ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো | টীকা লেখ - ফরাজি আন্দোলন
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণির ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় ( class 10 history 3rd chapter ) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেক কিছুই আলোচনা করবো। সেই সঙ্গে এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম ক্লাস টেনের ইতিহাস বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বিদ্রোহ অধ্যায়ে যে ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে,তা আমরা এখানে আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। এবং এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য,ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ,ফরাজি আন্দোলনের প্রকৃতি,ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা, ফরাজি আন্দোলনের অঞ্চল, ফরাজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল কোথায়?, ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ছিল?, ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?, ফরাজি আন্দোলনের কারণ কি ছিল -এসব প্রশ্ন ছাড়াও আরও একাধিক বিষয় তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
Table Of Contents | আজকের বিষয়
• ফরাজি বিদ্রোহের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা
• ফরাজি আন্দোলন
• ফরাজি আন্দোলনের অপর নাম কি?
• ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য
• ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ বা ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থ হল কেন
• ফরাজি আন্দোলনের চরিত্র ও প্রকৃতি
• ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা
• ফরাজি আন্দোলনের অঞ্চল
• ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল কোথায়?
• ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয়
পুনর্জাগরণের আন্দোলন ছিল?
• ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?
• ফরাজি আন্দোলনের কারণ কি ছিল
• ফরাজি আন্দোলনের প্রকৃতি
• ফরাজি আন্দোলনের প্রবক্তা কে ছিলেন বা ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক কে
• ফরাজি আন্দোলন
• ফরাজি আন্দোলনের অপর নাম কি?
• ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য
• ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ বা ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থ হল কেন
• ফরাজি আন্দোলনের চরিত্র ও প্রকৃতি
• ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা
• ফরাজি আন্দোলনের অঞ্চল
• ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল কোথায়?
• ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয়
পুনর্জাগরণের আন্দোলন ছিল?
• ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?
• ফরাজি আন্দোলনের কারণ কি ছিল
• ফরাজি আন্দোলনের প্রকৃতি
• ফরাজি আন্দোলনের প্রবক্তা কে ছিলেন বা ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক কে
ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো | টীকা লেখ - ফরাজি আন্দোলন
◆ ভূমিকা : উনিশ শতকে যে সমস্ত ধর্মীয় আন্দোলন বা বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়, বিদ্রোহ ছিল ফরাজী বিদ্রোহ। আরবি ভাষায় ফরাজী শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য। উনিশ শতকে ইসলাম ধর্মের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ফরিদপুর জেলার বাহাদুরপুরের মৌলবী হাজী শরীয়ত উল্লাহ ছিলেন ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক। ফরাজি আন্দোলনের অপর নাম হলো মিঞা আন্দোলন।
• ফরাজি আন্দোলন সময়কাল হিসেবে 1820 থেকে দুদুমিয়ার মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ 1862 খ্রিষ্টাব্দ পযর্ন্ত সময়কালকে বিদ্রোহের সময়কাল ধরা হয়। দুদুমিয়ার মৃত্যুর পর নোয়া মিয়ার সময় এই বিদ্রোহ ধীরে ধীরে থেমে যায়।
Read More👇
What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You
◆ ফরাজি বিদ্রোহের সূচনা : হাজী শরীয়তুল্লাহ তাঁর ফরাজী বিদ্রোহ চালিয়ে নেওয়ার জন্য 1820 খ্রিস্টাব্দে ফরাজী নামক একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।। এবং তিনি তার নেতৃত্বের মাধ্যমে দরিদ্র, কৃষক, কারিগর ও অন্যান্য শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন।
