একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর |
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ( wb class 11 history question answer chapter 3 in Bengali) রাজনৈতিক বিবর্তন শাসনকার্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা ( wb class 11 history question answer and suggestion 2023) থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ class 11 history mcq question answer, modern Indian history saq question answer, and wb class 11 history LA Question Answer And History Notes তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এর আগের পোস্টে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন 2022-23 তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। এবং তারপর আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন 2022-23 হিসেবে যে সমস্ত প্রশ্ন রেখেছিলাম, আর তার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা চাইলে তার উওর সেখান থেকে দেখে নিতে পারো।।
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11 History MCQ Question Answer
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উওর |
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11 History MCQ Question Answer
1. প্রথমদিকে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রগুলির আকৃতি ছিল—
A- ক্ষুদ্র
B- মাঝারি
C- অতি বৃহৎ
D- বৃহৎ
উওর : ক্ষুদ্র
2. প্রাচীনকালে কোন্ দেশে পলিস বা নগর রাষ্ট্রের বিকাশ ঘটেছিল -
A-ইরানে
B- ম্যাসিডনিয়ায়
C-পারস্যে
D - গ্রিসে
উওর : গ্রিসে
3. প্রাচীন গ্রিসে আনুমানিক কতগুলি পলিসের অস্তিত্ব ছিল?
A- 50
B- 500
C- 1500
D- 3000
উওর : 1500
4- প্লেটোর মতে, একটি আদর্শ পলিসের জনসংখ্যা হওয়া উচিত—
A- 4 হাজার
B- 5 হাজার
C- 6 হাজার
D- 7 হাজার
উওর : 5 হাজার
5- এথেন্সে ম্যাজিস্ট্রেটরা কী নামে পরিচিত ছিল—
A- আরকান
B- ইফর
C- গেরুসিয়া
D- একলেজিয়া
উওর : আরকান
6. রামায়ণে কয়টি জনপদের উল্লেখ আছে
A- ১৬টি
B- ১৮টি
C- ২৫টি
D - ২৭টি
উওর : ২৭টি
7. মহাভারতে কয়টি জনপদের উল্লেখ আছে?
A- ১৬টি
B- ১৮টি
C- ২৫টি
D - ২৭টি
উওর : ২৫টি
8. দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত একমাত্র মহাজনপদটির নাম ছিল -
A- পাঞ্চাল
B- অস্মক
C- গান্ধার
D- মল্ল
উওর : অস্মক
9- পাঞ্চাল অস্মক বৃদ্ধি ও মল্ল নামে মহাজনপদ দুটি ছিল -
A- রাজতান্ত্রিক
B- অভিজাততান্ত্রিক
C- প্রজাতান্ত্রিক
D- স্বৈরতান্ত্রিক
উওর : প্রজাতান্ত্রিক
10. উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা হলেন—
A- বিম্বিসার
B- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C- মহাপদ্মনন্দ
D- অজাতশত্রু
উওর : মহাপদ্মনন্দ
11. ভারতে প্রথম ঐতিহাসিক রাজা হলেন-
A- বিম্বিসার
B- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C- মহাপদ্মনন্দ
D- অজাতশত্রু
উওর :চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
12. মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন
A-চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
B- বৃহদ্রথ
C- স্কন্ধগুপ্ত
D- অশোক
উওর : চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
13. 'ইন্ডিকা' গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন -
A- প্লুটার্ক
B- হিউয়েন সাঙ
C- সেলুকাস
D - মেগাস্থিনিস
উওর : মেগাস্থিনিস
14. গুপ্ত যুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ছিলেন—
A-বিশাখদত্ত
B- পতঞ্জলি
C- কালিদাস
D - শূদ্রক
উওর : কালিদাস
15. প্রাচীন গ্রিক নগর-রাষ্ট্রগুলিতে -- A-জনগণ শাসনকার্যে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারত
B-গ্রামের কোনো অস্তিত্ব ছিল না C-বৃহদায়তন সাম্রাজ্যের অস্তিত্বও ছিল।
D -গণতন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল না।
উওর : জনগণ শাসনকার্যে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারত
16. গ্রিক পলিসগুলির মধ্যে -
A-এথেন ছিল স্বৈরতান্ত্রিক
B- স্পার্টা ছিল অভিজাততান্ত্রিক
C- সকল পলিস ছিল গণতান্ত্রিক
D- সকল পলিস ছিল অভিজাততান্ত্রিক
উওর : সকল পলিস ছিল অভিজাততান্ত্রিক
17- প্রাচীন গ্রিক নগর রাষ্ট্রগুলিতে -
A- বসবাসকারী সকলেই নাগরিক অধিকার ভোগ করত
D- বিদেশিরা নাগরিকদের সমান অধিকার ভোগ করত
C- মহিলারা নাগরিক বলে গণ্য হত না।
D- ক্রীতদাসদের বিভিন্ন নাগরিক অধিকার ছিল।
উওর : মহিলারা নাগরিক বলে গণ্য হত না।
18- অ্যাক্সেপলিস ছিল -
A- পলিসের শাসনকেন্দ্র
B- পলিসের স্থানীয় বাজার
C- গণতান্ত্রিক পলিসের বিচারালয়
D- অভিজাততান্ত্রিক পলিসের বধ্যভূমি
উওর : পলিসের শাসনকেন্দ্র
19- প্রাচীন ভারতে জনপদগুলির উত্থানের পরবর্তীকালে -
A- সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটেছিল
B- বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলি ভেঙে গিয়েছিল
C- মহাজনপদের উত্থান ঘটেছিল
D- মহাজনপদের ভাঙন শুরু হয়েছিল।
উওর : মহাজনপদের উত্থান ঘটেছিল
