ক্লাস টেন জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ের 'জীবনের প্রবাহমানতার' প্রশ্ন উওর
![]() |
'জীবনের প্রবাহমানতার' অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর |
অঙ্গজ জনন কাকে বলে? অঙ্গজ জননের প্রকারভেদ গুলি আলোচনা করো। || দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর
অঙ্গজ জনন কাকে বলে?
উওরঃ যেই জনন পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোষে দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গাংশ থেকে কোষ বিভাজন এবং বৃদ্ধির মাধ্যমে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয় তাকে,;অঙ্গহ জনন বলা হয়।।
অঙ্গজ জনন পদ্ধতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: -
প্রথমত - প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন
দ্বিতীয়ত - কৃত্রিম অঙ্গজ জনন।
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জননঃ
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন-
মূলের দ্বারাঃ কয়েকটি উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন করে,নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
যেমন : আলু।
পরিবর্তিত কান্ড দ্বারাঃ কিছু কিছু উদ্ভিদ ভূ- নিম্নস্থ কান্ড থেকে মুকুল সৃষ্টি করে তা থেকে নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
পাতার দ্বারাঃ
পাথরকুচি উদ্ভিদের বা বিগোনিয়া উদ্ভিদের পাতার কিনারা থেকে প্রচুর পরিমাণে পত্রজ মুকুল সৃষ্টি হয়। এবং পরবর্তীকালে সেই মুকুল থেকেই নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।
উদ্ভিদের কৃত্রিম অঙ্গজ জনন : উদ্ভিদ কৃত্রিম অঙ্গজ জনন দুই প্রকারের।
যথা : ১- কাটিং বা শাখাকলম এবং ২- গ্রাফটিং বা জোড়কলম।
কাটিং বা শাখাকলমঃ এটি উদ্ভিদের বংশবিস্তারের একটি সহজ পদ্ধতি। শাখা কলম পদ্ধতিতে একটি উদ্ভিদের দেহ থেকে ২০ থেকে ৩০ সেমি একটি অংশ কেটে নিয়ে ভিজে বা নরম মাটিতে পুঁতে রাখলে সেই উদ্ভিদের কাটা অংশটি থেকে মূল সৃষ্টি হয়। এবং পরবর্তীকালে সেখান থেকে নতুন শাখা প্রশাখা সৃষ্টি হয়। একে কাটিং ভা শাখা কলম বলা হয়।
যেমন আম,জাম, লেবুর ক্ষেত্রে কাটিং পদ্ধতিতে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়।
গ্রাফটিং বা জোড়কলমঃ
যে পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি উদ্ভিদের আলাদা আলাদা অংশকে জোড়া লাগিয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়, তাকে জোড়কলম বা গ্রাফটিং বলা হয়।। যেমন : আম, লেবু, পেয়ারা গাছের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়।
• গ্রাফটিং পদ্ধতিতে যে গাছের অংশ কেটে জোড়া লাগানো হয়, তাকে সিয়ন এবং যে গাছটিতে অন্য
গাছের অংশ লাগানো হয়,তাকে স্টক বলা হয়।