WB Class 11 History Question Answer & Notes || Class 11 History Notes And Suggestion 2023

0

 

WB Class 11 History Question Answer & Notes || Class 11 History Notes And Suggestion 2023
WB Class 11 History Question Answer & Notes

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় (wb class 11 history question answer and suggestion 2023) আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতাসমূহ এর থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ mcq question answer, history saq question answer and most important history LA Question Answer And Class 11 History Notes তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এর আগের পোস্টে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন 2022-23 তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। এবং তারপর আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন 2022-23 হিসেবে যে সমস্ত প্রশ্ন রেখেছিলাম, আর তার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা চাইলে তার উওর সেখান থেকে দেখে নিতে পারো।। আর এই পোস্টে আমরা West Bengal Board Class 11 History 2nd Chapter এর সমস্ত ধরনের  History Question Answer And History Notes তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। তাই এই অধ্যায় থেকে পরিক্ষায় এর বাইরে কোনো প্রশ্ন থাকবে না বলেই আশাকরি।।


একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11 History MCQ Question Answer 

1- কোন্ যুগে ডাইনোসোরদের আবির্ভাব ঘটেছিল? 

A-আর্কিওজোয়িক যুগে

B- প্রোটেরোজোয়িক যুগে

C- মেসোজোয়িক যুগে 

D- প্যালিওজোয়িক যুগে

উওর : মেসোজোয়িক যুগে 


2. কোন্ যুগে অস্ট্রালোপিথেকাস বা রামাপিথেকাসের উদ্ভব ঘটেছিল?

A-প্যালিওসিন যুগে 

B-অলিগোসিন যুগে

C-মায়োসিন যুগে

D- প্লায়োসিন যুগে

উওর : মায়োসিন যুগে


3. আদিম মানুষ ‘হাত-কুঠার’ ব্যবহার করত— 

A- প্রাচীন প্রস্তর যুগে

B- মধ্য প্রস্তর যুগে

C- তাম্র-প্রস্তর যুগে

D- নব্য প্রস্তর যুগে

উওর : প্রাচীন প্রস্তর যুগে


4. কোন্ যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ নামে অভিহিত করা হয়? 

A- প্রাচীন প্রস্তর যুগকে

B- মধ্য প্রস্তর যুগকে

C- নব্য প্রস্তর যুগকে

D- তাম্র-প্রস্তর যুগকে

উওর : মধ্য প্রস্তর যুগকে।


5. একটি লিটল এপ-এর উদাহরণ হল-

A- গোরিলা

B- শিম্পাঞ্জি

C- গিবন

D- ওরাং ওটাং

উওর : গিবন


6. ইজিপ্টোপিথেকাসের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন - 

A-এলউইন সাইম

B- লুই লিকি

C- টিম হোয়াইট

D- জোহানসন 

উওর : এলউইন সাইম


7. ‘হোমো হাবিলিস’ কথার অর্থ হল—

A- দণ্ডায়মান মানুষ

B- দক্ষ মানুষ

C- বুদ্ধিমান মানুষ

D- বনমানুষ

উওর : দক্ষ মানুষ


8. ‘হোমো ইরেক্টাস' কথার অর্থ হল -

A- দণ্ডায়মান মানুষ 

B- বুদ্ধিমান মানুষ

C- দক্ষ মানুষ

D- বনমানুষ

উওর ; দণ্ডায়মান মানুষ 


9. পিকিং মানবের জীবাশ্ম সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন - 

A-লুই লিকি

B- জোহানসন

C- এলউইন সাইম 

D- পেই ওয়েন চুং

উওর : পেই ওয়েন চুং


10. পৃথিবীতে প্রথম আধুনিক মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল—

A- এশিয়ায়

B- আফ্রিকায়

C- ইউরোপে

D- অস্ট্রেলিয়ায়

উওর : আফ্রিকায়


11. আদিম মানুষ সর্বপ্রথম পোষ মানিয়েছিল— 

A- গোরুকে 

B- ছাগলকে

C- ঘোড়াকে

D- কুকুরকে

উওর : ঘোড়াকে।


12- মানুষ সর্বপ্রথম কোন শস্যের চাষে অভ্যস্ত হয়েছিল - 

A- ধান 

B- গম

C- তুলো

D- সব

উওর : গম


13. মহেনজোদারো কোন নদীর তীরে অবস্থিত ছিল? 

A- রাভি বা ইরাবতী

B- ভোগাবর

C - সিন্ধু

D - শতদ্রু


14. হরপ্পা সভ্যতার স্নানাগারটি কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে? 

A- হরপ্পায় 

B- লোথালে

C- মহেন-জো-দারোতে 

D- কালিবঙ্গানে

উওর : মহেন-জো-দারোতে 


15. হরন সভ্যতার শস্যাগারটি কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?

A- হরপ্পায় 

B- লোথালে

C- মহেন-জো-দারোতে 

D- কালিবঙ্গানে

উওর : হরপ্পায়


16. গুরুত্বপূর্ণ কোন্ পশুকে হরপ্পার বাসিন্দারা পোষ মানাতে পারেনি?

A- গোরুকে 

B- ঘোড়াকে 

C- উটকে 

D- মোষকে 

উওর : ঘোড়াকে


17. পশুপতি শিবের মূর্তি পাওয়া গেছে— 

A- মিশরীয় সভ্যতায় 

B- সুমেরীয় সভ্যতায়

C- মেহেরগড় সভ্যতায় 

D -হরপ্পা সভ্যতায় 

উওর : হরপ্পা সভ্যতায় 


18. মিশরকে নীলনদের দান বলে উল্লেখ করেছেন -

A-হেরোডোটাস

B- থুকিডিডিস

C- ডায়াডোরাস

D- প্লিনি

উওর : হেরোডোটাস


19. কোথাকার প্রাচীন রাজাদের 'ফ্যারাও' বল্লা হত? 

A- মেসোপটেমিয়ার 

B- মিশরের

C- চিনের

D- সুমেরের

উওর : মিশরের


20- মিশরে সবচেয়ে বড়ো পিরামিডটি হল—

A- খুফুর পিরামিড

B- মেনকুরার পিরামিড

C- নেফরার পিরামিড 

D- রামেসিসের পিরামিড 

উওর : খুফুর পিরামিড


21. মিশরে ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত - 

A- পুরোহিত

B- ফ্যারাও

C- সন্ন্যাসী

D- দেবদূত

উওর : ফ্যারাও


22- প্রাচীন কোন্‌ সভ্যতায় হায়ারোগ্লিফিক লিপি প্রচলিত ছিল? 