20- প্রাচীন ভারতে খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতকের অন্যতম ঘটনা ছিল—
A- বৃহৎ সাম্রাজ্যের উত্থান রচনা
B- রামায়ণ ও মহাভারতের
C -জনপদের উত্থান
D- মহাজনপদের উত্থান
উওর : মহাজনপদের উত্থান
21- এথেন্সের জুরি আদালতের নাম ছিল -
A- হেলাইয়া
B- সমিতি
C- ম্যাজিস্ট্রেট
D- ইফর
উওর : হেলাইয়া
22- পাহাড়ের শিখরে প্রতিষ্ঠিত
পলিসের শাসনকেন্দ্রটি ___ নামে পরিচিত ছিল।
A- অক্টোপলিস
B- অ্যাক্রোপলিস
C- পার্সিপলিস
D- অ্যাগোরা
উওর : অ্যাক্রোপলিস
23- মূলত___আক্রমণে পলিসগুলির পতন ঘটে।
A- ম্যাসিডনের
B- পারস্যের
C- মিশরের
D- ইরানের
উওর : ম্যাসিডনের
24- আর্য সমাজে কয়েকটি ____নিয়ে একটি 'জন' গড়ে উঠত।
A - গোত্র
B- গ্রাম
C - পরগনা
D - বিশ
উওর : বিশ
25- পাটলিপুত্র ছিল, রাজধানী। -
A- অবন্তির
B- কোশলের
C- মগধের
D - বৃজির
উওর : মগধের
26-_____ মেগাস্থিনিস ভারতে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় আসেন।
A- পারসিক
B- গ্রিক
C- চৈনিক
D- রোমান
উওর : গ্রিক
সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা দাও। সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা দাও। সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
উওর :
সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা :সাম্রাজ্য হলো এমন কোনো ভৌগলিক অঞ্চল,যার শাসক সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে তার রাষ্ট্রীয় সীমানার প্রসার ঘটায়। এবং সেখানে শাষক রাষ্ট্রের কল্যাণ মাথায় রেখে তার সাম্রাজ্য পরিচালনা করে, তাকে সাম্রাজ্য বলে।
• মৌর্য সাম্রাজ্য,মোগল সাম্রাজ্য,গুপ্ত সাম্রাজ্য হলো ভারতের বিখ্যাত কিছু প্রাচীন সাম্রাজ্য।
▪ সাম্রাজ্যের কিছু বৈশিষ্ট্য -
◆ আয়তন : পৃথিবীর বেশিরভাগ সাম্রাজ্যে আয়তন ছিল বিশাল। সাম্রাজ্যে আয়তন যে কোনো রাজ্যের আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি হয়। সাম্রাজ্যের শাসক বা সম্রাট সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে তার সাম্রাজ্যের আয়তন বাড়ানোর চেষ্টা করতেন এবং প্রতিটি সম্রাট সবসময় ই চাইতেন যে, তার সাম্রাজ্যের আয়তন যেন বিশাল হয়। কারণ সাম্রাজ্যের আয়তন যতোই বিশাল হবে,সাম্রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা ততোই শক্তিশালী হবে।এ কারণেই প্রতিটি সম্রাট তার সাম্রাজ্যের রাজ্যের আয়তন বানানোর চেষ্টায় থাকতেন।।
◆ শাসক : একটি রাজ্যের শাসক হিসেবে যেমন একজন রাজা থাকেন অর্থাৎ একটি রাজ্যের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন একজন রাজা, ঠিক তেমনই,কোনো সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ শাসক বা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন একজন সম্রাট। সম্রাট ই সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারি এবং সর্বোচ্চ শাসক।
◆ শাসন ব্যবস্থা : সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার পেছনে থাকেন সম্রাট। এবং তিনি তার সাম্রাজ্যের ভালো-মন্দ বিচার করে তার সম্রাজ্য পরিচালনা করে থাকেন। এবং সাম্রাজ্যের পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকের ভালো-মন্দ বিচার করে তিনি বিভিন্ন নিয়ম কানুন বা আইন তৈরি করতেন।
◆ শাসন বিভাগ :সাম্রাজ্যের আয়তন বিশাল হওয়ায় একজন সম্রাটের পক্ষে তার বিশাল আয়তন সাম্রাজ্যের পরিচালনা কখনোই সম্ভব ছিল না। এজন্য সম্রাট তার বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি শাসন বিভাগ তৈরি করতেন,যারা সম্রাটের অধীনে থেকে সাম্রাজ্যের কোনো এক অংশে আঞ্চলিকভাবে শাষন, পরিচালনা এবং এবং তার ভালো-মন্দ দেখাশোনা করতেন।
◆ আর্থিক ব্যবস্থা : যে কোনো সাম্রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা হতো খুবই মজবুত। কারণ সাম্রাজ্যের আয়তন খুবই বৃহৎ হতো,যার ফলে সম্রাটের কাছে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বা খাজনা জমা হতো। এবং সেই বিশাল পরিমাণ খাজনা বা করের কারণেই সাম্রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খুবই মজবুত হতো।
◆ বিভিন্ন জাতি -উপজাতির অস্তিত্ব :যে কোনো সাম্রাজ্যের আয়তন বিশাল হওয়ায়,এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে - একটি সাম্রাজ্যের অধীনে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি এবং গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করবে।
◆ শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর : সাম্রাজ্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন যোগ্য সম্রাটের প্রয়োজন। কিন্তু তৎকালীন সম্রাটের পর কে সেই সাম্রাজ্যের সম্রাট হবে,তা নির্ণয় করা হতো বংশানুক্রমিকভাবে। অর্থাৎ সম্রাটের পুত্রই পরবর্তী সম্রাট হিসেবে সাম্রাজ্যের পরিচালনা করতেন।
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা সাম্রাজ্যের যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই, তা থেকেই আমরা বিভিন্ন সাম্রাজ্যে সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা লাভ করতে পারি।
