ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর 2023 |
আজকে আমরা দশম শ্রেণীর( WBBSE class 10 ) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায় বা দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় "ইতিহাসের ধারণা" থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকে আমরা ক্লাস টেনের ইতিহাস ( wbbse class 10 history question answer chapter 1 in Bengali ) প্রথম অধ্যায় "ইতিহাসের ধারণা" থেকে সেই সমস্ত অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ( wb class 10 history chapter 1 question answer ), মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায় বা দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় "ইতিহাসের ধারণা" অধ্যায়ের সমস্ত 2 মার্কের এবং মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায় বা দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় "ইতিহাসের ধারণা" অধ্যায়ের সমস্ত 4 মার্কের প্রশ্ন উওর এবং নোটস তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর 2023 || WBBSE Class 10 History Question Answer And Suggestion 2023
ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর |
1 - কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয়?
উওর : হেরোডোটাস কে
2- কাকের বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাসের জনক বলা হয়?
উওর : থুকিডিডিস কে
3 - কত খ্রিস্টাব্দে অ্যানালস পত্রিকা প্রকাশিত হয়?
উওর : 1929
4 - অ্যানালস পত্রিকার প্রকাশক কারা?
উওর : মার্ক ব্লক এবং লুসিয়েন ফেবর
5 - কে সর্বপ্রথম ভারতের নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চা শুরু করেছিলেন?
উওর : রনজিৎ গুহ
6 - কবে নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চার শুরু হয়?
উওর ; 1960 এর দশকে।
7 - ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়?
উওর : 1721 খ্রিষ্টাব্দে।
8 - কত খ্রিস্টাব্দে আধুনিক অলিম্পিক খেলা শুরু হয়?
উওর : 1896 খ্রিষ্টাব্দে।
9 - কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
উওর : 1877 খ্রিষ্টাব্দে।
10 - ভারতে প্রদর্শিত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র কোনটি?
উওর : মেলোডি অবলাভ
11 - প্রথম ভারতীয় সবাক চলচ্চিত্র কোনটি?
উওর : আলম আরা।
12 - প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্রের নাম কী?
উওর : জামাইষষ্ঠী।
13 - কাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়?
উওর : দাদাসাহেব ফালকে কে
14 - পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
উওর : সত্যজিৎ রায়
15 - কোন দেশকে কেকের দেশ বলা হয়?
উওর ; স্কটল্যান্ডকে
16 - কোথায় ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর লোকাল হিস্ট্রি গড়ে উঠেছে?
উওর ; ব্রিটেনে
17 - পৃথিবীর প্রাচীনতম সামরিক ঘটনা কোনটি?
উওর : kish এর যুদ্ধ।
18 - পৃথিবীর প্রথম সুপরিকল্পিত যুদ্ধের নাম কী?
উওর : মেগিড্ডো।
19 - কত খ্রিস্টাব্দে মহিলাদের নার্সিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করা হয়?
উওর : 1970 এর দশকে।
20 - সত্তও বছর আত্মজীবনী কার লেখা?
উওর : বিপিনচন্দ্র পাল
21 - রবীন্দ্র ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি?
উওর : জীবনস্মৃতি
22 - বিপিনচন্দ্র পালের সত্তর বছর কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উওর : প্রবাসী পত্রিকায়
23 - সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি?
উওর : জীবনের ঝরাপাতা।
24 - জীবনের ঝরাপাতা কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উওর ; দেশ পত্রিকায়।
25 - ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠি গুলি,কে হিন্দিতে অনুবাদ করেছিলেন?
উওর ; মুন্সি প্রেমচাঁদ।
26 - ভারতের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা কোনটি?
উওর : বেঙ্গল গেজেট বা হিকি'স গেজেট।
27 - বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উওর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
28 - বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি কবে প্রকাশিত হয়েছিল?
উওর : 1872 খ্রিস্টাব্দে
29 - সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উওর : দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
30 - সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি কবে প্রথম প্রকাশিত হয়?
উওর : 1858 খ্রিষ্টাব্দে।
31 - সরকারি নথিপত্র কোথায় সংরক্ষণ করা হয়?
উওর : মহাফেজ খানায়।
32 - ভারতের জাতীয় মহাফেজখানা কোথায় অবস্থিত?
উওর : দিল্লিতে।
33 - মোহনবাগান দল কত খ্রিস্টাব্দে আই.এফ.এ শিল্ড জয় করেছিল?
উওর : 1911 খ্রিষ্টাব্দে।
34 - 1911 সালে আই.এফ.এ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান দলের অধিনায়ক কে ছিলেন?
উওর : শিবনাথ ভাদুড়ী।
35 - কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়?