A- সুমেরীয় সভ্যতায়

B- মিশরীয় সভ্যতায় 

C- ব্যাবিলনীয় সভ্যতায় 

D- হরপ্পা সভ্যতায়

উওর : মিশরীয় সভ্যতায় 


23. সুমেরীয়রা কোন গাছকে 'জীবন বৃষ্ণ' বলত?

A- আম

B- আপেল

C- খেজুর

D- কমলালেবু

উওর : খেজুর


24. সুমেরীয়দের সমুদ্র ও মাতৃদেবী ছিলেন—

A- আন

B- নাম্বা 

C - কি

D - এনকি 

উওর : নাম্বা


25. সুমেরীয়দের আকাশের দেবতা ছিলেন - 

A- আন

B- নাম্বা 

C - কি

D - এনকি 

উওর : নাম্বা

উওর : আন।


26. হোমো ইরেক্টাসের উদাহরণ হল - 

A-পিকিং মানব

B- জাভা মানব

C- ড্রায়োপিথেকাস মানব

D- নিয়ান্ডারথাল মানব

উওর : ড্রায়োপিথেকাস মানব


WB Class 11 History SAQ Question Answer Suggestion || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উওরের সাজেশন


WB Class 11 History SAQ Question Answer Suggestion || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উওরের সাজেশন
WB Class 11 History SAQ & MCQ Question Answer Suggestion 2022

WB Class 11 History SAQ Question Answer Suggestion || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উওরের সাজেশন

1- বর্তমানে আমরা কোন যুগে বসবাস করছি?

উওর ; বর্তমানে আমরা হোলোসিন যুগে বসবাস করছি।

2- কোন যুগে ডাইনোসরের উৎপত্তি হয়েছিল?

উওর ; মেসোজোয়িক যুগে ডাইনোসরের উৎপত্তি হয়েছিল।

3- কে সর্বপ্রথম ইজিপ্টোপিথেকাসের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন?

উওর : গবেষক এলউইম সাইম 1963 খ্রিষ্টাব্দে ইজিপ্টোপিথেকাসের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন।

4- চারটি নদীমাতৃক সভ্যতার নাম লেখ।

উওর : চারটি নদীমাতৃক সভ্যতা গুলির মধ্যে হল - হরপ্পা সভ্যতা,মিশরীয় সভ্যতা,মেসোপটেমীয় সভ্যতা এবং চৈনিক সভ্যতা।

5- ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কি?

উওর : মেহেরগড় সভ্যতা হলো ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা। 

6- কে?কত খ্রিস্টাব্দে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন?

উওর : ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ যা ফ্রঁসোয়া জারিজ 1974 খ্রিস্টাব্দে হরপ্পা সভ্যতার প্রাচীনতম নিদর্শন খুজে পান।

7- কে সর্বপ্রথম হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার করেছিলেন?

উওর : 1826 খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু নদীর উপত্যকায় চার্লস ম্যাসন সর্বপ্রথম হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছিলেন।

8- কোন দুই ভারতীয় হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছিলেন?

উওর : 1921 খ্রিষ্টাব্দে দয়ারাম সাহানি এবং 922 খ্রিস্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছিলেন।

9- হরপ্পা সভ্যতার অপর নাম কি?

উওর : হরপ্পা সভ্যতার অপর নাম হল সিন্ধু সভ্যতা?

10- ক্ল্যান এবং ট্রাইবস কি?

উওর : প্রাচীনকালে শিকারি মানুষদের নিয়ে গঠিত দল অথবা সংগঠনকে বলা হতো ক্ল্যান। বিভিন্ন ক্ল্যান মিলে যখন একটি সংগঠন তৈরি করতো,তখন তাকে বলা হতো ট্রাইবস।

11- ভ্যালি অফ কিংস কি?

উওর : প্রাচীন মিশরের রাজাদের সমাধিস্থলকে ভ্যালি অফ কিংস বলা হত। 


12- কাদের ফ্যারাও বলা হত?

উওর : প্রাচীন মিশরের শাসনকর্তা অথবা রাজাদের ফ্যারাও বলা হত।।

13- কিউনিফর্ম লিপি কি?

উওর : প্রাচীন সুমেরীয়দের হাতে লেখা লিপি কিউনিফর্ম লিপি নামে পরিচিত।

14- সুমেরীয়রা কোন বৃক্ষকে জীবন বৃক্ষ বলতো?

উওর : সুমেরীয়রা খেজুর গাছকে জীবন বৃক্ষ বলতো। কারন তারা খেজুর গাছ থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতেন।।

15- হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ কি?

উওর : হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ হল বুদ্ধিমান মানব।

16- প্রাচীনকালে ইরাক দেশটি কী নামে পরিচিত ছিল?

উওর : প্রাচীনকালে ইরাক দেশটি মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত ছিল।

17- জিগুরাত কি?

উওর : প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতায় বিভিন্ন দেবদেবীরকে উদ্দেশ্য করে বানানো বিভিন্ন উঁচু মন্দির গুলিকে জিগুরাত বলা হত।

18- প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে উঁচু পিরামিডটি কার?

উওর : প্রাচীন মিশরের খুফুর পিরামিডটি টি সবচেয়ে উঁচু।

19- মানুষ সর্বপ্রথম কোন শস্যের চাষে অভ্যস্ত হয়েছিল?

উওর : মানুষ সর্বপ্রথম গম চাষে অভ্যস্ত হয়েছিল।

20- কোন ঐতিহাসিক মিশরকে নীলনদের দান বলে উল্লেখ করেছেন?

