দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 2 ও 4 মার্কের প্রশ্ন উত্তর || WBBSE Class 10 History Question Answer & Notes in Bengali Chapter 3

0

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের 2 ও 4 নম্বরের প্রশ্ন উওর | wbbse class 10 history question answer

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের 2 ও 4 নম্বরের প্রশ্ন উওর | wbbse class 10 history question answer
দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ


আজের এই পোস্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (WBBSE Class 10 History Question Answer & Notes in Bengali ) অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু 2 ও 4 মার্কের প্রশ্নের উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো (WBBSE Class 10 Question Answer & Suggestion 2023 )। আর আমরা প্রতিদিন মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নোটস শেয়ার করে যাবো। তাই তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকো।।

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের 2 ও 4 নম্বরের প্রশ্ন উওর | wbbse class 10 history question answer

প্রশ্নঃ বিপ্লব বলতে কী বোঝায়???


উওরঃ বিপ্লব বলতে কী বোঝায় এমন একটি প্রকিয়া, যার মাধ্যমে কোনো প্রচলিত ব্যবস্থা, বা সমাজের কোনো একটি জিনিস, যেমন - রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা যেকোনো সামাজিক ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটে যাওয়াই হলো বিপ্লব।। যেমন - ফরাসি বিপ্লব।।

প্রশ্নঃ বিদ্রোহ কাকে বলে?

উওরঃ যখন কোনো অঞ্চল বা দেশে কোনো অন্যায় আদেশ, শাসন বা যেকোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে সেই অঞ্চলের জনগণ সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বা সেই জনস্বার্থবিরোধী বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সেই বিষয়টির বিরোধিতা করে,তখন তাকে বলা হয় বিদ্রোহ। যেমন চুয়ার বিদ্রোহ।


Read More👇

What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You


প্রশ্নঃ অভ্যুত্থান কাকে বলে?


উওরঃ যখন কোনো অঞ্চল বা দেশের সাধারণ জনগণ বা অত্যাচারিত জনগণ সমষ্টিগত ভাবে বা সামাজিক ভাবে কোনো অন্যায় বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তার অবসান ঘটানোর জন্য বিদ্রোহের প্রধান বাড়ায়, এবং অবস্থা অসহনীয় হলে দলবদ্ধভাবে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন সেই বিষয়টিকে বলা হয় অভ্যুত্থান। যেমন নীলচাষীদের গণ অভ্যুত্থান।। 

প্রশ্নঃ চুয়ার কারা বা কাদের চুয়ার বলা হতো?

উত্তরঃ মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল অঞ্চলে বসবাসকারী কৃষিজীবি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অরণ্যের ওপর নির্ভরশীল অতি সহজ সরল আদিবাসীদের ইংরেজরা,উচ্চবর্ণের জমিদার, মহাজনেরা এবং বহিরাগত সুদখোরেরা ঘৃণা এবং তাচ্ছিল্যের সঙ্গে চুয়ার বলে ডাকতো।। 

চুয়ার সম্প্রদায় বেশিরভাগ মানুষই বনজঙ্গলে উপর নির্ভর করে থাকতেন। কখনো কখনো তারা পাইকান বাহিরে লেঠেল হিসাবে এবং কিছু চুয়ার পাইকান জমিতে চাষ বাস করে নিজেদের জীবন চালাতো। জঙ্গলমহল অঞ্চলে বসবাসকারী এই সাধারণ মানুষগুলো নিম্নবর্গের শ্রমজীবী মানুষ হওয়ার উচ্চবর্ণের লোকেরা তাচ্ছিল্যে এবং ঘৃণার সঙ্গে এদের চুয়ার বলে ডাকতো।।

প্রশ্নঃ পাইকান জমি কাকে বলে??
অথবা,
প্রশ্নঃ পাইকান জমি বলতে কী বোঝায়??


উওরঃ পাইকান জমি বলতে জমিদারদের দান করা নিষ্কর জমিকে বোঝানো হতো। বাঁকুড়া জেলা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে বসবাসকারী চুয়ারদের মধ্যে কিছু চুয়ার জমিদারদের অধীনে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতো।
জমিদাররা অধীনে কাজ করা সেই চুয়ার বা নিরাপত্তারক্ষীদের নগদ অর্থ দেওয়ার বদলে জমিদার কিছু খাস জমি বা নিষ্কর জমি ভোগ করতে দিত।
জমিদারদের দান করা সেই নিষ্কর জমিকেই পাইকান জমি বলা হতো।

প্রশ্নঃ অরণ্য আইন কী??

উওরঃ ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ভারতের বনজ সম্পদ সরকারি ভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য এবং ভারতীয় অরণ্যের উপর ব্রিটিশ সরকারের অধিকার খাটানোর উদ্দেশ্য, এবং ভারতীয় অরণ্যকে সরকারি ভাবে সংরক্ষণ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এবং ১৮৭৮  খ্রিষ্টাব্দে যে দুটি আইন প্রনয়ন করেছিল, সেই আইন দুটিকেই - "অরণ্য আইন বলা " হয়।।

প্রশ্নঃ জঙ্গলমহল কাকে বলা হয়??


