আজকে আমরা দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় অথবা মাধ্যমিক বাংলা প্রথম অধ্যায় ( WBBSE Class 10 Bengali First Chapter ) জ্ঞানচক্ষু গল্পের (Gyanchokkhu Golper) কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ,SAQ And L.A প্রশ্ন উওর শেয়ার করতে চলেছি। আজকে আমরা জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq & saq এর জ্ঞানচক্ষু গল্পের উত্তর ধর্মী অথবা জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq |জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
1- 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের রচিয়তা হলেন-
ক• আশাপুর্ণা দেবী
খ• মহাশ্বেতা দেবী
গ• লীলা মজুমদার
ঘ• অনিমা দেবী
উওর : আশাপুর্ণা দেবী
2 - জ্ঞানচক্ষু গল্পটি হল-
ক• কুমকুম নামক গল্পসংকলনের অংশ
খ• মেঘনাথবদ নামক কাব্যগ্রন্থের অংশ
গ• বীরাঙ্গনা নামক কাব্যগ্রন্থের
ঘ• কোনোটিই নয়
উওর : কুমকুম নামক গল্পসংকলনের অংশ
3 - কথাটা শুনে কার চোখে মার্বেল হয়েছিল??
ক• তপনের
খ• তপনের ছোটমাসির
গ• তপনের মেসোর
ঘ• তপনের মায়ের
উওর : তপনের
4 - 'তিনি নাকি বই লেখেন।'- এখানে তিনি কে??
ক• তপন
খ• তপনের ছোটমাসি
গ• তপনের ছোটমেসো
ঘ• তপনের মা
উওর : তপনের ছোটমেসো
5 - তপন কী উপলক্ষ্যে তার মামাবাড়িতে এসেছিল -
ক• তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে
খ• দূর্গাপুজোর সময় কাটাতে
গ• তপনের ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে
ঘ• তপনের ছোটমাসির জন্মদিন উপলক্ষ্যে
উওর : তপনের ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে।
6 - তপনের ছোটমাসি তপনের থেকে কত বয়সে বছরের বড়ো?
ক• আট
খ• আঠারো
গ• দশ
ঘ• বারো
উওর : আট
7 - 'সেই বই নাকি ছাপাও হয়'- এখানে কার লেখা বই ছাপা হয় ?
ক• তপনের লেখা বই
খ• তপনের ছোটমাসির লেখা বই
গ• তপনের মেসোর লেখা বই
ঘ• তপনের মায়ের লেখা বই
উওর : তপনের মেসোর লেখা বই।
8 -তপনের নতুন মেসো কোন পএিকার সম্পাদককে চিনতেন??
ক• সন্ধ্যাতারা পএিকার
খ• বামাবোধিনী পএিকার
গ• আনন্দবাজার পএিকার
ঘ• দেশ পএিকার
উওর : সন্ধ্যাতারা পএিকার
9 - তপনের লেখা গল্পটি কে ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন??
ক• তপনের মামা
খ• তপনের ছোটমাসি
গ• তপনের ছোটমেসো
ঘ• তপনের মা
উওর : তপনের ছোটমেসো
10 - তপনের লেখা গল্পটির নাম কী ছিল??
ক• প্রথম দিন
খ• স্কুলে প্রথম দিন
গ• স্কুলের শেষ দিন
ঘ• প্রথম বছর
উওর : প্রথম দিন
11 - তপনের সম্পূর্ণ নাম কী??
ক• শ্রী তপন কুমার রায়
খ• তপন রায়
গ• তপন কুমার রায়
ঘ• শ্রী তপন কুমার সেন
উওর : শ্রী তপন কুমার রায়
12 - চায়ের টেবিল কথাটা কখন উঠেছিল??
ক• সকালে
খ• দুপুরে
গ• বিকেলে
ঘ• সন্ধ্যায়
উওর : বিকেলে
13 - তপনের লেখা গল্পটি কোন পএিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
ক• সন্ধ্যাতারা পএিকায়
খ• বামাবোধিনী পএিকায়
গ• আনন্দবাজার পএিকায়
ঘ• দেশ পএিকায়
উওর : সন্ধ্যাতারা পএিকায়
14 - তপনের গল্পটি কে কারেকশন করেছিলেন??