উওর ; ঐতিহাসিক হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলে উল্লেখ করেছেন।।।


চারটি নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখ এই সভ্যতা গুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন | প্রাচীন সভ্যতা গুলি কেন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল



◆ নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে : প্রাচীনকালের আদিম মানুষেরা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে,তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য যে সমস্ত প্রাচীন সভ্যতা গুলির গড়ে তুলেছিলেন,তাদের নদীমাতৃক সভ্যতা বলে। 

চারটি প্রধান নদীমাতৃক সভ্যতা গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - 

 ১- হরপ্পা সভ্যতা, ২- মিশরীয় সভ্যতা, ৩- মেসোপটেমীয় সভ্যতা এবং চৈনিক সভ্যতা।

◆ নদীতীরে সভ্যতা গড়ে ওঠার কিছু উল্লেখযোগ্য  কারণ - 

• নদীতীরে সভ্যতা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুবিধা থাকে। যার কারণে নদীর তীরে বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা গুলি গড়ে উঠেছিল। নদীতীরে সভ্যতা গুলি গড়ে ওঠার পেছনে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো - 

একাদশ শ্রেণির ইতিহাস বিভিন্ন অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর অনলাইন মকটেস্ট দিতে নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করো👇👇

1- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস  প্রথম অধ্যায়ের মকটেস্ট
2- একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের মকটেস্ট
3- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের মকটেস্ট
4- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের মকটেস্ট
5- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের MCQ

◆- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের মকটেস্ট

6- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের মকটেস্ট
আরও দেখো👇
1- একাদশ শ্রেণির বাংলা ডাকাতের মা গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
2- একাদশ শ্রেণির বাংলা তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
3- একাদশ শ্রেণির বাংলা কর্তার ভূত গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
4- একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের অনলাইন মকটেস্ট

5- একাদশ শ্রেণির নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার অনলাইন মকটেস্ট প্রথম পর্বদ্বিতীয় পর্ব এবং তৃতীয় দ্বিতীয় পর্ব

6- একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার অনলাইন মকটেস্ট 
7- একাদশ শ্রেণির বাংলা বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতা অনলাইন মকটেস্ট

◆ অনুকূল আবহওয়া : নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আবহাওয়া হতো খুবই মনোরম প্রকৃতির যা মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে খুবই সুবিধাজনক ছিল। আদিম মানুষেরা এই জিনিসটা বুঝতে পেরেই নদী তীরবর্তী অঞ্চলে তাদের বসতি স্থাপন করতে শুরু করে।

◆ জলের যোগান : নদীতীরে বাস করার ফলে আদিম মানুষের জলের অভাব হতো না। যার ফলে তাদের জলের খোঁজ করার জন্য দূরদূরান্ত পর্যন্ত যেতে হতো না এবং তারা খুব সহজেই নদী থেকেই তাদের ব্যবহারের জল সংগ্রহ করতে পারতেন। 

◆ উর্বর কৃষিজমি :  নদী তীরবর্তী  অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ার কারণে সেই মাটিতে কৃষিকাজ ভালো হয়। এবং এই ব্যাপারটা আদিম মানুষ খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল। যার ফলে তারা নদীর তীরে বসতি স্থাপন করে সেখানে কৃষিকাজের শুরু করেছিল।।

◆  কৃষিতে জলসেচের সুবিধা : 

নদী তীরবর্তী অঞ্চলের উর্বর জমিতে কৃষি কাজ শুরু করার পর, যখন সেই কৃষিতে জলের যোগান হত,তখন প্রাচীন মানুষের নদী থেকেই বিভিন্ন খাল কেটে, নদীর জল সেই খালের মাধ্যমে নিজেদের জমিতে সেচ করতো। 

◆ যাতায়াতের সুবিধা : নদীপথে বা জলপথের মাধ্যমে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে কম সময়ে এবং কম পরিশ্রম লাগতো। তাই আদিম মানুষেরা পণ্য পরিবহন এবং নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে নদীপথকেই বেছে নিয়েছিল। এবং নদীর তীরেই তারা নিজেদের বসতি স্থাপন করেছিল।।

◆ খাদ্যের যোগান : নদীর তীরে বসবাস করার ফলে আদিম মানুষের খাদ্যের খুঁজেও দূর-দূরান্ত পর্যন্ত হেঁটে যেতে হতো না। কারণ তারা নদী থেকেই মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী খাদ্য হিসেবে সংগ্রহ করতে পারতেন। গুহায় থেকে বন্যপ্রাণী শিকার করার থেকে, নদীর তীরে সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য, তাদের বেশি খাদ্যের সন্ধান করতে হতো না। যার ফলে তারা নদীর তীরেই তাদের বসতি গড়ে তুলেছিলেন।

◆ পানীয় জলের সুবিধা : নদীর তীরে বাস করার ফলে আদিম মানুষের কোনোভাবে পানীয় জলের অভাব হতো না। নদীর জলকেই তারা পানীয় জল হিসেবে সেই সময় ব্যবহার করতে পারতেন। 

• এছাড়াও নদীর তীরে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে -

•  নিরাপত্তা, পশুপালন এবং অন্যান্য নানা কারণ ছিল।

◆ উপসংহার : উপরিক্ত কারণ ছাড়াও আরও নানা কারণে আদিম মানুষেরা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে নিজেদের বসতি স্থাপন করার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এবং এভাবে বসতি স্থাপন করার ফলেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রাচীন নদীমাতৃক সভ্যতা গুলি গড়ে উঠেছিল।

হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার পরিচয় দাও | হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি


হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার পরিচয় দাও | হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ কি?


হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার পরিচয় দাও | হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি

 উত্তর : 

◆ ভূমিকা : ভারত তথা বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতা গুলির মধ্যে হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 3000 অব্দ নাগাদ হরপ্পা সভ্যতার উত্থান ঘটে এবং প্রায় 1500 অব্দ নাগাদ হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে। হরপ্পা সভ্যতা একটি প্রাচীন সভ্যতা হওয়া সত্বেও, হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা ছিল যথেষ্ট আধুনিক মানের। 

হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার পরিচয় দাও | হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি

◆ জীবনযাত্রার সাদৃশ্য : হরপ্পার সভ্যতার বিভিন্ন নগরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা মোটামুটি ভাবে একই ছিল। বিভিন্ন নগরের রাস্তাঘাট,,বাড়িঘর, নগর পরিকল্পনা দেখলেই একথা অনুমান করা যায়।

◆ হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘর : হরপ্পা সভ্যতার বাড়ি ঘর ছিল অনেকটাই আধুনিক। হরপ্পার বাড়িঘর গুলি তৈরি করা হতো মূলত আগুনে পোড়ানো ইটের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে হরপ্পার বড় এবং উঁচু বাড়ি গুলো ছিল উচ্চবিত্ত ধনী ব্যক্তিদের এবং আয়তনে ছোট এবং নীচু বাড়ি গুলি ছিল মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত বা সাধারণ মানুষের জন্য।

◆ উন্নত রাস্তাঘাট : হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে রাস্তাঘাট ছিল খুবই উন্নত। হরপ্পার সভ্যতার রাস্তাঘাট বানানো হতো পাথর,চুন-সুরকির মাধ্যমে। যা নাগরিকদের যাতায়াত, পণ্য পরিবহন, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করতো।