উওরঃ  বর্তমান মেদিনীপুর জেলার চুয়ার অধ্যুষিত অঞ্চল একসময় ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। মেদিনীপুর জেলার চুয়ার অধ্যুষিত অঞ্চল জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থা থাকার জন্য, মেদিনীপুরের  চুয়ার অধ্যুষিত সেই অঞ্চলকে জঙ্গলমহল  নাম দেওয়া হয়েছিল।।

প্রশ্নঃ কোল বিদ্রোহের দুটি কারন লেখো।।

উওরঃ ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দের কোল বিদ্রোহ হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো -
প্রথমতঃ ছোটনাটনাগপুর অঞ্চলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উচ্চহারে রাজস্ব বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোলদের সেই বিঢ়াট অংকের রাজস্ব শোধ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

দ্বিতীয়তঃ কোলরা মনে করতো যে অরণ্যের উপর তাদের জন্মগত অধিকার। তাই কোলদের অরণ্যে বা তাদের জীবনে ব্রিটিশ সরকারের কোনো প্রভাব না নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার কোলদের সেই জন্মগত অরণ্যের অধিকারে এবং কোলদের সামাজিক ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করেছিল। এবং ব্রিটিশদের এই কাজ কোলদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। এবং এরকম আরও অনেক কারণে কোলরা ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্রোহের পথে পা বাড়িয়ে দেয়।।।

প্রশ্নঃ দিকু কী?? -
অথবা,
কাদের দিকু বলা হতো??


উওরঃ আদিবাসীদের অধ্যুষিত অঞ্চলে দিকু বলতে বহিরাগত সুদখোর, ব্যবসায়ী এবং মহাজনদের বোঝানো হয়। প্রধানত আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল যেমন চুয়ার, সাঁওতাল বা কোল অধ্যুষিত অঞ্চলে কোনো বহিরাগত সুদখোর, ব্যবসায়ী এবং মহাজনদের আদিবাসীদের লোকেরা দিকু বলে ডাকতো হতো।

প্রশ্নঃ ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহের ফলাফল গুলি কি কি??

উওরঃ ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে সাঁওতালরা ব্যর্থ হলেও, এই বিদ্রোহের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল ছিল। যেমন-
প্রথমতঃ সাঁওতাল বিদ্রোহের ফলে সরকার সাঁওতাল জন্য সাঁওতাল পরগণা নামের একটি পৃথক স্বতন্ত্র সংরক্ষিত এলাকা গঠন করেছিল।
দ্বিতীয়তঃ সাঁওতাল বিদ্রোহের পর সরকার সাঁওতাল পরগনায় সাঁওতাল এলাকায় সুদের হার নির্দিষ্ট করে দেয় এবং সেইসঙ্গে সাঁওতাল পরগনায় বহিরাগত সুদখোর, ব্যবসায়ী এবং মহাজনদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।।

প্রশ্নঃ উলগুলান বলতে কী বোঝায়??
অথবা,
মুন্ডা উলগুলান কী??


উওরঃ উলগুলান শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা বা প্রবল বিক্ষোভ।।
সুগান মুন্ডার পূত্র এবং ধরতি আবা নামে পরিচিত বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৮-৯০ খ্রিষ্টাব্দে হাজার হাজার মুন্ডারা ইংরেজ ও জমিদার শাষন ও শোষণের বিরুদ্ধে যে ভয়ংকর বিদ্রোহ শুরু করেছিল, জমিদার এবং ইংরেজদের বিদ্রোহে মুন্ডাদের সেই বিদ্রোহই উলগুলান নামে পরিচিত।। 

প্রশ্নঃ মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল??

উওরঃ ১৮৯৯-৯০ খ্রিষ্টাব্দে বীরসা মুন্ডার কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুন্ডা বিদ্রোহের শুরু করেছিলেন। মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্যগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য ছিল -
প্রথমতঃ যেহুতু  ব্রিটিশ সরকার মুন্ডা সমাজের নিয়ম কানুন এবং তাদের সাধারণ জীবনে হস্তক্ষেপ করে তাদের স্বাভাবিক জীবন- যাপনে বাধা সৃষ্টি করেছিল, তাই মুন্ডারা সেই বিদ্রোহের মাধ্যমে একটি স্বাধীন মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
দ্বিতীয়তঃ মুন্ডাদের জন্য এমন একটি স্বাধীন মুন্ডা সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ব্রিটিশ সরকারের কোনো অধিকার থাকবে না।। অর্থাৎ মুন্ডা সমাজে ব্রিটিশদের শাসনের অবসান ঘটানো।
তৃতীয়তঃ ইংরেজ সরকার মুন্ডাদের খুৎকাঠি প্রথার অবসাদ ঘটিয়েছিল। তাই মুন্ডারা তাদের বিদ্রোহের মাধ্যমে নিজস্ব খুৎকাঠি প্রথা ফিরে পেতে চেয়েছিল।

প্রশ্নঃ খুৎকাঠি প্রথা কী বা খুৎকাঠি প্রথা বলতে কী বোঝায়??

উওরঃ খুৎকাঠি প্রথা হলো
মুন্ডা সমাজে সাধারণত কোনো একটি জমির মালিক একজন না হয়ে হতো অনেক জন। অর্থাৎ একটি জমির যৌথ মালিকানা। জমির মালিকানা সংক্রান্ত ব্যবস্থা মুন্ডা সমাজে প্রচলিত সেই ব্যবস্থাই খুৎকাঠি প্রথা নামে পরিচিত।

Tags :

ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উওর | ক্লাস 10 ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উওর | class 10 history 3rd chapter notes | মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর | wbbse class 10 history question answer | wb class 10 history suggestion | History question answer|  class 10 history 3rd chapter question answer | class 10 history question answer | wb class 10 history notes in Bengali | history notes | class 10 history notes


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top