মৌর্য ও ম্যাসিডোনিয়া সাম্রাজ্য সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লেখ | WB Class 11 History Question Answer & Suggestion 2023
মৌর্য ও ম্যাসিডোনিয়া সাম্রাজ্য সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লেখ | মৌর্য ও ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের তুলনামূলক আলোচনা
◆ মৌর্য সাম্রাজ্য ও ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্য সাদৃশ্য :
◆ সুবিশাল সাম্রাজ্য :
• মৌর্য সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রে আমরা তার সুবিশাল আয়তনের বিষয়টি দেখতে পারি। মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং তার পরবর্তী বংশধররা তাঁদের সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।যদিও ওখানে উল্লেখ করা দরকার যে,সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের পর তার সম্রাজ্যবাদনীতি ত্যাগ করেছিলেন।
• অন্যদিকে ম্যাসিডনীয়া সম্রাটরাও সাম্রাজ্যবাদনীতি গ্রহন করার মাধ্যমে তাদের প্রতিবেশী ক্ষুদ্র গ্রিক পলিস গুলি এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলি একে একে দখল করে তাদের ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের আয়তন সুবিশাল করে তুলেছিলেন।
◆ বংশানুক্রমিক শাসন ব্যবস্থা :
• মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা ছিল বংশানুক্রমিক। এই বংশানুক্রমিক শাসনব্যবস্থা অনুসারেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পর তার পুত্র বিন্দুসার মৌর্য বংশের সিংহাসনে বসে ছিলেন।
• অন্যদিকে একই প্রথা অনুযায়ী ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের শাসন ক্ষমতাও বংশানুক্রমিকভাবে হতো।বংশানুক্রমিক ভাবেই ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দ্বিতীয় ফিলিপ,তৃতীয় আলেকজান্ডারের মতো সকল ম্যাসিডোনিয়া সম্রাটের হাতে গিয়েছিল।
◆ শাসন কাঠামো :
• মৌর্য সাম্রাজ্যের মত এতো সুবিশাল একটি সাম্রাজ্য পরিচালনা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের একাএ পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না। এজন্য তিনি তার সম্রাজ্য বিকেন্দ্রীভূর শাষনব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রীমন্ডলী, অধ্যক্ষ,বলাধ্যক্ষ অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়োগ করে তিনি তার রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন।
• অন্যদিকে ম্যাসিডোনিয়া সম্রাটরাও ঠিক একই পদ্ধতি অনুসারে তাদের সাম্রাজ্যর পরিচালনা করতেন।। ম্যাসিডনের সম্রাটরা বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের সাম্রাজ্যর পরিচালনা করতেন।
◆ স্থাপত্য ও শিল্পকলা :
• মৌর্য সম্রাটদের আমলে বিভিন্ন নির্মাণকাজে উৎকর্ষ লক্ষ্য করা যায়।মৌর্য রাজাদের শাসনকালে বিভিন্ন প্রাসাদ-দুর্গ,স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মিত হয়েছিল। অর্থাৎ মৌর্য সাম্রাজ্যে স্থাপত্য ও শিল্পকলার বিকাশ হয়েছিল।
• অন্যদিকে ম্যাসিডনীয়া সম্রাটারাও সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি কিছু নির্মাণকার্য করেছিলেন। আলেকজান্ডার 70 টি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। এছাড়াও ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থাপত্য ও শিল্পকলার বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া যায়।
মৌর্য সাম্রাজ্য ও ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের মধ্যে পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য | WB Class 11 History Question Answer And Suggestion 2023
ভূমিকা :
ভারতের প্রাচীন সাম্রাজ্য গুলির মধ্যে মৌর্য সাম্রাজ্য এবং প্রাচীন গ্রিসের সাম্রাজ্য গুলির মধ্যে ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য।
◆ মৌর্য ও ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্য তুলনামূলক আলোচনা -
◆ অবস্থানগত পার্থক্য -
• মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য সাম্রাজ্য।
• ম্যাসিডোনিয়া সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন গ্রিসের একটি উল্লেখযোগ্য সাম্রাজ্য।।
◆ প্রতিষ্ঠাতা : -
• মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 324 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে নন্দ বংশের শেষ শাসক ধননন্দ কে পরাজিত ও হত্যা করে তিনি মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
• প্রাচীন গ্রিসের ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ক্যারানাস। তৃতীয় অ্যামিন্টাস সর্বপ্রথম একটি ঐক্যবদ্ধ ও দারুন শক্তিশালী ম্যাসিডোনিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
◆ সঠিক শাসন পরিকাঠামো :
• চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তার বিশাল আয়তন মৌর্য সাম্রাজ্যে একটি সুদক্ষ শাসন পরিকাঠামোর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