◆ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতার : হরপ্পা নগরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। হরপ্পায় রাস্তাঘাটের পাশে ডাস্টবিন রাখা হতো যাতে রাস্তাঘাটের ময়লা পরিষ্কার করে সেই ডাস্টবিনে রাখা যায়। পথচারী ব্যক্তিরা যাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নিজেদের ব্যবহৃত কোনো নোংরা আবর্জনা, যেখানে সেখানে না ফেলে সে ডাস্টবিনে ফেলতে পারে। এবং এভাবে ডাস্টবিন রাখার ফলে হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাট গুলো ছিল যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। 

এছাড়াও হরপ্পা সভ্যতার আধুনিক নগর জীবনের ক্ষেত্রে ছিল - 

• হরপ্পা সভ্যতায় বিশেষ স্নান ঘরের ব্যবস্থা ছিল। 

• হরপ্পা সভ্যতায় কৃষিক্ষেত্রে উৎপন্ন বিভিন্ন শস্য সংরক্ষণের জন্য শস্যাগাএ তৈরি করা হতো।

• হরপ্পা সভ্যতায় নগরের নিরাপত্তার জন্য এটি বিশেষ নগর দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ কি |  হরপ্পা সভ্যতার পতনের পশ্চাতে কী কী কারণগুলি কাজ করেছিল 

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ কি |  হরপ্পা সভ্যতার পতনের পশ্চাতে কী কী কারণগুলি কাজ করেছিল

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 3000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 1500 অব্দ পর্যন্ত টিকে থাকা হরপ্পা সভ্যতা পতনের আসল কারণ কি তা সঠিকভাবে এখন জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ কি অথবা হরপ্পা সভ্যতার পতনের পশ্চাতে কী কী কারণগুলি কাজ করেছিল,সেই সম্পর্কে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের মতো করে ধারণা দিয়েছেন। যেমন - 

◆ জলবায়ুর পরিবর্তন : মর্টিমার হুইলার মনে করেন,একসময় হরপ্পার অর্থাৎ সিন্ধু নদীর উপত্যকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো বলে হরপ্পা সভ্যতার জলবায়ু ছিল মনোরম প্রকৃতির। কিন্তু পরবর্তীকালে নানা প্রাকৃতিক কারণে হরপ্পার জলবায়ু মানুষের বসবাসযোগ্য ছিল না। প্রতিকূল জলবায়ু হয়ে পড়ায় ধীরে ধীরে হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে।

◆ ভূমিকম্প : মনে করা হয় যে হরপ্পা সভ্যতার পতনের পিছনে মূল কারণ ছিল এক ভয়ানক ভূমিকম্প। মনে করা হয় ভূমিকম্পের জন্যই সমস্ত হরপ্পা সভ্যতা হঠাৎ মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। এবং হঠাৎ করেই হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটেছিল।


◆ বন্যা : অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে,সিন্ধু নদের অতি বন্যার ফলে হরপ্পার নাগরিক দের নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বন্যার ফলে হরপ্পা নগর গুলিতে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতো যার ফলে নগরে বসবাসকারী বাসিন্দারা হরপ্পা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়। এম.আর. সোহানী এ প্রসঙ্গে বলেছেন - " প্লাবনই হরপ্পা সংস্কৃতিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল "।

◆ খরা : হরপ্পা সভ্যতায় ইট তৈরি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে বনভূমি ধ্বংস করা হতো। খুব বেশি পরিমাণ বনভূমি ধ্বংস করায় সেখানে বৃষ্টিপাত কমে যায়। যার ফলে সেখানে কৃষি কাজে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি হতে থাকে এবং একসময় কৃষি কাজ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়,হরপ্পার বাসীরা হরপ্পা সভ্যতা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়।

◆ মরুভূমি প্রসার  :হরপ্পা সভ্যতায় ইট তৈরি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কাঠের প্রয়োজন হতো। এবং এই কাঠ সংগ্রহ করা হতো বনভূমি থেকে। একসময় অত্যাধিক পরিমাণে বনভূমি ধ্বংস করার ফলে হরপ্পা সভ্যতায় ধীরে ধীরে মরুভূমি প্রসার ঘটতে থাকে। এবং এভাবেই হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে।

◆ বহিরাক্রমণ : অনেকে হরপ্পা সভ্যতার পতনের মূল কারণ হিসেবে বহিরাক্রমণকে দায়ী করেন। হরপ্পা সভ্যতার খনন কাজের সময় সেখানে বিভিন্ন স্থানে ইতস্তত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। যা থেকে এটা অনুমান করা হয়,যে- একসময়ে হরপ্পায় বহিরাক্রমণ হয়েছিল। এবং সেই বহিরাক্রমণ জন্যই হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটেছিল।

উপসংহার, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 3000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 1500 অব্দ পর্যন্ত টিকে থাকা ভারত তথা বিশ্বের এক প্রাচীন সভ্যতা- " হরপ্পা সভ্যতা " উপরিক্ত নানা কারণ গুলি ছাড়াও, আরো অন্যান্য কারণে তার পতন ঘটেছিল।


নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর

নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর

 বিষয় : 

• নব্য প্রস্তর যুগ কাকে বলে? 
• নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল
• নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও বা নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল
• নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো

নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর

ভূমিকা : প্রাচীন প্রস্তর যুগের সমাপ্তি কাল অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব 10, 000 অব্দ থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব 5000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন যুগের মানুষের জীবনযাত্রারর তুলনায় মধ্য যুগের মানুষের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই উন্নত এবং আধুনিক। যেমন - 

◆ উন্নত হাতিয়ারঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের হাতিয়ার ছিল খুবই উন্নত। প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং মধ্য প্রস্তর যুগ পেরিয়ে নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের হাত থেকে উন্নত থেকে আরও উন্নত করে তোলে। নব্য প্রস্তর‍ যুগেরবুল্লেখযােগ্য পাথরের হাতিয়ারগুলির মধ্যে ছিল - কাটারি, নিড়ানি, ছেনি, বাটালি, কাস্তে, বর্শার ফলা, ছােরা, ছুঁচ প্রভৃতি। কুঠার, কোদাল-সহ বেশ কিছু হাতিয়ারে কাঠের হাতল লাগানাের কৌশল এসময় চালু হয়। নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ এসব উন্নত হাতিয়ার শিকার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। কৃষি ক্ষেত্রে এবং শিক্ষারের ক্ষেত্রে উন্নত হাতিয়ার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের অনেক সুবিধা হতো।


