Class 9 History Question Answer 2023 |
আজের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীউ সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ (WBBSE Class 9 History Question Answer & Notes in Bengali) অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু 2 Mark এর L.A Question Answer ( WBBSE Class 9 Question Answer & Suggestion 2023 ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
WBBSE Class 9 History Question Answer 2023 || Class 9 History 2 Mark এর Question Answer & Suggestion
প্রশ্নঃ , নেপোলিয়ন কেন বিপ্লবের তরবারি নামে পরিচিত?
উওর : নেপোলিয়ন বিপ্লবের তরবারি নামে পরিচিত, কারণ : ফরাসি বিপ্লবকালে তিনি বিভিন্নভাবে বিপ্লবকে রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছিলেন। ও প্রথম কনসাল ও সম্রাটরূপে তিনি ফ্রান্সকে কেন্দ্র করে প্রায় গোটা ইউরোপে ফরাসি সাম্রা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে দেশে ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা ছড়িয়ে দেন। প্রশ্ন - কীভাবে নেপোলিয়ন পোল্যান্ডের পুনর্গঠন করেন?
উওর : পোল্যান্ডের পুনর্গঠনের জন্য নেপোলিয়ন- নিজের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন; ও কোড নেপোলিয়নের প্রয়োগ, পোল্যান্ডকে আধুনিক করে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্নঃ - নেপোলিয়নের রাশিয়া আক্রমণের কারণ কী ছিল?
উত্তর: নেপোলিয়ন কর্তৃক রাশিয়া আক্রমণের কারণগুলি হল- ১) নিকট প্রাচ্যে রাশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রচেষ্টা নেপোলিয়নের কাম্য ছিল না। ও মহাদেশীয় ব্যবস্থাকে রাশিয়া কার্যকর করলেও শেষপর্যন্ত বিভিন্ন দাবীকে কেন্দ্র করে নেপোলিয়নের কাছে একটি চরমপত্র পাঠায়। নেপোলিয়ন এই চরমপত্র মেনে নিতে রাজি ছিলেন না, তাই তিনি রাশিয়া আক্রমণ করেন।
প্রশ্ন: গ্রান্ড আর্মি বলতে কী বোঝায়?
উওর- উপদ্বীপীয় যুদ্ধকালেই বিভিন্ন কারণে নেপোলিয়ন রাশিয়া অভিযান করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি তিন লক্ষ ফরাসি সৈন্যের সঙ্গে মিত্র দেশের তিন লক্ষ সৈনা নিয়ে মোট ৬ লক্ষ সৈন্যের একটি সৈনাবাহিনী গঠন করেন যা গ্রান্ড আর্মি নামে। পরিচিত। কিন্তু রাশিয়া অভিযানে গিয়ে নেপোলিয়নের এই আর্মি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ - নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানের পরিণতি কী ছিল?
উওর : নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানের পরিণতি ছিল-
• নেপোলিয়নের গ্রান্ড আর্মি এই অভিযানে বিপর্যস্ত হয়।
• এই অভিযানের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে নেপোলিয়নের ৬ লক্ষ সৈন্যের মধ্যে মাত্র ৩০ হাজার সৈন্য অবশিষ্ট ছিল।
• নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানের ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে নেপোলিয়নের অপরাজেয় গরিমা স্নান হয়ে যায় এবং রাশিয়া ও প্রাশিয়ায় নেপোলিয়ন বিরোধী জোট গঠিত হয়।
প্রশ্নঃ চতুর্থ রাষ্ট্রজোট কী?
উত্তর : নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ( ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন বিরোধী যে রাষ্ট্রজোট গড়ে উঠেছিল তা চতুর্থ রাষ্ট্রজোট নামে পরিচিত। ও রাশিয়া, প্রাশিয়া, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন প্রভৃতি ১৩টি ইউরোপীয় দেশ এই জোটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রশ্নঃ রাইনের রাষ্ট্রসংঘ বা Confederation of the Rhine কী?
উত্তর : ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের অবলুপ্তি ঘটিয়ে অস্ট্রিয়া ছাড়া অন্যান্য জার্মান রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে যে রাষ্ট্রসংঘ গঠন করেন তা Confederation of the Rhine নামে পরিগণিত হয়। এই সংঘের কয়েকটি দিক হল (১) দক্ষিণ ও পশ্চিম জার্মানির বোলোটি রাজ্য এই সংঘের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২, এই সংঘের ফলে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে রাইন নদীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং জার্মানির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজাগুলির স্বতন্ত্র সত্তা বিনষ্ট হয়।
প্রশ্ন: ১৮০১-এর কনকরডটি কী ছিল?