ক• তপনের মামা
খ• তপনের ছোটমাসি
গ• তপনের ছোটমেসো
ঘ• তপনের মা
উওর : তপনের ছোটমেসো
15 - তপন তাঁর গল্পটা প্রকাশিত হওয়ার পর সে তাঁর গল্পটা কেন পড়তে পারছিল না??
ক• কারণ গল্পে লেখা খুব কঠিন ছিল
খ• কারণ তাঁর লেখা গল্পটির ভাষা পরিবর্তন করা হয়েছিল
গ• তপনের লেখা গল্পের বদলে সেখানে অন্যের লেখা গল্প ছিল
ঘ• তার চোখে সমস্যা হচ্ছিল
উওর : তপনের লেখা গল্পের বদলে সেখানে অন্যের লেখা গল্প ছিল
16 - ক্রমশও বাড়িতে কোন কথাটা ছড়িয়ে পরেছিল??
ক• তপনের গল্প লেখার কথাটা
খ• তপনের গল্প প্রকাশিত হওয়ার কথাটা
গ• তপনের গল্প তার মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা
ঘ• তপন আর গল্প অন্যকে ছাপতে দেবেনা সেই কথাটা
উওর : তপনের গল্প তার মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা
17 - " শুধু এইটাই অজানা ছিল না " -- কী অজানা ছিল??
ক• মানুষ ই গল্প লেখেন
খ• মেসো একজন লেখক
গ• তপনের মাসিও গল্প লেখেন
ঘ• তপন নিজেও গল্প লিখতে পারবে
উওর : মানুষ ই গল্প লেখে
18 - 'গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের।' -- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল --
ক• মেসোকে দেখে
খ• মেসোর গল্প পড়ে
গ• তপনের নিজের লেখা গল্প পড়ে
ঘ• সন্ধ্যাতারায় তপনের গল্প দেখে
উওর : তপনের নিজের লেখা গল্প পড়ে।
19 - 'পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?'-- অলৌকিক ঘটনাটি কী??
ক• তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
খ• তপন সন্ধ্যাতারা পএিকায় আবার লেখার সুযোগ পেয়েছে
গ• তপনের মাসির সঙ্গে একজন লেখকের বিয়ে হয়েছে
ঘ• ওপরের কোনোটিই নয়
উওর : তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হয়েছে
20 - 'আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।' - দুঃখের দিনটি কার??
ক• তপনের মামার
খ• তপনের ছোটমাসির
গ• তপনের ছোটমেসোর
ঘ• তপনের
উওর : তপনের
21 - 'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।' - এখানে কোন বিষয়টি দুঃখের ও অপমানের?
ক• কম বয়সে লেখক হতে পারা
খ• নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া
গ• নিজের গল্প প্রকাশিত না হওয়া
ঘ• নিজের গল্প লিখতে না পারা
উওর : নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া।
22 - 'তপন আর পড়তে পারে না।' - তপনের পড়তে না পাড়ার কারণ কী??
ক• গল্পের মধ্যে কোথাও তপনের নিজের লেখা ছিলনা। এজন্যই তার কষ্ট হচ্ছিল
খ• তপনের কষ্ট হচ্ছিল
গ• তপনের চোখে সমস্যা হচ্ছিল
ঘ• তার আত্মসম্মানের আঘাত লেগেছিল
উওর : গল্পের মধ্যে কোথাও তপনের নিজের লেখা ছিলনা। এজন্যই তার কষ্ট হচ্ছিল
23 -'এই দুঃখের মুহুর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন'- তপন কী সংকল্প করেছিল??
ক• সে আর কখনো লিখবে না
খ• সে আর কখনো কাউকে তার লেখা দেখাবে না
গ• সে আর কখনো গল্প ছাপতে দেবে না
ঘ• যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিয়ে গিয়ে দেবে
উওর : যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিয়ে গিয়ে দেবে
24- তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয়-
ক• অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে
খ• তপনের লেখা ভালো হয়নি
গ• তপনের লেখা খারাপ
ঘ• তপনের মেসোর জন্যই তার লেখা প্রকাশিত হয়
উওর : অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে
25-'যেন নেশায় পেয়েছে।'- এখানে তপনের কোন নেশার কথা বলা হয়েছে??
