WB Class 11 Bengali Question Answer |
আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের (WB Class 11 Bengali Question Answer 2023) বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবার থেকে থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর তোমাদের পরিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করবো।। আজকের এই ব্লগ পোস্টটা তোমাদের সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আজকের এক ব্লগে আমি একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবার অধ্যায়ের সম্পূর্ণ নোট এবং একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবার থেকে যত ছোটো বড় প্রশ্ন হয়, তার উওর এখান থেকে তোমরা পেয়ে যাবে।
আজকের এই পোস্টে যে সমস্ত বিষয় আলোচনা করা হয়েছেঃ-
• ভাষার রুপ তাওিক বা আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ
• অসমবায়ী ভাষা কাকে বলে?
• সমবায়ী ভাষা কাকে বলে?
• মুক্তান্বয়ী বর্গ কী?
• অত্যন্বয়ী ভাষা কী?
• সমন্বয়ী ভাষা কী
• ভাষার বংশগত বা গোএজ শ্রেণীবিভাগ
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ বা ভাষা গোত্র
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ
• কেন্তুম ভাষা গুচ্ছ কী?
• সপ্তম ভাষা গুচ্ছ কী?
• ইন্দো-ইরানীয় ভাষা বংশ কী?
• ইরানীয় আর্যভাষা কী?
• ভারতীয় আর্য ভাষার জন্ম
• অবর্গীভূত ভাষাঃ- কাকে বলে?
• মিশ্র ভাষা কাকে বলে??
• ক্রেওল ভাষা কাকে বলে?
• মিশ্র ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
• কৃএিম ভাষা কাকে বলে?
• Pera Language কাকে বলে?
• Sine Language কাকে বলে?
• অসমবায়ী ভাষা কাকে বলে?
• সমবায়ী ভাষা কাকে বলে?
• মুক্তান্বয়ী বর্গ কী?
• অত্যন্বয়ী ভাষা কী?
• সমন্বয়ী ভাষা কী
• ভাষার বংশগত বা গোএজ শ্রেণীবিভাগ
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ বা ভাষা গোত্র
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ
• কেন্তুম ভাষা গুচ্ছ কী?
• সপ্তম ভাষা গুচ্ছ কী?
• ইন্দো-ইরানীয় ভাষা বংশ কী?
• ইরানীয় আর্যভাষা কী?
• ভারতীয় আর্য ভাষার জন্ম
• অবর্গীভূত ভাষাঃ- কাকে বলে?
• মিশ্র ভাষা কাকে বলে??
• ক্রেওল ভাষা কাকে বলে?
• মিশ্র ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
• কৃএিম ভাষা কাকে বলে?
• Pera Language কাকে বলে?
• Sine Language কাকে বলে?
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবার প্রশ্ন উত্তর ও নোট || WB Class 11 Bengali Question Answer & Notes 2023
1- পৃথিবীতে মোট 3000 ভাষা প্রচলিত আছে।
• বিভিন্ন ভাষার মধ্যে কোনো যোগসূত্র বা মিল আছে কিনা, সেই বিষয়ে সর্ব প্রথম ক্যাথেলিক মিশনারীরা গবেষণা করেন। এরপর শলৎস, কারদ্যুও গবেষণা করেছিলেন।
• 1786 কলকাতায় রয়াল সোসাইটির অনুষ্ঠানে উইলিয়াম জোন্স বলেছিলেন যে, সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে গ্রিক, লাতিন জার্মানিক ভাষার মিল আছে।
এরকম ভাবে ভাষায় মিল খোঁজা বা সংযোগ খোঁজে ভাষাগুলিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে তার উৎপত্তি
১• ভাষার রুপ তাওিক বা আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ।
২• ভাষার গোএ বা বংশ অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ।
৩• মহাদেশ অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ।
৪• দেশ অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ।
৫• ধর্ম অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ।