• কিন্তু,অন্যদিকে ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের সম্রাটরা তাদের বিশাল আয়তন ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের সেরকমভাবেও একটি সঠিক শাসনব্যবস্থা বা প্রশাসনিক পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেননি।
◆ স্থায়িত্বগত পার্থক্য :
• ভারতের মৌর্য সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল প্রায় এক শতাব্দী পর্যন্ত। 324 খ্রিস্টপূর্বাব্দ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। এবং 232 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বৃহদ্রথের মৃত্যুর পরেই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
• অন্যদিকে ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব মৌর্য সাম্রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। ম্যাসিডনীয়া সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপের সিংহাসনারোহণের সময় থেকে শুরু করে তৃতীয় আলেকজান্ডারের মৃত্যু পর্যন্ত এই সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল প্রায় 36 বছর।
◆ ধর্মের প্রসার :
• মৌর্য সাম্রাজ্যের একজন শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট " অশোক " এর আমলে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটাতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ছিলেন অর্থাৎ মৌর্য সাম্রাজ্যের ধর্মের প্রসার দেখা দিয়েছিল।
• ম্যাসিডোনিয়া সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ম্যাসিডনীয় সম্রাট ই ধর্মের প্রসারে অথবা ধর্ম নিয়ে তাদের কোনো কার্যকলাপ দেখা যায়নি।
◆ সভ্যতা ও সংস্কৃতি :
• মৌর্য শিল্পকলায় বিদেশি শিল্পকলার প্রভাব থাকলেও,মৌর্য সাম্রাজ্যের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তা ছিল সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থাৎ বিদেশি প্রভাবমুক্ত।
• অন্যদিকে ম্যাসিডনীয়া সাম্রাজ্যের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ছিল প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়।
পলিস বলতে কী বোঝো, এর বৈশিষ্ট্য ও পতনের কারণ গুলি লেখ || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
পলিস বলতে কী বোঝো | গ্রিক পলিস এর বৈশিষ্ট্য
উত্তর :
◆ ভূমিকা : প্রাচীন গ্রিসে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম থেকে অষ্টম শতকে এক নতুন ধরনের রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো গড়ে ওঠে। যা বৃহদায়তন রাষ্ট্রের অধীনে থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন গ্রিসের এই ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্র গুলিকেই পলিস বলা হতো। প্রাচীন গ্রিসে আনুমানিক 1500 - 1600 পলিসের অস্তিত্ব ছিল বলে অনেকে মনে করেন। প্রাচীন পলিস
গুলির মধ্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যেত। যেমন -
◆ আয়তন ;পলিসের প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য ছিল পলিসের ক্ষুদ্র আয়তন। প্রাচীন পলিস গুলির আয়তন হত খুবই ক্ষুদ্র। তবে অনেক সময় এটাও দেখা গিয়েছে, যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিসের আয়তন বিশাল ও হতো। বেশিরভাগ পলিসের আয়তন ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে, পলিসের নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে পারতেন।
◆ জনসংখ্যা : প্রাচীন পলিস গুলির মধ্যে বেশিরভাগ পলিসের আয়তন ছিল ক্ষুদ্র। তাই বেশিরভাগ পলিসের জনসংখ্যা ছিল খুবই কম।।কিন্তু প্রাচীন গ্রিসে এমন কিছু পলিশের অস্তিত্ব ছিল যার জনসংখ্যা 1 লক্ষেরও বেশি ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ পলিসের জনসংখ্যাই সাধারণত কম হতো।
WB Class 11 Philosophy এর বিভিন্ন অধ্যায়ের MCQ Question এর ওপর Free Online Mock Test দিতে নিচের লিঙ্ক গুলো ওপর ক্লিক করো👇👇
1- Class 11 Philosophy Free Online Mock Test Part - 1
2- Class 11 Philosophy Free Online Mock Test Part - 1
3- Class 11 Philosophy Free Online Mock Test Part - 1
◆ শাসনব্যবস্থা : প্রাচীন গ্রিসের পলিস গুলিয়ে প্রথমদিকে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। অর্থাৎ পলিসের শাসনতন্ত্র ছিল একনায়কতান্ত্রিক। কিন্তু পরবর্তীকালে পলিসের বাসিন্দারা পলিসে রাজ শাসনতন্ত্রকে সরিয়ে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এবং গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের শাসন পরিচালনা করতেন।
◆সমাজ বিন্যাস : পলিশের জনসংখ্যা বা সমাজ মূলত চার ভাগে বিভক্ত ছিল। যারা পলিসে জন্ম গ্রহণ করত,তারা নাগরিক হিসেবে গণ্য হতো। পলিসে বিদেশিদের বলা হতো মেটিক। এবং অধিকারহীন শ্রমিকদের ক্রীতদাস হিসেবে ভাগ করা হতো এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, পলিসে মহিলাদের কোনো নাগরিক অধিকার ছিল না। তাই মহিলাদের নাগরিক হিসেবে কখনো গণ্য করা হতো না।
