![]() |
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো |
এর আগের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি কি বা ভারতে রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজকে ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় (WBCHE Class 12 Political Science Chapter 7) ভারতের শাসন বিভাগ ( Executive In India) এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ
ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো অথবা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনাকরবো।।
প্রশ্নঃ ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।
অথবা
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো
ভূমিকাঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর সংবিধান অনুসারে ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে কিছু ক্ষমতা এবং কার্যাবলী প্রদান করা হয়। ভারতীয় সংবিধানের ৫৩ নং ধারা অনুসারে কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে যে প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত।
যেমন -ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে রয়েছে শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা, আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা অর্থনৈতিক ক্ষমতা, বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা, জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা এবং সেই সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য কিছু ক্ষমতা।।
• নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা
• সামরিক ক্ষমতা
• কূটনৈতিক ক্ষমতা
• তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত
• ক্ষমতা অধিবেশন সংক্রান্ত ক্ষমতা
• মনোনয়ন প্রদান
• অর্ডিন্যান্স জারি
• অর্থবিল অনুমোদনা
• বাজেট প্রস্তাবনা
• আপাতকালীন ব্যয় নির্বাহ
• বিচারপতি নিয়োগ
• দণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষমা প্রদান
• জাতীয় জরুরি অবস্থা
• রাজ্য সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা
• আর্থিক জরুরি অবস্থা
• সামরিক ক্ষমতা
• কূটনৈতিক ক্ষমতা
• তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত
• ক্ষমতা অধিবেশন সংক্রান্ত ক্ষমতা
• মনোনয়ন প্রদান
• অর্ডিন্যান্স জারি
• অর্থবিল অনুমোদনা
• বাজেট প্রস্তাবনা
• আপাতকালীন ব্যয় নির্বাহ
• বিচারপতি নিয়োগ
• দণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষমা প্রদান
• জাতীয় জরুরি অবস্থা
• রাজ্য সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা
• আর্থিক জরুরি অবস্থা
শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসক হিসেবে অভি তো করা হয়ে থাকে সংবিধান অনুযায়ী তিনি নিজে বা তাঁর অধনস্থ কর্মচারীদের মাধ্যমে শাসন সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা গুলি হল-
আরও পড়ে দেখো👇
• ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি বা কিভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন?
• নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা:- ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য,নির্বাচন কমিশনার, অঙ্গজগুলির রাজ্যপাল, ব্যয় নিয়ন্ত্রক এবং মহা গণনা পরীক্ষক,ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল প্রমুখ উচ্চ পদাধিকারীকে নিয়োগ করে থাকেন এবং এদের অনেককে তিনি অপসারণও করতে পারেন।
• সামরিক ক্ষমতা:- ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন সামরিক বিভাগের প্রধান। তিনি ভারতের স্থল সেনাবাহিনীর প্রধান অর্থাৎ জেনারেল,নৌ বাহিনীর প্রধান অর্থাৎ অ্যাডমিরাল এবং বায়ু সেনাবাহিনীর প্রধান অর্থাৎ এয়ার চিফ মার্শালকে নিয়োগ এবং অবসান করার ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতির হাতে কখনো যুদ্ধ ঘোষণা বা শান্তির স্থাপন করার ক্ষমতা রয়েছে। অবশ্য এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই ভারতীয় পার্লামেন্ট বা সংসদের অনুমতি নিতে হয়।
• কূটনৈতিক ক্ষমতা:- একটি দেশের জাতীয় স্বার্থ ও পূরণ করার ক্ষেত্রে সেই দেশের কূটনীতিবিদদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ভারতের কূটনীতিবিদদের নিয়োগ করা এবং তাদের অপসারণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। রাষ্ট্রপতি মূলত তাদের নিয়ে নিয়োগ করে থাকেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনীতিবিদদের মাধ্যমে যে সমস্ত সন্ধি বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তা মূলত রাষ্ট্রপতির নামেই সম্পাদিত হয়।।
• তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত ক্ষমতা:- ভারতবর্ষের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির শাসন ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলির প্রশাসক পরিচালনার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতির কিছু বিশেষ ক্ষমতা থাকে। উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল গুলির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিশন গঠন করে থাকেন। এছাড়াও রাজ্যগুলির কাছে প্রয়োজন মতো প্রশাসনিক নির্দেশ পাঠানোর ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি রয়েছে।
অর্থনৈতিক আইন সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ-
ভারতের রাষ্ট্রপতি আইনসভা বা সংসদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হন। তাই রাষ্ট্রপতির হাতে আইনের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল-
• অধিবেশন সংক্রান্ত ক্ষমতা:- ভারতের রাষ্ট্রপতি ভারতীয় পার্লামেন্ট বা সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্ন কক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে কিংবা অধিবেশন স্থগিত রাখতে পারেন এছাড়াও রাষ্ট্রপতি যদি চান তাহলে লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তা তিনি ভেঙে দিতে পারেন। তবে এই কাজটি করার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ নিতে হয়। রাষ্ট্রপতি অর্থবিল ছাড়া অন্যান্য যেকোন বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষের মতবিরোধে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রপতি যৌথ অধিবেশন ডেকে তার অবসান ঘটাতে পারেন। এছাড়াও সংসদের কোনো সদস্যের যোগ্যতার বিষয়ে যদি কখনো প্রশ্ন ওঠে তাহলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারের কাছে তার রিপোর্ট চাইতে পারেন এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হতো ব্যবস্থা নিতে পারেন।
