একাদশ শ্রেণির ডাকাতের মা গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || " এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা। " কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কিভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল তা আলোচনা করো।
![]() |
একাদশ শ্রেণির ডাকাতের মা গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) সতীনাথ ভাদুড়ির লেখা " ডাকাতের মা গল্পের " একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা। " কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কিভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল তা আলোচনা করো। " প্রশ্নটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। তোমাদের সামনের পরিক্ষায় ডাকাতের মা গল্প থেকে বড় প্রশ্ন হিসাবে " এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা। " কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কিভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল তা আলোচনা করো। " খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো।
" এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা। " কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কিভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল তা আলোচনা করো।
ভূমিকাঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর রচিত ডাকাতের মা গল্পের এই উদ্ধৃতি হলো গল্পের শেষ পর্যায়ের। দীর্ঘ পাঁচ বছর জেল খাটার পর সৌখীর বাড়িতে ফিরে আসার, পরের সকালে একটি ঘটনা ঘটে। উপরিক্ত উদ্ধৃতিগুলো সেই ঘটনার কথাই ব্যক্ষা করে।
ডাকাতের মা গল্পের সৌখীর মায়ের লোটা চুরি, এবং সেই অভিযোগ নিয়ে পেশকার সাহেব এবং দারোগার জিজ্ঞাসাবাদের ফলে সৌখীর মায়ের মুখ থেকে কোনো কথা না বেরোনোর ফলে, সৌখীর মা যে পেশকার সাহেবের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করেছিল- সৌখীর সেই ব্যাপারটা বুঝতে পারার কথাই এখানে বলা হয়েছে।।
এই ব্যাপারটা সৌখীর যেভাবে বুঝতে পেরেছিল, তা হল -
দীর্ঘ পাঁচ বছর জেলে থাকার পর সৌখী একদিন হঠাৎ করেই তার বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে ফিরে এসে ছেলে বউকে না দেখতে পেয়ে,, সৌখী সেদিন খই মুড়ি খেয়েই ঘুমিয়ে পরে। ছেলের বাড়িতে ফিরে আসায় সৌখীর মা যথেষ্ট পরিমাণে খুশি হন। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর ধরে দলের লোক কোনো টাকা পয়সা না দেওয়ায়, সৌখীর মায়ের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে।। তিনি কোনো রকমে খই-মুড়ি বিক্রি কড়ে কোনো রকমে নিকের পেপ চালান। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে সৌখীর বাড়িতে ফিরে আসায় তিনি একটু অস্বস্তিতে পড়েন। এ মধ্যেই তার মনে পড়ে যে, তার ছেলে সৌখী আলু চচ্চড়ি খেতে অত্যন্ত ভালোবাসে। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায়, তিনি মাতাদিন পেশকারের বাড়ি থেকে একটা লোটা চুরি করে আনেন। এবং সেটি তিনি ১৪ বিক্রি করেন। এরপর সৌখির মাসে সেই চোদ্দ আনার জিনিসপত্র কিনে এনে তিনি নিজের ছেলের জন্যে আলু চচ্চড়ি রাধতে থাকেন। কিন্তু পরদিন সকালে পেশকার দোকানদারের কাছ থেকে এটা জানতে পেরে যায়, সৌখীর মা তার কাছে সেই লোটা বিক্রি করেছিল। তাই পেশকার সাহেব দারোগা সাহেবকে নিয়ে সৌখীর বাড়িতে এসে হাজির হয়। এর মধ্যেই সৌখী ঘুম থেকে উঠে পড়ে।
সৌখীর মাকে দেখতে পেয়ে দারোগা সাহেব এবং পেশাকার সাহেব তাকে লোটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সৌখীর মা এই ঘটনায় হতবুদ্ধি এবং অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে, তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করতেই ভুলে যান। এবং যখন তাকে সেই লোটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন সৌখীর মায়ের মুখ থেকে কোনো কথা বের হয় না। তিনি শুধু একবার ছেলের চোখের দিকে তাকিয়ে মাথা হেঁট করে চোখ নামিয়ে নেন। এবং এসব ঘটনা দেখে সৌখী খুব সহজেই এই সমস্ত ব্যাপারটা বুঝতে পেরে যায়।। গল্পে সৌখীর, তাঁর মায়ের লোটা চুরির সেই ব্যাপারটা বোঝার কথাই বলা করা হয়েছে।।