◆ ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য : হাজী শরীয়ত উল্লাহ ফরাজী নামক ধর্মীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে তার ফরাজি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার এই ফরাজি আন্দোলন শুরু করার পেছনে মূল কারণ ছিল ইসলাম ধর্মের শুদ্ধিকরন ঘটিয়ে তিনি ভারতবর্ষকে দার-উল-ইসলাম থেকে ভারতবর্ষকে দার - উল - ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। হাজী শরীয়ৎউল্লাজের মতে ভারত বর্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাসযোগ্য নয়। তাই তিনি দরিদ্র জনগণকে নিয়ে অত্যাচারী জমিদার, নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং তাদের উৎখাত করে ভারতবর্ষকে মুসলিমদের বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
◆ ফরাজী বিদ্রোহের বিস্তার : হাজী শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে প্রথম পর্বে ফরাজী বিদ্রোহ মূলত ফরিদপুর, ঢাকা, বাখরগঞ্জ,কুমিল্লা,ময়মনসিংহ,খুলনা যশোহর,দক্ষিণ 24 পরগনা প্রভৃতি জেলায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুরের বাহাদূরপুর।
ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা ফরাজি আন্দোলনের লক্ষ্য
হাজী শরীয়তউল্লাহ নেতৃত্বে শুরু হওয়া ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য মোটামুটি ভাবে ছিল তিনটি । যথা -
• ইসলাম ধর্মের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অন্ধ বিশ্বাস এবং কূপ্রথা, অমুসলিম প্রথা ইত্যাদি দূর করে ইসলাম ধর্মের শুদ্ধিকরণ করা।
• হাজী শরীয়ৎউল্লাহের মতে যেহেতু ভারতবর্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাসযোগ্য নয়, সেজন্য তিনি তাঁর ফরাজি বিদ্রোহের মাধ্যমে ভারতবর্ষকে দার উল হারব অর্থাৎ বিধর্মীর দেশ থেকে দার উল ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
• ভারত বর্ষ থেকে অত্যাচারী জমিদার এবং নীলকরদের বিতাড়িত করে তিনি মুসলিম কৃষক, কারিগর এবং অন্যান্য শ্রেণীর মানুষদের তাদের শোষণ অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা :
ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন মূলত তিনজন। অর্থাৎ প্রধানত তিনজন ব্যক্তি ফরাজি বিদ্রোহে বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে বিদ্রোহ চালিয়ে গিয়েছিলেন।
ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন - প্রথমত ফরাজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরীয়ৎউল্লাহ।
দ্বিতীয়ত : হাজী শরীয়তুল্লাহ মৃত্যুর পর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁর পুত্র মোহাম্মদ মুসিন বা দুদুমিয়া।
এবং সর্বশেষে দুদুমিয়ার মৃত্যুর পর ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দুদুমিয়ার পূত্র নোয়ামিয়া।
ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ বা ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থ হল কেন?
ভূমিকা : হাজী শরীয়ত উল্লাহের দ্বারা শুরু হওয়া ফরাজি আন্দোলন দীর্ঘসময় ধরে তাদের সংঘর্ষ চালিয়ে গেলেও,শেষ পর্যন্ত ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল। এবং আন্দোলনকারীরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্য গুলি তারা সফল করতে পারেননি। ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার পেছনে একাধিক কারণ ছিল। যেমন -
◆ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব : যেকোনো আন্দোলনকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেতৃত্ব যদি সঠিক না হয় তাহলে যে কোনো আন্দোলনই ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ফরাজি আন্দোলনের প্রথম দিকে নেতৃত্বে ছিলেন শরীয়তউল্লাহ এবং তার মৃত্যুর পর নেতৃত্বে ছিলেন দুদুমিয়া। কিন্তু দুদুমিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নোয়ামিয়ার সময়ে সঠিক নেতৃত্ব দানের অভাবে ফরাজি আন্দোলন ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।
◆ সাম্প্রদায়িকতা : ফরাজি আন্দোলন মূলত ধর্মীয় কারনে শুরু হয়েছিল বলে মুসলিম কৃষক, কারিগর এবং অন্যান্য শ্রেণীর মানুষেরা যোগদান করলেও, হিন্দু শ্রেণির কৃষক, কারিগররা এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল।
◆ শুধুমাত্র ধর্মীয় আন্দোলন : ফরাজি আন্দোলনের প্রথম দিকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য এটাও ছিল যে,তারা অত্যাচারী জমিদার এবং নীলকরদের উৎখাত করে তাদের শোষণ অত্যাচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবে। কিন্তু শরীয়তউল্লাহ এবং দুদুমিয়ার মৃত্যুর পর নোয়া মিয়া যখন এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে শুরু করে, তখন এই বিদ্রোহ অত্যাচারি জমিদার ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করে শুধুমাত্র ধর্মীয় সংগ্রামে পরিণত হয়। যার ফলে ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীরা এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। এবং এভাবে আন্দোলন ঝিমিয়ে পরে।
