আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উওর 2023 || Class 12 Bengali Ami Dekhi Kobitar Question Answers

0

 

আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উওর 2023 || Class 12 Bengali Ami Dekhi Kobitar Question Answers
আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উওর 2023

আজকের এই ব্লগে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সমর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আমি দেখি  কবিতার (Ami Dekhi Kobitar Question Answer) (west Bengal board class 12 Bengali Question Answer & Suggestion 2023 ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি  বড় প্রশ্ন উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি কবিতার MCQ Question Answer গুলো শেয়ার করেছিলাম। তোমরা চাইলে নিচের লিঙ্ক থেকে তা দেখে নিতে পারো। 

আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উওর 2023 || Class 12 Bengali Ami Dekhi Kobitar Question Answers

Question :- “আরোগ্যের জন্যে ঐ সবুজের ভীষণ দরকার।”—কে, কোথায় একথা বলেছেন? এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বক্তার কী কী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে?

উওরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত 'আমি দেখি' কবিতায় কবি নিজে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। 

কবি একজন প্রকৃতিপ্রেমী। কিন্তু বহুদিন ধরে জঙ্গলে যেতে না পারা এবং সেখানে সময় কাটাতে না পারাটা কবির মনে তীব্র আক্ষেপের সৃষ্টি করে। নাগরিক জীবনের ক্রমাগত বিকাশ ক্রমশই সবুজকে ধ্বংস করে চলেছে। তাই তিনি আর সবুজের নিকটে থাকতে পারছেন না। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার আমি দেখি কবিতার শুরুতেই একথা জানিয়েছেন যে, তার একমাত্র কাজ হল গাছ দেখে যাওয়া। এবং এই গাছ দেখার জন্য প্রয়োজন গাছের। তাই গাছের প্রয়োজন মেটাতে তিনি গাছগুলোকে তুলে এনে তার বাগানে বসানোর কথা বলেছেন। কবি জানিয়েছেন তিনি বহুদিন ধরে জঙ্গলে যাননি, জঙ্গলে সময় কাটাননি এবং সেই কারণেই এই নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা, ক্লান্তিতে এবং একঘেয়েমিতে তিনি হাপিয়ে উঠেছেন। তাই কোবিব এই একঘেয়েমি দূর করতে, শরীরের ক্লান্তি দূর অথবা তার শরীরের আরোগ্যের জন্য প্রয়োজন গাছের সবটুকু সবুজ। সেই সবুজের তার ভীষণ দরকার। 

Question:- "গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও” – এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গাছদের সম্পর্কে কবির মনোভাব কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

Ans :- 

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত "আমি দেখি" কবিতার প্রথম লাইনগুলোতেই কবি গাছগুলোকে তুলে এনে তার বাগানে বসানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন তার একমাত্র কাজ হলো শুধু কাজ দেখে যাওয়া। এই কবির পক্ষে কাজটি তখনই সম্ভব যখন তিনি একজন প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমী বা বৃক্ষ প্রেমি। 

কবি একজন প্রকৃত বৃক্ষ প্রেমিক কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তিনি জঙ্গলে যেতে পারেননি এবং সেখানে তার দিনও কাটানো হয়নি। তাই আক্ষেপ করে বলেছেন -"বহুদিন জঙ্গলে কাটিনি দিন, বহুদিন জঙ্গলে যায়নি"-। খুবই দীর্ঘদিন ধরে শহরেই রয়েছেন। নগর জীবনের ক্রমাগত বিকাশ ক্রমশ সবুজকে খেয়ে চলেছে অর্থাৎ সবুজকে ধ্বংস করে চলেছে। যার ফলে সবুজের অনটন ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে সবুজের কাছে থাকতে না পেরে কবি স্বাভাবিকভাবেই সবুজের প্রতি তার আকর্ষণ অনুভব করছেন। সবুজের প্রতি তার যে টান বা ভালোবাসা, তার থেকেই তার মনে সৃষ্টি হয়েছে গভীর বিষাদ। তাই দীর্ঘদিন ধরে সবুজকে না দেখতে পেয়ে কবি সবুজকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। এ কারণে তিনি মন্তব্য করেছেন -"গাছগুলো তুলে আনো,বাগানে বসাও। গাছগুলো বাগানে আনার পর কবই শুধু তাকে দেখেই যাবেন। তার একমাত্র কাজ হলো সবুজকে দেখা। সেই গাছের সবুজটুকু দরকার তার শরীরের জন্য আরোগ্যের জন্য, ওই সবুজে তার ভীষণ দরকার।। কোবির এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই আমি দেখি কবিতায় কোবির যে বৃক্ষ প্রেম তা প্রকাশিত হয়েছে।।

Question : "শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়" কবিরই মন্তব্যে তাৎপর্য লেখ। 

Ans : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত আমি দেখি কবিতা থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত লাইনটি নেওয়া হয়েছে।