উওর : 1792 খ্রিষ্টাব্দে।
36 - পৃথিবীর প্রাচীনতম খেলার নাম কি?
উওর : মানাকালা।
37- কথাকলি ভারতের কোন রাজ্যের নৃত্য শৈলী?
উওর : কেরালা।
38 - দুটি পরিবেশগত আন্দোলনের নাম লেখ
উওর : নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন এবং চিপকো আন্দোলন।
39 - ছেড়ে আসা গ্রাম কি ধরনের সাহিত্য?
উওর : আত্মজীবনীমূলক এবং স্মৃতিকথামূলক।
40 - কোথায় - " দ্য অ্যানালস " পএিকা গোষ্ঠি - গড়ে উঠেছিল??
উওর : " ফ্রান্সে " 1929 খ্রিষ্টাব্দের।
41 - নতুন সামাজিক ইতিহাসের প্রধান বিষয়বস্তু কী??
উওর- সাধারণ মানুষ।
42 - কবে ইউরোপে ক্রীড়া ইতিহাসের চর্চা শুরু হয়েছিল??
উওর- 1970 এর দশকে।
43 - কোথায় প্রথম অলিম্পিক খেলার শুরু হয়েছিল??
উওর : গ্রিসের অলিম্পিয়া নগরে।
44 - কত খ্রিষ্টাব্দে এবং কার উদ্যোগে আধুনিক অলিম্পিক খেলার শুরু হয়েছিল??
উওর: "1896 খ্রিষ্টাব্দে " " ব্যারেন পিয়ের দ্য কুবার্তিন " এর উদ্যোগে।
45 -কারা ভারতে ফুটবল খেলার প্রবর্তন করেছিল??
উওর : ইংরেজরা।
46 - খেলাধুলার ইতিহাসে ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা করেছেন, এমন একজন ভারতীয়ের নাম লেখো।।
উওর : রোবিয়া মজুমদার।
47 - রসগোল্লার আবিষ্কর্তা কে??
উওর : হারাধন ময়রা।
48 - ভারতের প্রথম স্থানীউ ইতিহাস গ্রন্থটির নাম কি??
উওর- রাজতরঙ্গিনী।
49 - প্রথম বাঙালি পুস্তক বিক্রেতা এবং সংবাদপত্র প্রকাশক কে ছিলেন?
উওর : গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
50 - বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক সংবাদপত্রের নাম কি??
উওর : সংবাদ প্রভাকর।
51 - বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকার নাম কী?
উওর : সমাচার দর্পণ।
52 - বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্রের নাম কি?
উওর : দিগদর্শন
53 - হিস্ট্রি অফ সায়েন্স গ্রন্থটির লেখক কে??
উওর- জে.ডি. বার্নাল।
54 -হিস্ট্রি অব দ্য হিন্দু কেমিস্ট্রি গ্রন্থটির লেখক কে??
উওর : আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
55 - -দ্য সাইলেন্ট স্প্রিং গ্রন্থটি কার লেখা??
উওর : র্যাচেল কারসন।।
দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর || ক্লাস 10 ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা বড় প্রশ্ন উওর
দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |
প্রশ্নঃ নতুন সামাজিক ইতিহাস কী??
উওরঃ নতুন সামাজিক ইতিহাস বলতে সমাজে প্রচলিত ইতিহাস চর্চার বদলে এক নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চাকে বোঝায়। প্রচলিত ইতিহাসচর্চায় শুধুমাত্র সমাজের উচ্চস্তরের বিষয়গুলো যেমন - সমাজের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, সামরিক ও সমাজের বিভিন্ন উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের কাহিনী প্রভৃতি নিয়ে ইতিহাসচর্চা হতো। কিন্তু ১৯৬০-৭০ এর দশকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ইতিহাসচর্চার প্রচলিত দিকগুলোর সাথে সাথে, সমাজের অবহেলিত দিকগুলি -
অর্থাৎ সমাজের নিম্নবিত্ত বা সাধারণ মানুষদের সহ সমগ্র সমাজের ইতিহাসেচর্চা শুরু হয়। ইতিহাস চর্চার সেই দিকটি নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত।।
প্রশ্নঃ নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা কাকে বলে??
উওরঃ ১৯৮০ এর আগের প্রচলিত ইতিহাসচর্চায় শুধুমাত্র সমাজের উচ্চবর্ণ ব্যক্তিদের বা উচ্চস্তরের বিষয় নিয়েই ইতিহাস লেখা হতো। কিন্তু ১৯৮০ ইতিহাস চর্চায় এক নতুন ধারা শুরু হয়। সেই নতুন ইতিহাস চর্চায় সমাজের উচ্চস্তরের সাথে সাথে সমাজের নিম্নবর্গের মানুষ যারা, অর্থা- কৃষক,শ্রমিক সহ সমাজের অন্যান্য অবহেলিত মানুষদের নিয়ে যে ইতিহাসচর্চা শুরু হয়,তাই নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ ভারতীয় খেলার ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ স্বরনীয় কেন??
