জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ,SAQ & বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমি দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তর এবং সেইসঙ্গে কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (WB Class 10 Bengali Question Answer And Suggestion) জ্ঞানচক্ষু mcq & saq question answer, জ্ঞানচক্ষু গল্পের SAQ Question Answer & Gyanchokkhu Golper LA Question Answer & Notes তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আজকের এই ব্লগ পোস্টে ক্লাস টেনের বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে যে সমস্ত এমসিকিউ এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর তোমাদের করে দেওয়া হয়েছে,সেখান থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং বিভিন্ন স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে। তাই ক্লাস 10 বাংলা প্রথম অধ্যায় " জ্ঞানচক্ষু " গল্পের এই mcq question answer & saq question answer গুলো তোমাদের ভালো করে পড়া উচিত।
ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | WB Class 10 Bengali - জ্ঞানচক্ষু mcq & saq question answer
জ্ঞানচক্ষু mcq & saq question answer |
Table Of Contents
• ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উওর
• জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন উওর
• জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর
• ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন
• ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq প্রশ্ন উওর
• ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু গল্পের saq প্রশ্ন
• দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর
• জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন উওর
• জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর
• ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন
• ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq প্রশ্ন উওর
• ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু গল্পের saq প্রশ্ন
• দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর
ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | WB Class 10 Bengali - জ্ঞানচক্ষু mcq & saq question answer
১.১- জ্ঞানচক্ষু গল্পটির উৎস হল -
(ক) গল্পগুচ্ছ
(খ) চকাচকি
(গ) কুমকুম
(ঘ) পাতার পোষক
উওর : কুমকুম।
১.২ ‘এ দেশের কিছু হবে না' – কথাটি কে বলেছিলেন? -
(ক) তপন
(খ) ছোটো মেসো
(গ) তপনের বাবা
(ঘ) তপনের কাকা।
উওর : ছোটো মেসো
১.৩ - তপন যে কারণে মামাবাড়িতে এসেছে, তা হল –
(ক) ছোটোমেসোর জন্মদিন
(খ) ছোটো মাসির বিয়ে
(গ) ছোটো মাসির জন্মদিন
(ঘ) ছোটো মামার বিয়ে
উওর : ছোটো মাসির বিয়ে।
১.৪- ‘সেই বই নাকি ছাপাও হয়— যার লেখা বই ছাপা হয় -
(ক) ছোটোমাসি
(খ) ছোটো মামা
(গ) তপনের বাবা
(ঘ) ছোটো মেসোর
উওর : ছোটো মেসোর
১.৫ তপনের মেসোমসাই কোন পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন? –
(ক) প্রবাসী
(খ) দেশ
(গ) সন্ধ্যাতারা
(ঘ) সোমপ্রকাশ
উওর : সন্ধ্যাতারা।
১.৬ ‘তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা, কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ, তখন আহ্লাদে ___হয়ে যায়। -
(ক) আনন্দিত
(খ) দুঃখিত
(গ) কাঁদো কাঁদো
(ঘ) বিহ্বল।
উওর : কাঁদো কাঁদো।
১.৭ - চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে –
(ক) সকালে
(খ) বিকেলে
(গ) সন্ধ্যায়
(ঘ) রাতে
উওর : বিকেলে
১.৮ তপনের হাত আছে। – কথাটির অর্থ হল –
(ক) হস্তক্ষেপ
(খ) ভাষার দখল
(গ) মারামারি
(ঘ) জবরদস্তি
উওর : ভাষার দখল
১.৯ "শুধু এইটাই জানা ছিল না – অজানা বিষয়টি হল –
(ক) মেসো একজন লেখক
(খ) তার গল্প ছাপা হবে
(গ) মানুষ-ই গল্প লেখে
(ঘ) সে গল্প লিখতে পারে।
উওর : মানুষ-ই গল্প লেখে।
১.১০ তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল –
(ক) সকালবেলা
(খ) দুপুরবেলা
(গ্র) বিকেলবেলা
(ঘ) রাত্রিবেলা
উওর : দুপুরবেলা।
১.১১ নিজের গল্প পড়ে তপনের যা হয়েছিল -
(ক) আনন্দে আপ্লুত হয়েছিল
(খ) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল
(গ) চোখে জল এসে গিয়েছিল।
(ঘ) মন খারাপ
উওর : গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।
১.১২ ছোটোমাসি তপনের থেকে বয়সে -
(ক) ছয় বছরের বড়ো
(খ) বছর তিনেকের বড়ো
(গ) বছর আষ্টেকের বড়ো
(ঘ) বছর দশেকের বড়ো।
উওর : বছর আষ্টেকের বড়ো।
১.১৩ বাড়িতে তপনের নাম হয়েছে – (ক) গল্পকার,লেখক
(খ) কবি; সাহিত্যিক; কথাশিল্পী,
(গ) কবি; লেখক
(ঘ) কথাশিল্পী, গল্পকার।
উওর : কবি; সাহিত্যিক; কথাশিল্পী,
১.১৪ তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল – (ক) প্রথম দিন
(খ) স্কুলে প্রথম দিন
(গ) শেষ রাত
(ঘ) শেষ দিন
উওর : প্রথম দিন।
১.১৫ তপনের সম্পূর্ণ নাম কী ছিল? – (ক) তপন কুমার সেন
(খ) শ্রী তপন কুমার বিশ্বাস
(গ) তপন কুমার পাল
(ঘ) শ্রীতপন কুমার রায়।
উওর : শ্রীতপন কুমার রায়।
১.১৬ - " আজ যেন তাঁর সবচেয়ে দুঃখের দিন " - কার কথা বলা হয়েছে ?
