নবম শ্রেণির বাংলা ইলিয়াস গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 9 ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর এবং সাজেশন 2022

0

 

নবম শ্রেণির বাংলা ইলিয়াস গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 9 ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর এবং সাজেশন 2022

আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা নবম শ্রেণির বাংলা ( WBBSE Class 9 Bengali Question Answer & Suggestion 2022 ) ইলিয়াস গল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বড় প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।  এর আগে আমাদের ওয়েবসাইটে ক্লাস 9 বাংলা ইলিয়াস গল্পের MCQ প্রশ্ন উওর গুলো শেয়ার করা হয়েছে। তোমরা সেই প্রশ্ন উওর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারো।।

নবম শ্রেণির বাংলা ইলিয়াস গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 9 ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর এবং সাজেশন 2022


প্রশ্নঃ-'সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল'- কে,কিভাবে সর্বহারা হয়ে পড়েছিল?

উওরঃ- লিও তলস্তয়ের লেখা ইলিয়াস গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াস সম্পর্কে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে।। দীর্ঘ 35 বছর ধরে ইলিয়াস এবং স্ত্রীর কঠোর পরিশ্রম করার ফলে ইলিয়াস তার সম্পত্তি বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল এবং একসময় সেই সম্পত্তি বাড়িয়ে তোলার ফলে অবস্থা মোটামুটি ভাবে ভালো ছিল। কিন্তু নানা কারণে ইলিয়াসের সম্পত্তির পরিমাণ আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং একসময় ইলিয়াস তার সব সম্পত্তি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। ভালো অবস্থা থেকে ইলিয়াসের সর্বস্বান্ত হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন- 

প্রথমত ইলিয়াসের ছেলে দের আয়েশি হয়ে ওঠাঃ 

ইলিয়াসের সর্বস্বান্ত হওয়ার পেছনে একটি প্রধান কারণ হলো ইলিয়াসের ছেলেদের আয়েশি হয়ে ওঠা। যখন ইলিয়াসের সম্পত্তির পরিমাণ খুব বেশি ছিল না ব অবস্থা যখন খুব ভাল ছিল না, তখন ইলিয়াসের সঙ্গে সঙ্গে তার ছেলেরাও কাজ করতো। এবং সেকারণেই ইলিয়াসের সম্পত্তির পরিমাণ একসময় অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইলিয়াস সম্পত্তি যখন অনেক বেড়ে যায় বা ইলিয়াসের অবস্থা যখন একটু ভালো হয়, তখন ধীরে ধীরে ইলিয়াসের ছেলেদের মধ্যে কাজ করার ইচ্ছে কমে আসে। তারা বিলাসিতার মধ্যে ডুবে যেতে শুরু করে এবং এভাবে আস্তে আস্তে তারা আয়েশি হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় ইলিয়াসের ছেলেদের মধ্যে নানান সমস্যা। বড় ছেলেটি মারামারি করে মারা যায়। এরপর ছোটো ছেলেটি এমন এক বউকে বিয়ে করে আনে যে, সে বাপের আদেশ ই অমান্য করতে শুরু করেছিল। এর ফলে ইলিয়াস সেই ছেলে বউকে কিছু সম্পত্তি দিয়ে তাদের আলাদা করে দেয়। এর ফলে ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ে।।

মড়ক এবং দুর্ভিক্ষঃ- 

ছেলে বউকে কিছু পরিমাণ সম্প্রতি দিয়ে আলাদা করে দেওয়ার পর ইলিয়াসের ভেড়ার পালের মড়ক লাগার কারণে অনেক ভেড়ার মৃত্যু ঘটে। তার পরের বছরই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফলে খড়ের অভাবে না খেতে পেয়ে বহু গবাদিপশু মারা পড়ল। এরকমভাবে পরপর দুই বছর ভেড়া এবং অন্যান্য গবাদি পশুর মারা যাওয়ায় ইলিয়াসের সম্পত্তিতে অনেকটাই টান পড়ে।।