৬• কাল বা সময় অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ।
* * ভাষার এই তুলনামূলক আলোচনার ক্ষেত্রে -
• মহাদেশ অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ, দেশ অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ, ধর্ম অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ, কাল বা সময় অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ - এই চারটি ভাগ গুরুত্বপূর্ণ নয়।
3 - ভাষার রুপ তাওিক বা আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ :-
ভাষার মধ্যে বাক্যের ও শব্দের বিশ্লেষন করে সেই অনুযায়ী ভাষার শ্রেণিবিভাগ করা।
• অসমবায়ী ভাষা : যেসব ভাষার শব্দের মধ্যে উপসর্গ, প্রত্যয় বিভক্তি ইত্যাদি যুক্ত থাকে না এবং বাক্যের মধ্যে শব্দের অবস্থান থেকে কর্ম, কর্তা ইত্যাদি নিরূপণ করা হয় সেই সকল ভাষাকে অসমবায়ী ভাষা বলা হয়। অসমবায়ী ভাষার উদাহরণ হল - চীনা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা, ভারতীয় ভোটচীনা ভাষা ইত্যাদি।
• সমবায়ী ভাষা: যেসব ভাষার শব্দের সঙ্গে কোনো উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি ইত্যাদি যুক্ত থাকে, তাকে সমবায়ী ভাষা বলে।
• সমবায়ী ভাষাকে আবার তিন প্রকারের ভাগ করা হয় - প্রথম মুক্তান্বয়ী ভাষা, অত্যন্বয়ী ভাষা এবং সমন্বয়ী ভাষা।
• মুক্তান্বয়ী বর্গ : মুক্তান্বয়ী বর্গের ভাষাগুলির যে পদ গঠিত হয় তা হয় কোনো বিভক্তি বা প্রত্যয় এর সঙ্গে। এবং শব্দের উপাদান গুলি একে অপরের থেকে আলাদা করলেও এর স্বতন্ত্র অর্থ বজায় থাকে ও স্বাধীনভাবে যে কোনো পদ গঠনে ব্যবহার।
• যেমন - তুর্কি ভাষা।
• অত্যন্বয়ী ভাষা : যে ভাষায় বাক্যের বাইরে শব্দের কোনো স্বাধীন অস্তিত্ব থাকে না, যেখানে শব্দ বা পদ নয়,বাক্যের বাগধারাই হলো নিম্নতম অংশ, তাকে অত্যন্বয়ী ভাষা বলে। যেমন - এস্কিমোদের ভাষা।
• সমন্বয়ী ভাষা : যে ভাষা বর্গের ভাষা গুলিতে উপসর্গ বিভক্তি প্রত্যয় ইত্যাদি সম্পর্কজ্ঞাপক চিহ্নগুলি এমন হবে যুক্ত থাকে যে তাদের আলাদা কোনো অস্তিত্ব থাকে না, তাকে সমন্বয়ী বর্গ বলে।
যেমন - বাংলা, সংস্কৃত ও ল্যাটিন ভাষা ইত্যাদি।
4 - ভাষার বংশগত বা গোএজ শ্রেণীবিভাগ :
একই বংশজাত ভাষাকে সমগোত্রজ ভাষা বলে।
• বিভিন্ন ভাষাবিদরা পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাকে 25 থেকে 26 টি ভাষাপরিবারে বর্গীভূত করেছেন।
এসব ভাষা পরিবারের মধ্যে অন্যতম হলো-
ইন্দোইউরোপীয় ভাষা, ইন্দো-ইরানীয় ভাষা বর্গ, সেমিও - হামিও ভাষা বর্গ, বান্টু, দ্রাবিড় ভাষা বংশ ও অস্ট্রিক ভাষা বংশ.. ইত্যাদি।
• পৃথিবীর 25 থেকে 26 টি ভাষা পরিবারের মধ্যে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ হলো বৃহত্তম ভাষা বংশ।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ বা ভাষা গোত্রঃ-
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ :
ইউরোপের পশ্চিমাংশ থেকে পূর্বে ভারত পর্যন্ত যতগুলো দেশ আছে তার মধ্যে বেশিরভাগ দেশেই ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা বংশের প্রচলন আছে।
• ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় মোট নয়টি ভাষাগোষ্ঠী প্রচলিত আছে।
• যথা - ইতালিও, গ্রিক, তিউনিশীয়, কেলতীয়, তোখারীয়, আরমেনীয়, বালতো -স্লাভীয়, আলবেনীয়, এবং ইন্দো ইরানীয়।
কেন্তুম ভাষা গুচ্ছঃ-
এই ভাষা পরিবার কে আবার দুটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়। যথা - কেন্তুম ও সতম। এই ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রথম পাঁচটি ভাষা ইতালিও, গ্রিক, তিউনিসীয়, কেলতীয় এবং তোখারীয় কেন্তুম ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