উওরঃ ভারতের খেলার ইতিহাসের ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ ভারতীয়দের কাছে বিশেষ করে বাঙ্গালী জাতির কাছে বিশেষ ভাবে স্বরনীয় হওয়ার কারণ- হলো-
• ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় ফুটবল দল মোহনবাগান ক্লাবের ছেলেরা খালি পায়ে ইংরেজদের St. Xavier's দলের বুটপরা ইংরেজ খেলোয়াদের বিরুদ্ধে খেলে আই.এফ. এ শিল্ড প্রতিযোগিতা জিতেছিল।
• এই ঘটনা ইংরেজ বিরোধী জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি করে ভারতের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ঘটিয়েছিল।।
• মনে করা হয়, এই ঘটনার পরেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে স্থানান্তরিত করে দিল্লিতে করা হয়েছিল।।
প্রশ্নঃ স্থানীয় ইতিহাস বলতে কাকে বলে??
প্রশ্নঃ পরিবেশের ইতিহাস কী??
উওরঃ যে প্রকার ইতিহাসচর্চার প্রধান আলোচ্য বিষয়বস্তু হলো পরিবেশ, সেই ধরনের ইতিহাসচর্চাকে পরিবেশের ইতিহাসচর্চা বলা হয়।। ১৯৭০'র দশকে এই পরিবেশের ইতিহাস চর্চা শুরু হয়েছিল।। পরিবেশের অর্থাৎ, প্রকৃতি জগতের সঙ্গে মানবসমাজের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইতিহাস অথবা পরিবেশের সঙ্গে জড়িত অতীতের বিভিন্ন ঘটনাবলী নিয়ে যে ইতিহাস চর্চা হয়, তাকে পরিবেশের ইতিহাস বলা হয়।।
প্রশ্নঃ পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী??
বতর্মানে পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং লুণ্ঠন জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।। তাই পরিবেশের কল্যান, এবং পরিবেশ সচেতনতার বাড়ানোর জন্যই পরিবেশের ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রশ্নঃ আত্মজীবনী কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে??
অথবা,
স্মৃতিকথা অথবা আত্মজীবনীকে কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে ব্যবহার করা যায়??
উওরঃ আধুনিক ইতিহাস রচনার উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো কোনো ব্যক্তির আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা।। কারণ ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে স্মৃতিকথা অথবা আত্মজীবনীকে নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।।
• প্রথমত আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা মূলক রচনায় সমাজের নানা স্তরের মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ থাকে,যেগুলি সেই ব্যক্তি নিজের প্রত্যক্ষ করেছেন বা তার জীবনের ঘটনাগুলি ঘটে গিয়েছিল।।
• সেইসব ঘটনা গুলির মাধ্যমে বিভিন্ন সময় কালের ইতিহাস তুলে ধরা থাকে।
• দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন স্মৃতিকথা ও আত্মজীবনী থেকে বিভিন্ন সময়ের সমাজ রাজনীতি ও অর্থনীতির প্রকৃতি সম্পর্কে নানান তথ্য ধারণা পাওয়া যায়,যা ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।।
প্রশ্নঃ বঙ্গদর্শনের যুগ কাকে বলে??
উওরঃ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি যেই সময়কালটা ধরে প্রকাশিত হয়েছিল, সেই সময়কাল পর্যন্ত অর্থাৎ 1872 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1883 খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত সময়কালকে বঙ্গদর্শনের যুগ বলা হয়।।প্রশ্নঃ সরকারি নথিপত্র বলতে কি বোঝায়??
উওরঃ খুব সংক্ষিপ্তাকারে সরকারি নথিপত্র বলতে বিভিন্ন সরকারি পদে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের চিঠিপত্র, রিপোর্ট,আবেদনপত্র ইত্যাদিকে বলা হয় সরকারি নথিপত্র সরকারি।। পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনীর কোনো তথ্য, কোনো সরকারি আধিকারিকদের বিভিন্ন চিঠি, পএ, বা যেকোনো সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন, তাদের দেওয়া বিভিন্ন চিঠি, নির্দেশনামা ইত্যাদিকেই সরকারি নথিপত্র বলে।।
প্রশ্নঃ সরকারি নথিপত্র বলতে কি বোঝায়??
