Madhyamik 2018 History Question Paper |
আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা মাধ্যমিক 2018 ইতিহাস প্রশ্ন পত্রের সমাধান ( WBBSE Madhyamik 2018 History Question Paper Solutions ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।। আজকের এই ব্লগে আমরা দশম শ্রেণির 2018 বা মাধ্যমিক ইতিহাস 2018 সালের প্রশ্ন পত্রের বাকি 4 & 8 Mark এর Question Answer গুলো দেবো।
আজকের বিষয়ঃ-
৪.১ “হুতোম পেঁচার নকশা" গ্রন্থে উনিশ শতকের বাংলার কীরূপ সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?
৪.২- এদেশের চিকিৎসা-বিদ্যার ক্ষেত্রে কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজের কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উপবিভাগ: ঘ. ২
৪.৩- কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন করেন?
৪.৪- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহকে কি সামও শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়?
উপবিভাগ: ঘ.৩
৪.৫ বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের কীরূপ অবদান ছিল?
৪.৬- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হল।
উপবিভাগ: ঘ.৪
৪.৭- সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ: দেশ বিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
৪.৮- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়েছিল?
বিভাগ- 'ঙ'
৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫.১ উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজগুলির কীরূপ ভূমিকা ছিল?
৫.২ মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিত্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
৫.৩ বিংশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা আলোচনা করো।
৪.২- এদেশের চিকিৎসা-বিদ্যার ক্ষেত্রে কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজের কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উপবিভাগ: ঘ. ২
৪.৩- কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন করেন?
৪.৪- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহকে কি সামও শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়?
উপবিভাগ: ঘ.৩
৪.৫ বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের কীরূপ অবদান ছিল?
৪.৬- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হল।
উপবিভাগ: ঘ.৪
৪.৭- সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ: দেশ বিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
৪.৮- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়েছিল?
বিভাগ- 'ঙ'
৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫.১ উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজগুলির কীরূপ ভূমিকা ছিল?
৫.২ মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিত্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
৫.৩ বিংশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা আলোচনা করো।
WBBSE Madhyamik 2018 History Question Paper With Answer In Bengali Part 2 || মাধ্যমিক 2018 ইতিহাস প্রশ্ন পত্রের সমাধান দ্বিতীয় ভাগ
উপবিভাগ: ঘ
৪.১ "হুতোম পেঁচার নকশা" গ্রন্থে উনিশ শতকের বাংলার কীরূপ সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?
উওরঃ- প্রথম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি রচনা করেছেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। এই গ্রন্থটি প্রথম ভাগ 1862 সালের এবং দ্বিতীয় ভাগ 1863 সালে প্রকাশ পায়। পরে অবশ্য দুটি ভাগ একত্রে 1864- 1865 সালে প্রকাশিত হয়।সমাজ চিত্র বা সমাজের :
▪ বাবু কালচার: কালীপ্রসন্ন সিংহ তার এই গ্রন্থে সেইসময়ের কলকাতার বাবুকালচার কে স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাঁর রচনায় ধনি বাবুদের ভন্ডামীর কথা তুলে ধরেছেন। তার ভাষা ছিল ঝাঝালো প্রকৃতির।
▪ পূজা পার্বণ ও উৎসব : এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন কলকাতার প্রচলিত বারোয়ারি পুজো,রথযাত্রা, নীলষষ্ঠী, রাসলীলা,দুর্গোৎসব ইত্যাদির কথা জানা যায়।
▪ কুসংস্কার : কালীপ্রসন্ন সিংহ সমাজে প্রচলিত সতীদাহ, প্রথা,বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহ ইত্যাদি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
▪ সমাজ বিন্যাস : ইংরেজ শাসনের আগে বাংলায় বড় বড় বংশের,যেমন - কৃষ্ণচন্দ্র,জগৎশেঠ,রাজবল্লভ, নন্দকুমার বংশের পতন ঘটে। একইসাথে বাংলার বেশকিছু নামজাদা বংশের উদ্ভব লক্ষ্য করা যায়। যেমন - মল্লিক পরিবার, শীলপরিবার ইত্যাদি।। রচনার কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা প্রকাশ করেছেন। প্রতিটি স্তরের মানসিকতাকে আমরা অতি সহজেই প্রত্যক্ষ করতে পারি।
উপসংহারঃ-
পরিশেষে বলা যায়, কালীপ্রসন্ন সিংহ তার ছদ্মনামে ( হুতোম প্যাচা ) ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং হাস্যরসের মিলনে তৎকালীন সমাজের ধনীদের লাঞ্ছনা, মাদকাসক্তি, নানা অপকর্ম মধ্যবিত্ত ও সাধারণ নানা আমোদ-প্রমোদের জীবন,সংসারের কথা এক বিচিত্র নকশাধর্মী ভাষায় আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন।।
৪.২ এদেশের চিকিৎসা-বিদ্যার ক্ষেত্রে কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজের কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উওর-ভূমিকাঃ- 1835 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য নীতির প্রথম প্রতিফলন ঘটে। এবং ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা ঘটে।
▪ মেডিকেল কলেজের ভূমিকা :-
▪ প্রশিক্ষণ: পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যা প্রশিক্ষণের জন্য 14 থেকে 20 বছর বয়সের 100 জন ভারতীয় ছাত্রের ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর থেকে 49 জন ছাত্রকে নিয়ে শুরু হয় মেডিকেল কলেজের প্রথম ক্লাস।
▪ পাঠ্যবিষয় : কলকাতা মেডিকেল কলেজে ব্যবহারিক রসায়ন,ব্যবহারিক মেডিসিন চিকিৎসা, ওষুধ তৈরি করা ইত্যাদি শেখানো হতো। প্রথমদিকে মেডিকেল কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হতো পরবর্তী সময় দেশীয় ভাষায় শিক্ষাদান শুরু হয়।
▪ বহির্বিভাগ: কলকাতা মেডিকেল কলেজে 20 টি শাখা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। এবং পরে 100 টি শাখা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়।
উপবিভাগ: ঘ. ২
৪.৩- কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন করেন?
