![]() |
এই ব্লগে তোমরা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রথম অধ্যায় বা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উত্তরের pdf download link পেয়ে যাবে। এই পিডিএফ এ কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর থাকবে।
কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF Download || কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন উওর পিডিএফ
1- মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির কেমন জায়গায়?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের এক নিরিবিলি অঞ্চলে।
2- মৃত্যুঞ্জয়ের ফুটপাতে বেশি হাটা হয় না কেন?
উওর : বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুপা হাঁটতেই মৃত্যুঞ্জয় ট্রামে উঠে অফিস যেতে পারে বলে ফুটপাতে তাকে বেশি হাঁটতে হয় না।
3-কারা মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা করতো?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের ছোট ভাই এবং চাকর বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা করতো।
4- মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কোথায় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল?
উওর : একদিন অফিস যাওয়ার পথে মৃত্যুঞ্জয় সর্বপ্রথম ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যু হতে দেখেছিল।
5- 'মনে আঘাত পেল'- কার কথা বলা হয়েছে? সে মনে আঘাত পেল কেন?
উওর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের কথা এখানে বলা হয়েছে। অফিস যাওয়ার পথে একদিন ফুটপাতে মৃত্যু হতে দেখে মৃত্যুঞ্জয় মনে আঘাত পেয়েছিল।।
6- ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যু দেখার ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের কি হয়েছিল?
উওর : ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যু দেখার ফলে মৃত্যুঞ্জয় মানসিক দিক থেকে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। এবং অফিস যাওয়ার পর কোনো এক অজানা কারণে মৃত্যুঞ্জয় বমি করতে শুরু করেছিল।
7- অফিসে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকারি বন্ধুটির নাম কি?
উওর : অফিসে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকারি বন্ধুটির নাম হলো নিখিল।
8- অফিসে মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কেন এবং কত টাকা বেশি মাইনে পায়?
উওর : অফিসের কিছু অতিরিক্ত কাজের জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে 50 টাকা বেশি মাইনে পায়।
9- নিখিল চরিত্রটি কেমন ছিল?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মীর নিখিল রুগ্ন চেহারার অত্যন্ত বুদ্ধি সম্পন্ন একজন যুবক হলেও সে ছিল মূলত একটি অলস প্রকৃতির।।
10- নিখিল তার অবসর জীবনটা কিভাবে কাটাতে গেয়েছিল?
উওর : নিখিল অবসর জীবনটা বই পড়ে কাটাতে চেয়েছিল।
11- 'সেটা আশ্চর্য নয়' কোনটা আশ্চর্য নয়?
উওর : ফুটপাতের অনাহারে মৃত্যুর মতো বিশিষ্টতাহীন এবং সহজবোধ্য ব্যাপার যে মৃত্যুঞ্জয়ের তার ধারণায় আনতে পেরেছে তা নিখিলের কাছে আশ্চর্যের বিষয় নয়।।
12- মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার কেমন ছিল?
উত্তর : সহকর্মী মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার মৃদু হিংসা এবং মৃদু অবজ্ঞা ভরা থাকলেও নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে বাকি সবার মতই খুবই পছন্দ করতো।
13- 'মৃদু মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে সে তখন ভাবে যে' - কে,কখন কী ভাবে?
উওর : মৃত্যুঞ্জয় সহকর্মীর নিখিল মাঝে মাঝেই নিখিলের মানসিক শক্তির কাছে কাবু হয়ে পড়ে ভাবে যে, যদি সে নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হতো? তাহলে মন্দ হতোনা।
14- 'মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারলো' - নিখিল কী অনুমান করতে পেরেছিল?
উত্তর : নিখিল অনুমান করতে পেরেছিল যে, মৃত্যুঞ্জয় বড় একটা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেই সংকটের কারণে নিরর্থক এবং অনায্য কঠোরতায় সে শার্সিতে আটকে পড়া মৌমাছির মতো মাথা খুরছে।।
15- নিখিল মৃত্যুঞ্জয় কে পছন্দ করে কেন?
উত্তর : নিখিলের মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার মূল কারণ হলো - মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনাতাপস একসরলচিও যুবক বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয় কে পছন্দ করে।
16- মৃত্যুঞ্জয় তার মাইনের টাকাটা কি করেছিল?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকাটা পাওয়ার পর সে পুরো টাকাটাই ত্রাণ তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
17- মাইরের দিন মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের কোন কাজের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিল?
উওর : মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় তার পুরো মাসের মাইনের টাকাটাই ত্রাণ তহবিলে দান করার দায়িত্ব নিখিলকে দিয়েছিল।
18- মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মরতে থাকা মানুষদের বাঁচানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল?
উওর : মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মরতে থাকা মানুষের বাঁচানোর জন্য এক বেলা নিজে না খেয়ে খাওয়া বাঁচানোর এবং মাসের পুরো টাকাটাই ত্রাণ তহবিলে দান করার পদক্ষেপ গ্রহণ।
19- 'এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি' - বক্তাকে তার এই কাজের উদ্দেশ্য কি?
উওর : কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্নদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন মৃত্যুঞ্জয়। তার এই কাজের উদ্দেশ্য হলো নিজে এক বেলা না খেয়ে সেই খাওয়ার অনাহারে কষ্ট পাওয়া মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া।।
20-"এ অন্যায় নয়। অত্যাচার নয় বক্তা কাকে অন্যায় এবং
অত্যাচার বলেছেন?
