নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞেস করেন যে, মহাপাত্র গাজা খায় কিনা।
নিমাইবাবুর প্রশ্নের উত্তরে গিরীশ মহাপাত্র জানায় - 'সে গাজা খায় না। এই গাজার কলিকা সে পথে কুড়িয়ে পেয়েছিল। যদি কারো দরকার পড়ে সেই ভেবে গিরীশ মহাপাত্র সেই গাজার কলিকাটি নিজের সঙ্গে রেখে নিয়েছিল। সে নিজে গাজা খাইনা কিন্তু বন্ধুদের গাজা তৈরি করে দেয়। '-
মহাপাত্রের এই কথা বলায় নিমাইবাবু মহাপাত্রকে দয়ার সাগর বলে ব্যঙ্গ করেছেন। গিরীশ মহাপাত্রের নিজে গাজা না খাওয়ার কথা নিমাইবাবু একটুও বিশ্বাস করেন না। গিরীশ মহাপাত্রের শরীরের যে সমস্ত লক্ষণ উপস্থিত ছিল, তাতে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল যে,গিরীশ মহাপাত্র গাজা খায় কিনা। তাই গিরীশ মহাপাত্রের এরকম একটা কাঁচা মিথ্যা কথায় কারণ নিমাইবাবু তা ধরে ফেলেন। এবং জন্য নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে মিথ্যেবাদী বলে একটু হাস্যরসাত্মকভাবে ধমক দেন।
Tags :