উওরঃ খুব সংক্ষিপ্তাকারে সরকারি নথিপত্র বলতে বিভিন্ন সরকারি পদে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের চিঠিপত্র, রিপোর্ট,আবেদনপত্র ইত্যাদিকে বলা হয় সরকারি নথিপত্র সরকারি।। পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনীর কোনো তথ্য, কোনো সরকারি আধিকারিকদের বিভিন্ন চিঠি, পএ, বা যেকোনো সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন, তাদের দেওয়া বিভিন্ন চিঠি, নির্দেশনামা ইত্যাদিকেই সরকারি নথিপত্র বলে।।
প্রশ্নঃ ইতিহাসে তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের ব্যবহারে দুটি সুবিধা লেখো।।
উওরঃ ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের দুটি সুবিধা-
◆ কম সময়ের অপচয় ; ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অথবা ইতিহাসচর্চক্র ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আমাদের সময় কম লাগে। ইতিহাসের কোনো তথ্য খুজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা যদি কোন বই বা অন্য কোনো উপাদানের সাহায্য নিতে চাই তাহলে সেখানে আমাদের প্রচুর সময়ের অপচয় ঘটে। কিন্তু যদি আমরা সেই তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক কম সময় খরচ হয়। তাই এক্ষেত্রে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় বাঁচে।
◆ সহজলভ্যতা : ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের এমন কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে, যা সাধারণত অনেক বইপত্রেও খুঁজে পাইনা। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট সার্বজনীন হয়ে পড়ায়,বিভিন্ন ব্যক্তিরা অপরকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেটে আপলোড করে থাকে।। যার ফলে ইন্টারনেটের জন্য ইতিহাসের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য তথ্যগুলোও খুঁজে পাওয়া সহজ।
প্রশ্নঃ ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি অসুবিধা লেখ।
উওরঃ
একই বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্যেঃ
ইন্টারনেট হলো বর্তমানে একটি জায়গা,যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো তথ্য দিতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে বাধা দেওয়া হয় না যদি সে ইন্টারনেটের কিছু নিয়ম ভঙ্গ না করে। এবং এর ফলেই ইন্টারনেটে একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন আর্টিকেল বা কনটেন্ট পাওয়া যায়। যখন একজন পাঠক বা গবেষক ইন্টারনেটে কোন কিছু খুঁজে পেতে চান, তখন তার সামনে তথ্য এসে হাজির হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম আলাদা আলাদা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাই এসব ক্ষেত্রে ইতিহাস চর্চায় ইন্টারনেট ব্যবহারের করার একটি বিরাট সমস্যা দেখা যায়।
ভূলতথ্যের উপস্থিতিঃ ইন্টারনেট জগত সবার জন্যই খোলা রয়েছে এবং যে কোনো ব্যক্তি এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করতে পারে। কিন্ত অনেকসময় দেখা যায়,একজন ব্যক্তি হয়তো ভুল করে কোনো একটি তথ্য শেয়ার করেছে। ইন্টারনেট এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারে না,যে যদি কেউ কোনো ভুল তথ্য ইন্টারনেটে শেয়ার করে থাকে। যখন একজন পাঠক সেই ভুল তথ্যটা পড়বে, তখন ইন্টারনেট পাঠককে বলে দিতে পারবে না, যে সেই তথ্যটা ভুল নাকি ঠিক। সেই তথ্যটি ভুল বিচার করা সমস্তটাই পাঠকের উপর নির্ভর করে। কিন্ত অনেকসময় দেখা যায়,একজন পাঠক হয়তো সেই সম্পর্কে জানেন না। এবং পাঠকের সামনে যদি কোনো ভুল তথ্য এসে হাজির হয়,তাহলে পাঠক হয়তো যেই ভুল তথ্য টাকেই সঠিক বলে মনে করলেন। যার ফলে পরবর্তীতে দেখা যায় নানা সমস্যা।
প্রশ্নঃ সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উওরঃ সাময়িক পএ
• সাময়িক পএ বলতে বোঝানো হয়, যা একটি নির্দিষ্ট সময়্যের ব্যবধানে- হয়তো প্রকাশিত হয়।
• সাময়িক পএ গুকি কয়েক দিন অন্তর বা এক সপ্তাহ অথবা এক মাস কিংবা তিন মাস অন্তর অন্তরও প্রকাশিত হয়।
• সাময়িক পত্র গুলির দাম সংবাদপত্রের থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে।
• দিকদর্শন ছিল একটি বিখ্যাত সাময়িক পত্র।।
•সংবাদ পএঃ
• অন্যদিকে সারাদিনের নানা ঘটনাবলি নিয়ে নিয়ে প্রকাশিত পত্রিকা সংবাদপত্র নামে পরিচিত।।
• সংবাদপত্র সাময়িক পত্র থেকে একটু সস্তা হয়।
• যেমন সোমপ্রকাশ ছিল বাংলার একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র।
প্রশ্নঃ ইতিহাসের উপাদান রূপে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কী?
