Class 9 History Question Answer 2023 |
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে 'WBBSE Class 9 History Question Answer Chapter 3' নবম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় উনবিংশ শতকের ইউরোপ রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত (WBBSE Class 9 History Question Answer & Notes in Bengali) অধ্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ 2 মার্কের প্রশ্ন উওর (WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এটি প্রথম পর্ব। পরবর্তীকালে আমরা এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ 2 মার্কের প্রশ্ন উওর ( WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) এর বাকি Part গুলো শেয়ার করবো
WBBSE Class 9 History Question Answer 2023 || নবম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের 2 Mark এর প্রশ্ন উওর
প্রশ্ন:- জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : জাতীয়তাবাদ হল একটি ভাবগত ধারণা। ভাষা, ধর্ম, সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রভৃতি কোনো একটি কারণে যখন একটি দেশের আপামর জনগণের মধ্যে গভীর একাত্মবোধ জন্মায় এবং এই জনগণের প্রতিটি অংশ যখন নিজেদের একে অপরের সুখদুঃখের সঙ্গী বলে মনে করে, তখন সেই গণ-অনুভূতিকে জাতীয়তাবাদ বলা হয়। উনিশ শতকে জার্মানি, ইটালি, স্পেন, পোল্যান্ড প্রভৃতি দেশে জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ঘটেছিল।
প্রশ্নঃ-, জাতি-রাষ্ট্র বলতে কী বোঝো?
উওর : রাষ্ট্র কথাটির সঙ্গে জাতি ও রাষ্ট্র শব্দটি দুটি রয়েছে, তাই জাতি-রাষ্ট্রের মাধ্যমে জাতি ও রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য বোঝানো হয়। সাংস্কৃতিক ও জাতিগত স্বাতন্ত্রাযুক্ত একটি জাতির সার্বভৌম কর্তৃত্বযুক্ত ভৌগোলিক অঞ্চল জাতি রাষ্ট্র নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ- জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভবের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভবের দুটি কারণ হল- • ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে সম্পাদিত ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির রাষ্ট্রগুলির উপর থেকে পোপের কর্তৃত্বের মুক্তি ঘটে; যা রাষ্ট্রকে সার্বভৌম করে তুলেছিল।
• জাতীয়তাবাদী আন্দোলতে মাধ্যমে দেশ থেকে বিদেশি শাসনের অবসান ও জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে।
প্রশ্নঃ- উনিশ শতকের ইউরোপে পরিবর্তনমুখী ও পরিবর্তন বিরোধী শক্তি বলতে কী বোঝো?
উত্তর : উনিশ শতকে নেপোলিয়নের পতনের পর ইউরোপে উদ্ভূত পরিবর্তনমুখী শক্তি ছিল জাতীয়তাবাদ, গ উদারনীতিবাদ ও সমাজতন্ত্র, পক্ষান্তরে পরিবর্তন বিরোধী শক্তি ছিল রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও চার্চতন্ত্র।
প্রশ্নঃ- উনিশ শতকের প্রথমার্ধে কীভাবে ইউরোপে রাজতন্ত্রের সংরক্ষণ করা হয়েছিল?
উত্তর: উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপে রাজতন্ত্রের সংরক্ষণ যেভাবে করা হয়েছিল,
তা হল-
• ভিয়েনা (১৮১৫ খ্রি.) নায্য অধিকার নীতি অনুসারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
• মেটারনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজতন্ত্র বিরোধী জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে প্রতিহত করে রাজতন্ত্রকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্নঃ- ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালের ইউরোপে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করো।
উওর : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালের ইউরোপে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রগুলি ছিল পোল্যান্ড, গ্রিস, স্পেন বেলজিয়ান, জার্মানি ও ইটালি
প্রশ্নঃ- ভিয়েনা সম্মেলন কবে, কেন আহুত হয়েছিল?
উত্তর : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলন আহুত হয়েছিল। নেপোলিয়নের পতনের ফলে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে
ইউরোপের রাষ্ট্রব্যবস্থার পুনর্গঠন ও পুনর্বণ্টনের উদ্দেশ্যে ভিয়েনা সম্মেলন বসেছিল।
প্রশ্নঃ- ভিয়েনা সম্মেলনে কোন চারটি শক্তির প্রাধান্য ছিল?
উওর : ভিয়েনা সম্মেলনে অস্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, রাশিয়া ও ইংল্যান্ড এই চারটি শক্তির প্রাধান্য ছিল।
প্রশ্ন- ভিয়েনা সম্মেলনের গৃহীত নীতিগুলি কী ছিল?