কিরবিজ দের আক্রমণঃ

ছেলে বউকে অনেক সম্পত্তি দিয়ে দেওয়ার পর এবং পরবর্তীতে দুর্ভিক্ষের কারণে অনেক গবাদিপশুর ক্ষতি হয়। এরপর যেভাবে ইলিয়াসের সম্পত্তির অনেক ক্ষতি হয় তা হলো, কিরবিজদের আক্রমণে দ্বারা।।কিরবিজদের আক্রমণে দ্বারা ইলিয়াসের সবচেয়ে ভালো ঘোড়াগুলি চুরি হয়ে যায়।। এভাবে ধীরে ধীরে ইলিয়াসের সম্পত্তির অবস্থা একদম খারাপ হয়ে পড়ে।  এবং অল্প সময় যাওয়ার পরেই ইলিয়াস আর্থিক অনটনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কষ্ট জড়িয়ে পড়ে।।এবং সবশেষে ইলিয়াসের যা কিছু ছিল তা বিক্রি করে দিয়ে ইলিয়াস সর্বস্বান্ত হয়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে শুরু করে দেয়।।

প্রশ্নঃ- 'বন্ধুগণ হাসবেন না। এটা তামাশা নয়। এটাই মানুষের জীবন।'- বক্তা কে? বক্তা কাদের উদ্দেশ্য করে একথা বলেছিলেন? অতিথিরা হেসেছিল কেন? এটাই মানুষের জীবন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উওরঃ- আলোচ্য প্রশ্নের বক্তা হলেন লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াস। বক্তা মোঃ শাহ এর বাড়িতে আসা কয়েকজন অতিথিকে উদ্দেশ্য করে উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন। ইলিয়াস নিজের সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যখন সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়ে মোহাম্মদ শাহ এর বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে শুরু করে, তখন একদিন মোহাম্মদ শাহের বাড়িতে আসা কিছু অতিথি ইলিয়াসকে ডেকে পাঠায় এবং এরপর সেই অতিথিরা তাদের সঙ্গে ইলিয়াসকে কুমিস খেতে বললে, কথায় কথায় বৃদ্ধ ইলিয়াস এবং স্ত্রী অতিথিদের জানান যে, দীর্ঘ 50 বছরে ইলিয়াস এবং স্ত্রী তার স্ত্রী সুখ খুঁজে বেড়িয়েছেন। কিন্তু তারা খুঁজে পাননি ম কিন্তু বর্তমানে যখন তারা সবকিছু হারিয়ে পরের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন, তখন সেখানেই তারা সেই সুখ খুঁজে পেয়েছেন যা তারা এতদিন ধরে খুঁজেছিল। এমন অদ্ভুত কথা শুনে অতিথিরা হেসে ফেলেন। অতিথিদের এরূপ আচরণ দেখে ইলিয়াস উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন।। 

‘এটাই মানুষের জীবন'—উক্তিটির বক্তা হল ইলিয়াস। ইলিয়াসের মতে মানুষের জীবনে কখনোই শুধু সুখ বা শুধু দুঃখ থাকে না। সুখ-দুঃখ যেন ঘুরে-ফিরে এসে দেখা দেয়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতায় ইলিয়াস দম্পতি সে-কথা বুঝেছে। কারণ তারা সামান্য হয়েছিল, আবার সেই অবস্থা থেকে সর্বহারায় পরিণতও হয়েছে। তাই তারা জানে যে মানুষের জীবনে ভাগ্য চাকার মতোই ঘোরে।  অতিথিদের সঙ্গে কথার ছলে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-সেমাগি জানিয়েছে যখন তারা ধনী ছিল তখন তারা শান্তি-সুখ পায়নি। কারণ নানা চিন্তায় তারা ব্যস্ত থাকত। তাই ঈশ্বরকেও স্মরণ করতে পারত না। কিন্তু মজুরের বৃত্তি গ্রহণ করে তারা প্রকৃত শান্তি-সুখ পেয়েছে। কারণ মনের শান্তি তারা খুঁজে পেয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃত সুখ-শান্তি অর্থে নয়—মনের শান্তিতে। স্ত্রীর মতকে ইলিয়াসও সমর্থন করে, তাই প্রশ্নে উল্লিখিত কথাটি বলেছে সে। উক্তিটির মাধ্যমে ইলিয়াস এ-ভাবই বোঝাতে চেয়েছে যে, শান্তি খুঁজে পাওয়াটাই জীবনের উদ্দেশ্য।

প্রশ্নঃ- 'ভাগ্য যেন চাকার মতো ঘোরে'- কে, কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলেছিল? এরূপ মন্তব্যের কারন কী?