◆ শাসনকেন্দ্র : পলিসে সঠিক শাসন পরিকাঠামো বজায় রাখার জন্য বা সঠিকভাবে পলিসের শাষন পরিচালনার জন্য প্রতিটি পলিসে একটি করে শাসনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হতো। পলিসের শাসনকেন্দ্র গুলিকে বলা হতো " অ্যাক্রোপলিস "।
◆ আর্থিক অবস্থা ; বেশিরভাগ পলিসেই ক্রীতদাসদের অস্তিত্ব ছিল।। যার ফলে ক্রীতদাসদের মাধ্যমেই পলিসের কৃষিকাজ,শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করানো হতো। এবং ক্রীতদাসদের শ্রমের জন্যেই পলিস গুলির আর্থিক ব্যবস্থার মূল পরিকাঠামো দাঁড়িয়ে থাকতো।
প্রাচীন পলিসের পতনের কারণ গুলি আলোচনা করো || West Bengal Class 11 History Question Answer And Notes 2023
◆ সামরিক শক্তির অভাব : পড়ে স্কুলের পেছনের মূল কারণ ছিল সামরিক শক্তির অভাব কোন পলিসি সেরকম কোনো সামরিক বাহিনী ছিল না যার দ্বারা তারা অন্য কোন রাষ্ট্রের বা সাম্রাজ্যের যেকোনো ধরনের বহিরাক্রমণ কে প্রতিহত করতে পারতো।
◆ সুযোগ্য নেতার অভাব : পলিসের বেশীরভাগ জনগণ ছিল সাধারণ কৃষক। তারা কোনো সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল না যার ফলে পলিসের সামরিক বাহিনীতে সেরকম কেউ ছিল না,যে একজন সুযোগ্য সামরিক নেতা হিসেবে তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের সময় সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে। এবং সঠিকভাবে বহিরাক্রমণকে প্রতিহত করবে।
◆ বহিরাক্রমণ : মনে করা হয় যে, পলিশ গুলির পতনের মূল কারণ ছিল বিভিন্ন বহিরাক্রমণ। পলিস গুলির সামরিক বাহিনীর দুর্বলতার কারণে, অন্যান্যে রাষ্ট্র বা রাজ্যের রাজারা খুব সহজেই পলিসগুলি দখল করেছিল। এবং এভাবে বহিরাক্রমণ ফলে পলিস গুলি ধীরে ধীরে অন্যান্য রাষ্ট্রের বা রাজ্যের অধীনে চলে যায়। ফল্ব আস্তে আস্তে করে তার পলিসগুলির পতন ঘটে।
◆ ঐক্যবদ্ধতার অভাব : পলিশ গুলির পতনের কারণ হিসেবে পলিসের নাগরিকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার অভাবটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পলিসের নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে বহিরাক্রমণ বা পলিশের পতনের অন্যান্য কারণগুলির ক্ষেত্রে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো কাজ করেননি বলে মনে করা হয়।
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস বিভিন্ন অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর অনলাইন মকটেস্ট দিতে নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করো👇👇
1- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের মকটেস্ট
2- একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের মকটেস্ট
3- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের মকটেস্ট
4- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের মকটেস্ট
5- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের MCQ
◆- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের মকটেস্ট
6- একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের মকটেস্ট
আরও দেখো👇
1- একাদশ শ্রেণির বাংলা ডাকাতের মা গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
2- একাদশ শ্রেণির বাংলা তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
3- একাদশ শ্রেণির বাংলা কর্তার ভূত গল্পের অনলাইন মকটেস্ট
4- একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের অনলাইন মকটেস্ট
5- একাদশ শ্রেণির নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার অনলাইন মকটেস্ট প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব এবং তৃতীয় দ্বিতীয় পর্ব
6- একাদশ শ্রেণির বাংলা নুন কবিতার অনলাইন মকটেস্ট
7- একাদশ শ্রেণির বাংলা বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতা অনলাইন মকটেস্ট
◆ ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের দখল : পলিস গুলির সামরিক বাহিনী বা সামরিক শক্তি অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায়, সেই সময়কার একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য - " ম্যাসিডনীয় " সাম্রাজ্যের সম্রাটরা, ধীরে ধীরে তাদের সুদক্ষ সেনাবাহিনী নিয়ে পলিসগুলি আক্রমণ করে। এবং তারা আস্তে আস্তে পলিস গুলি নিজেদের দখলে করে।। ফলে পলিস গুলি অন্যের দখলে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব হারায়।
◆ অনাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি : পলিসের এর মধ্যে এক সময় নাগরিকদের তুলনায় অনাগরিকদের সংখ্যাই বেশি অনেক হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে পলিস তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেছিল।
মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের বা অবনতির কারণ সম্পর্কে আলোচনা করো। || WB Class 11 History Question Answer & Suggestion 2023
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন 2023 |
মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের বা অবনতির কারণ সম্পর্কে আলোচনা করো। || মোগল সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল কেন?