(ক) তপন
(খ) ছোটো মেসো
(গ) তপনের বাবা
(ঘ) তপনের কাকা।
উওর : তপন।
১.১৭ - কথাটা শুনে তপনের চোখ হয়ে গিয়েছিল -
(ক) কাচের মতো
(খ) বলের মতো
(গ) আয়নার মতো
(ঘ) মার্বেলের মতো
উওর : মার্বেলের মতো।
১.১৮- কখন তপনের বুকের রক্ত ঝলকে ওঠে -?
(ক) যখন তার প্রথম গল্প লেখা হয়।
(খ) যখন তপনের মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তার বাড়িতে আসে।
(গ) যখন তপন প্রথম জানতে পারে যে, তাঁর মেসো একজন লেখক।
(ঘ) যখন তপন জানতে পারে যে? মানুষই গল্প লেখে।
উওর :যখন তপনের মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তার বাড়িতে আসে।
১.১৯- " তপন আর পড়তে পারে না " - তপনের গল্পটি পড়তে না পারার কারণ কী?
(ক) কারণ সেই গল্পটির ভাষা খুব কঠিন ছিল
(খ) গল্পটি তাঁর নিজের লেখা ছিল না।
(গ) গল্পটি পড়ার সময় তপনের চোখে সমস্যা হচ্ছিল।
(ঘ) সবার সঙ্গে গল্প পড়তে তপনের অসুবিধা হচ্ছিল।
উওর : গল্পটি তাঁর নিজের লেখা ছিল না।
১.২০ - " ক্রমশ কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে " কোন কথানা ছড়িয়ে পড়ে -?
(ক) গল্প প্রকাশ হওয়ার কথাটা
(খ) গল্প কারেকশনের কথাটা
(গ) তপনের গল্প লেখার কথাটা
(ঘ) গল্প লেখায় তপনের হাত নেই সেই কথাটা
উওর : গল্প কারেকশনের কথাটা।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন উওর | ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের saq প্রশ্ন উওর
২। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন :(কমেবেশি ২০টি শব্দে)
২,১ “নতুন মেসোকে দেখে জানল সেটা”— নতুন মোসোকে দেখে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী জানতে পারল।
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন " তার নতুন মেসোকে দেখে এটা জানতে পেরেছিল যে তার মেসো একজন লেখক যিনি বই লেখেন। এবং লেখকরা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী নয়। লেখকরাও তাঁর মতোই সাধারণ মানুষ।
২.২- তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল? [ME [17]
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের লেখা গল্পটি পড়ে ছোট মাসি তপনকে জিজ্ঞেস করেছিল, সে এই গল্পটি কোথাও থেকে নকল করেছে কিনা।
২.৩- " ক্রমশ কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে " - কোন কথাটা ছড়িয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে?
উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পে মূল চরিত্র তপন যেই গল্পটি লিখেছিল,সেটা তার নতুন মেসো কারেকশন করে পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছে। এই কথাটাই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে।
২.৪ - " একটু কারেকশন করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে " কে, কি ছাপানোর কথা বলেছেন? মাধ্যমিক 2018
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের নতুন মেসো,তপনের লেখা গল্পটি কারেকশন করে ছাপতে দেওয়ার কথা বলেছেন।
২.৫ - " তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই " - কোন বিষয়ে কথা বলা হয়েছে?
উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল পর্বে তপনের দিক থেকে এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একজন লেখক হয়ে নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্য একজন লেখকের গল্প পড়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখের।
২.৬- " গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ঙ্কর আল্লাহ টা হবার কথা,সে আল্লাহ খুঁজে পায়না " - উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আল্লাহদিত না হতে পারার কারণ কি?
উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের নিজের লেখা গল্প প্রকাশিত হলে যে আল্লাহটা তপন খুঁজে পেত, সেটা খুঁজে না পাওয়ার কারণ হলো, সবার কাছে তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হওয়ার থেকে, তাঁর মেসোমশাইয়ের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার বিষয়েটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
২.৭ - " এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের " - কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের সন্দেহ যে, লেখকরা তার মতোই সাধারণ মানুষ কিনা। তপনের মতে লেখকরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী। তাদের যে কখনো চোখের সামনে দেখা যেতে পারে বা লেখকরা যে তার বাবা, ছোট মামা এবং মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ,সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
২.৮ - " রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই " - কথাটির তাৎপর্য কি..
উওর : কথাটি সাধারণ অর্থে বোঝায় কেবল জ্ঞানীব্যক্তিই ওপর গুণের কদর করতে জানে। জ্ঞাচক্ষু গল্প এখানে রত্ন বলতে বোঝানো হয়েছে তপনকে এবং জরুরি বলতে বোঝানো হয়েছে তপনের নতুন মেসোমশাইকে। তপনের লেখা গল্পের মূল্য যদি সত্যিই কেউ বুঝে থাকেন তাহলে সেটা তপনের মেসোমশাই। এখানে সেই কথাই বলা হয়েছে।
২.৯ - " পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? " এখানে কোন ঘটনাকে বল কি বলা হয়েছে?
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র " তপন " এর লেখা একটি গল্প তার নতুন মেসোর মাধ্যমে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাকে এখানে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে।
২.১০ - " তপন আর পড়তে পারেনা "- তপনের আর পড়তে পারার না পারার কারণ কী?
উওর : নতুন মেসোমশাই যখন সন্ধ্যাতার পত্রিকাটি তপনের হাতে, দিয়েছিল তখন তপনকে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে তার মেসোমশাইয়ের লেখা গল্প পড়তে হয়েছিল। যার ফলে তপনের মনে আঘাত লাগে। এবং সেই কষ্টেই তপন আর পড়তে পারে না।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর ||WBBSE Class 10 History Question Answer And Suggestion 2023
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উওর |
পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? অলৌকিক ঘটনাটি কি? ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে কেন?
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো তপন। গল্পের মূল পর্বে, তপনকে ঘিরেই এই অলৌকিক বিষয়টি চিত্র ফুটে উঠেছে।
খুব সাধারণ অর্থে অলৌকিক ঘটনা বলতে আমরা সেই সমস্ত ঘটনাকে বুঝে থাকি, যে সমস্ত ঘটনা সাধারণত এই লৌকিক জগতে ঘটতে দেখা যায় না বা ঘটে না। জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন,তার নতুন মেসোকে দেখার আগে তার মনে এই ধারণা ছিল যে,যারা গল্প লেখেন অথবা লেখক,তারা কোনো সাধারণ মানুষ নন। তাঁরা হলেন ভিনগ্রহের প্রাণী। কিন্তু তপন তার নতুন মেসোকে দেখার পর এটা জানতে পারে, যে লেখকরাও তার বাবা,কাকা বা তাঁর মতোই সাধারণ মানুষ। এই বিষয়টি জানার পর তপন ভাবে যে,যদি তার মেসো একজন লেখক হতে পারেন এবং তার লেখা বই যদি ছাপাও হয়, তাহলে তপন কেন লেখক হতে পারবে না?