ক• গল্প লেখার নেশা
খ• গল্প পড়ার নেশা
গ• গল্প শোনার নেশা
ঘ• সিনেমা দেখার নেশা
উওর : গল্প লেখার নেশা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ কথাটা শুনে কার চোখ মার্বেল হয়েছিল? এবং কেন হয়েছিল?
উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল। তার চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল এই যে, তপন জানত না যে লেখকরা তাঁর বাবা, কাকাদের মতোই সাধারণ মানুষ! সে ভাবত যে লেখকরা কোনো ভিন গ্রহের প্রানী । কিন্তু যখন তপন শোনে যে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক, তখন এটা শুনে তাঁর চোখ মার্বেল হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। - কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল??
উওর : তপন তাঁর নতুন মেসোর সম্পর্কে জানার আগে সে এটা জানত না যে লেখকরা তাঁর বাবা, কাকা, মামার মতোই সাধারণ মানুষ! সে ভাবত যে লেখকরা কোনো ভিন গ্রহের প্রানী । লেখকরা যে সাধারণ মানুষ সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
প্রশ্নঃ তপন কী উপলক্ষে তার মামার বাড়িতে এসেছিল?
উওর : তপন তার ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে তার মামার বাড়িতে এসেছিল।
প্রশ্নঃ 'রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ' কথাটির অর্থ কী??
উওরঃ এখানে রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই কথাটির মাধ্যমে তপন এবং তাঁর মেসোকে বোঝানো হয়েছে।
যেহেতু তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক, সুতরাং তপনের লেখা গল্পের মূল্য যদি কেউ বুঝে থাকেন তাহলে সেটা তাঁর মেসোই বুঝবেন। কারণ একজন গুণী ব্যক্তিই অপর গুণী ব্যক্তির মূল্য বোঝেন।।
প্রশ্নঃ 'বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা।' - বিকেলে কোন কথাটি চায়ের টেবিলে উঠেছিল??
উওর : তপন তাঁর নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সে একটি গল্প লেখে। এরপর সেই গল্পটা ছোটমাসির হাত ধরে নতুন মেসোর হাতে পৌঁছনোর পর নতুন মেসো বলেন যে গল্পটা একটু কারেকশন করে ছাপতে দেওয়া যায়। মেসো তপনকে বলেন যে তিনি এই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপিয়ে দেবেন। এই কথাটাই বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল।।
প্রশ্নঃ 'বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ' তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী??
উওর : তপনের লেখা গল্পটি সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যাওয়ার পর, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর একদিন হঠাৎ করেই ছোটমেসো এবং ছোটমাসি সন্ধ্যাতারা পএিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন। তাদের হাতে সন্ধ্যাতারা পএিকা দেখে তপনের মনেহয় যে তার গল্প এখন ছাপা হয়েছে! যা তার জন্য একটা বিশাল বড়ো ব্যপার। এবং এটা ভেবেই তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
প্রশ্নঃ 'যেন নেশায় পেয়েছে।' - কীসের কথা বলা হয়েছে??
উওর : তপন তার নতুন লেখক মেসোকে দেখে সে নিজেও একটি গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্পটা যখন তপনের মেসোকে দেখানো হয় তখন তিনি সেটা সন্ধ্যাতারা পএিকাতে ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এই কথা শুনে তপন তার গল্প লেখা নিয়ে আরও বেশি উৎসাহি হয়ে ওঠে। এবং এরপর সে একের পর এক গল্প লিখতে শুরু করে। এবং এখানে সেই গল্প লেখার ইচ্ছে বা লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ 'পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?'- এখানে কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটার কথা বলা হয়েছে??
উওর : এখানে অলৌকিক ঘটনা বলতে তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হওয়া এবং সেই গল্পটি অনেক অনেক মানুষের হাতে হাতে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তপনের মতো এত ছোট একটি বাচ্চার কাছে সন্ধ্যাতারা পএিকাতে তার গল্প প্রকাশিত হওয়ার ব্যপারটা কোনো অলৌকিক ঘটনার থেকে কম কিছু নয়।।
প্রশ্নঃ 'আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।'- এখানে কার দুঃখের দিনের কথা বলা হয়েছে? দিনটি তাঁর কাছে দুঃখের কেন??