ভূমিকাঃ- জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবর 1526 খ্রিস্টাব্দে ভারতের লেদি বংশের শাসনকালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। এবং তিনি প্রথম পানিপথের যুদ্ধে দিল্লির সুলতানকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের শাসন থাকলেও সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পর থেকে মোগল সাম্রাজ্যের পতন হতে শুরু করে। মোগল সাম্রাজ্যের এই পতনের পেছনে যে মূল কারণ গুলি ছিল,তা হল-
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে সাম্রাজ্যের বিশালতাঃ-
সম্রাট আকবর তার সম্রাজ্যেকালে সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে মোগল সাম্রাজ্যের সীমানা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন। এরপর সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পর্যায়ে মোগল সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত বিস্তার ঘটেছিল। এত বিশাল পরিমাণ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সুদূর দিল্লি থেকে মোগল সাম্রাজ্যের দূরবর্তী প্রান্তগুলোতে সঠিক শাসন বজায় রাখা মোগল সাম্রাজ্যের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে বিভিন্ন প্রাদেশিক বিদ্রোহ,প্রাদেশিক শাসনকর্তাদেশ কারচুপি ইত্যাদি মোগল সাম্রাজ্যের পতনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল।
অর্থনৈতিক দুর্বলতাঃ-
মোগল সম্রাট আকবরের পরবর্তী সময়ে মোগল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সময়ে সম্রাটদের সীমাহীন জাঁকজমক, বিলাসিতা,বিশাল সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠা, তাদের বেতন,অস্ত্র সংগ্রহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মোঘল সাম্রাজ্যের প্রচুর পরিমাণ অর্থ ক্ষয় হতো।দ্বিতীয়ত মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে একের পর এক নির্মল পরিকল্পনা গৃহীত হলে, সেসব পূরণ করতে রাজকোষের বিপুল পরিমাণ অর্থ হয় হয়ে যায়। তাছাড়া তিনি কয়েকটি ব্যর্থ অভিযানে কোশাগারের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিলেন। এর ফলে মুঘল সাম্রাজ্যে চরম অর্থ সংকট দেখা যায়। এছাড়াও ঔরঙ্গজেবের আমলে বিভিন্ন যুদ্ধ এবং বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে রাজকোশে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষয় হয়েছিল,তা অনেক ক্ষেত্রেই মোগল সাম্রাজ্যের পতনকে ডেকে এনেছিল।।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে জায়গিরদারী সংকটঃ-
মোগল প্রশাসনে বহু মনসবদারকে নগদ বেতনের পরিবর্তে জায়গির দেওয়া শুরু হলে প্রশাসনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। জাহাঙ্গীরের আমলে জায়গিরদারি ব্যবস্থায় সংকট দেখা দেয় এবং ঔরঙ্গজেবের আমলে তা প্রকট হয়। অশান্ত দাক্ষিণাত্য থেকে ভালো রাজস্ব আদায় হত না বলে বহু জায়গিরদার উত্তর থেকে দাক্ষিণাত্যে বদলি হতে চাইত না। ফলে উত্তরের জায়গির পাওয়ার জন্য প্রশাসনে নানা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি প্রভৃতি শুরু হয়।
শাসকদের অযোগ্যতাঃ-
মোগল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবেই মোগল সম্রাটদের ব্যক্তিত্ব এবং যোগ্যতার উপর নির্ভরশীল ছিল। সেই সঙ্গে ছিল শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভশীলতা। মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে একের পর এক অযোগ্য শাসক মোঘল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসলে,তাদের ভুলভাল সিদ্ধান্ত এবং নানা ভুল পদক্ষেপ মোগল সাম্রাজ্যের পতন ডেকে আনে।।
মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বিদ্রোহঃ-
মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বিদ্রোহও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্রোহের কারণে মোগল সম্রাটগণ তাদের সাম্রাজ্যের অখন্ডতাকে ধরে রাখতে পারেনি। বিভিন্ন অঞ্চলের জমিদার ও কৃষকদের বিদ্রোহ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। মুঘল যুগে জমির উপর জায়গিরদারদের অধিকার স্থায়ী ছিল না। জায়গিরদারদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হত। ফলে জায়গিরদাররা কৃষকদের কাছ থেকে অত্যধিক হারে রাজস্ব আদায় করত। এতে কৃষকদের উপর শোষন ও অত্যাচার বাড়ত। মুঘল যুগের উল্লেখযোগ্য কৃষক বিদ্রোহগুলি হল জাঠ, শিখ ও সৎনামী বিদ্ৰোহ।এসমস্ত কৃষক বিদ্রোহের ফলে বারবার তাদের বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাটদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। তার মধ্যে সবচাইতে বড় ছিল বিদ্রোহ দমনে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এবং সম্রাটের প্রতি প্রজাদের অসমর্থন। সম্রাটের প্রতি প্রজাদের সমর্থন না থাকা যেকোনো সাম্রাজ্যেরর পতনের একটা বড় কারণ।।
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক আক্রমণঃ-