• ফরাসি, ল্যাটিন, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ ও ইতালি ও ভাষা ইতালিও ভাষাগোষ্ঠীর ভাষার মধ্যে পড়ে।
• ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা গুলির মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ভাষা হল গ্রিক ভাষা। অন্ধ কবি হোমার তার ওডিসি ইলিয়াড এই গ্রিক ভাষাতেই রচনা করেছিলেন।
( ক্রিট দ্বীপের ১৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়)
• তিউনিশীয় বা জার্মানিক ভাষা গোষ্ঠীর প্রধান ভাষা গুলি হল জার্মানি, ইংরেজি, ডাচ, সুইডিস প্রভৃতি
• কেলতীয় ভাষা গোষ্ঠীর প্রধান ভাষা হল আয়ারল্যান্ডের আইরিস ভাষা।
• তোখারীয় ভাষাগুলি প্রচলিত আছে মধ্য এশিয়ায়।
সপ্তম ভাষা গুচ্ছঃ-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবাবের - আলবেনীয় বালতো স্লাভীয়, আর্মেনীয় ও ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর সন্তম ভাষা গুচ্ছের অন্তর্গত।
• সন্তম ভাষা গুচ্ছের আলবেনীয় ভাষা গোষ্ঠীর আলবেনীয় ভাষা আলবেনিয়া অঞ্চলে প্রচলিত আছে।
• বালতো স্লাভিকভাষাগোষ্ঠীর ভাষা গুলি হল - বুলগেরীও ভাষা চেক ভাষা, পলিশ ভাষা, রুশ, স্লোভাক ইত্যাদি।
• আর্মেনীয় ভাষা প্রচলিত আছে এশিয়া মাইনর ও ককেশাস দ্বীপে।
• ইন্দো-ইরানীয় ভাষা ইরান থেকে ভারত পর্যন্ত প্রচলিত আছে। ইন্দো-ইরানীয় ভাষার দুটি শাখা আছে। যথা - ইরানীয় আর্য ও ভারতীয় আর্য।
• ইরানীয় আর্য ভাষা গুলির মধ্যে প্রাচীন পারসিক, আবেস্তীয়, পুশতু ও বালুচ গুরুত্বপূর্ণ।
• ভারতীয় আর্যভাষার মধ্যে হিন্দি, উর্দু, বাংলা, মারাঠি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি ভাষা গুলি পড়ে।।
ইন্দো-ইরানীয় ভাষা বংশঃ-
ইন্দো-ইরানীয় ভাষা ইরান থেকে প্রাচীনকালে ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
ইন্দো-ইরানীয় ভাষার দুটি প্রধান শাখা হলো ইরানীয় আর্যভাষা ও ভারতীয় আর্য ভাষা।
• ইরানীয় আর্যভাষা: প্রাচীনকালে ইরানি আর্যভাষা পারস্য ব্যাকট্রিয় ও মেসোপটেমিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
• ইরানীয় আর্য ভাষার দুটি প্রধান ভাষা হল আবেস্তীয় ও প্রাচীন পারসিক ভাষা।
• জরথুস্ট্রীয় দের ধর্মগ্রন্থ " জেন্দ আবেস্থা " প্রাচীন আবেস্তীয় ভাষায় রচনা হয়েছিল।
• ফরাসি ভাষার জন্ম : প্রথমে প্রাচীন পারসিক ভাষা থেকে পহ্লবী ভাষা এবং সেই পহ্লবী ভাষা থেকে ফরাসি ভাষার জন্ম হয়।
• ভারতীয় আর্য ভাষা : ভারতীয় আর্যভাষা ভারতীয় উপমহাদেশেই বিস্তার লাভ করেছে।
• ভারতীয় আর্য ভাষার দুইটি ভাগ আছে।
যথা -
• প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা ও মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা।
• ভারতের বৈদিক ভাষা প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার অন্তর্গত।
• ভারতের সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার অন্তর্গত।
অবর্গীভূত ভাষাঃ-
অবর্গীভূত ভাষা : পৃথিবীতে যে সকল ভাষাগুলির সাথে অন্য কোন ভাষার মিল বা সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং খুঁজে পাওয়া গেলেও তাদের মধ্যে কোনো ভাষাতাওিক প্রামাণ্য স্থাপন করা সম্ভব হয়নি, তাদের অবর্গীভূত ভাষা বলে।
যেমন - কোরিয়ান ভাষা, জাপানিজ, বাস্ক ভাষা ইত্যাদি।
1- অবর্গীভূত ভাষার অপর নাম হল অশ্রেণীভুক্ত বা অগোষ্ঠীভুক্ত ভাষা ( Unclassified Language )
2 - ভারতে প্রচলিত একটি অবর্গীভূত ভাষার উদাহরণ হল আন্দামানি ভাষা। যেটা আন্দামানে প্রচলিত।
3 - বাস্ক ভাষা কোথায় প্রচলিত আছে?