উওরঃ ইতিহাসচর্চার অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র গুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ -
• সংবাদপত্র গুলিতে তৎকালীন সময়ের নানা ঘটনার কথা উল্লেখ করা থাকে। ফলে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা পুরানো দিনের নানা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি।।
• সংবাদপত্রের মাধ্যমে পুরনো দিনের সমাজ সংস্কৃতি এবং সমাজ সংস্কারে বিভিন্ন ব্যক্তির ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে পারা যায়।।
যেমন - উনিশ শতকে ভারতের সমাজ ও ধর্মের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস বা সমাজের ভালো মন্দ প্রচলিত ছিল, সেই সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- সতীদাহ প্রথার বিরোধিতায় দিকদর্শন, এবং নীল বিদ্রোহের স্বপক্ষে জনমত গঠনে হিন্দু প্যাট্রিয়ট, বা ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী সমালোচনার ক্ষেত্রে সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি গ্রন্থটি কিভাবে ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে?
উওরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত জীবনস্মৃতি নামক গ্রন্থটি শুধুমাত্র কবিগুরুর জীবনের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে নয় বরং তার সাথে সাথে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।।
• জীবনস্মৃতি গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ছোটবেলার শিক্ষারম্ভ তাঁর সাহিত্যচর্চা এবং ঠাকুর বাড়ির বিভিন্ন স্বাদেশিকতা, নীতিচর্চার কথা উল্লেখ করেছেন।।
• জীবনস্মৃতি গ্রন্থে রবীনাথ ঠাকুর সেই সময়কার বিভিন্ন ধরনের সমাজ সংস্কার মূলক আন্দোলন, যেমন ব্রাহ্ম আন্দোলন, ধর্ম সংস্কার, জাতীয়তাবাদের বিকাশের কথাও উল্লেখ করেছেন।
• সমাজ, ঠাকুরবাড়ি বাদ দিয়েও, রবীনাথ ঠাকুর বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ কাহিনীর কথা তাঁর এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।।
প্রশ্নঃ ব্রিটিশ সরকার কেন সোমপ্রকাশ সাময়িক পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিল???
সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি মূলত দুটি কারণে তাঁর প্রকাশনা বন্ধ করেছিল।
প্রথমতঃ 1878 খ্রিস্টাব্দে লর্ড লিটন দেশীয় সংবাদপত্র গুলির নির্ভীক সংবাদ প্রকাশ বা সংবাদ পত্র গুলির ব্রিটিশ বিরোধী সমালোচনা মুলক সংবাদ প্রকাশন বন্ধ করার ক্ষেত্রে 1878 খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন অথবা ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট আইন প্রবর্তন করে। লর্ড লিটনের এই কার্যকলাপের পর সোমপ্রকাশ পত্রিকা এই আইনের তীব্র সমালোচনা করায়,সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি ব্রিটিশ সরকারের ক্ষোভের মুখে পড়ে।
দ্বিতীয়তঃ 1878 -80 আফগান যুদ্ধের সময় সোমপ্রকাশ পত্রিকার কাবুলের সংবাদদাতা আফগান যুদ্ধ সম্পর্কে একটি খবর প্রকাশ করে, যাতে বলা হয় যে " ব্রিটিশ সৈন্য কাবুলকে আক্রমণ করার পর তা দখল করে নেবে।
সোমপ্রকাশ পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর লর্ড লিটন যখন এই সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন লর্ড লিটন সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদকের ওপর যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষুব্ধ হন। এবং সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি চব্বিশ পরগনার ম্যাজিস্ট্রেটকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেন। 24 পরগনা ম্যাজিস্ট্রেট সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদককেবতার কার্যকলাপের জন্য 1000 টাকা জরিমানা করেন। তিনি সম্পাদক দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ সেই জরিমানা দিতে রাজি হন না। তিনি বদলে সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রকাশনা 1 বছরের জন্য বন্ধ করে দেন।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কাকে বলে | আত্মজীবনী অথবা স্মৃতিকথাকে কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |
Table Of Contents
• আত্মজীবনী কাকে বলে?