◆আগুনের ব্যবহারঃ নব্য প্রস্তর যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, সেই যুগেই মানুষ পাথর ভাঙার মধ্য দিয়ে প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল। আগুনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছিল। যেমন - 

• আগুনের সাহায্যে তারা কাঁচা মাংস আগুনে পুড়িয়ে নিয়ে বা সেদ্ধ করে খেতে শিখেছিল।

• গুহার মুখে আগুন জ্বালিয়ে ভয়ানক জানােয়ারদের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে শেখে। 

• শীতের সময় আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে শীতের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতো।।

◆ কৃষি সূচনাঃ মূলত নব্য প্রস্তর যুগেই সঠিকভাবে কৃষির সূচনা হয়েছিল। নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ ভালোভাবে চাষবাস করতে শুরু করে। নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল কৃষির আবিষ্কার। সে সময় মানুষ তাদের কৃষি ক্ষেত্রে পশুশক্তিকে এবং বিভিন্ন উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি - যেমন - কাস্তে, ন্যাকানি ইত্যাদি কৃষিতে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। এর ফলে নব্য প্রস্তর যুগে কৃষির উন্নতি ঘটে। এবং এভাবে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের মানুষের জীবনযাত্রায় অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। 

 বসতি স্থাপনঃ নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ কোনো এক জায়গায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করে। এই যুগের মানুষ তাদের গৃহনির্মাণ করতে শেখে। যার তাদের যাযাবর জীবন শেষ হয়ে, একটি নতুন জীবন ধারা শুরু হয়।। 

◆ পশুপালনঃ  নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ নিজেদের স্থায়ী বসবাস স্থাপন করার পর তারা পশু পালনের ক্ষেত্রেও আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পশুদের পোষ মানাতে শেখে। এরপর তারা সেই পশুদের বিভিন্ন কাজে লাগাতে শুরু করে। যেমন বিভিন্ন পশুর চামড়া সংগ্রহ, খাদ্য হিসেবে মাংস এবং দুধ, লোম ইত্যাদি। এছাড়াও তারা বিভিন্ন পশুকে নিজেদের কৃষিকাজেও ব্যবহার করতো।

 ভাষার বিকাশঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর, সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকে,একে অপরের সঙ্গে ভাবের আদান প্রদানের জন্য ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভাষার বিকাশ করতে ও উন্নতি ঘটতে শুরু করে।

◆ যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটায়। এই যুগের মানুষ জলপথ ও স্থলপথ, উভয় প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই যথেষ্ট উন্নতি ঘটায়। স্থলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে বিভিন্ন পশু শক্তির সাহায্যে তৈরি বিভিন্ন যানবাহন,যেমন-  গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ইত্যাদি এবং অন্যদিকে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হিসাবে ছোটো খাটো নৌকা ছিল।


◆ চাকার আবিষ্কারঃ নব্য প্রস্তর যুগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই যুগেই চাকার আবিষ্কার করতে শিখেছিল। চাকা আবিষ্কার করার ফলে, তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসতে দেখা গিয়েছিল। প্রথমত তারা চাকা কে ব্যবহার করে বিভিন্ন মৃৎপাত্র তৈরি করতো। বিভিন্ন মৃৎপাত্র তারা সেই সময় নিজেদের বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করতো। 

দ্বিতীয়তঃ তারা চাকাকে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন স্থলজ যানবাহন তৈরি করতে পেরেছিল।।

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে,  নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা অন্যান্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার তুলনায় অনেকটাই আধুনিক এবং উন্নত ছিল।।


WB Class 11 history chapter 2 question answers in bengali | আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহ বড় প্রশ্ন উত্তর


WB Class 11 history chapter 2 question answers in bengali | আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহ বড় প্রশ্ন উত্তর
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সমাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করো। 

ভূমিকাঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা গুলির মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা হলো একটি অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা অনেকের মতে মিশরীয় সভ্যতাই হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ বা তারও আগে নীল নদের উভয় তীরে মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।। এতোকাল পূর্বে নীল নদের তীরে গড়ে ওঠা সেই মিশরীয় সভ্যতায় আমরা অন্যান্য সভ্যতার তুলনায় অনেক পৃথক ধরনের সমাজ ব্যবস্থা দেখতে পাই। যেমন- 

মাতৃতান্ত্রিক সমাজঃ মিশরীয় সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। সম্পত্তির অধিকার ছিল মেয়েদের হাতে। প্রাচীন সভ্যতা হওয়া সত্ত্বেও মিশরীয় সভ্যতায় নারীদের সামাজিক ক্ষেত্রে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অধিকার ছিল। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার যে, সমাজের উচ্চবর্ণের নারীরা যে সমস্ত অধিকার ভোগ করতো,তার মধ্যে বেশিরভাগ অধিকার ই নিম্নসমাজের নারীরা ভোগ করতে পারত না। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিম্নসমাজের নারীদের হাতেও অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের অধিকার ছিল।। মিসরীয় সভ্যতায় নারীদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অধিকার থাকার কারণেই হাটাসু পৃথিবীর প্রথম মহিলা শাসক হতে পেরেছিলেন।।


ধনী-দরিদ্রের বৈষমঃ মিশরীয় সমাজ ছিল শ্রেণিবিভক্ত। এখানে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে তীব্র ব্যবধান ছিল। ফ্যারাওদের অধীনে প্রাচীন মিশরে কৌম বা গোষ্ঠীভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন গোষ্ঠী বা দলের অধিপতি নিজ নিজ এলাকার সর্বময় কর্তা ছিলেন

শোষক ও শোষিতঃ মিশরীয় সমাজ ব্যবস্থায় সমাজে ন্যায়বিচার খুবই কম ছিল। সমাজে শোষক ও শোষিত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল। ফ্যারাও পুরোহিত, আঞ্চলিক প্রশাসক, রাজকর্মচারী, কারারক্ষক, প্রহরী প্রমুখ ছিল শোষক শ্রেণিভুক্ত এবং কৃষক, কারিগর ও ক্রীতদাসরা ছিল শোষিত শ্রেণিভুক্ত। প্রাক্‌-রাজবংশীয় যুগেই মিশরে উদ্ভব ঘটেছিল। 

