বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর |
আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 'বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের' ( WBBSE Class 10 History Chapter 5 Questions And Answers in Bengali ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরও ১০ টি 2 ও 4 মার্কের প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। ক্লাস টেনের ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 'বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের' যে সমস্ত গরুত্বপূর্ণ 2 ও 4 মার্কের প্রশ্ন উত্তর বাকি ছিল, সেগুলোর উওর আজ তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।।
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর || WBBSE Class 10 History Chapter 5 Questions And Answers in Bengali
প্রশ্নঃ ইউ এন রায় এন্ড সন্স কি?
উত্তরঃ ইউ এন রায় এন্ড সন্স হলো একটি বাংলার বিখ্যাত ছাপাখানা যেটি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী নিজ উদ্যোগে কলকাতার শিবনারায়ন দাস লেনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলা ছাপাখানার ইতিহাসে ইউ এন রায় এন্ড সন্স বিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো -
Read More👇
What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You
• প্রথম দিকে যখন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর এর মালিক ছিলেন, তখন তিনি এই ছাপাখানায় বিভিন্ন বিদেশী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হাফটোন ব্লকে ছাপানো শুরু করেন।
• দ্বিতীয়ত এই ছাপাখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের রং ব্যবহার করে ছোটদের জন্য এবং বড়দের জন্য বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন বইপত্র প্রকাশ করা হতো।
• তৃতীয়ত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ইউ এন রায় থেকেই ছোটদের বিখ্যাত সন্দেশ পত্রিকাটি প্রকাশ করতেন।।
প্রশ্নঃ উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স এর ভূমিকা কি ছিল?
উওরঃ বাংলার প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার 1876 খ্রিস্টাব্দে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার এবং বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের জন্য ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স নামল বিজ্ঞান গবেষণাগারটি তৈরি করেছিলেন। ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকারের তৈরি এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলার বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যেমন-
• প্রথমতঃ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স ই ছিল ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান যেখানে বিজ্ঞানে আগ্রহী ছাত্ররা স্বাধীনভাবে তাদের বিজ্ঞান চর্চা এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধরনের গবেষণা গুলি করতে পারতেন।
• দ্বিতীয়তঃ বিজ্ঞান গবেষণা এবং বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি এই বিজ্ঞান গবেষণাগারটি পদার্থবিদ্যা,রসায়ন বিদ্যা,প্রাণিবিদ্যা ইত্যাদি আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণার কাজ কর্ম নিজেদের জার্নাল এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রকাশ করে সবাইকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করতো।
• তৃতীয়তঃ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স এর অনেক মেধাবী এবং বিশিষ্ট ছাত্ররা শিক্ষা লাভ করে পরবর্তীতে বাংলা এবং সারা ভারতে বিজ্ঞানের শাখায় নিজেদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পেরেছিলেন।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স এ গবেষণা করে ডক্টর সিভি রমন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কালাজ্বরের টিকা আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন এবং মেঘনাথ সাহা তার সূত্র আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও আরও অনেকে এই বিজ্ঞান গবেষণাগার থেকেই বিজ্ঞানের জগতে নিজেদের নাম তৈরি করতে পেরেছিলেন।
প্রশ্নঃ কে, কেন এবং কবে বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উওরঃ বাংলা তথা ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাসায়নিক দ্রব্য এবং ঔষুধ প্রস্তুত করা জন্য বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যাল স্থাপন করার পরোক্ষ উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করা।
প্রশ্নঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি কি কি ছিল?
উওরঃ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে বাংলায় বিজ্ঞান এবং কারিগরি শিক্ষার বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কিছুটা ক্ষেত্রে সফল হলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল। এর কারণ ছিল -
প্রথমতঃ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে কিছুদিন যাওয়ার পর জাতীয় শিক্ষা পরিষদ অর্থ সংকটের সম্মুখীন হয় এবং সেই অর্থ সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা জাতীয় শিক্ষা পরিষদের হাতে তখন ছিল না।
দ্বিতীয়তঃ প্রথমদিকে অনেক শিক্ষক জাতীয় শিক্ষা পরিষদে শিক্ষকতার জন্য এগিয়ে এলেও পরবর্তীতে যখন তাদের আর সেই পরিমাণ বেতন দেওয়া সম্ভব ছিলনা,তখন অনেক শিক্ষকই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন।
তৃতীয়তঃ চাকরির বাজারে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত ডিগ্রী বা সার্টিফিকেট তখন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তাই জাতীয় শিক্ষা পরিষদে অনেকেই শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসেনি। এবং সবশেষে সেই সময়ের চরমপন্থী নেতারা জাতীয় পরিষদকে স্বীকৃতি প্রদান না করায় এই প্রতিষ্ঠান ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যায়।।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করো। বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাণহীন এবং যান্ত্রিক বলেছেন কেন?
উওরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে কখনোই সমর্থন করেননি। তিনি উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্নভাবে সমালোচনা করে বলেছেন যে,
• উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার দিবার কল ও মাস্টারকে এই কলের অংশ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্ব প্রকৃতি এবং মনুষ্যত্ব বিশ্বমানবতার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
• দ্বিতীয়তঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষাব্যবস্থায় যে ভারতীয় জীবনাদর্শ ও রীতিনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, সেই ভাবাদর্শের কোনো লক্ষন উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি।
• তৃতীয়তঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত শিক্ষা কখনোই শুধু মাত্র চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে পারে না। তাই তিনি প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দান করে প্রাচীন ভারতীয় তপোবনের শিক্ষার আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীনিকেতন এবং বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ছিল?
