|
Difference Between Sentence And Proposition |
আজকে ব্লগের মাধ্যমে আমরা
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন দ্বিতীয় অধ্যায় বা দ্বাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় অধ্যায় "বচন" অধ্যায়ের এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-
Difference Between Sentence And Proposition || বাক্য এবং বচনের মধ্যে পার্থক্য Or বাক্য ও বচনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে একটি নোট তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
Difference Between Sentence And Proposition || বাক্য এবং বচনের মধ্যে পার্থক্য
মানুষের চিন্তা যখন ভাষার আকারে প্রকাশ পায় তখন তাকে
বাক্য বলে। অপরদিকে এই বাক্যের পরিস্থিত এবং যুক্তিসম্মত রূপকে
বচন বলা হয়। এই বাক্য এবং বচনের ক্ষেত্রে যেমন বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে ঠিক তেমনি বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে। নিম্নলিখিত ছকের সাহায্য আমরা
বাক্য এবং বচনের কিছু পার্থক্য তোমাদের সামনে তুলে ধরবো।
নিচের পার্থক্য গুলো ভালো করে দেখার জন্য নিজের ফোনটাকে Desktop Mode এ করে নাও।।
বাক্য ও বচনের সাদৃশ্য
বিষয় |
বাক্য |
বচন |
উৎস |
বাক্যের প্রধান উৎস হলো চিন্তা। চিন্তা যখন ভাষায় প্রকাশিত হয় তখন তাকে বাক্য বলে। |
বচনের ক্ষেত্রেও এর প্রধান উৎস হলো চিন্তা। কারণ চিন্তার জন্যই বচনের উদ্ভব হয় |
পদ |
বাল্য কয়েকটি পদ বা শব্দের সমষ্টি। যেমন- রাম কলেজে যায়। |
বাক্যের মত বচনও কয়েকটি পদের সমন্বয়ে গঠিত। |
গুন |
বাক্য সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক এবং নঞ্চর্থক বা না বাচক বাক্য রূপে প্রকাশিত হতে পারে। |
বাক্যের মতো বচনও সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক এবং নঞ্চর্থক বা না বাচক বচন রূপে প্রকাশিত হতে পারে। |
সর্বজনীনতা |
বাক্যেকে একটি সর্বজনীন বিষয় রুপে গ্রহণ করা হয়। |
ঠিক একইভাবে বচনকেও একটি সর্বজনীন বিষয় রুপে গ্রহণ করা হয় |
বাক্য ও বচনের পার্থক্য
বিষয় |
বাক্য |
বচন |
প্রকারভেদ |
বাক্য বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে ম যেমন-ঘোষক বাচক বাক্য, জিজ্ঞাসা সূচক বাক্য, নির্দেশক সূচক বাক্য ইত্যাদি |
বচন শুধুমাত্র ঘোষকবাচক রূপেই গণ্য হতে পারেম ঘোষক বাচক বচন ছাড়া আর অন্য কোনো প্রকার বচন গ্রাহ্য নয়। |
কাল |
বিভিন্ন প্রকার বাক্য বিভিন্ন সময়কালের হতে পারে। অর্থাৎ বাক্যের মাধ্যমে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত যে কোন কালের বিষয় প্রকাশ করা যায়। |
কিন্তু অপরদিকে বচনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্তমানের বিষয়বস্তুর প্রকাশ করা হয়। |
পদের সংখ্যা |
একটি বাক্য তিন রকমের পদ থাকে। যথা উদ্দেশ্য পদ, ক্রিয়াপদ এবং বিধেয় পদ। |
একটি বচনের ক্ষেত্রে চার রকমের পদ থাকে। যথা পরিমানক, উদ্দেশ্য, সংযোজক এবং বিধেয়। |
ক্রিয়ার রূপ |
একটি বাক্যে কোন ক্রিয়া পদের যেকোনো কালের রূপ দিয়ে গঠিত হয়। |
বচন শুধুমাত্র "হওয়া" নামক ক্রিয়াপদের বর্তমানকালের রূপ অর্থাৎ হয় বা নয় দ্বারা গঠিত হয়। |
ব্যাপ্তি |
একটি বচনের ব্যাপ্তির তুলনায় একটি বাক্যের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। সেকারণেই বাক্য বচনের উৎস হলেও সব বাক্যকেই বচনরূপে উল্লেখ করা যায় না। |
সমস্ত বচনকেই বাক্য রূপে গণ্য করা সম্ভব। সুতরাং বাক্যের তুলনায় বছরে ব্যক্তি অনেক কম হয় |
পরিমাণক |
একটি বাক্যের ক্ষেত্রে পড়িমাণকের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং পরিমাণ ছাড়া বাক্য গঠিত হয়। |
কিন্তু বচনের ক্ষেত্রে পরিমাণক ছাড়া কোন বচন গঠিত হতে পারে না। সুতরাং বচনের ক্ষেত্রে পরিমাণক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। |
উপস্থাপনের নিয়ম |
একটি বাক্যে যে সমস্ত অংশ থাকে অর্থাৎ উদ্দেশ্য, ক্রিয়া এবং বিধেয়কে সঠিকভাবে সাজানোর জন্য বা সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। অর্থাৎ বাক্যের অংশগুলিকে আমরা নিজেদের ইচ্ছামত সাজাতে পারি। |
কিন্তু এটি বচনকে সঠিকভাবে সাজানোর জন্য বা উপস্থাপন করার জন্য সেই বচনের পরিমাণক,উদ্দেশ্য, সংযোজক এবং বিধেয়কে নির্দিষ্ট ভাবে সাজানোর জন্য নির্দিষ্ট কতগুলি নিয়ম আছেম সেই নিয়মগুলিকে অনুসরণ না করলে কখনোই একটি বচন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। |
সম্পর্ক |
বাক্যের বিষয়টি মূলত ব্যাকরণের। সুতরাং বাক্যের বিষয়টি ব্যাকরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। |
কিন্তু বচন বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই তর্ক বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ বচন হলো তর্ক বিজ্ঞানের বিষয়। |
যুক্তি গঠন |
বাক্য যেহেতু যুক্তিবিজ্ঞানের অংশ নয় সেক্ষেত্রে বাক্য দিয়ে কখনোই যুক্তি গঠন সম্ভব নয়। অর্থাৎ বাক্য কখনোউ যুক্তির অবয়ব রূপে গণ্য হয় না।
|
বচন যেহেতু যুক্তিবিজ্ঞানের অংশ বা তর্ক বিজ্ঞানের অংশ সে কারণেই বচন দিয়ে যুক্তির অবয়ব গঠিত হয় ম তাই বচন যুক্তি রূপে গণ্য হতে পারে।। |
আশাকরি যে,
দ্বাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় অধ্যায় "বচন" অধ্যায় থেকে শেয়ার করা-
Difference Between Sentence And Proposition || বাক্য এবং বচনের মধ্যে পার্থক্য Or বাক্য ও বচনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে নোটটি তোমাদের কাজে আসবে।।