উওরঃ- লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াস মোহাম্মদ শাহের বাড়িতে আসা কয়েকজন অতিথিকে উদ্দেশ্য করে উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন। 

ইলিয়াস গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াসের জীবন বিভিন্ন সময় যে একটি চাকার মতো ঘুরে গিয়েছে তা আমরা এই সমগ্র গল্প থেকেই বুঝতে পারি। ইলিয়াসের প্রথম জীবনে তার অবস্থা ভাল ছিল না। তাই ইলিয়াস নিজের অবস্থা ভালো করতে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ 35 বছর ধরে পরিশ্রম করে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন করে।। এবং খুব অল্পসময়ের মধ্যেই ইলিয়াস বিশাল সম্পদের মালিক হয়। তখন ইলিয়াসের নামডাক সমাজে ছিল প্রচুর।কিন্তু ইলিয়াসের এই অবস্থা খুব অল্পসময়ের মধ্যেই দ্রুত পাল্টে যায়। বিভিন্ন কারণে  ইলিয়াসের যে সম্পত্তি ছিল,তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে এবং একসময় ইলিয়াসের অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, ইলিয়াসের সমস্ত সম্পত্তি শেষ হয়ে যায় এবং সবশেষে ইলিয়াসের যে পরিমাণ সম্পদ ছিল, তাও ইলিয়াসকে বিক্রি করে দিয়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করা শুরু করতে হয়। এরকম ভাবে দেখা যায়, যেই ব্যক্তির প্রথম জীবনে কিছু ছিল না, সেউ ব্যক্তি দীর্ঘ 35 বছর কাজ করার পর নিজের অবস্থা ফিরিয়ে আনে। কিন্তু পুনরায় দেখা যায় ভাগ্যের অদ্ভুত পরিহাসের জন্য সেই ব্যক্তির সমস্ত সম্পদ নিজের কোনো দোষ না থাকা সত্বেও ধ্বংস হয়ে যায়। এবং একসময় যার বাড়িতে অন্যরা দিনমজুরের কাজ করতো, একসময় তাদেরকেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়।।  ভাগ্যের এই চক্রবৎ পরিবর্তন সম্পর্কে অতিথি অবহিত আছেন। তাই দুঃখের সঙ্গেই ইলিয়াসের জীবন সম্পর্কে তিনি প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।

প্রশ্নঃ-'এই হল আমার মনের কথা'- কে,কখন, কাকে কথাটি বলেছিলেন? বক্তার মনের কথা গুলি কী ছিল?

উওরঃ- লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র ইলিয়াসের স্ত্রী শামশেমাগি মোহাম্মদ শাহের বাড়িতে আসা অতিথিদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তিনি নিজের মনের কথা খুলে বলেন এবং মনের কথাগুলো বলা হয়ে গেলে তিনি অতিথিদের উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।।

একসময় ইলিয়াসের বিরাট নাম থাকলেও বিভিন্ন কারণে সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ইলিয়াস এবং তার স্ত্রী মোহাম্মদ শাহের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। এবং এই কথাটি মুহাম্মদ শাহের বাড়িতে আসা কয়েকজন অতিথি জানতে পারেন। অতিথিরা ইলিয়াসের এই অবস্থা সম্পর্কে জানার পর তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। ইলিয়াস এবং স্ত্রীর অতিথিদের সঙ্গে দেখা করার পর অতিথিরা ইলিয়াস এবং তার স্ত্রীর কাছে তাদের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে এবং বর্তমানের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। তখন ইলিয়াসের স্ত্রী নিজের মনের কথাগুলো বলতে শুরু করেন।।

পর্দার আড়ালে থেকে শাম-শেমাগি যে কথাগুলি বলেছিল তা হল—পঞ্চাশ বছর ধরে তারা বুড়োবুড়িতে একত্রে বসবাস করে সুখ খুঁজেও কখনও সুখ পায়নি। মহম্মদ শা-র বাড়িতে দু-বছর যাবৎ ভাড়াটে মজুরের