উওর : ফ্রান্স এবং স্পেনে।
অস্বাভাবিক ভাষা কাকে বলে?
পৃথিবীতে এমন কিছু ভাষা আছে যেগুলো বর্গীভূত বা অবর্গীভূত ভাষার অন্তর্ভুক্ত নয়। সেগুলো কয়েকটি স্বাভাবিক ভাষার মিশ্রণ। এগুলোকে অস্বাভাবিক ভাষা বলে।
যেমন - কৃত্রিম ভাষা ও মিশ্র ভাষা।
মিশ্র ভাষা কাকে বলে?
নানা কারণে যখন একাধিক ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ কোনো নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে তখন অনেকগুলি ভাষা একত্রে মিশে এক নতুন ধরনের ভাষা সৃষ্টি হয়। তখন তাকে মিশ্র ভাষা বলে।
যেমন - বিচ- লা মার, পিজিন ইংরেজি, মরিশাস ক্রেওল, চিনুক ইত্যাদি।
ভাষাবিজ্ঞানীরা এই মিশ্র ভাষার ক্ষেত্রে দুটি পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। একটি হলো পিজিন এবং অপরটি হল ক্রেওল।
পিজিন : পিজিন শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ বিজনেসের চিনীয় উচ্চারণ থেকে।
1• পিজিন হলো একটি মিশ্র ভাষা। কোনো মাতৃভাষা নয়।
2• যদি ইংরেজি ভাষার সঙ্গে অন্য কোন ভাষার মিশ্রণে পিজিন গড়ে ওঠে তখন সেটা হবে ইংরেজি পিজিন। যদি ফরাসি ভাষার সঙ্গে অন্য কোন ভাষার মিশ্রণে পিজিন ভাষা গড়ে ওঠে তখন সেটা হবে ফ্রেঞ্চ পিজিন।
3 • পিজিন হলো দুই বা ততোধিক ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সংযোগকারী একটি ভাষা।
ক্রেওল ভাষা কাকে বলে?
দুই বা ততোধিক মানব গোষ্ঠীর প্রয়োজনে তৈরি হওয়া পিজিন ভাষা যখন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে কোনো মানবগোষ্ঠীর মাতৃ ভাষায় পরিণত হয়, তখন সেই পিজিন ভাষাকে ক্রেওল বলা হয়।
পিজিন ভাষা থেকে ক্রেওল ভাষায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্রেওলাইজেশন বলে।
মিশ্র ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
• মিশ্র ভাষার মধ্যে দুই বা ততোধিক ভাষা মিশে থাকে।
• মিশ্র ভাষা সহজ বা কঠিন হতে পারে।
• মিশ্র ভাষার নির্দিষ্ট কোনো ব্যাকরণ থাকে না।
• মিশ্র ভাষায় উন্নত বা অনুন্নত ভাষার প্রাধান্য দেখা যেতে পারে।
• মিশ্র ভাষার শব্দভাণ্ডার খুবই সীমিত।
1 - দুটি প্রাচীন মিশ্র ভাষার নাম লেখো।
উওর : মরিশাস ক্রেওল, চিনুক, বিচ-লা-মার।
2 - বিচ- লা -মার ভাষা কিভাবে উৎপন্ন হয়েছে?