• স্মৃতিকথা কাকে বলে
• আত্মজীবনী অথবা স্মৃতিকথাকে
কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
• ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব
• স্মৃতিকথা কাকে বলে
• আত্মজীবনী অথবা স্মৃতিকথাকে
কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
• ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কাকে বলে | আত্মজীবনী অথবা স্মৃতিকথাকে কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
স্মৃতিকথা : স্মৃতিকথা কথা বলতে প্রধানত বোঝায় লেখককে জীবনে ঘটে যাওয়ার জন্য স্মৃতিমূলক ঘটনার বর্ণনা যা সাহিত্য আকারে লেখা অথবা, যে অ-উপন্যাসধর্মী সাহিত্যে লেখক তার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন স্বৃতি মূলক ঘটনার কাহিনি তুলে ধরেন,তাকে বলে স্মৃতিকথা।
যেমন - দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের " ছেড়ে আসা গ্রাম " হিরণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের " উদ্বাস্তু " হলো কিছু বিখ্যাত স্মৃতিকথা।
আত্মজীবনী : আত্মজীবনী হলো সেই ধরনের অ-উপন্যাসধর্মী সাহিত্য যেখানে লেখকের জীবনে ঘটে প্রায় সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে থাকেন। যেমন, বিপিনচন্দ্র পালের " সত্তর বছর ", সরলা দেবী চৌধুরানীর " জীবনের ঝরাপাতা " এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " জীবনস্মৃতি " হলো বিখ্যাত কিছু আত্মজীবনী।
▪ আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো এটাই যে,আত্মজীবনীতে লেখক তাঁর জীবনের প্রায় সমস্ত ঘটনার উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু স্মৃতিকথায় লেখক শুধুমাত্র তার জীবনের বিশেষ কিছু স্মৃতির কথা উল্লেখ করে থাকেন।
• আত্মজীবনী হলো লেখকের জীবন কাহিনীর আখ্যান অন্যদিকে স্মৃতিকথা হলো লেখকের জীবনের কিছু স্মরণীয় ঘটনার কাহিনি।
স্মৃতিকথা অথবা আত্মজীবনী কে কিভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে ব্যবহার করা যায়? | ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার অথবা ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে স্মৃতিকথা এবং আত্মজীবনীর গুরুত্ব রয়েছে অনেকখানি। ইতিহাস চর্চার অন্যান্য উপাদান গুলির মত স্মৃতিকথা এবং আত্মজীবনী গুরুত্বপূর্ণ,,তার কারণ
প্রথমতঃ আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা মূলক গ্রন্থ আমরা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ পেয়ে থাকি। যা আমাদের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।। কারণ আত্মজীবনীমূলক ও স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থের আমরা যে সমস্ত ঘটনার বিবরণ পাই, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য হয়।
দ্বিতীয়তঃ আত্মজীবনীমূলক বা স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থের আমরা ইতিহাসের এমন কিছু ঘটনার বিবরণ পেয়ে থাকি,যা তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র অথবা ইতিহাস চর্চার অন্য কোনো উপাদানে পাইনা।
তৃতীয়তঃ এই ধরনের রচনা সমাজের নানা স্তরের বিভিন্ন মানুষের কথা উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন সামাজিক ঘটনার উল্লেখ। লেখক আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথায় সেই সমস্ত ঘটনার উল্লেখ করে থাকে, যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।
বিপিনচন্দ্র পালের " সত্তর বৎসর ", দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের " ছেড়ে আসা গ্রাম " হিরণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের " উদ্বাস্তু " - এইসমস্ত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা মূলক গ্রন্থে আমরা ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ পেয়ে থাকি। যেমন বিভিন্ন বিপিনচন্দ্র পালের লেখা সত্তর বছর এ আমরা পুরনো কলকাতার কথা, ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাস,বাঙালির জাতীয়তাবাদে দীক্ষা গ্রহণের কথা, শ্রী হট্ট জেলার পপ্ল গ্রামের নানা ঘটনার সেসব কথা জানতে পারি,,যা হয়তো সেই সময়ের কোনো পত্রপত্রিকায় সেরকম ভাবেও লেখা ছিল না।
▪ এছাড়াও আমরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বাস্তু নামক স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু সংক্রান্ত নানা সমস্যার কথা জানতে পারি।
▪ একইভাবে দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে আসা গ্রাম নামক স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থেও উদ্বাস্তু, দেশভাগ, দেশভাগের সেই সময়কার পরিস্থিতি কেমন ছিল, দেশের জনগণের কি অবস্থা হয়েছিল সেই সমস্ত ঘটনার কথা জানতে পারি। সুতরাং এই সমস্ত সাহিত্যের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা ব্যবহারকারীদের একথা মনে রাখা উচিত যে, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় লেখক সবসময়ই এখানে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। এবং নিজের মানসিকতা বা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে8 বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার সব কাহিনী ই যে সত্য হবে, অনেক সময় লেখক ইচ্ছে করেও কিছু ঘটনা হয়তো পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়াও যেহেতু এসব সাহিত্য হল পুরোনো ঘটনার লেখনি, সুতরাং লেখার সময় হয়তো বিভিন্ন সাল, তারিখের ভুল হতেও পারে। তাই আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা মূলকগ্রন্থ ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, পাঠককের বিভিন্ন সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি আলোচনা করো। | ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর
ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |
ভূমিকা ; বর্তমানে ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বা ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মহাফেজ খানা,গ্রন্থাকার বিভিন্ন গ্রন্থ, রকারি নথিপত্র, আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ইত্যাদির পাশাপাশি বর্তমানে ইন্টারনেটও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে বতর্মানের ইতিহাসচর্চায় এক নতুন দিক শুরু হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা অথবা ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, ঠিক তেমনি ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ অথবা ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন অসুবিধাও রয়েছে। যেমন -
ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা :
বর্তমানের ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যেমন -
◆ কম সময়ের অপচয় ; ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অথবা ইতিহাসচর্চক্র ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আমাদের সময় কম লাগে। ইতিহাসের কোনো তথ্য খুজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা যদি কোন বই বা অন্য কোনো উপাদানের সাহায্য নিতে চাই তাহলে সেখানে আমাদের প্রচুর সময়ের অপচয় ঘটে। কিন্তু যদি আমরা সেই তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক কম সময় খরচ হয়। তাই এক্ষেত্রে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় বাঁচে।
◆ সহজলভ্যতা : ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের এমন কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে, যা সাধারণত অনেক বইপত্রেও খুঁজে পাইনা। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট সার্বজনীন হয়ে পড়ায়,বিভিন্ন ব্যক্তিরা অপরকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেটে আপলোড করে থাকে।। যার ফলে ইন্টারনেটের জন্য ইতিহাসের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য তথ্যগুলোও খুঁজে পাওয়া সহজ।
◆ খরচ কম : ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার আরও একটি সবচাইতে বড় সুবিধা হল ইতিহাস চর্চার ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের খুব বেশি টাকা খরচ হয় না। ইতিহাসের কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যদি বিভিন্ন বইপত্র বা অন্য কোনো উপাদান থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করি, তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের বইপত্র কেনার বা অন্য কোনো উপায়ে তথ্য খুজে বের করা অনেকটাই খরচসাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই তথ্যটা যদি আমরা ইন্টারনেটে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, তাহলে আমাদের খুব বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ হয় না।
◆ পরিশ্রম কম : ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি অন্যতম সুবিধা হল, ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আমাদের বিভিন্ন তথ্য খুজে বের করার ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় না, যে পরিমাণ পরিশ্রম আমরা কোনো একটি বই থেকে বা অন্য কোনো ইতিহাসের উপাদান থেকে,তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে করে থাকি।
ইন্টারনেট ব্যবহারের কয়েকটি অসুবিধা :
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বা ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, ঠিক তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এবং ইতিহাস চর্চায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই জিনিস গুলি আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।।
যেমন -
◆ একই বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্যে : ইন্টারনেট হলো বর্তমানে একটি জায়গা,যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো তথ্য দিতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে বাধা দেওয়া হয় না যদি সে ইন্টারনেটের কিছু নিয়ম ভঙ্গ না করে। এবং এর ফলেই ইন্টারনেটে একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন আর্টিকেল বা কনটেন্ট পাওয়া যায়। যখন একজন পাঠক বা গবেষক ইন্টারনেটে কোন কিছু খুঁজে পেতে চান, তখন তার সামনে তথ্য এসে হাজির হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম আলাদা আলাদা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাই এসব ক্ষেত্রে ইতিহাস চর্চায় ইন্টারনেট ব্যবহারের করার একটি বিরাট সমস্যা দেখা যায়।
◆ ভূলতথ্যের উপস্থিতি : ইন্টারনেট জগত সবার জন্যই খোলা রয়েছে এবং যে কোনো ব্যক্তি এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করতে পারে। কিন্ত অনেকসময় দেখা যায়,একজন ব্যক্তি হয়তো ভুল করে কোনো একটি তথ্য শেয়ার করেছে। ইন্টারনেট এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারে না,যে যদি কেউ কোনো ভুল তথ্য ইন্টারনেটে শেয়ার করে থাকে। যখন একজন পাঠক সেই ভুল তথ্যটা পড়বে, তখন ইন্টারনেট পাঠককে বলে দিতে পারবে না, যে সেই তথ্যটা ভুল নাকি ঠিক। সেই তথ্যটি ভুল বিচার করা সমস্তটাই পাঠকের উপর নির্ভর করে। কিন্ত অনেকসময় দেখা যায়,একজন পাঠক হয়তো সেই সম্পর্কে জানেন না। এবং পাঠকের সামনে যদি কোনো ভুল তথ্য এসে হাজির হয়,তাহলে পাঠক হয়তো যেই ভুল তথ্য টাকেই সঠিক বলে মনে করলেন। যার ফলে পরবর্তীতে দেখা যায় নানা সমস্যা।
উপসংহার, সবশেষে বলা যায়, বর্তমানে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের নানা সুবিধা এবং অসুবিধা থাকলেও, বর্তমানে ইতিহাসচর্চা, ইতিহাস রচনা বা ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেটের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব | আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব |
Table Of Contents
• সরকারি নথিপত্র কাকে বলে?
