শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা
পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা |
আজকে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস ( wb class 10 history ) দ্বিতীয় অধ্যায় " সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা " এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অথবা,পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা " এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। "। তোমাদের পরিক্ষায় প্রধানত " পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা " এই প্রশ্নটিই 4 নম্বরের ( class 10 history question answer ) জন্য বেশি এসে থাকে। আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে তোমরা শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সম্পর্কে একটি খুব সুন্দর ইতিহাস নোট ( wb class 10 history notes in Bengali ) এখান থেকে পেয়ে যাবে।
শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা
ভূমিকা : উনিশ শতকে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বাংলায় নিজ উদ্যোগে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে বা শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন,তাদের মধ্যে বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন উল্লেখযোগ্য। উনিশ শতকে সমাজে যে সমস্ত অন্ধবিশ্বাস কুপ্রথা, জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদি ছিল,সেই সমস্ত খারাপ দিক গুলো সমাজ থেকে দূর করার জন্য সমাজে শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই জিনিসটা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সেকারণেই তিনি নিজের উদ্যোগেই শিক্ষার প্রসার বা পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যেমন -
Read More👇
What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You
◆ স্কুল প্রতিষ্ঠা : বিদ্যাসাগর শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে নিজের উদ্যোগেই বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দক্ষিণবঙ্গের বিদ্যালয় পরিদর্শক এর সহকারী পদে থাকাকালীন, বাংলার বিভিন্ন স্থানে তিনি বাংলার নারীদের জন্য 35 টি বালিকা বিদ্যালয় এবং 100 টি বাংলা স্কুল স্থাপন করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্থাপন করা সেই সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলার অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। এছাড়াও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিভিন্ন জেলায় 20 টি মডেল স্কুল স্থাপন করেছিলেন। এবং পরবর্তীকালে 1872 খ্রিস্টাব্দে তিনি মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ নামে পরিচিত।
◆ নারী শিক্ষার প্রসারে : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের এই জিনিসটা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছিলেন যে,সমাজ তখনই প্রকৃত ভাবে শিক্ষিত হয়ে উঠবে, যখন সমাজের নারীরাও শিক্ষার সুযোগ পাবে এবং তারা শিক্ষিত হয়ে উঠবে। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজ উদ্যোগে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে,তিনি 1849 খ্রিস্টাব্দে যখন বেথুন সাহেব এ দেশের নারীদের শিক্ষার জন্য " হিন্দু ফিমেল স্কুল " প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন,তখন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেন।
◆ ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার নিজের গ্রামে অর্থাৎ, মেদিনীপুরের বীরসিং গ্রামে তার মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে 1890 খ্রিস্টাব্দে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন,যার নাম হয় ভগবতী বিদ্যালয়।
◆ পাঠ্যপুস্তক রচনা : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষার প্রসারের শুধুমাত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেই থেমে থাকেননি। তিনি শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকও নিজের উদ্যোগেই রচনা করেছিলেন। যেমন শিশুশিক্ষা, বর্ণপরিচয়,কথামালা, নীতিবোধ চরিতাবলি ইত্যাদি।
◆ নারী শিক্ষা ভান্ডার : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় গুলির মধ্যে, কিছু বিদ্যালয়কে সরকার আর্থিক হবে কিছু সাহায্য করতো। কিন্তু একসময় সরকার সেই বিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়। ফলে এরপর বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষা ভান্ডার নামে একটি তহবিল গঠন করেছিলেন।
উপসংহার : সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায়,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শুধুমাত্র এদেশীয় শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেননি, সেইসঙ্গে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন।
আশাকরি যে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি তোমাদের ভালো লেগেছে। যদি আজকের ব্লগ থেকে " শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অথবা,পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা " তার সম্পর্কের যে আলোচনা করা হয়েছে,তা তোমাদের একটুও ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্লগ পোস্ট গুলি পড়ে দেখতে পারো।
Tags :