ক্রীতদাসদের অবস্থাঃ  ক্রীতদাসরাই মিশরীয় সমাজে সর্বাধিক শোষিত ছিল। মিশরীয় সমাজে ক্রীতদাসরা ছিল। 'লুটের মাল'। প্রভুরা তাদের অধীনস্থ ক্রীতদাসদের বিভিন্ন পরিশ্রমসাধ্য কাজে নিয়োগ হা করে নিজেদের জীবনের সুখ নিয়ে আসতেন।।

মিশরীয়দের অর্থনীতির জীবনঃ 

মিশরীয় সভ্যতায় সুপ্রাচীন কাল থেকেই একটি নির্দিষ্ট অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছিল। মিসরীয়দের কৃষি,পশুপালন, শিল্প, ব্যবসা - বাণিজ্য প্রভৃতি ছিল মূলত তাদের অর্থনীতির মূলভীত। যেমন- 

কৃষিকাজঃ মিশরীয়রা নীলনদের উভয় তীরে নতুন পলিমাটি দ্বারা গঠিত উর্বর জমি কৃষিজমি হিসেবে ব্যবহার করতো। সুপ্রাচীন কাল থেকেই সেগুলো তাদের কৃষিকাজের প্রধান অঞ্চল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উর্বর জমি হওয়ায় সেখানে কৃষিকাজ সুপ্রাচীন কাল থেকেই কৃষিরর‍্যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছিল এবং কৃষি জমির পাশে নীলনদের অবস্থান হওয়ায় তা কৃষিতে আরো উন্নতি আনতে সাহায্য করেছিল। মিশরীয়রা নীলনদের উভয় তীরে গম,যম, ভুট্টা,জোয়ার বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করতো। এবং এটাই ছিল তাদের অর্থনীতির মূল ভীত।


পশুপালনঃ মিশরীয়দের একটি বিরাট অংশ প্রাচীনকাল থেকেই পশুপালনে নিজেদের নিয়োগ রেখেছিল। নীলনদের উপত্যাকায় সুবিশাল তৃণভূমি থাকার জন্য সেগুলো পশুপালনের যথেষ্ট সাহায্য করতো। সেই সমস্ত তৃণভূমিতে মিশরীয়রা গরু, ছাগল,ভেড়া, গাধা,রাজহাঁস ইত্যাদি লালন-পালন করতে পারতো। সেই সমস্ত পশু থেকে তারা মাংস,চামরা, দুধ ইত্যাদি কখনো নিজেরা এবং কখনো আবার ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো।।

শিল্পঃ প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল এবং শিল্পের উপর ভিত্তি করে কারিগর শ্রেণীর উদ্ভব ঘটেছিল। প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন ধরনের শিল্পের অগ্রগতি ঘটেছিল। যেমন -সময় বস্ত্রশিল্প,মৃৎশিল্প,দারুশিল্প ধাতুশিল্প, অলংকার শিল্প প্রভৃতি শিল্পের যথেষ্ট বিকাশ এবং উন্নতি ঘটেছিল।।

ব্যবসা-বাণিজ্যঃ প্রাচীন মিশরে মূলত দুই ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য প্রচলিত ছিল। একটি হলো অভ্যন্তরীণ বা দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অপরটি হল বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্য। প্রাচীন মিশরে স্থল পথের মাধ্যমে মূলত দেশীয় বা অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্য চলতো। এবং জাহাজ, নৌকার সাহায্যে বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্য চলতো। প্রাচীন মিশরের সঙ্গে মেসোপটেমিয়া? প্যালেস্টাইন, ক্রীট, আরব, সিন্ধু প্রভৃতি অঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হতো। মিশর উৎপাদিত বিভিন্ন বস্ত্র, বিভিন্ন মাটির জিনিস, কাচের সামগ্রী,চামড়া এবং নানা ধরনের সামগ্রী,খাদ্যশস্য প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হতো। অন্যদিকে বিদেশ থেকে সোনা,তামা, কাঠ,হাতির দাঁত,মসলা বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তেল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানি করা হতো।।


অন্যান্য শিল্পঃ উপরোক্ত কিছু পেশা ছাড়াও প্রাচীন মিশরীয়দের একটি বড়ো অংশ অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। যেমন -লোক গণনা,গবাদিপশু গণনা,আয়করের হিসাব রাখা, শিল্প-বাণিজ্যের তদারকি করা,দেহরক্ষী প্রাসাদরক্ষী,চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ রাজমিস্ত্রি অন্যান্য শিল্প কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল।।

 

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর 

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর


মেহেরগড় সভ্যতা সম্পর্কে আলোচনা || মেহেরগড় সভ্যতা উত্থান, বিভিন্ন কেন্দ্র, চূড়ান্ত বিকাশ এবং মেহেরগড় সভ্যতার অবসান সম্পর্কে আলোচনা 


মেহেরগড় সভ্যতাঃ প্রাচীনকালে 

পৃথিবীজুড়ে যে সমস্ত প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল,তার মধ্যে একটি অন্যতম সভ্যতা ছিল মেহেরগড় সভ্যতা। মূলত এটিই ছিল ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা। ভারতীয় উপমহাদেশের পশ্চিম অংশে যে গ্রামীণ সংস্কৃতির পত্তন ঘটেছিল,তাই মূলত মেহেরগড় সভ্যতা নামে পরিচিত। ভারতের সেই প্রাচীন সভ্যতা'র একটি প্রধান কেন্দ্র, 'মেহেরগড়ে' সভ্যতার প্রাচীনতম নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে সেই প্রাচীনতম সভ্যতার নামকরণ করা হয়েছে "মেহেরগড় সভ্যতা"।

মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কারঃ 

মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার করেছিলেন একজন ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জা ফ্রাঁসোয়া জারিজ। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান রিচার্ড মিডোর সঙ্গে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জা ফ্রাঁসোয়া জারিজ ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বালুচিস্তানের পশ্চিমে অবস্থিত,সিন্ধু উপত্যকার কাচ্চি সমভূমিতে খোঁড়াখুঁড়ি করে মেহেরগড় সভ্যতার প্রাচীনতম নিদর্শন গুলি খুঁজে পেয়েছিলেনন।।

মেহেরগড় সভ্যতার বিকাশের সময়কালঃ


আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দে বর্তমান পাকিস্তানের বালুচিস্তানের ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা অর্থাৎ মেহেরগড় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে মনে করা হয়। কার্বন-১৪ (C-14) পরীক্ষার দ্বারা জানা গেছে যে, মেহেরগড় সভ্যতা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দ পর্যন্ত টিকেছিল।

মেহেরগড় সভ্যতা ৭টি পর্বে বিকশিত হয়েছিল।

• মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্যায়ের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ।