মতো বেঁচে আছে। অথচ সেখানেই তারা সত্যিকারের সুখ পেয়েছে। ফলে বর্তমানে তাদের আর অন্য কিছুই চাহিদা নেই। শাম-শেমাগি আবার বলে যে সে সত্যি কথাই বলেছে, কোনো

তামাশা করছে না। যতদিন ধনী ছিল সুখের সন্ধান তারা পায়নি। সেই সময় তাদের কথা বলার, অন্তরে কথা ভাবার, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার কোনো সময় ছিল না। মজুরদের নিয়ে, পালিত পশুদের  রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে, গৃহে আগত অতিথিদের আতিথ্যদান নিয়ে সর্বদাই তারা দুশ্চিন্তায় থাকত। একটা দুশ্চিন্তা পেরোতেই আর রক্ষণাবে একটা এসে মাথায় চাপত। কর্মচারীদের কাজে নজর রাখা তো একপ্রকার পাপ বলে সে মনে করেছে। এই কারণেই শাম-শেমাগি বলে— সুখী জীবন তারা কোনোদিন অনুভব করেনি। আলোচ্য এই কথাগুলিই ছিল শাম-শেমাগির মনের কথা।

প্রশ্নঃ- ‘অর্ধ-শতাব্দী ধরে আমরা সুখ খুঁজেছি, যতদিন ধনী ছিলাম কখনও সুখ পাইনি।'—কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উওরঃ- লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র ইলিয়াসের স্ত্রী শামশেমাগি মোহাম্মদ শাহের বাড়িতে আসা অতিথিদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে সেই অতিথিদের মধ্যে একজন অতিথি ইলিয়াসের স্ত্রীর কাছে তাদের অতীত এবং বতর্মান জীবন সম্পর্কে জানতে চান। তখন ইলিয়াসের স্ত্রী নিজেদের অতীত এবং বর্তমানের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে বলতে বলতে আলোচ্য মন্তব্যটি করেন।। 

শাম-শেমাগি বলেছে যে তারা যখন ধনী ছিল, তখন সুখ পায়নি; কারণ সর্বদাই তাদের নানাপ্রকার চিন্তায় ব্যস্ত থাকতে করে হয়েছে। কখনও অতিথিদের আপ্যায়নে ত্রুটি হচ্ছে কিনা তার চিত্তা, মজুররা পরিশ্রমে ফাঁকি দিল কিনা সে চিন্তা, গবাদিপশুর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক হচ্ছে কিনা ইত্যাদি। একটা চিন্তার পথ ধরেই আর একটি চিন্তা এসে দেখা দিত। নিজেদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত, ঈশ্বরের নাম স্মরণের সময়ও তখন তাদের ছিল না। অর্থাৎ মনের শান্তি অর্থের প্রাচুর্যে তাদের কাছে ধরা দেয়নি।

শাম-শেমাগির কথা থেকেই জানা যায় বর্তমানে প্রভুর বাড়িতে কাজ করলেও তারা সব রকমের চিন্তা থেকেই মুক্ত। স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়াও নেই, নিজেদের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা বলা আর ঈশ্বরচিন্তার কোনো বাধা তাদের নেই। তাই সে বলেছে— “পঞ্চাশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।” অর্থাৎ আর্থিক স্বাচ্ছন্দ থাকলেও নানা ভাবনায় তারা অতীতে ব্যতিব্যস্ত থাকায় সুখ পায়নি আর সম্বলহীন হয়ে মানবিক শান্তির খোঁজ তারা পেয়েছে। অর্থাৎ সুখ-শান্তি সম্পদে নয়, চিত্তাহীন আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ মুক্ত জীবনেই সম্ভব—প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে বক্তা সেকথাই বোঝাতে চেয়েছে।


আশাকরি, নবম শ্রেণির বাংলা (WBBSE Class 9 Bengali Question Answer & Suggestion 2023 ) ইলিয়াস গল্পের যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে, তা তোমাদের কাজে লাগবে।।

Tags : ইলিয়াস গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস 9 বাংলা ইলিয়াস গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | wbbse class 9 Bengali question answer 2022

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top