উওর : বক্তা মৃত্যুঞ্জয় জানিয়েছে যে, তার অসুস্থ স্ত্রী যে মৃত্যুঞ্জয় না খেলে অন্নগ্রহণ করেন না, তা অন্যায় এবং অত্যাচার।
21- মৃত্যুঞ্জয় তার স্ত্রী সম্বন্ধে কেন বলেছিল, “মরে তো মরবে না খেয়ে"?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থ স্ত্রী মৃত্যুঞ্জয় না খেলে অন্নগ্রহণ করত না বলে তার আচরণে ক্ষুদ্ধ মৃত্যুঞ্জয় একথা বলেছিল।
22-অনাহার-মৃত্যু দেখার আগে নিজেকে ধিক্কার দেওয়ার মতো কোন্ কোন্ কাজ করেছিল মৃত্যুঞ্জয়?
উওর : ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ জেনেও চারবেলা পেটপুরে খাওয়া এবং
ত্রাণকার্যে লোকাভাব থাকলেও তা না করে অবসর কাটানোর চিন্তায় মশগুল হওয়া—এই দু-প্রকার ধিক্কারজনক কাজ করেছিল মৃত্যুঞ্জয়।
23- মাইনের দিন নিখিল মানি অর্ডারের ফর্ম আনিয়ে কলম ধরে
কী ভাবছিল।
উওর : নিখিল প্রতি মাসে তিন জায়গায় যে অর্থসাহায্য করে, সেই তিনটি সাহায্য পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে কিনা – সেটাই ভাবছিল নিখিল।
24- দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার জীবনযাত্রার কোন পরিবর্তন
ঘটিয়েছিল?
উওর : দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার খাওয়া-দাওয়া যতদূর সম্ভব কাটছাঁট করেছিল।
25- নিখিলের মতে কী হলে অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না'।
উওর : নিখিলের
মতে অনাহারী মানুষেরা যদি স্বার্থপর হয়ে উঠতো, তাহলে অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না।
26- “সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ, গম্ভীর হয়ে আছে।” –কোন্ দিনের পর থেকে?
উওর : ফুটপাথে যেদিন মৃত্যুঞ্জয় অনাহারের মৃত্যু দর্শন করেছিল, সেদিনের পর থেকেই সে বিষণ্ণ, গম্ভীর হয়েছিল।
27- "তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।" কবে থেকে?
উওর : মাইনের দিনের পর থেকে দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লেগেছিল মৃত্যুঞ্জয়।
28- অনারীরা শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে রাতে কি করতো?
উওর : ফুটপাতে বা গাছ তলায় শুয়ে থাকা অনাহারীরা শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে নিকটবর্তী রোয়াকে উঠে আশ্রয় গ্রহণ করতো।
29- '..... বারবার আসতে হয়।' কাকে, কোথায় বারবার আসতে হয়?
উওর : মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিলকে বারবার মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে আসতে হয়।।
30- 'এই ভাবনাতেই তার মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে'- কার, কোন ভাবনায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে?
উওর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের ভাবনার কথা বলা হয়েছে। সে অনাহারে মরতে থাকা মানুষদের জন্য কিছু করা যায় কিনা- সেই ভাবনাতেও তার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।।
31- “কেমন একটা ধারণা জন্মেছে”- কার, কোন ধারণার কথা বলা হয়েছে?
উওর : যথাসর্বস্ব যদি মৃত্যুঞ্জয় দান করে, তা সত্ত্বেও সে অনাহারীদের কিছু ভালো করতে পারবে না—তার এই ধারণার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
32- মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে অনুপস্থিত কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের খোঁজ পায়?
উওর : মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে অভিযোগের ও প্রতিবাদের অনুপস্থিতির খোঁজ পায়।
33- 'এই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?'- কোন অপরাধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উওর : মৃত্যুঞ্জয় মত একটা মানুষ বেঁচে থাকতেও একটা লোক ফুটপাতে না খেয়ে মরে গেল,সেই অপরাধের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
34- সুস্থ থাকলে টুনুর মা কি করতেন বলে জানিয়েছিলেন?
উওর : সুস্থ থাকে টুনুর তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে ফুটপাতে ঘুরে বেড়াতেন,সেটাই তিনি জানিয়েছিলেন।
35- কেন 'তীক্ষ্ণ ধার হা-হুতাশ ভরা মন্তব্য করা হয়েছে?,
উওর : কুড়িটির মতো মৃতদেহকে সৎকার না করে তাদের স্বর্গে পাঠানো হয়নি বলে সংবাদপত্রের একস্থানে হা-হুতাশা ভরা মন্তব্য করা হয়েছিল।
36- “আমায় কিছু একটা করতেই হবে ভাই”—কী কারণে বক্তা এমন করার তাগিদ অনুভব করেছিল?
উওর : অনাহার-মৃত্যু দেখার পর দুঃখে এবং অপরাধবোধে দীর্ণ মৃত্যুঞ্জয়ের রাতে ঘুম হত না এবং ভালো করে খাওয়া হত না বলে সে এমন বলেছিল ।
আশাকরি, কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উত্তরের pdf টা তোমাদের কাজে লাগবে।।
কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের পিডিএফ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করো।
Tags : দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের MCQ & SAQ প্রশ্ন উত্তর | Class 12 Bengali Question Answer | Class 12 Bangali Notes | Class 11 Bengali Suggestion 2023 | ক্লাস 12 বাংলা কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের প্রশ্ন উওর