• দ্বিতীয় পর্যায়ের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ।

• তৃতীয় পর্যায়ের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ।

• মেহেরগড় সভ্যতার সভ্যতার চতুর্থ পর্যায় থেকে সপ্তম পর্যায় পর্যন্ত সময়কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দ পর্যন্ত।

মেহেরগড় সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রঃ 


মেহেরগড় সভ্যতার প্রধান কেন্দ্র ছিল মেহেরগড়। এখানেই এই সভ্যতার প্রথম নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে বলে এর নামকরণ হয়েছে মেহেরগড় সভ্যতা। মেহেরগড় ছাড়া এই সভ্যতার আরও বিভিন্ন কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্রগুলির অধিকাংশই সিন্ধু উপত্যকার কাচ্চি সমভূমিতে অবস্থিত। এই সভ্যতার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রগুলি হল তরকাইকেল্লা, শেরিখান তরকাই, কাচ্চিবেগ, মুন্ডিগাক, পেরিয়ানো ঘুনডাই, রানা ঘুনডাই, কিলেগুল মহম্মদ, নৌসেরা, আমরিনাল, নুন্দরা, কুল্লি, কোটদিজি, গাজিশাহ, থারো প্রভৃতি।

মেহেরগড় সভ্যতার সভ্যতার চূড়ান্ত পরিণতি ও অবসানঃ 


মেহেরগড় সভ্যতার চূড়ান্ত বিকাশ হয়েছিল মূলত  চতুর্থ থেকে সপ্তম পর্যায়ে। মেহেরগড় সভ্যতা ছিল মূলত একটি প্রাচীম গ্রামীণ সভ্যতা। ধীরে ধীরে মেহেরগড় সভ্যতা চতুর্থ থেকে সপ্তম পর্যায়ে গ্রামীন থেকে একটি উন্নত সভ্যতার পরিণত হতে শুরু করে। সেই সময় বালুচিস্তানের সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতায় চূড়ান্তভাবে বিকশিত হয়। অধ্যাপক ড. ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ড. দিলীপ চক্রবর্তী, ড. শিরিন রত্নাগর প্রমুখ ঐতিহাসিক পরবর্তীকালের সিন্ধু সভ্যতাকে পূর্ববর্তী মেহেরগড় সভ্যতার উত্তরসূরি বলে মনে করেন। ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মনে করেন যে, মেহেরগড়ের নগরায়ণ পরবর্তী সিন্ধু সভ্যতায় পরিণত রূপ লাভ করেছিল। দীর্ঘ অস্তিত্বের পর আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে নানা অজানা কারণে ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা 'মেহেরগড় সভ্যতার' অবসান ঘটে।


WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর 

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর


মেহেরগড় সভ্যতার অগ্রগতি এবং সমাজ জীবন সম্পর্কে আলোচনা


সভ্যতার অগ্রগতিঃ মেহেরগড় সভ্যতায় মোট ৭টি পর্যায় লক্ষ করা গিয়েছে। এগুলির মধ্যে প্রথম ৩টি পর্যায়ে নব্য প্রস্তর যুগের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ যুগের বৈপ্লবিক অগ্রগতির বিষয়টিও এই সভ্যতায় সুস্পষ্ট।

বসতি স্থাপনঃ মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ প্রথল দিকে শুধুমাত্র শিকার ও পরবর্তীকালে পশুপালনকেই প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছিল। তাই তখন মানুষ ছিল যাযাবর। কিন্তু পরবর্তীতে মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ যাযাবর জীবন ত্যাগ করে নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে তুলেছিল। এবং তখন কৃষিকাজ ই ছিল তাদের প্রধান জীবিকা।

বাড়িঘরঃ  যাযাবর জীবন ত্যাগ করার পর যখন মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে, তখন তারা বাড়িঘর তৈরির জন্য প্রথম দিকে মাটি দিয়ে এবং পরবর্তীকালে রোদে পোড়ানো সমান মাপের ইট গৃহ তৈরির কাজে ব্যবহার করতো। আরও পরবর্তীতে বিভিন্ন আকারের ইটের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। মেহেরগড় সভ্যতায় কিছু কিছু বাড়িয়ে পাথরের ভিতের ওপর বাড়ি তৈরি হতো। আগুন জ্বালিয়ে ঘর গরম রাখার ব্যবস্থাও ছিল।

হাতিয়ার ও অন্যান্য সামগ্রীঃ 


মেহেরগড় সভ্যতা নব্য প্রস্তর যুগের হওয়ায়, মেহেরগড় সভ্যতায় সেই যুগের কিছু হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে। হাতিয়ারগুলি মূলত পাথর দিয়ে তৈরি হত। কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে প্রাচীনতম হাতিয়ারটি হল বিটুমেন জাতীয় পাথর খণ্ডে নির্মিত কাস্তে পাথর। হাতিয়ার-সহ অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম ছিল কাস্তে, মৃৎপাত্র, শিলনোড়া, যাঁতা, হামানদিস্তা, নিড়ানি, বিভিন্ন ধরনের পাথরের ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি প্রভৃতি। 

তামার ব্যবহারঃ মেহেরগড় সভ্যতায় পাথরের পরবর্তীতে তামা ই ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ধাতু।পাথরের ব্যবহারের ভিত্তিতে মেহেরগড় সভ্যতার বিকাশ ঘটলেও এই সভ্যতার প্রথম পর্যায় থেকে প্রাপ্ত একটি তামার পুঁতি থেকে অনুমান করা হয় যে, এই সভ্যতার মানুষ তামা গলানোর প্রক্রিয়া আয়ত্ত করেছিল। এখানকার তৃতীয় পর্যায়ে তামার সিলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ছাড়া এই পর্যায়ে তামা গলানোর অন্তত ১৪টি পোড়ামাটির পাত্র পাওয়া গেছে যেগুলিতে তামার অবশিষ্টাংশ লেগে ছিল। মূলত এই সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়কে তাম্র-প্রস্তর যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।


মৃতদেহের সমাধিঃ মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ যে পরলোক ভা স্বর্গ-নরক ইত্যাদিতে বিশ্বাস করতো, তা তাদের মৃতদের সমাধিস্থল থেকেই বোঝা যায়। মেহেরগড় সভ্যতায় মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার বিষয়ে বিশিষ্টতা লক্ষ করা যায়। মেহেরগড় সভ্যতার মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার আগে আগে দেহটিতে গেরুয়া মাটি, বিশেষ কাপড়, তার ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের জিনিস, অলংকার, নীলকান্ত মণি, নীলা প্রভৃতি দামি পাথর প্রভৃতি সহকারে তাকে সমাধিস্থ করা হতো।। 

