Class 9 History Question Answer 2023 |
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে 'WBBSE Class 9 History Question Answer Chapter 3' নবম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় উনবিংশ শতকের ইউরোপ রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত (WBBSE Class 9 History Question Answer & Notes in Bengali) অধ্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ 2 মার্কের প্রশ্ন উওর (WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এটি দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে আমরা এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ 2 মার্কের প্রশ্ন উওর ( WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) এর 2 টা Part শেয়ার করেছি। তোমরা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সেগুলো দেখতে পারো।
WB Board Class 9 History Question Answer 2023 Part 3 || নবম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের 2 Mark এর প্রশ্ন উওর
প্রশ্নঃ- কোন দুইটি রাজ্যকে কেন্দ্র করে প্রাশিয়ার সঙ্গে ডেনমার্কের সংঘর্ষ বাধে এবং কোন্ চুক্তির দ্বারা এই নিষ্পত্তি হয়?
উত্তর : শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন এই দুইটি ছোটো রাজ্যখণ্ডকে কেন্দ্র করে ডেনমার্কের সঙ্গে প্রাশিয়ার সংঘর্ষ দেখা দেয় এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনার চুক্তি দ্বারা এই যুদ্ধের নিষ্পত্তি হয়।
প্রশ্নঃ- অস্ট্রিয়া কবে, কোন যুদ্ধে প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়?
উত্তর: ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে, স্যাডোয়ার যুদ্ধে অস্ট্রিয়া প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়।
প্রশ্ন:-, কোন্ কোন্ যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্যকরণ ঘটে।
উত্তর: ডেনমার্ক-প্রাশিয়া যুদ্ধ ও অস্ট্রিয়া প্রাশিয়া যুদ্ধ এবং ফ্রান্স-প্রাশিয়া যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্যকরণ ঘটে।
প্রশ্ন : - স্যাডোয়ার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে কে পরাজিত হয়?
উত্তর : স্যাডোয়ার যুদ্ধ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে (জুলাই) অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।
প্রশ্ন : ফ্রান্স কোন যুদ্ধে প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়? কোন চুক্তি দ্বারা ফ্রাঙ্কো-প্রাশিয়ান যুদ্ধের নিষ্পত্তি ঘটে।
উওর : ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ফ্রাঙ্কফুর্টের সন্ধি দ্বারা (মে, ১৮৭১ খ্রি.) এই যুদ্ধের নিষ্পত্তি ঘটে।
প্রশ্নঃ - এমস্ টেলিগ্রাম কী?
উওর : এমস্ (Ems) নামক স্থানে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনেদিতি প্রাশিয়ার রাজা উইলিয়ামের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভবিষ্যতে স্পেনের সিংহাসনে প্রাশিয়ার কোনো দাবি থাকবে না এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দাবি করেন। রাজা উইলিয়াম এই ঘটনার বিবরণ বিসমার্ককে টেলিগ্রাম করে জানালে বিসমার্ক টেলিগ্রামটি এমনভাবে সংশোধিত করে প্রকাশ করেন যাতে ফরাসিরা মনে করে যে তাদের দ্রুত প্রাশিয়ার রাজা কর্তৃক অপমানিত হয়েছেন। এই ঘটনা এমস্ টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ - ফ্রাঙ্কফুর্ট সন্ধির গুরুত্ব কী?
উওর : ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে ফ্রাঙ্কফুর্টের চুক্তির মাধ্যমে- ফ্রান্স আলসাস ও লোরেন জার্মানিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এই সন্ধির ফলেই জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন হয় এবং ও এই সন্ধির পরেই দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
প্রশ্ন: 'হেটাইরিয়া ফিলিকে ক ও করে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : গ্রিসের একটি বৈপ্লবিক সংস্থার নাম ছিল 'হেটাইরিয়া ফিলিকে (বান্ধবসভা)।
১৮১০ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের আধিপত্য থেকে মুক্তি অর্জনের জন্য গ্রিসের বিপ্লবীরা ওডেসায় এই গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রশ্নঃ - কোন্ দেশ ইউরোপের রুগ্ন মানুষ' নামে পরিচিত ছিল এবং কেন?
উত্তর : তুরস্ক ইউরোপের রুগ্ন মানুষ নামে পরিচিত ছিল, কারণ-
• তুরস্ক সাম্রাজ্যবাদ উনিশ শতকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
• ইউরোপের বঙ্কান অঞ্চলে তুরস্ক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী মুক্তি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, যা প্রতিহত করতে তুরস্ক ব্যর্থ হয়েছিল।
প্রশ্ন - বল্কান জাতীয়তাবাদের উদ্ভবের দুটি কারণ কী ছিল?
