1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল || HS History Question Answer & Notes

0

 

1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল || HS History Question Answer & Notes
1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল

আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশ সমূহ (West Bengal Board Class 12 History Question Answer & Suggestion 2023) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা বিষয় '1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো' প্রশ্নটির উওর ( wb class 12 modern history notes ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এবং উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্যান্য ক্লাসের নোটস (class 12 history notes and suggestion ) পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে থাকো।।

1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল 


ভূমিকাঃ- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্রিটেন যখন প্রথম থেকে চাপের মুখে ছিল। ঠিক সেই সময় ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনীর আক্রমণ, ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের ভীত গড়ে তোলে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর আক্রমণ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতে নৌ বিদ্রোহ শুরু হয়। ভারতের পরিস্থিতি সবচাইতে জটিল করে তুলেছিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ব্রিটিশের বাহিনীর অন্তর্গত ভারতীয় নৌ বিদ্রোহ। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া নৌবিদ্রোহের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল 

নৌবাহিনীতে ভারতীয় সেনাদের প্রতি অন্যায়ঃ- 

ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে বর্ণভেদ প্রথা বা বর্ণ বৈষম্য ছিল প্রবল। ব্রিটিশ নৌ বাহিনীতে ভারতীয়রা কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় ইংরেজ সেনারা তাদের অবহেলা,তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার করতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় সৈনিকদের তুলনায় ব্রিটিশ সৈনিকদের অধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো। ভারতীয় জনতা এর প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। যা ছিল নৌ বিদ্রোহরের পেছনে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।

ভারতীয় সৈনিকদের নিম্নমানের খাদ্যপ্রধানঃ- 

ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে ব্রিটিশ সৈণিকদের অথবা শ্বেতাঙ্গ সৈনিকদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অধিক পরিমাণে এবং যথেষ্ট ভালো মানের খাবার দেওয়া হতো। কিন্তু সেখানেই ভারতীয় সৈনিকদের যথেষ্ট পরিমাণে নিম্নমানের এবং কম খাবার দেওয়া হতো।  ভারতীয় সৈনিকরা উচ্চ পদস্থ কর্মচারীদের কাছে এর প্রতিবাদ করলেও তারা কখনোই ভারতীয় সৈনিকদের কথায় কর্ণপাত করেনি।

ভারতীয় সৈনিকদের বেকারত্ব বৃদ্ধিঃ- 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে অনেক সেনা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ব্রিটিশ নৌবাহিনী থেকে ভারতীয় সৈনিকদের ছাটাই করা শুরু হয়। যার ফলে বহু ভারতীয় যুবককে বেকারত্বের সম্মুখীন হতে হয়।। 

আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রভাবঃ- 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে সুগঠিতে ভাবে গড়ে ওঠা আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতের ব্রিটিশ সরকারের উৎখাতের জন্য আক্রমণ চালায়।কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের বিচার করার জন্য লালকেল্লায় তাদের আটকে রাখা হয়। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ,তাদের বীরত্ব ভারতীয় নৌসেনাদের যথেষ্ট প্রভাবিত করে। এবং তারাও এর সমর্থনে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের উৎখাতে আগ্রহী হয়। তাই বিভিন্ন কারণে ভারতীয় নৌ সেনারা ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি নৌ বিদ্রোহ শুরু করে।  

নৌ বিদ্রোহের ফলাফলঃ- 

নৌ বিদ্রোহীদের জাতীয় নেতাদের সমর্থন না পাওয়া, অ্যাডমিরাল গডফ্রের হুমকি এবং প্রত্যক্ষ খন্ড যুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষতির পর নৌবিদ্রোহরা ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। যার ফলে নৌ বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। কিন্তু এই নৌবিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যেমন - 

ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণাঃ-

নৌবিদ্রোহ যে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই। ভারতীয় সেনাদের ওপর নির্ভর করে আর যে ভারত শাসন করা সম্ভব নয়, এ কথা ব্রিটিশ সরকার স্পষ্ট বুঝতে পারে। এক কথায়, এই বিদ্রোহ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করে।

মন্ত্রী মিশনের আগমনঃ- 

রজনী পামদত্তের মতে, নৌবিদ্রোহের ফলে আতঙ্কিত ইংরেজ সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভারতের স্বাধীন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের সঙ্গে আলোচনা করতে মন্ত্রী মিশনকে ভারতে পাঠায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি নৌবিদ্রোহ শুরু হয় এবং পরের দিন ভারতে মন্ত্রী মিশন পাঠানোর কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। বলভাবে বৃদ্ধি

ভারত ত্যাগের ভাবনাঃ- কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেন, নৌবিদ্রোহে ভারতীয় সেনা ও সাধারণ মানুষের রক্ত এক আর্চিবাল্ড ওয়াে অভিন্ন আদর্শে একসঙ্গে মিশে যায়। ভারতে এরূপ আরও একটি বিদ্রোহ শুরু হলে তার পরিণাম যে কী ভয়ংকর হবে কর্তৃত্বের দিন প্র তা বুঝতে পেরে ব্রিটিশ সরকার শীঘ্রই ভারত ত্যাগের কথা ভাবতে শুরু করে।

মূল্যায়নঃ- 

পরিশেষে বলা যায়,সনৌ বিদ্রোহ অল্প সময়ের মধ্যেই যে ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল,তা যদি জাতীয় নেতাদের সমর্থন লাভ করতো তাহলে এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটতে পারতো। কিন্তু জাতীয় তাদের সমর্থন না পাওয়ায় এই বিদ্রোহের বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যার ফলে সেই বিদ্রোহ সেরকম ভাবেও তাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পারেনি। কিন্তু তা সত্বেও এই বিদ্রোহ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।


আশাকরি, দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশ সমূহ (West Bengal Board Class 12 History Question Answer & Suggestion 2023) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা বিষয় '1946 খ্রিষ্টাব্দের নৌবিদ্রোহের কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো' সম্পর্কে যে নোট দেওয়া হয়েছে, তা তোমাদের কাজে আসবে।।

Tags : 

Class 12 history notes | hs history suggestion | wb class 12 history question answer and suggestion 2023 | modern indian history question answer | modern Indian history notes | history question answer of modern India | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | wb class 12 History question answer  | hs History question answer | উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top