উওর : ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলি ছিল ন্যায্য অধিকার নীতি, ক্ষতিপুরণ নীতি এবং শক্তিসাম্য নীতি।
প্রশ্নঃ - ভিয়েনা সম্মেলনে বৃহৎ চতুঃশক্তিবর্গের (ইংল্যান্ড, প্রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও রাশিয়া) প্রতিনিধি কারা ছিলেন?
উওর : ভিয়েনা সম্মেলনে বৃহৎ চতুঃশক্তিবর্গের প্রতিনিধি ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসালরি, প্রাশিয়ার প্রিন্স
হার্ডেনবার্গ, অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক এবং রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার।
প্রশ্ন:- পবিত্র চুক্তি কবে গৃহীত হয়? এই চুক্তির প্রধান উদ্যোক্তা কে ছিলেন?
উওর : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে এই চুক্তি সাধিত হয়। রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার এই চুক্তির প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন।
প্রশ্নঃ- ইউরোপের ইতিহাসে কোন যুগকে “মেটারনিকের যুগ” বলা হয় কেন?
উত্তর: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী তিরিশ বছরের ইউরোপের ইতিহাস মেটারনিকের
যুগ (Age of Mettermich) নামে পরিচিত। অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক (১৮০৯-৪৮ খ্রি.) এই যুগে ইউরোপীয় রাজনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক ছিলেন।
প্রশ্ন- মেটারনিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়!
উত্তর : অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক ছিলেন বিপ্লবের ঘোর বিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শে বিশ্বাসী। তাই তিনি ইউরোপে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য রক্ষা করা; ভিয়েনা চুক্তির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা করা এবং ফরাসি বিপ্লবের আদর্শের বিরোধিতা করার উদ্দেশ্যে নিজের স্বদেশ তথা ইউরোপে যে প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তা মেটারনিক ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:- কার্লসবাড নির্দেশ কী?
উওর : ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জার্মানিতে বিপ্লব-বিরোধী দমন-নীতি গ্রহণের জন্য মেটারনিকের ইঙ্গিতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, 'তা 'কার্লসবাড' নামে পরিচিত।
এই নির্দেশের দুটি দিক হল –
১, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন ও সংগঠনের নিষিদ্ধকরণ এবং ২, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ।
প্রশ্নঃ - ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব (১৮৩০ খ্রি.)-এর সময়ে কে ফ্রান্সের রাজা ছিলেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লবের সময়ে দশম চার্লস ফ্রান্সের রাজা ছিলেন এবং তাঁর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পলিগ্ন্যাক।
প্রশ্নঃ-১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই বিপ্লবের তাৎক্ষণিক কারণগুলি কী কী?
উত্তর : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে রাজা দশম চার্লসের মন্ত্রী পলিগ্ন্যাক চারটি অর্ডিনান্স চালু করেন। এগুলি হল—
• প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়া হয়,
• ভোটদাতাদের সংখ্যা হ্রাস করা হয়
• সংবাদপত্রের স্বাধীনতাহরণ করা হয় এবং জাতীয় সভার নতুন নির্বাচনের আদেশ দেওয়া হয়। এগুলিই ছিল জুলাই বিপ্লবের তাৎক্ষণিক কারণ।
প্রশ্ন:- জুলাই অর্ডিন্যান্স কী?
উত্তর : ফরাসি রাজা দশম চার্লসের মন্ত্রী
১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই নামে যে চারটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন তা জুলাই
অর্ডিন্যান্স নামে পরিচিত। এগুলি হল-
(১) প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়া;
(২) ভোটদাতার সংখ্যা হ্রাস করা;
(৩) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ এবং
(৪) জাতীয় সভার নতুন নির্বাচনের আদেশ দান সংক্রান্ত।
প্রশ্ন- ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লবের সময়ে কে নতুন রাজা হয়েছিলেন। তিনি কোন্ বংশের লোক ছিলেন?
উত্তর : জুলাই বিপ্লবের সময় লুই ফিলিপ ফ্রান্সের রাজা হন। তিনি অর্লিয়ান্স রাজবংশের লোক ছিলেন।
প্রশ্নঃ- জুলাই রাজতন্ত্র' কার রাজত্বকে বলা হয়। কোন বছর ওই রাজতন্ত্র শেষ হয়।
উত্তর: জুলাই রাজতন্ত্র' লুই ফিলিপের রাজত্বকে বলা। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই রাজতন্ত্রের অবসান হয়।।
প্রশ্ন- ফেব্রুয়ারি-বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবং সমাজতন্ত্রী দলের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর: ফেব্রুয়ারি-বিপ্লবের সময় গিজো ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং সমাজতন্ত্রী দলের নেতা ছিলেন লুই ব্ল্যাঙ্ক।