এই চিন্তা নেই তপন তার কাঁচা হাতে একটি গল্প লিখে ফেলে এবং সেই গল্পটা তার মাসির সৌজন্যে তার নতুন লেখকে মেসোমশাইয়ের হাতে যায়। লেখক মেসো মশাই তপনের মন রাখার জন্য বলেন যে,গল্পটা একটু কারেকশন করে দিলেই সেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানো যেতে পারে। এই কথা বলার পর মেসো তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান।
এরপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা করার পর, একদিন ছোট মাসি এবং মেসোমশাই তপনদের বাড়িতে আসে এবং তখন তাদের হাতে থাকে একটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকা। মেসোমশাই হাতে সন্ধ্যাতা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকে রক্ত ছলকে ওঠে। মেসো তাকে কথা দিয়েছিল যে, তার লেখা গল্পটা ছাপানো হবে। এবং যেমন কথা ঠিক তেমনি কাজ। তপনের লেখা গল্পটি সত্যিই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতো সহজে এবং এত তাড়াতাড়ি তপনের মত একজন কমবয়সী লেখকের গল্প,সন্ধ্যাতারা পত্রিকার মতো একটি নামকরা পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাটাই, তপনের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছিল। এবং তপনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে।।
জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো | WBBSE Class 10 Bengali Question Answer 2023
জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের চরিত্র |
ভূমিকা : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা মূল চরিত্র হলো তপন। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায় তপনের জীবনও আর পাঁচজন স্বাভাবিক বাচ্চার মতোই আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন স্বপ্নভঙ্গ, কল্পনা ও বাস্তব,আনন্দ অভিমান ইত্যাদির মধ্যেই মিশে রয়েছে। তবে তপনের জীবন আর পাচজন স্বাভাবিক শিশুর মতো হলেও, তপনের চরিত্রে আমরা বিশেষ কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই,যা তপনকে আর 5 জন স্বাভাবিক শিশুর থেকে আলাদা করে রাখে। যেমন -
◆ তপনের কল্পনার জগত : প্রত্যেক শিশুরই একটি আলাদা কল্পনার জগত থাকে। যেখানে তারা নিজেদের বিভিন্ন বিষয় বস্তু গুলিকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে। আর 5 জন শিশুর মতো তপনেরও ছিল সেরকমই একটি কল্পনার জগত। কিন্তু তার কল্পনার জগতের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো,আর পাঁচজন স্বাভাবিক শিশু লেখকদের সম্পর্কে যতটা না ভাবতো, তপন তার কল্পণার দুনিয়ায় লেখকদের সম্পর্কে আরও একধাপ এগিয়ে ভাবতো। তপনের কল্পনার জগতে লেখকরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী। অর্থাৎ লেখকরা কোনো সাধারন মানুষ নয় যারা পৃথিবীতে থাকবে। তাই তপন তার কল্পনার মাধ্যমে লেখকদের একটি আলাদা গ্রহের প্রাণী হিসেবে নিজের কল্পনার দুনিয়ায় উপস্থিত করেছিল।
◆ সাহিত্যপ্রেমী : তপনের চরিত্রের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, তপন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যপ্রেমী। তপন ছোটবেলা থেকেই অনেক গল্পের বই পড়েছে এবং অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন রকম গল্প শুনেছে। যার ফলে সাহিত্যের প্রতি তপনের আলাদা রকম একটা আকর্ষণ বা টান রয়েছে। এবং সেই আকর্ষণ বা টানের জন্যই তপন, যখন জানতে পারে যে তার ছোট মেসো একজন লেখক,তখন তপনের মনেও একজন লেখক হয়ে ওঠার ইচ্ছে জাগে।
◆ গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন : তপন যে তার বয়স অনুপাতে খুবই গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন ছিল তা আমরা এই কথা থেকেই জানতে পারি যে,তার বয়সের ছেলে মেয়েরা যখন গল্প লিখতে যায় তখনই তারা হয়তো রাজা রানী,খুুন-যখম - অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে। কিন্তু তপন এসব বিষয়ে থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতিতি নিয়েই গল্প লিখেছিল। যা তার আলাদা চিন্তাভাবনার পরিচয় দেয়।
◆ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন : তপনের বয়স কম হলেও, বয়স হিসেবে তপনের আত্মমর্যাদা ছিল প্রবল। তপনের মেসোমশাই যখন, তপনের লেখা গল্পটা পাল্টে নিজের গল্পটাই ছাপিয়ে দেয়, তখন সেই ব্যাপারটা তপনের আত্মসম্মানে লাগে। যার পরেই তপন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে, তপন যদি আর কোনোদিন গল্প লেখে,তাহলে সে নিজে গিয়ে ছাপতে দিয়ে আসবে। তাতে তপনের লেখা ছাপা হলেও খুশি আর না হলেও খুশি। কিন্তু তাকে যেন আর কখনোই শুনতে না হয় যে তার লেখা অন্য কেউ ছাপিয়ে দিয়েছে।
আশাকরি যে,
দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তর এবং সেইসঙ্গে কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (WB Class 10 Bengali Question Answer And Suggestion) জ্ঞানচক্ষু mcq & saq question answer, জ্ঞানচক্ষু গল্পের SAQ Question Answer & Gyanchokkhu Golper LA Question Answer & Notes
গুলো তোমাদের কাজে আসবে।
Tags :