উওর ; ইংরেজি ভাষার সঙ্গে স্পেনীয় ও পর্তুগিজ ভাষার মিশ্রণে বিচ-লা - মার ভাষা তৈরি হয়েছে।
3 - বিচ- লা - মার ভাষা কোথায় প্রচলিত ছিল?
উওর : পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
4 - মরিশাস থেকে ভালোবাসা কিভাবে তৈরি হয়েছে?
উওর ; ফরাসি ভাষার সঙ্গে মাদাগাস্কারি ভাষার মিশ্রণে মরিশাস ক্রেওল ভাষার উদ্ভব হয়েছে।
5 - চিনুক ভাষা কোথায় প্রচলিত আছে?
উওর : উত্তর আমেরিকার ওরেগণ অঞ্চলে।
কৃএিম ভাষা কাকে বলে?
মানুষ যখন নিজের প্রয়োজনে কোনো ব্যাকরণ নিয়ম অনুসরন করে বা না করেই নতুন কোনো ভাষার সৃষ্টি করে তখন সেটা হয় কৃত্রিম ভাষা।
1 - সর্বপ্রথম যোহান মার্টিন শ্লেইয়ার উনিশ শতকের প্রথম ভোলাপুক নামে একটি কৃত্রিম ভাষা তৈরি করেন।
2 - পৃথিবীর কয়েকটি প্রধান কৃত্রিম ভাষা বা বিশ্ব ভাষা হল এসপেরান্তো, নোভিয়াল, হনটারলুঙ্গিয়া, গ্লোসা ও সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ।
3 - পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কৃত্তিম ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল এসপেরান্তো। পৃথিবীর প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষ এসপেরান্তো ভাষার ব্যবহার করে থাকেন। যাদের মধ্যে 1 হাজার মানুষের মাতৃভাষা মাতৃভাষা হল এসপেরান্তো।
4 - এসপেরান্ত ভাষার জনক হলেন পোল্যান্ডের চক্ষু চিকিৎসক এল.এল. জামেনহফ। তিনি 1887 খ্রিস্টাব্দে Doctero Esperanto নামে কৃত্রিম ভাষার প্রস্তাব দেন। এর থেকেই ভাষার নাম হয় এসপেরান্তো। এসপেরান্তো কথার অর্থ হল Hopeful।
5. - এসপেরান্তো ভাষার শব্দ সংখ্যা প্রায় ছয় হাজারের বেশি। এই ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনি হচ্ছে 26 টি এবং স্বরধ্বনি হলো পাঁচটি। দুইটি অর্ধস্বর ও ছয়টি যৌগিক স্বরধ্বনি আছে।
6 - পোল্যান্ডের চক্ষু চিকিৎসক এল.এল জামেনহফ প্রধানত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার উপর ভিত্তি করেই কৃত্রিম ভাষা এসপেরান্তো গড়ে তুলেছিলেন।
7 - নোভিয়াল ভাষা কে আবিষ্কার করেছিলেন?
উওর : ভাষাবিদ ওটো ইয়েসপারসন।
Pera Language কাকে বলে?
হাত, পা, চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গ সঞ্চালন এর মাধ্যমে মানুষ যে ভাষার মাধ্যমে তার নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে প্যারা ল্যাংগুয়েজ বলা হয়।
Sine Language কাকে বলে?
হাত, পা, চোখ, মুখ ও নানা অঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংকেত এর সাহায্যে যে ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা হয় সেই ভাষাকে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হয়।
1 - 1775 খ্রিষ্টাব্দে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ সর্বপ্রথম তৈরি করেছিলেন ফরাসি ভাষাবিদ Abbe Charles Michael De I'epee।
সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা সাংকেতিক ভাষার দুটি ভাগ আছে। যথা - প্যাগেট গর্মেন ( Paget Gorman ), Dactolology বা Finger Spelling
আশাকরি, একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবার থেকে ( WB Class 11 Bengali Question Answer 2023) যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর এবং একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের যে নোট শেয়ার করা হয়েছে, তা তোমাদের কাজে লাগবে।।
Tags : একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উওর | ক্লাস 11 সাহিত্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উওর |একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবারের প্রশ্ন উওর | class 11 Bengali question answer 2023 | wb class 11 Bengali question answer & suggestion 2023