• সরকারি নথিপত্র কত প্রকার ও কি কি?
• আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব
• আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা
• সরকারি নথিপত্র কত প্রকার ও কি কি?
• আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব
• আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা
উওর : আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সরকারি নথিপত্র হলো একটি অন্যতম উপাদান। সরকারি নথিপত্র বলতে বোঝায়, সরকারের অধীনস্থে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী বা আধিকারিকদের বিভিন্ন প্রতিবেদন বা চিঠিপত্রকে।
সরকারি নথিপত্র মূলত চার প্রকার। যথা
• পুলিশ বিভাগের প্রতিবেদন
• গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদন
• সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন
• সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে প্রেরিত বিভিন্ন প্রতিবেদন।
সরকারি নথিপত্রে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক বা কর্মচারীরা তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলির উল্লেখ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত চিঠিপত্র বা প্রতিবেদনের মাধ্যমে তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। তাই সেই সমস্ত সরকারি নথিপত্র গুলি তৎকালীন সময়ের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন -
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব
◆ সরকারি আধিকারিকদের বা কর্মচারীর বিভিন্ন চিঠিপত্র বা রিপোর্ট : পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, এবং অন্যান্য সরকারি আধিকারিক বা সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন চিঠি পত্র পাঠাতো। সেই সমস্ত চিঠিপত্রে কালীন সময়ে বিভিন্ন গুপ্ত কাজকর্ম, বিভিন্ন বিপ্লব বা বিপ্লবীদের কাজকর্ম এবং বিদ্রোহ সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়।
◆ বিভিন্ন কমিশনের রিপোর্ট : বিভিন্ন সময়ে সরকার তাদের বিভিন্ন সমস্যা গুলি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কমিশন গঠন করতো। সেই সমস্ত কমিশন সরকারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন ঘটনার বিচার বিশ্লেষণ করে সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন রিপোর্ট সরকার হাতে জমা দিতে। সরকার সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতো। সরকারের কাছে প্রেরণ করা বিভিন্ন কমিশনের রিপোর্টগুলি থেকে তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনার কথা জানতে পারা যায়। যেমন - সাইমন কমিশনের রিপোর্ট, হান্টার কমিশনের রিপোর্ট,,নীল কমিশন রিপোর্ট। এরুপ কয়েকটি রিপোর্ট ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
◆ বিভিন্ন বিদ্রোহ সম্পর্কে : সরকারি নথিপত্রে বিভিন্ন বিদ্রোহ সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়। কোন বিদ্রোহ দমনের ক্ষেত্রে সরকার ক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা পুলিশ বিভাগের কাছে প্রেরণ করতো। সুতরাং,এরূপ চিঠিপত্র থেকে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহের অবসান সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি নথিপত্রে ভারতীয় নানা সংস্কারমূলক কাজের প্রতি ব্রিটিশদের মনোভাব স্পষ্ট ভাবে যায়।
◆ ব্রিটিশের মনোভাব : ব্রিটিশদের আমলে বেশিরভাগ সরকারি নথিপত্র লেখা হতো ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কর্মরত বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের মাধ্যমে। যারা প্রত্যক্ষ ভাবে ব্রিটিশদের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই ক্ষেত্রে সেই সমস্ত চিঠিপত্রে অনেক সময় ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উল্লেখ করা হতো।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা :
তবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে সরকারি নথিপত্রের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন -
• সরকারি নথিপত্রের সাহায্য ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারণ সরকারি নথিপত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা হতো বলে, উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন,জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক বর্ণনা পাওয়া যেত।
• সরকারি নথিপত্র থেকে নিরপেক্ষ ইতিহাস গড়ে তুলতে হলে নথিপত্র ব্যবহার ব্যবহারকারীকে নিরপেক্ষ ও নৈর্ব্যক্তিক হতে হবে।
• বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি নথিপত্র
গুলিতে কোন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ থাকেনা। যার ফলে সরকারি নথিপত্রের উপর ভরসা করে কোন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস চর্চা বা ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়।
• সব সময়ই যে প্রত্যেকটি সরকারি নথিপত্র সঠিক হবে তার কোনো মানে নেই। বিভিন্ন সরকারি নথিপত্রের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণে ভুল থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র গুলির সঙ্গে অন্যান্য কিছু ঐতিহাসিক উপাদানের সত্যতা যাচাই করে নেয়া প্রয়োজন।
Tags :