WBBSE Class 7 History Question Answer & Notes in Bengali || সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের সংকটের বড় প্রশ্ন উওর

0


WBBSE Class 7 History Question Answer & Notes in Bengali || সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের সংকটের বড় প্রশ্ন উওর
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস বড় প্রশ্ন উওর


আজের এই পোস্টের মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের সংকট (WBBSE Class 7 History Question Answer & Notes in Bengali ) অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো (WBBSE Class vii Question Answer & Suggestion 2023 )। আর আমরা প্রতিদিন তোমাদের জন্য নোটস শেয়ার করে যাবো। তাই তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকো।।

WBBSE Class 7 History Question Answer & Notes in Bengali || সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের সংকটের বড় প্রশ্ন উওর 

প্রশ্নঃ মোগলদের বিরুদ্ধে শিখরা কীভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছিল? 


উত্তর : শিখদের সঙ্গে জাহাঙ্গির এবং শাহজাহানের আমলে মোগলদের সংঘাত হয়। এই সংঘাতের চরিত্র ছিল রাজনৈতিক। শিখরা তাদের গুরুর প্রতি অত্যন্ত অনুগত ছিল। তাই নিয়ে অনেকসময় মোগল রাষ্ট্রের সঙ্গে শিবসের সংঘাত বেঁধে যেত। শিখদের দশজন গুরু ছিলেন। ষোড়শ শতকের শেষের দিকে চতুর্থ গুরু রামদাসের ছেলে অর্জুনদের শিখদের গুরু হন। এইসময় থেকেই শুরু হল বংশানুক্রনিকভাবে গুরু নির্বাচন করা। গুরু অর্জুনের ছেলে গুরু হরগোবিন্দ একসঙ্গে দুটি তলওয়ার নিতেন। তিনি বোঝাতে চাইতেন যে শুধু ধর্মের ক্ষেত্রেই নয় রাজনৈতিক ক্ষমতাও তাঁর আছে।


শিখদের উত্থান অনেকটাই একটা স্বাধীন শক্তির উত্থানের মতোই হয়ে উঠেছিল। মোগল সরকারের পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। নবম শিখ গুরু তেগবাহাদুর ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির বিরোধিতা করেন। কিন্তু শুধু ধর্মীয় কারণেই সংঘাত হয়নি। ভেগবাহাদুর এক পাঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাঞ্জাবে মোগল শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। ভেগবাহাদুরকে বন্দি করে মোগলরা হত্যা করেন। এই ঘটনার পরে শিখরা পাঞ্জাবের পাহাড়ি এলাকায় চলে যায় এবং সেখানেই দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে তারা সংঘবন্ধ হয়। ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে গুরু গোবিন্দ সিংহ খালসা নামক একটি সংগঠন তৈরি করেন। খালসার কাজ ছিল শিখদের নিরাপদে রাখা। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মোগলদের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছিল।

প্রশ্নঃ মোগল যুগের শেষ দিকে কৃষি সংকষ্ট কেন বেড়ে গিয়েছিল? এই কৃষি সংকটের ফল কী হয়েছিল? 


উত্তর : জয়গিরদারি এবং মনসবদারি সংকটের সঙ্গে সেযুগে যুক্ত ছিল কৃষি সংকট। এই সময় ফসলের উৎপাদন বেড়েছিল। কিন্তু কুষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের সময় রাজস্ব আসারের জন্য যোগল মনসবদাররা মারাঠা সর্বারের সাহায্য নিত। তার মানে ওইসব অঞ্চলে মোগলদের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে গিয়েছিল। এদিকে সপ্তদশ শতকে আবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভিজাতরা চাইলেন জমি থেকে তাদের আয় আরও বাড়াতে। তারা জমিদার ও কৃষকদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে। 


কৃষকরাও বিদ্রোহের পার বেছে নেয়। এ ব্যাপারে জমিদাররাও নগত দিত।অনেক সময় কৃষকরা রাজস্ব না দিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেত। তখন তাদের জমিতে চাষ হত না। চাষ না হলে রাজস্ব আদায় করা যাবে না। তাই যেসব মনসবদার এসব জমিতে জায়গির পেত তারাও ভালোভাবে ঘোড়াসওয়ারের ভরণপোষণ করতে পারত না।

প্রশ্নঃ মোগল যুগের শেষ দিকে জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থায় কেন সংকট তৈরি হয়েছিল? মোগল সাম্রাজ্যের ওপর এই সংক্টের কী প্রভাব পড়েছিল?


উত্তর : শাজাহানের সময় থেকেই মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই মনসবদারদের ভালো গন অনুযায়ী যা বেতন পাওয়ার কথা তা দেওয়া যেত না। অনেক সময় আবার কৃষক বিদ্রোহের কারণে রাজস্ব আদায় করা যেত না। এ ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করাও সবসময় সম্ভব হচ্ছিল না। মনসবদারেরা বেতন না পেলে যতজন ঘোড়াসওয়ারের দেখাশোনা করার কথা ততজনের দেখাশোনা করা যেত না।


জায়গিরদারি এবং মনসবদারি সংকটের সঙ্গে যুক্ত ছিল কৃষি সংকট। এইসময় ফসলের উৎপাদন বেড়েছিল। কিন্তু কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের সময় রাজস্ব আদায়ের জন্য মোগল মনসবদাররা মারাঠা সর্দারদের সাহায্য নিত। এইসময় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে অভিজাতরা চাইলেন জমি থেকে তাঁদের আয় আরও বাড়াতে। তাঁরা জমিদার ও কৃষকদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে থাকেন। অনেক সময় কৃষকরা রাজস্ব দিতে না পেরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হত।

প্রশ্নঃ সম্রাট ঔরজেবের শাসনকালে মোগল সাম্রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থা বিষয়ে তোমার মতামত কী?


উত্তরঃ ঔরাজেবের শাসনকালে মোগল সাম্রাজ্যের অনেক উন্নতি হয়েছিল সন্দেহ নেই। আমার মতে, এই সময়ে মোগল সাম্রাজ্য অনেক বড়ো আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু রুমে ক্রমে মনসব নিয়ে অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই সময়ে মারাঠাদের মতো এক আঞ্চলিক শক্তির উত্থান হয়। এরা মোগলদের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। শিখদের সঙ্গে মোগলদের সম্পর্কও তিক্ত হয়ে ওঠে। ফলে মোগল সাম্রাজ্যের সংহতি ক্ষুণ্ন হয়। এ ছাড়া এই সময়েই জাঠ ও সহনামি কৃষকদের বিদ্রোহ প্রবল আকার ধারণ করে।


এই ঘটনাও ঔরঙ্গজেবকে কঠিন দুর্ভাবনায় ফেলে দেয়। মোগল আমলে যে কৃষিসংকট দেখা দিয়েছিল তার যথার্থ সমাধানও করতে সক্ষম হননি ঔরঙ্গজেব। তিনি বিজাপুর ও গোলবৃত্তা করায়ত্ত করতে পারলেও সেখানকার কৃষিসংকটও তিনি দূর করতে পারেননি। তিনি ওই সময় ওই জমিগুলির উর্বরতা কীভাবে বাড়াবেন তার সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে পারেননি। কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কোনোদিন জমির উর্বরতা বাড়াতে চেষ্টাও করেননি। ফলে ঔরঙ্গজেবের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোগল সাম্রাজ্যের পতনও ক্রমাগত ঘনিয়ে আসে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top