তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে গল্পকথকদের গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা যাওয়ার বিবরণ দাও || একাদশ শ্রেণির তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর
![]() |
একাদশ শ্রেণির তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপোতা গ্রামে যাওয়ার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। অথবা, তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকদের গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা যাওয়ার বিবরণ দাও। " সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। পরিক্ষায় তোমাদের তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প থেকে " তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপোতা গ্রামে যাওয়ার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। অথবা, তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পেরগ ল্পকথকদের গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা যাওয়ার বিবরণ দাও। " প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপোতা গ্রামে যাওয়ার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। || তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের
গল্পকথকদের গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা যাওয়ার বিবরণ দাও।
ভূমিকাঃ প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পটি শুরু হয় আমাদের গল্পকথকের হাত ধরে। গল্পকথকের দুই বন্ধুর মধ্যে একজন কথককে, মহানগরী থেকে মাত্র 30 মাইল দুরে এমন একটি জায়গার কথা বলবেন, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সরল মাছেরা। এবং সেই মৎস্য শিকারের লোভেই কথক তার দুই বন্ধুকে নিয়ে তেলেনাপোতা গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন।। এবং তাদের যাত্রা ঠিক এভাবে শুরু হয়-
যাত্রাপথের শুরুঃ তেলেনাপোতা আবিষ্কার করতে গল্পকথক তার দুই বন্ধু, একজন পানরসিক এবং আরেকজন নিদ্রা বিলাসী, তাদের নিয়ে মঙ্গলবারের এক পড়ন্ত বিকেলে, জিনিসে মানুষে ঠাসাঠাসি একটি বাসে গিয়ে ওঠেন। এরপর রাস্তায় মানুষের গুঁতো খেতে খেতে প্রায় ঘন্টা দুয়েক বাদে অর্থাৎ প্রায় সন্ধ্যেবেলায় গল্পকথক এবং তার দুই বন্ধু একটি জায়গায় রাস্তার মাঝখানে নেমে পড়েন।।
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে
গল্পকথকদের গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা যাওয়ার বিবরণ -
তেলেনাপোতা গ্রামে পৌঁছানোর দ্বিতীয় ধাপঃ এরপর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, সে জঙ্গলের ভেতর থেকে নালার মধ্যে দিয়ে মন্থর গতিতে একটি দোদুল্যমান গরুর গাড়ি গল্পকথক এবং তার দুই বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে এগিয়ে আসে। মশার অত্যাচার এবং ঘন অন্ধকারে আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে,গল্পকথক এবং তার দুই বন্ধু কোনো রকমে তিন জোড়া হাত এবং তিন জোড়া পা, সেই গরুর গাড়িতে নিয়ে উঠে বসেন।
গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতার যাত্রাঃ এরপর শুরু হয় গল্পকথক এবং তার দুই বন্ধুর, গরুর গাড়িতে করে তেলেনাপোতা গ্রামে যাওয়ার আসল যাত্রা।। গরুর গাড়িটি জঙ্গলের যে পথ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল, গল্পকথক এবং তার দুই বন্ধুকে নিয়ে গাড়িটি সেই পথেই পুনরায় চলতে শুরু করে। গরুর গাড়ি চলতে শুরু করলে,,গাড়ির ঝাকুনির ফলে গল্পকথকের সঙ্গে তার দুই বন্ধুর মাঝে মধ্যেই অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষ লাগবে। এরকম ভাবে চলার পর, গল্পকথক ক্রমশ অনুভব করবেন তার চারপাশের জমাট বাধা ঘন অন্ধকারে তার স্বাভাবিক চেতনা ও বুদ্ধিও লোপ পাচ্ছে।
গারোয়ানের ক্যানেস্তারাঃ এরপর হঠাৎ করেই গারোয়ানের ক্যানেস্তারা বাজানোর শব্দে গল্পকথকের চেতনা ফিরে আসে। গল্পকথক গাড়োয়ানকে ক্যানেস্তারা বাজানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে কারণ তাকে জানায়, সে এটি চিতাবাঘকে তাড়ানোর জন্যই বাজাচ্ছে। মহানগরী থেকে মাত্র 30 মাইল দূরের এরকম ব্যাঘ্রসংকুল স্থানের অস্থিত্ব কী করে সম্ভব? এই নিয়ে যতক্ষণ গল্প ভাবতে থাকেন, ততক্ষণে সেই গরুর গাড়ি একটা মাঠ পার হয়ে যায়।
তেলেনাপোতা গ্রামে পদার্পণঃ গরুর গাড়ির মধ্যে বসে গল্পকথক কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের আলোয় দেখতে পাবেন,, চলমান গরুর গাড়ির দু-পাশ দিয়ে ক্রমশ সরে যাচ্ছে পুরনো মন্দির, ভাঙ্গা অট্টালিকা,দেউরির খিলান ইত্যাদি।।অবশেষে একটি জীর্ণ অট্টালিকার সামনে এসে,গারোয়ান তিনজনকেই নামিয়ে দেন। এবং এভাবেই গল্পকথম এবং তার দুই বন্ধুর তেলেনাপোতা গ্রামের পৌঁছনোর যাত্রাপথ অবশেষে সমাপ্ত হয়।