 কবি একজন প্রকৃত বৃক্ষ প্রেমী কিন্তু কোন কারণে কবি দীর্ঘদিন ধরে বৃক্ষের কাছাকাছি আসতে পারেননি তিনি তাই বলেছেন "বহুদিন জঙ্গলে কাটিনি দিন, বহুদিন জঙ্গলে যায়নি"। বহুদিন বৃক্ষের কাছাকাছি না থাকতে পারার কারণে তাই স্বাভাবিকভাবেই কোবির মনে সবুজ ঘাসেদের জন্য এক প্রকার ব্যাকুলতা বা টানের সৃষ্টি হয়েছে। কোবির মনের মধ্যে যে টানে সৃষ্টি হয়েছে,সেই টান বা ইচ্ছা অথবা ব্যকুলতা থেকে তিনি এক আবেদন করেছেন যে -"গাছগুলো তুলে আনো,বাগানে বসাও"। কোবিদ এই কথাফ মাধ্যমে, কবি যে গাছেদের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন তা প্রকাশ পায়। অন্যদিকে আরও একটি সত্য উঠে আসে, তিনি যে শহরে রয়েছেন, সেই শহরের সবুজ তার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ কবি যে শহরে রয়েছেন, সেই শহরের অসুখ বা শহরের নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ ক্রমশই সবুজকে ধ্বংস করে চলেছে। কংক্রিটের জঙ্গলের আগমনের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত সবুজ। তাই ক্রমশই সবুজের অনটন ঘটে। এখানেই এই কবিতার মূল প্রাসঙ্গিকতা। কবি সবুজের এই অনটন বা অভাবকে দূর করতে বলেছেন -"গাছচগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও"।

Question :- "চোখ তো সবুজ চায় /দেহ চায় সবুজ বাগান"- কোবির এই মন্তব্যটির সার্থকতা কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো। 

উওরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত আমি দেখি কবিতায় কোবির সত্যিকারের বৃক্ষ প্রেম প্রকাশিত হয়েছে। কবি দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে যাননি এবং সেখানে সময় কাটানোরও সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিন ধরে শহরে থাকার কারণে শহরের একঘেয়েমি, ক্লান্তি এবং শহরে সবুজের অভাবের জন্য, বৃক্ষের প্রতি কবির মনে গভীর যে টান, তা কবির মনে এক অদ্ভুত ব্যাকুলতা এবং বিষাদের সৃষ্টি করেছে। তাই যেই ব্যকুলতা এবং বিষাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কবি বলেছেন-"গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও, আমার দরকার শুধু গাছ দেখা,গাছ দেখে যাওয়া"। 

কবি,কবিতায় গাছের জন্য আকুলতা প্রকাশ করেছেন, বাগানে গাছ দেখতে চেয়েছেন। কারণ শরীরের জন্য গাছের সবুজ সান্নিধ্য দরকার। কবি জঙ্গল জীবনে বহুদিন না যেতে পারার দুঃখ থেকেই বাগানে গাছ দেখতে চেয়েছেন কবি। নাগরিক জীবনের ক্লান্তি আর বিষাদকে ভুলে থাকার জন্য, মানসিক সতেজতার জন্য গাছেদের একান্ত প্রয়োজন কবির। অন্য কবিতায় কবি লিখেছিলেন “খুঁটিয়ে দেখেছি বন, বনাঞ্চল, গাছের শিখরে / ... আমোদ বিন্যস্ত থাকে লতায় পাতায়।” এই কারণেই কবি গাছেদের সান্নিধ্য চেয়েছেন। সবুজের বিস্তারে চোখ তার আরাম খুঁজে পায়, শরীর সতেজ হয়। মানসিক আরোগ্য লাভ সম্ভব হয়। এভাবেই জীবন জুড়ে গাছেদের জন্য কবির আকাঙ্ক্ষা তীব্রভাবে উচ্চারিত হয়েছে কবিতায় ।

Question:- “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”—বক্তা কে? কেন তার গাছ দেখা দরকার? এই বিষয়ে কবির কোন্ আক্ষেপ শোনা গিয়েছে?

উওরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি' কবিতায় প্রশ্নোদৃত মন্তব্যটি করেছেন কবি স্বয়ং।

কবি মনে করেছেন যে তাঁর গাছ দেখে যাওয়া দরকার কারণ শরীরের জন্য গাছের সবুজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুধু শরীর ভালো রাখার জন্যই নয়, শরীরকে সুস্থ করে তোলার জন্যও গাছের সবুজের ভীষণ দরকার। কবির মনে হয়েছে চোখ তার আরামের জন্য সবুজের সন্ধান করছে। দেহ নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যই এই সবুজকে খুঁজছে। কবির এই সবুজের সন্ধান শুধুই যে তাঁর ব্যক্তিগত ভালো থাকার জন্য তা নয়, বরং যে অসুখের কথা কবি বলেছেন তা নাগরিক জীবনের ক্লান্তি, বিচ্ছিন্নতা এবং অবসাদকেও নির্দেশ করে।

বহুদিন শহরে আবদ্ধ থাকার জন্য কবির আক্ষেপ শোনা গেছে। খুব কাছ থেকে নিজের ফলিত জীবন দিয়ে কবি বুঝেছেন “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”। অর্থাৎ নাগরিক সভ্যতা প্রকৃতিকে হত্যা করে। এই অবস্থায় কবির আক্ষেপ ধ্বনিত হয়েছে বহুদিন জঙ্গলে না যেতে পারার জন্য, সেখানে দিন না কাটাতে পারার জন্য। শহরে আটকে থাকা মানুষের তীব্র হৃদয় যন্ত্রণাই যেন প্রকাশিত হয়েছে কবির এই আক্ষেপে। আর এই আক্ষেপ মুক্তির জন্যই কবি তাঁর বাগানে গাছ আনা এবং গাছ বসানোর কথা বলেছেন।


Tags : আমি দেখি কবিতার প্রশ্ন উওর | আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উওর 2023 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি কবিতা বড় প্রশ্ন উওর 2023 | দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা আমি দেখি কবিতার MCQ & বড় প্রশ্ন উওর 2023 | Ami Dekhi Kobitar Questions Answers 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top