প্রথমতঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রামের সাধারণ মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যেই শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামোন্নয়নের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতনে পশুপালন, কৃষি,শিল্প, সমবা,য় স্বাস্থ্য গণশিক্ষা প্রভৃতি কর্মসূচি চালু করেছিলেন যেখানে গ্রামের জনসাধারণ সমস্ত শিক্ষা গ্রহণ করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারবে। দ্বিতীয়তঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক উদ্দেশ্য নিয়ে। যেমন -
• প্রথমত তিনি সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরের মানুষটিকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তুলে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন।
• শিক্ষার্থীদের অর্থশাস্ত্র, কৃষিততত্ত প্রভৃতি বিষয়ের ব্যবহারিক শিক্ষা দান করে বিশ্বভারতীর চারপাশে তার প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন।
• তৃতীয়তঃ ভারত সহ প্রাচ্যের আদর্শ বাণীকে বিশ্বে তুলে ধরে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মিলন ঘটানো, এবং শ্রীনিকেতনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই ছিল বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার কিছু প্রধান উদ্দেশ্য।
প্রশ্নঃ ভারতের শিক্ষার প্রসারে রাজবিহারী ঘোষ এর অবদান কি ছিল?
উওরঃ ভারত ভারতে কোথায় বাংলার প্রখ্যাত আইনজীবী এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস নেতা রাজবিহারী ঘোষ বাংলার বেসরকারি উদ্যোগে বিজ্ঞান এবং কারিগরি শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অন্যতম সদস্য প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ছিলেন। রাজবিহারী ঘোষকে মূলত তার উদারতা এবং শিক্ষার প্রসারের জন্য তার নিঃস্বার্থ আর্থিক সাহায্য এবং বিভিন্ন উদ্যোগের জন্যেই হয়ে থাকে মনে রাখা হয়।
তিনি বাংলার কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের জন্য জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ লক্ষ টাকা এবং ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে ১০ এবং পরে ১৪ লক্ষ অর্থাৎ মোট 24 লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। রাজবিহারী ঘোষের এই মহৎ কাজের জন্যই তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল।।
প্রশ্নঃ শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কী?
উওরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সামরিক বাহিনীর অফিসার কর্নেল রবার্ট কিড 1787 খ্রিস্টাব্দে 2 নভেম্বর শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করেছিলেন। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করার পেছনে তার অনেক উদ্দেশ্য ছিল। যেমন-
• প্রথমত তিনি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সেগুন কাঠ এবং মশলার জন্য নতুন চারা গাছ রোপন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
• দ্বিতীয়ত, বোটানিক্যাল গার্ডেনের নতুন সুপারিনটেন্ডেন্ট উইলিয়াম রক্সবার্গ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির ভেষজ চারা গাছ রোপন করে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে একটি ভেষজ গার্ডেনে পরিণত করেছিলেন।
• তৃতীয় ভারতের বিখ্যাত উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নাম অনুসারে ভারত সরকার বর্তমানে এর নামকরণ করেছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন।।
প্রশ্নঃ ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের নাম স্মরণীয় হয়ে রয়েছে কেন?
উওরঃ ভারতের বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত সাহিত্যিক এবং মুদ্রণ এবং প্রকাশনা জগতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ হলো-
• প্রথমতঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 1847 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সংস্কৃত যন্ত্র ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
• দ্বিতীয়তঃ মদনমোহন তর্কালঙ্কার যখন সংস্কৃত যন্ত্র কোনো কারণে ছেড়ে দেন, তখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাতেই সংস্কৃত যন্ত্রের সমস্ত মালিকানা এসে পড়ে। এরপর বিদ্যাসাগর তার এই ছাপাখানা থেকেই তাঁর রচিত বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশ করেন।
• তৃতীয়তঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার এই সংস্কৃত যন্ত্র থেকেই ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল সহ একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। এবং এই সমস্ত কারণেই ছাপাখানার ইতিহাসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
প্রশ্নঃ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বিখ্যাত কেন?
উওরঃ ভারতের ছাপাখানার জগতে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এর পেছনের কারণ হলো প্রথমতঃ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য প্রথম জীবনে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রেসেরএকজন সাধারণ কর্মচারী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। দ্বিতীয়তঃ শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশনের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কোনো এক বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় তিনি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস ত্যাগ করে কলকাতায় এসে ছাপাখানা থেকে বেশ কিছু বই প্রকাশ করেন।
দ্বিতীয়তঃ গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য ই ছিলেন প্রথম বাঙ্গালী পুস্তক প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা।।
তৃতীয়তঃ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য হরোচন্দ্র রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতায় চোরবাগান স্ট্রিটে বাঙ্গাল গেজেট প্রস নামক একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং এখান থেকেই তিনি বাঙ্গাল গেজেট নামক সংবাদপত্রটি প্রকাশ করেছিলেন যার জনপ্রিয়তা সেই সময় অনেকটাই ছিল। মূলত এই সমস্ত কারণেই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন।।
আশাকরি যে, আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের ( WBBSE Class 10 History Chapter 5 Questions And Answers in Bengali ) যে সমস্ত 2 ও 4 মার্কের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে, সেগুলো তোমাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে এই পোস্টটি তোমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।
Tags :