উওর : এখানে জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের দুঃখের কথা বলা হয়েছে। দিনটি তাঁর কাছে এজন্যই দুঃখের যে, তপন যেই গল্পটি লিখেছিল এবং সেই গল্পটাই তাঁর ছাপিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসোর হাতে যেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপা হয়েছিল সেটা তপনের গল্প ছিলনা। সেই গল্পটা তপনের নাম নিয়ে ছাপা হলেও সেই গল্পটা নতুন মেসো পুরোপুরিভাবে কারেকশন করে ছাপিয়ে ছিলেন। যার মধ্যে তপনের লেখা কোথাও ছিলনা।
তপন এটা কখনোই চায়নি যে তাঁর নিজের নামে অন্যের গল্প থাক। কিন্তু তাঁর সাথে আজ সেটাই হয়েছে। আর এজন্যই তপনের কাছে যেই দিনটি সবচেয়ে আনন্দের হওয়ার কথা, সেই দিনটিই তপনের কাছে সবচেয়ে বেশি দুঃখের।
প্রশ্নঃ 'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই'- -কোন্ বিষয়ে এ কথা বলা হয়েছে??
উওর : তপনের লেখা গল্পটি তাঁর নতুন মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসোর হাতে যেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপা হয়েছিল সেটা তপনের গল্প ছিলনা। সেই গল্পটা তপনের নাম নিয়ে ছাপা হলেও সেই গল্পটা নতুন মেসো পুরোপুরিভাবে কারেকশন করে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। যার মধ্যে তপনের লেখা কোথাও ছিলনা। যখন তপনকে তাঁর নিজের গল্পটা পড়তে বলা হয়, তখন তপনকে নিজের গল্পের বদলে অন্যের লেখা গল্প পড়তে হয়েছিল। তপনের কাছে নিজের নামে অন্যের লেখা পড়ার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই।।
মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? অলৌকিক ঘটনাটি কি? ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে কেন?
উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো তপন। গল্পের মূল পর্বে, তপনকে ঘিরেই এই অলৌকিক বিষয়টি চিত্র ফুটে উঠেছে।
খুব সাধারণ অর্থে অলৌকিক ঘটনা বলতে আমরা সেই সমস্ত ঘটনাকে বুঝে থাকি, যে সমস্ত ঘটনা সাধারণত এই লৌকিক জগতে ঘটতে দেখা যায় না বা ঘটে না। জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন,তার নতুন মেসোকে দেখার আগে তার মনে এই ধারণা ছিল যে,যারা গল্প লেখেন অথবা লেখক,তারা কোনো সাধারণ মানুষ নন। তাঁরা হলেন ভিনগ্রহের প্রাণী। কিন্তু তপন তার নতুন মেসোকে দেখার পর এটা জানতে পারে, যে লেখকরাও তার বাবা,কাকা বা তাঁর মতোই সাধারণ মানুষ। এই বিষয়টি জানার পর তপন ভাবে যে,যদি তার মেসো একজন লেখক হতে পারেন এবং তার লেখা বই যদি ছাপাও হয়, তাহলে তপন কেন লেখক হতে পারবে না?
এই চিন্তা নেই তপন তার কাঁচা হাতে একটি গল্প লিখে ফেলে এবং সেই গল্পটা তার মাসির সৌজন্যে তার নতুন লেখকে মেসোমশাইয়ের হাতে যায়। লেখক মেসো মশাই তপনের মন রাখার জন্য বলেন যে,গল্পটা একটু কারেকশন করে দিলেই সেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানো যেতে পারে। এই কথা বলার পর মেসো তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান।
এরপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা করার পর, একদিন ছোট মাসি এবং মেসোমশাই তপনদের বাড়িতে আসে এবং তখন তাদের হাতে থাকে একটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকা। মেসোমশাই হাতে সন্ধ্যাতা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকে রক্ত ছলকে ওঠে। মেসো তাকে কথা দিয়েছিল যে, তার লেখা গল্পটা ছাপানো হবে। এবং যেমন কথা ঠিক তেমনি কাজ। তপনের লেখা গল্পটি সত্যিই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতো সহজে এবং এত তাড়াতাড়ি তপনের মত একজন কমবয়সী লেখকের গল্প,সন্ধ্যাতারা পত্রিকার মতো একটি নামকরা পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাটাই, তপনের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছিল। এবং তপনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো অথবা জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো
ভূমিকা : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা মূল চরিত্র হলো তপন। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায় তপনের জীবনও আর পাঁচজন স্বাভাবিক বাচ্চার মতোই আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন স্বপ্নভঙ্গ, কল্পনা ও বাস্তব,আনন্দ অভিমান ইত্যাদির মধ্যেই মিশে রয়েছে। তবে তপনের জীবন আর পাচজন স্বাভাবিক শিশুর মতো হলেও, তপনের চরিত্রে আমরা বিশেষ কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই,যা তপনকে আর 5 জন স্বাভাবিক শিশুর থেকে আলাদা করে রাখে। যেমন -
◆ তপনের কল্পনার জগত : প্রত্যেক শিশুরই একটি আলাদা কল্পনার জগত থাকে। যেখানে তারা নিজেদের বিভিন্ন বিষয় বস্তু গুলিকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে। আর 5 জন শিশুর মতো তপনেরও ছিল সেরকমই একটি কল্পনার জগত। কিন্তু তার কল্পনার জগতের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো,আর পাঁচজন স্বাভাবিক শিশু লেখকদের সম্পর্কে যতটা না ভাবতো, তপন তার কল্পণার দুনিয়ায় লেখকদের সম্পর্কে আরও একধাপ এগিয়ে ভাবতো। তপনের কল্পনার জগতে লেখকরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী। অর্থাৎ লেখকরা কোনো সাধারন মানুষ নয় যারা পৃথিবীতে থাকবে। তাই তপন তার কল্পনার মাধ্যমে লেখকদের একটি আলাদা গ্রহের প্রাণী হিসেবে নিজের কল্পনার দুনিয়ায় উপস্থিত করেছিল।
◆ সাহিত্যপ্রেমী : তপনের চরিত্রের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, তপন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যপ্রেমী। তপন ছোটবেলা থেকেই অনেক গল্পের বই পড়েছে এবং অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন রকম গল্প শুনেছে। যার ফলে সাহিত্যের প্রতি তপনের আলাদা রকম একটা আকর্ষণ বা টান রয়েছে। এবং সেই আকর্ষণ বা টানের জন্যই তপন, যখন জানতে পারে যে তার ছোট মেসো একজন লেখক,তখন তপনের মনেও একজন লেখক হয়ে ওঠার ইচ্ছে জাগে।
◆ গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন : তপন যে তার বয়স অনুপাতে খুবই গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন ছিল তা আমরা এই কথা থেকেই জানতে পারি যে,তার বয়সের ছেলে মেয়েরা যখন গল্প লিখতে যায় তখনই তারা হয়তো রাজা রানী,খুুন-যখম - অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে। কিন্তু তপন এসব বিষয়ে থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতিতি নিয়েই গল্প লিখেছিল। যা তার আলাদা চিন্তাভাবনার পরিচয় দেয়।
◆ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন : তপনের বয়স কম হলেও, বয়স হিসেবে তপনের আত্মমর্যাদা ছিল প্রবল। তপনের মেসোমশাই যখন, তপনের লেখা গল্পটা পাল্টে নিজের গল্পটাই ছাপিয়ে দেয়, তখন সেই ব্যাপারটা তপনের আত্মসম্মানে লাগে। যার পরেই তপন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে, তপন যদি আর কোনোদিন গল্প লেখে,তাহলে সে নিজে গিয়ে ছাপতে দিয়ে আসবে। তাতে তপনের লেখা ছাপা হলেও খুশি আর না হলেও খুশি। কিন্তু তাকে যেন আর কখনোই শুনতে না হয় যে তার লেখা অন্য কেউ ছাপিয়ে দিয়েছে।
আশাকরি,দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় অথবা মাধ্যমিক বাংলা প্রথম অধ্যায় ( WBBSE Class 10 Bengali First Chapter ) জ্ঞানচক্ষু গল্পের (Gyanchokkhu Golper) গল্পের যেসব MCQ,SAQ & বড় প্রশ্ন উওর শেয়ার করা হয়েছে, তা তোমাদের কাজে লাগবে।।
Tags :
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়প্রশ্ন উওর | জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উওর | ক্লাস টেনের জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর | wb class 10 Bengali question answer | wb class 10 Bangla question answer in bengali | class 10 Bangla question answer | class 10 Bangla short question answer | wb class 10 Bangla Chapter 1 question answer in bengali | class 10 bangla notes | class 10 bangla suggestion | Madhyanik bangla question answer