যখন একটি সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে, তখনই বিভিন্ন বহিঃশত্রু সেই সম্রাজ্যকে আক্রমণ করে তা দখলের চেষ্টা করে। মুঘল সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছিল।যখন মোঘল সাম্রাজ্য বিভিন্ন কারণে সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে,ঠিক তখন নাদির শাহ এবং আহমদ শাহ আবদালির আক্রমণ মুঘল সাম্রাজ্যের চরম ক্ষতি সাধন করেছিল। তাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে মোগল সাম্রাজ্যের সম্রাটদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক এবং সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের ক্ষেত্রে সামরিক ত্রুটিঃ-
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণের ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল মোঘল সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো ঐক্য না থাকা। সামরিক ত্রুটি মোগল সাম্রাজ্যের পতনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিয়ে গড়ে ওঠা মোগল বাহিনীতে কোনো ঐক্য ও সংহতি ছিল না। মনসবদাররা যুদ্ধের সময় সম্রাটকে যে সেনা সরবরাহ করত তাদের আনুগত্য থাকত মনসবদারদের প্রতি, সম্রাটের প্রতি নয়।বহু মনসবদার নির্দিষ্ট সেনা না রেখে সম্রাটকে ফাঁকি দিত। তা ছাড়া মোগল সেনাবাহিনীর গতি ছিল খুবই ধীর এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রযুক্তি ছিল খুবই পুরোনো ও নিম্নমানের।
উপসংহারঃ- সুতরাং দেখা যায় 1526 খ্রিস্টাব্দে জহিররদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের প্রতিষ্ঠিতি মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে একাধিক কারণ ছিল।। মোগল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ লুপ্ত হলেও সাম্রাজ্যের পতন প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়েছিল ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই। ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালে মোগল সাম্রাজ্যের ক্রমিক পতন এবং ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রসার একইসঙ্গে ঘটতে থাকে।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি সম্পর্কে আলোচনা করো || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি সম্পর্কে আলোচনা করো || গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল কেন?
ভূমিকাঃ- ভারতের প্রাচীন সাম্রাজ্য গুলির মধ্যে শ্রীগুপ্তের প্রতিষ্ঠিত গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল অন্যতম। শ্রী গুপ্ত ভারতের মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কিছুকাল পরে বাংলা এবং বিহারের বেশ কিছু অংশ নিয়ে গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গুপ্ত সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব থাকার পর জীবিত গুপ্তের মৃত্যুর পর আনুমানিক ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের এই পতনের পেছনে মূলত একাধিক কারণ ছিল। যেমন -
গুপ্ত সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সমস্যাঃ-
সাধারণভাবেই অন্যান্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের মত গুপ্ত সাম্রাজ্যের আয়তন বিরাট ছিল। এবং সেই বিরাট আয়তনের সাম্রাজ্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাটরা বিভিন্ন প্রদেশে একজন করে শাসনকর্তা অথবা সামন্তপ্রভু নিয়োগ করতেন। অনেক সময় গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাটরা রাজ্য জয় করে সেটা দখলের বদলে রাজাকে নিয়মিত কর প্রদানের বিনিময় ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু সমুদ্রগুপ্তের পরবর্তীকালে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্যান্য সম্রাটের আমলে সেই সমস্ত প্রাদেশিক শাসনকর্তা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজ্যগুলিও অনেক ক্ষেত্রেই তাদের শর্ত বাতিল করে স্বাধীনভাবে অবস্থান করে গুপ্ত সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এভাবে বিভিন্ন প্রদেশ বা বা রাজাগুলি গুপ্ত সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে থাকলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
অযোগ্য উওরাধিকারঃ-
যেকোনো সাম্রাজের পতনের পিছনে যোগ্য সম্রাট বা শাসনকর্তার অভাব বিশেষ লক্ষণীয়। গুপ্ত সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রেও দুর্বল এবং অযোগ্য উত্তরাধিকার সাম্রাজ্যের পতনের পিছনে ভীষণভাবে দায়ী ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাটদের মধ্যে স্কন্দগুপ্ত ছিলেন শেষ সম্রাট। তার পরবর্তী কালে যে সমস্ত সম্রাটরা গুপ্ত সাম্রাজ্যের হাল ধরেছিলেন,তারা মূলত কোনো দিক থেকেই সাম্রাজ্যের যোগ্য শাসক ছিলেন না। যার ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক বিচ্ছিন্নতা যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন তারা তা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে সক্ষম ছিলেন ন। এছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক আক্রমণও তারা প্রতিহিত করতে পারেননি।। ফলে এসব কারণে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল।।
