দশম শ্রেণির বাংলা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর || মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন ২০২৩
![]() |
দশম শ্রেণির বাংলা হারিয়ে যাওয়া কালি প্রশ্ন উত্তর |
'আশ্চর্য সবই আজ অবলুপ্তির পথে'- কোন জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে। এই অবলুপ্তির কারণ কী? এই বিষয়ে লেখকের মতামত কী??
উওরঃ শ্রীপান্থ রচিত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে লেখক আচর্য সবই আজ বিলুপ্তির পথে বলতে তিনি তার প্রিয় কিছু জিনিসপত্র অর্থাৎ বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফাউন্টেন পেন, কালি, দোয়াত ইত্যাদির হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে ঠিক হারিয়ে যাওয়া নয়। বতর্মানে প্রযুক্তির উন্নতির কালে সবই অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের কলম,কালির দোয়াত ইত্যাদি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এজন্যই তিনি 'বিলুপ্ত' কথাটি ব্যবহার করেছেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফাউন্টেন পেনের, কালির ও দোয়াত ইত্যাদি হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো আমাদের কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার। আধুনিক কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে আমাদের কলম বা কলমের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যবহার করতে হয় না। লেখা আজকাল কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়ে যায়। হাতে কলমে লিখতে ঠিক যতটা সময় লাগে, কম্পিউটারে তার চেয়েও অনেক কম সময় লাগে। সেজন্যই বতর্মানের এই দ্রুতগতির সমাজে এখন আর কেউই সেরকম কলমের ধার ধারে না।। ফলে কালি, কলম সবই আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে।।
লেখক শ্রীপান্থের অফিসের সবাই কম্পিউটারে লেখালেখি করতে অভ্যস্ত এবং আর স্বাচ্ছন্দ বোধ করলেও লেখক শ্রীপান্থের কাছে কলম নিয়ে লেখাটাই হল প্রীতিকর। লেখক শ্রীপান্থ কলম দিয়ে লিখেই তৃপ্তি পান। লেখকের মতে বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান যেভাবে উন্নতি করেছে এবং লেখার বিষয়ে, মানুষের হাতের লেখার কাজটিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অতি সহজসাধ্য ও উপযোগী করে তুলেছে, তাতে কলম আজ বিপদের মুখে। একসময় হয়তো মানুষের হাতের লেখার কাজটি উঠেই যাবে। তখন ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপি-কুশলীদের হয়তো কোনো অস্তিত্বই থাকবে না।
Tags :