সামাজিক বৈষম্যঃ মেহেরগড় সভ্যতার সামাজিক বৈষম্যের অস্তিত্ব ছিল বলে অনুমান করা হয়। মেহেরগড় সভ্যতার কোনো কোনো সমাধিতে মৃতদেহের সঙ্গে প্রচুর মূল্যবান সামগ্রীর উপস্থিতি এবং কোনো কোনো সমাধিতে সেগুলির অনুপস্থিতি এই সামজিক বৈষম্যের প্রমাণ দেয়। এছাড়াও শসা মজুত রাখার পদ্ধতি ব্যবহৃত হস্তশিল্পের সামগ্রী প্রভৃতির পার্থক্য থেকেও সমাজে শ্রেণিবিভাজন ও বৈষম্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

বৈদেশিক সম্পর্কঃ 


সুদূর অতীত কালেই বিভিন্ন বৈদেশিক সভ্যতার সঙ্গে মেহেরগড় সভ্যতার যোগ ছিল বলে জানা যায়। এখানকার মৃৎপাত্রের ধরন নির্মাণ প্রণালী, নীলকান্তমণির ব্যবহার প্রভৃতি দেখে পণ্ডিতরা অনুমান করেন যে, মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, পারস্য প্রভৃতির সঙ্গে এই সভ্যতার যোগাযোগ ছিল। অধ্যাপক ড. রণবীর চক্রবর্তী মনে করেন যে, শঙ্খ ও লাপিস লাজুলি বাইরে থেকে এখানে এসেছে।


WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর 

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর


মেহেরগড় সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবনঃ  মেহেরগড় সভ্যতায় প্রথমদিকে শিকার ও পশুপালন মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল। পরবর্তীকালে এখানে কৃষিকাজের বিকাশ ঘটে। ধীরে ধীরে  মেহেরগড় সভ্যতায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প এবং বাণিজ্যেরও বিকাশ ঘটেছিল।  এবং ধীরে ধীরে মেহেরগড় সভ্যতার মানুষের অর্থনৈতিক জীবন ক্রমশ উন্নত হতে থাকে। যেমন- 

কৃষিঃ ভারতের কৃষিকাজের প্রধান কিছু ফসল, যেমন - গম, যব, ভুট্টা ইত্যাদি ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা মেহেরগড় সভ্যতাতেই শুরু হয়েছিল।  মেহেরগড় সভ্যতায় গম ও যব চাষের প্রমাণ মিলেছে। জলধারার বিভিন্ন স্থানে ছোটো ছোটো বাঁধ নির্মাণ করে এখানকার মানুষ কৃষিজমিতে জলসেচের ব্যবস্থা করত। এর ফলে কৃষি উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। উদ্বৃত্ত শস্য সংরক্ষণ করার জন্য এখানে শস্যাগারও তৈরি করা হত। প্রধানত অধিবাসীদের নিজেদের ভোগের উদ্দেশ্যেই কৃষি-উৎপাদন করা হত। এই সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়ে কৃষির ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছি।।


পশুপালনঃ মেহেরগড় সভ্যতার মানুষদের অর্থনীতির ক্ষেত্রে পশুপালনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ কৃষি কাজে পশু শক্তিকে ব্যবহার করার জন্য, পশুর চামড়া নিজেদের পোষাক হিসাবে বা পশুর লোম থেকে সুতা তৈরি করে পোশাক তৈরি, পশু থেকে মাংস সংগ্রহের জন্যেই তারা প্রথমদিকে ছাগল, বুক ও ধাঁর, ভেড়া প্রভৃতি পশুকে তারা পোষ মানিয়েছিল। 

মৃৎশিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় মৃৎশিল্পেরও অগ্রগতি ঘটেছিল। প্রথমদিকে মৃৎপাত্রগুলি হাতে তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিম এশিয়া থেকে দূরত্ব চাকার সাহায্যে মৃৎপাত্র তৈরির কৌশলটি মেহের সভ্যতায় আমদানি করা হয়। ফলে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ নাগাদ মেহেরগড় সভ্যতায় মৃৎপাত্র তৈরিতে ঘুরন্ত ঢাকার ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীকালে মৃৎপাত্রগুলি চুরি আগুনে পোড়ানো এবং তাতে বিভিন্ন রঙের প্রলে দেওয়া শুরু হলে মুৎশিয়ে অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে। দৈনন্দিন ব্যবহার্য পাত্র ছাড়াও এই সভ্যতায় পোড়া মাটির নারীমূর্তি, গবাদিপশুর মূর্তি প্রভৃতি তৈরি হত বঙ্গে নিদর্শনগুলি থেকে অনুমান করা যায়।


বস্ত্র বয়নশিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় বয়নশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানে কার্পাস তুলোর চুর পোড়া বীজ পাওয়া গেছে। এটি ভারতে কাজ তুলো চাষের প্রাচীনতম নিদর্শন বলে মনে করা হয়। অনুমান করা যেতে পারে যে, কাপাসের তুলো দিয়ে মুখো তৈরি করে তা কাপড় বোনার কাজে ব্যবহার করা হয়। এখানে হাতে সেলাই করা বিভিন্ন বস্তু ব্যবহারে

অন্যান্য শিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় অন্যান্য বিভিন্ন শিল্প ও প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছিল। এর মধ্যে অন্যতম

অলংকার শিল্প। অলংকারগুলি তৈরি হত পাথর নিয়ে। এখানে ছোটো শব্দ, নীলকান্তমণি, চুনি, লাপিস লামুলি প্রভৃতির যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। 


আশাকরি যে, একাদশ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় (wb class 11 history question answer and suggestion 2023) আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতাসমূহ এর থেকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ mcq question answer, history saq question answer and most important history LA Question Answer And Class 11 History Notes তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে, তার বাইরে তোমাদের আর কিছু পড়তে হবেনা।।

Tags : একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহ প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের mcq প্রশ্ন-উত্তর | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের saq প্রশ্নোত্তর | wb class 11 history question answer |wb class 11 history mcq suggestion 2023 | class 11 history saq suggestion 2023 | class 11 history suggestion 2023 | Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali | WB Class 11 history chapter 2  questions and answers in bengali | wb class 11 history saq question answer | wb class 11 history question answer 2023 | west Bengal board class 11 history LA Question answer and suggestion 2023


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top