উওর : বল্কান জাতীয়তাবাদের উদ্ভবের দুটি কারণ ছিল-
• ফরাসি বিপ্লবের আদর্শের প্রভাব ও নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যবাদের প্রতিক্রিয়া।
• বল্কান অঞ্চলের জনগণের ওপর তুর্কি-শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার এবং রাশিয়া কর্তৃক বল্কান অঞ্চলের জাতীয়তাবাদের মদত দান।
প্রশ্নঃ - ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ধর্মীয় কারণ কী ছিল?
উত্তর: প্যালেস্টাইনের খ্রিস্টান ধর্মস্থানগুলির উপর আধিপত্য স্থাপনের প্রচেষ্টা ছিল ক্রিমিয়ার যুদ্ধের অন্যতম ধর্মীয় কারণ। ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন এই ধর্মস্থানগুলির উপর থেকে গ্রিক খ্রিস্টানদের আধিপত্য দূর করে ক্যাথলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর রাশিয়া পুনরায় এই অঞ্চলে গ্রিক খ্রিস্টান আধিপত্য দাবি করে এবং একে কেন্দ্র করেই কিমিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
প্রশ্নঃ - ক্রিমিয়ার যুদ্ধের দুটি ফলাফল লেখো।
উত্তর : ক্রিমিয়ার যুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ
ফলাফল ছিল—
১, এই যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয় এবং ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের
সন্ধি করতে বাধা হয়।
২, তুরস্ক সাম্রাজ্য ব্যাপক ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় এবং বন্ধান জাতীয়তাবাদ তীব্র হয়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ- আদ্রিয়ানোপল-এর সন্ধির (১৮২৯ খ্রি.) গুরুত্ব কী ম
উত্তর : আদ্রিয়ানঅপল সন্ধির মাধ্যমে তুরস্কের সুলতান নতিস্বীকার করেন এবং ও গ্রিস তুরস্ক সাম্রাজ্যের মধ্যে একটি স্বশাসিত রাষ্ট্ররূপে স্বীকৃতি লাভ করে।
প্রশ্ন - বার্লিন সন্ধি কোন সালে স্বাক্ষরিত হয়? কে এর উদ্যোক্তা ছিলেন?
উত্তর: ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে বার্লিন সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। জার্মানির প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ছিলেন এই সন্ধির প্রধান উদ্যোক্তা
প্রশ্নঃ - 'মুক্তির ঘোষণা' কী? অথবা, ভূমিদাসদের মুক্তির সনদ কে, কবে ঘোষণা করেন?
উওর : জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় অমানবিক ভূমিদাস প্রথা অবসানের জন্য যে আইন প্রণয়ন করেন, তা মুক্তির ঘোষণা নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ 'মির' বলতে কী বোঝায়?
উওর : মির বলতে রাশিয়ার গ্রাম্য সমিতিকে বোঝানো হত। মির একারণেই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল যে, জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ায় ভূমিদাস-প্রথার বিলোপসাধন করেন। অবশ্য ভূমিদাসগণ মুক্তি লাভ করে জমির মালিকানা পায়নি।। মুক্তিপ্রাপ্ত ভূমিদাসদের 'মির' বা গ্রাম্য সমবায় সমিতির নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।।
প্রশ্নঃ - কবে ও কীভাবে জার দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার নিহত হন?
উওর : ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার নিহিলিস্ট তথা বিপ্লবীদের বোমার আঘাতে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার নিহত হন।
প্রশ্ন :- রাশিয়ায় ভূমিদাসরা কেন প্রকৃত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায়নি?
উত্তর: রাশিয়ায় ভূমিদাসরা ভূমিদাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কৃষকদের ব্যক্তিগতভাবে জমির মালিকানা না দিয়ে তাদের 'মির' নামক গ্রাম্য সমবায় সমিতির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। ফলে ভূমিদাসরা প্রকৃত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায়নি।
প্রশ্ন:- জেমস্ততো কাকে বলে?
উত্তর: রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ায় নানা রকমের সংস্কারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করার জন্য তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার প্রচলন করেন এবং এই উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রতিনিধিসভার হাতে আঞ্চলিক শাসনতার আংশিক তুলে দেন। এইসব স্থানীয় প্রতিনিধিসভা জেমস্তড়ো নামে পরিচিত ছিল।
প্রশ্ন- নিহিলিস্টদের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের রাজত্বকালে সে দেশে যে বিপ্লবী আন্দোলন শুরু হয় তা নিহিলিস্ট আন্দোলন নামে পরিচিত। রাশিয়ার শিক্ষিত সম্প্রদায় উপলব্ধি করে যে প্রচলিত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর বিলোপসাধন না করলে সেদেশের প্রকৃত উন্নতি ঘটবে না। তাই তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনার উদ্দেশ্যে একটি কেন্দ্রীয় গুপ্ত সমিতি (Land and liberty) গঠন করে। প্রচলিত ব্যবস্থাকে অস্বীকার করা ও হিংসাত্মকভাবে ধ্বংস করা তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।