• রাজ্যসভায় এবং লোকসভায় সদস্য মনোনয়ন:- ভারতের রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সংসদ বা পার্লামেন্টের রাজ্যসভা বা উচ্চকক্ষে সর্বোচ্চ ১২ জন সদস্যকে মনোনয়ন করতে পারেন। এবং সেই সঙ্গে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষপথ বা লোকসভায়,যদি তিনি মনে করেন যে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বা ইঙ্গ ভারতীয় সম্প্রদায়ের যথাসংখ্যক প্রতিনিধি নেই,তাহলে তিনি সেখানে সর্বোচ্চ দুইজন সদস্য মনোনীত করতে পারেন।
• বিলে সম্মতি দান:- ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়পক্ষে গৃহীত যে কোন বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন। তাছাড়া সেটি আইনে কার্যকরী হয় না। অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিতে পারেন আবার নাও দিতে পারেন। অথবা বিলটিকে পুনঃনির্বাচনের জন্য পুনরায় উভয়পক্ষের কাছে পাঠাতে পারেন। যদি সেই বিলটিতে পুনরায় উভয়পক্ষের সদস্যরা সম্মতি দিয়ে থাকেন তাহলে সেই বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকেন। এছাড়াও ভারতীয় সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত কোনো বিল যদি পার্লামেন্টে উভয়পক্ষে গৃহীত হয়,তাহলে তাহলে সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত সেই বিলে রাষ্ট্রপতি অসম্মতি জানাতে পারেন না। এছাড়াও ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য আইনসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল এক্ষেত্রে বিলটিতে অনুমোদন না দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিবেচনার জন্য তা পাঠিয়ে দিতে পারেন।।
• অধ্যাদেসভ বা অর্ডিন্যান্স জারি:- কোন কারনে ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন বিশেষ প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি তার অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন। এসব অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স সংসদের আইনের সমান কার্যকরী হয়।।
• অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে অর্থ সংক্রান্ত যে সমস্ত ক্ষমতাগুলি রয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা হলো। -
• অর্থবিল অনুমোদনা:- ভারতীয় পার্লামেন্টে কোনো অর্থবিল লোকসভায় উপস্থাপন করার জন্য রাষ্ট্রপতির পূর্ব সুপারিশের প্রয়োজন। এছাড়াও ঋণ সংক্রান্ত রাজস্ব প্রস্তাব বা সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপনের জন্যেও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
• বাজেট প্রস্তাবনা:- প্রত্যেক বছরের সরকারের আর্থিক আয়-ব্যায়ের বিবরণী রাষ্ট্রপতি অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারতীয় পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে থাকেন।
• আকস্মিক ব্যয় সংকুল তহবিল:- ভারতের যেকোনো আপাতকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ভারতে যে আকস্মিক ব্যয় সংকূল অর্থ তহবিল রয়েছে,সেই তহবিলের সমস্ত দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে রয়েছে।।
বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ-
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় মূলত দুইভাবে যুক্ত থাকেন। এক হচ্ছে পরোক্ষভাবে এবং অপর হচ্ছে প্রত্যক্ষভাবে।
• বিচারপতি নিয়োগ:- ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে থাকেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি মূলত পরোক্ষভাবে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।
• দণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষমাপ্রধান:- ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে এমন ক্ষমতা রয়েছে যে,যার মাধ্যমে তিনি ভারতের যেকোনো আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হন,এবং রাষ্ট্রপতি যদি তার প্রতি সহৃদয় হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে সেই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড রোধ করে তাকে অন্য দণ্ড দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তিনি ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন।
জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ-
সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তিন ধরনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন—
জাতীয় জরুরি অবস্থা (৩৫২ নং ধারা) :- রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে যুদ্ধ, বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র বিদ্রোহের ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, তাহলে তিনি সমগ্র দেশে বা দেশের কোনো অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থাজনিত জরুরি অবস্থা (৩৫৬ নং ধারা):-
কোনো রাজ্যের রাজ্যপালের প্রতিবেদন বা অন্য কোনো সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে ওই রাজ্যে সংবিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে তিনি ওই রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থাজনিত জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন।
আর্থিক জরুরি অবস্থা (৩৬০ নং ধারা):-
যদি রাষ্ট্রপতি মনে করেন যে ভারতের বা ভারতের কোনো অংশের আর্থিক স্থায়িত্ব বা সুনাম বিনষ্ট হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে তিনি আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
অন্যান্য ক্ষমতাঃ-
অন্যান্য ক্ষমতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের সদস্যসংখ্যা ও সদস্যদের কার্যকাল ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় সরকার এবং সংসদের সচিবালয়ের কর্মীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রীসভার নিয়োগ, তফশিলি অঞ্চল ও তফশিলি উপজাতি এবং অসমের তফশিলি অঞ্চলগুলির প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা, সুপ্রিমকোর্টের আদেশ বলবৎ করার জন্য নিয়মাবলি তৈরি করা ইত্যাদি।
উপসংহার: ভারতের সংসদীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভায় কোনো দল বা জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রপতি যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তা তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতায় এক নতুন মাত্রা সংযোজিত করেছে।
আশাকরি যে, দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় (WBCHE Class 12 Political Science Chapter 7) ভারতের শাসন বিভাগ ( Executive In India) এর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো অথবা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে যে নোট শেয়ার করা হলো তা তোমাদের কাজে লাগবে।।