◆ সংহতির অভাব : সংকীর্ণ ধর্ম বোধ দ্বারা এই ফরাজি আন্দোলন পরিচালিও হওয়ার কারণে উদারপন্থী মুসলমান সমাজ এই আন্দোলন থেকে দূরে সরে ছিল। ফলে ফরাজি আন্দোলনে সংহতির অভাব দেখা গিয়েছিল।
◆ আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা : ফরাজি আন্দোলন মূলত পূর্ববঙ্গের কিছু স্থানেই সীমাবদ্ধ ছিল। যার ফলে এই আন্দোলন সেরকম ভাবে কোনও শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে পারেনি।।
◆ সমর্থন লাভের অভাব : ফরাজি আন্দোলন চলাকালীন বিদ্রোহের বিদ্রোহীরা একসময় উগ্রসাম্প্রদায়িকতা, জোর জুলুম এবং সন্ত্রাসের নীতি গ্রহণ করেছিল।। যার ফলে এই আন্দোলন সবার কাছে সেরকম ভাবেও সমর্থন যোগ্য হয়ে ওঠেনি।
উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও ফরাজী বিদ্রোহের ব্যর্থতার আরো নানা কারণ ছিল। যেমন
• ফরাজি আন্দোলনের নেতা দুদুমিয়া ব্যক্তিগত জীবনে নিজেও একজন খুব ভালো মানুষ ছিলেন না। দুদুমিয়া আঠারোটি বিয়ে করেছিলেন এবং বিভিন্ন সম্পত্তি লুট করে তিনি সেগুলো ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতেন। ফলে অনেকেই তাকে পছন্দ করতো না।।
• ফরাজি আন্দোলন নেতারা বিভিন্ন সময় তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে সরে গিয়েছিল। ফলে আন্দোলনকারীরা এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল ইত্যাদি। এরকম কিছু কারণের জন্য ফরাজী বিদ্রোহ সম্পূর্ণভবে ব্যর্থ হয়েছিল এবং বিদ্রোহীরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
ফরাজি আন্দোলনের প্রকৃতি -
◆ ধর্মীয় আন্দোলন : হাজী শরীয়ত উল্লাহ মূলত ইসলাম ধর্মের শুদ্ধিকরণ এবং ভারতবর্ষকে ইসলামের দেশে পরিণত করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। অর্থাৎ ফরাজি আন্দোলন ধর্মীয় উদ্দেশ্যেকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল।
◆ কৃষক বিদ্রোহ : ফরাজী বিদ্রোহ ধর্মীয় উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে শুরু হলেও,তা খুব অল্পসময়ের মধ্যেই কৃষক বিদ্রোহের রুপ নিয়েছিল। হাজী শরীয়ৎউল্লাহ অত্যাচারি জমিদার ও নীলকরের বিরুদ্ধে মুসলিম কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে এই বিদ্রোহ চালিয়ে গিয়েছিলেন।। সুতরাং ফরাজি আন্দোলন ছিও ধর্মীয় মোড়কে মোড়া একটি কৃষক আন্দোলন।
◆ ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন : ফরাজি আন্দোলন দুধুমিয়ার নেতৃত্বে থাকাকালীন আন্দোলনে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি দেখা গিয়েছিল। অর্থাৎ এই আন্দোলন ধর্মীয় আন্দোলন থেকে বেরিয়ে এসে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও নোয়ামিয়ার সময়, এটি পুনরায় ধর্মীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।
ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয়
পুনর্জাগরণের আন্দোলন ছিল? | ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল
ফরাজি আন্দোলন প্রথম দিকে হাজী শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে যখন শুরু হয়েছিল,তখন এটি মূলত ধর্মীয় আন্দোলন ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ফরাজি আন্দোলন কৃষক বিদ্রোহ এবং ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নোয়া মিয়ার নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ পূনরায় ধর্মীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। সুতরাং ফরাজি আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন না হলেও,কিছুটা ধর্মীয় পুনর্জাগরণের
আন্দোলন ছিল।
আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে তোমরা ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছো। এবং " ফরাজি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য,ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ,ফরাজি আন্দোলনের প্রকৃতি, ফরাজি আন্দোলনের প্রধান নেতা, ফরাজি আন্দোলনের অঞ্চল, ফরাজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল কোথায়?, ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ছিল?, ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় আন্দোলন ছিল?, ফরাজি আন্দোলনের কারণ কি ছিল? " এসব প্রশ্ন ছাড়াও আরও একাধিক প্রশ্নের উওর সেই তোমরা পেয়ে গেছো। যদি আজকের এই ব্লগ পোস্টটি তোমাদের ভালো লাগে,তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্লগ পোষ্ট পড়ে দেখতে পারো।
Tags :