উত্তর: ধর্মীয় ক্ষেত্রে সংহতি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নেপোলিয়ান রোমান পোপের সঙ্গে যে আপস মীমাংসা করেন তা 'কনকরাভাট' (১৮০১ খ্রি.) নামে পরিচিত। এই মীমাংসা চুক্তির শর্তানুসারে ( ফ্রান্সের সব বিশপকে পদত্যাগ করতে হয়। ২,যাজকদের সরাসরি রাজকোশ থেকে বেতন দানের ব্যবস্থা করা হয়। ৩, ক্যাথলিক ধর্মমতকে ফ্রান্সের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মমত বলে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ৪, চার্চের ভূসম্পত্তি আগের মতো বাজেয়াপ্ত অবস্থায় রাখা হয়।
প্রশ্ন:, 'জাতিসমূহের যুদ্ধ' বলতে কী বোঝায়। উত্তর: নেপোলিয়নের ক্রুশ অভিযানে ব্যর্থতার পর ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহ জোটবন্ধ হয়ে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে তৈরি হয়। নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা চতুর্থ ইউরোপীয় শক্তিজোটের লড়াই “জাতিসমূহের মুক্তিযুদ্ধ” (Battle of the Nations, ১৮১৩ খ্রি.) নামে পরিচিত। লাইপজিগের যুদ্ধকে (অক্টোবর, ১৮১০ খ্রি.) জাতিসমূহের যুদ্ধ বলা হয়।
প্রশ্ন :- উপদ্বীপের যুগ্ম বলতে কী বোঝায়। উত্তর : ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগাল ও স্পেনে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যে গণ-অভ্যুত্থান ও জাতীয়তাবাদী মুক্তি আন্দোলনের জন্য যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল তা উপদ্বীপের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ নেপোলিয়নের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল।
প্রশ্ন , মহাদেশীয় প্রথা কী?
উত্তর : ফ্রাদের চিরশত্রু ইংল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য পঙ্গু করার জন্য নেপোলিয়ন ১৮০৮ থেকে ১৮১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে যে অর্থনৈতিক অবরোধ নীতি গ্রহণ করেছিলেন, তা মহাদেশীয় প্রথা (Continental system) নামে পরিচিত। এই প্রথা বলবৎ করতে গিয়ে নেপোলিয়ন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন যার ফলে ফ্রান্স অপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন:- বার্লিন নির্দেশ কী?
উত্তর : ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে নেপোলিয়ন বার্লিন নির্দেশ (Barlin decree) জারি করে সমগ্র ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ অবরোধের নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুসারে সমস্ত ফরাসি বন্দরে ব্রিটেন অথবা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলি থেকে সমস্ত জাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রশ্ন:- অর্ডারস-ইন-কাউন্সিল কেন প্রবর্তন করা হয়েছিল?
উত্তর : ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ জারি করে ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ব্যাবসাবাণিজ্য বন্ধ করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড অর্ডারস্-ইন-কাউন্সিল নামক ঘোষণা (১৮০৭ খ্রি.) জারি করে ফ্রান্সের অধীন রাজ্য বা দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য নিবিন্ধ বলে ঘোষণা করে।
প্রশ্ন :- মহাদেশীয় অবরোধের ফলাফল কী হয়েছিল?
উওর : - মহাদেশীয় অবরোধের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল ছিল - ১,মহাদেশীয় অবরোধের ফলে ফ্রান্স-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইংল্যান্ডর্জাত অত্যাবশ্যকীয় প্রব্যসামগ্রীর জোগানে ঘাটতি, মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যাভাব দেখা দেয়; ২,নেপোলিয়নের মিত্রদেশগুলি মহাদেশীয় অবরোধ কার্যকর করে বিপদগ্রস্ত হয়েছিল; ৩,স্পেন, পোর্তুগাল, প্রাশিয়া, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ মহাদেশীয় ব্যবস্থা মানতে অস্বীকার করে। ৪, নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এর ফলে নেপোলিয়নের পতন ত্বরান্বিত হয়।
প্রশ্ন: -, ওয়াটারলুর যুদ্ধ করে এবং কোন কোন দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ওয়াটারলুর যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন:- ওয়াটারলুর যুদ্ধ কবে হয়েছিল। এই যুদ্ধের বিজয়ী পক্ষের সেনানায়ক কে ছিলেন। উত্তর : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন ওয়াটারলুর যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে বিজয়ী পক্ষের সেনানায়কদের ছিলেন ব্রিটিশ সেনাপতি ওয়েলিংটন।
প্রশ্ন :- 'একশো দিনের রাজত্ব' কী?
উত্তর : নেপোলিয়ন এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হওয়ার পর পরিস্থিতির সদব্যবহার করে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ফ্রান্সে প্রত্যাবর্তন করেন ও ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। ওইদিন থেকে তিনি মোট ১০০ দিন রাজত্ব করেছিলেন (২০ মার্চ, ১৮১৫ খ্রি.-২২ জুন, ১৮১৫ খ্রি.), যা একশো দিনের রাজত্ব' নামে পরিচিত। ছিল?
প্রশ্ন: ৩.৩৬ ওয়াটারলুর যুদ্ধের গুরুত্ব কী
উত্তর:- ওয়াটারলুর যুদ্ধের গুরুত্ব হল- ( এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন ও তাঁকে.এলবা দ্বীপে নির্বাসিত করা হয়। নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী শক্তিবর্গ (প্রাশিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া) ইউরোপের রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের জন্য পুনরায় ভিয়েনা সম্মেলন শুরু করে।
Tags :
নবম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের MCQ | নবম শ্রেণির ইতিহাস MCQ | বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়ীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | ক্লাস 9 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীউ সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ | নবম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর | বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীউ সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | class 9 history 2nd chapter notes | wb class 10 history question answer | wb class 9 history suggestion 2023 | History question answer | History notes | history question answer | history suggestion | history pdf