সঠিক ভূমিদান ব্যবস্থা না থাকাঃ-
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে ভূল ভূমিদান ব্যবস্থাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাটরা মূলত যে সমস্ত জমি কোনো ব্রাহ্মণ, পণ্ডিতকে বা কোনো মন্দিরকে অগ্রহার ব্যবস্থার মাধ্যমে জমি দান করতেন? তার উপর থেকে তাদের সমস্ত কর্তৃত্ব উঠে যেত। এছাড়াও যেসব প্রাদেশিক শাসনকর্তাকে জমি দান করা হতো, সেখানেও তারা নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে। এভাবে সাম্রাজ্যের সম্পদের পরিমাণ কমতে থাকে এবং এটাও গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে আর্থিক সমস্যাঃ-
যেকোনো সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে সেই সাম্রাজ্যের আর্থিক সমস্যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একটি সাম্রাজ্যকে সঠিকভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য সাম্রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।কিন্তু চতুর্থ এবং পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছিল যা এই সাম্রাজ্যের পতনকে ডেকে এনেছিল। সমুদ্রগুপ্তের পরবর্তীকালে শাসকের আমলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন রাজারা নিয়মিত কর প্রদানে কারচুপি করতে শুরু করেছিল। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্য গুলির পরবর্তীতে গুপ্ত সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায়, সে সমস্ত রাজ্য থেকে যেসব কর আদায় হতো, তার অভাবে রাজকোষ অনেকটাই শূন্য হয়ে যায়। এছাড়াও চতুর্দশ এবং পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সঙ্গে রোমের বাণিজ্য অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এর ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এবং বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে যে সমস্ত মুদ্রা অর্জন হতো, তাও ধীরে কমতে শুরু করে।।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে বৈদেশিক হূন আক্রমণঃ-
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট স্কন্দ গুপ্তের আমলে গুপ্ত সাম্রাজ্যে বারংবার বৈদেশিক হূনদের আক্রমণ দেখা যায়। স্কন্দগুপ্ত বারবার হূনদের আক্রমণ প্রতিহত করতে করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের ক্ষয় করে ফেলেন। স্কন্দগুপ্ত একজন যোগ্য বীর হওয়ায় হূনরা প্রত্যক্ষভাবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের কোনো ক্ষতি না করতে পারলেও পরোক্ষভাবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ক্ষতি করে গিয়েছিল। কারণ তাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে করতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের যে পরিমাণ অর্থ সম্পদের হয়েছিল, তা অনেকাংশেই গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ডেকে এনেছিল।।( স্কন্দগুপ্তকে ভারতের রক্ষাকারী রাজা বলা হয়। কারণ স্কন্দগুপ্ত ভারতবর্ষকে বিদেশি হ্ননদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন )
অযোগ্য মন্ত্রীদের নিয়োগঃ-
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রীদের একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের মন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়াটি ছোট বংশানুক্রমিক। অর্থাৎ মন্ত্রীর পূত্র মন্ত্রী পদেই নিয়োগ হবে। এই প্রথা প্রচলিত থাকায় গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজকার্যে বা সাম্রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সমস্ত মন্ত্রী ছিলেন, পরবর্তীকালে তাদের অযোগ্য সন্তানরাও সেই একই পদে নিয়োগ হয়ে যেত।।এর ফলে অনেক সময়ই অযোগ্য ব্যক্তি বা মন্ত্রীদের ভূল সিদ্ধান্ত, পরামর্শ বা সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে তাদের ভূল পদক্ষেপ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনে সাহায্য করেছিল।।
উপসংহার, সুতরাং পরিশেষে সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে বলা যায়, শ্রীগুপ্তের প্রতিষ্ঠিত গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পিছনে একাধিক কারণ লুকিয়ে ছিলো। এবং সেই সমস্ত কারণগুলির মিলিত ফলেই গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। উপরিক্ত কারণ গুলি ছাড়াও গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাটদের অহিংস নীতি, তাদের বিলাসিতা, তাদের কর্মবিমুখ হয়ে পড়া ইত্যাদি কারণ গুলিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।।
আশাকরি যে; একাদশ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ( wb class 11 history question answer chapter 3 in Bengali) রাজনৈতিক বিবর্তন শাসনকার্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা ( wb class 11 history question answer and suggestion 2023) থেকে শেয়ার করা,class 11 history mcq question answer, modern Indian history saq question answer, and wb class 11 history LA Question Answer And History Notes তোমাদের কাজে আসবে।।
Tags :