উঃ প্রথমে ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে এবং পরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ইংরেজ সরকার যে দুটি অরণ্য আইন প্রণয়ন করেছিল তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিক স্বার্থ রক্ষা করা ও আধিপত্য স্থাপন করা।
▪ ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর সম্প্রসারণ এবং ভারতে রেলপথ বিস্তারের লক্ষ্যে কাঠের স্লিপার তৈরির
জন্য ভারতে বনজ সম্পদের ওপর ঔপনিবেশিক সরকারের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল।
▪ ভারতের সুবিস্তৃত বনাঞ্চলের জমিকে পরিষ্কার করে কৃষিযোগ্য করে তোলার উদ্দেশ্য যেমন ছিল তেমনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ঝুম চাষের পরিবর্তে স্থায়ী কৃষিকাজে অভ্যস্ত করে তোলার তাগিদ ছিল।
▪ ব্রিটিশ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিজমির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং বনজ সম্পদকে বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করে আয় ও মুনাফা বৃদ্ধি করা।
▪ এটাও ঠিক যে ব্রিটিশ সরকা । বনভূমিকে সংরক্ষিত অরণ্য, সুরক্ষিত অরণ্য এবং গ্রামীণ (শ্রেণিভুক্ত)
অরণ্য এই তিনটি ভাগে বিভক্ত করে বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঔপনিবেশিক স্বার্থ ও মুনাফা বজায় রাখতে গিয়ে অরণ্য আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বাধিকার, জীবন ও জীবিকার মূলে কুঠারাঘাত করেছিল এবং যার ফলে গড়ে উঠছিল বিভিন্ন কৃষক ও
উপজাতির বিদ্রোহ।
৪.৪- ১৮৫৭-এর মহাবিস্লোহকে কি সামস্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়?
উঃ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সময় থেকেই ঐ বিদ্রোহের চরিত্র বা প্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন ধারার ইতিহাসচর্চায় নানাধরনের গবেষণালম্ব মতামত পাওয়া যায়।।
▪ ডঃ সুরদ্রেনাথ সেন তাঁর 'Righteen Fifty Seven' গ্রন্থে এবং ডঃ শশিভূষণ চৌধুরী তাঁর 'Civil Rebellion in the Indian Mutinies, 1857-59' গ্রন্থে এই বিদ্রোহকে সামও শ্রেণির বিদ্রোহ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে ইংরেজ শাসন ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি সামন্তপ্রভূদের মনে ভীতির সঞ্চার করেছিল এবং তাদের ক্ষমতা খর্ব করেছিল। তাদের হাতেই ছিল বিদ্রোহের নেতৃত্ব। দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে সামনে রেখে তারা পুরাতন রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনঃপ্রবর্তন করতে চেয়েছিল। ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার-এর মতে ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ ছিল ক্ষয়িষ্ণু অভিজাততন্ত্র ও মৃতপ্রায় সামস্তশ্রেণির 'মৃত্যুকালীন আর্তনাদ।
▪ অধ্যাপক সুশোভন সরকার উপরোক্ত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে নানা সাহেব, লক্ষ্মীবাই,
হজরতমহল, কুনওয়ার সিং প্রমুখরা সামস্ত জমিদার ও তালুকদার হলেও তারা ছিলেন বিদ্রোহের স্বাভাবিক নেতা। ডঃ সরকার এই বিদ্রোহকে অনেকাংশে জাতীয় বিদ্রোহ হিসাবে দেখার পক্ষপাতী।
▪ আমরা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে যেমন সামস্তশ্রেণির নেতৃত্বদানের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারি না তেমনি সৈনিক, কৃষক, কারিগর সহ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান ও ভাবাবেগকেও অগ্রাহ্য করতে পারি না। প্রকৃতপক্ষে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ নানা সুরে বাঁধা ছিল যেখানে নানা ধরনের প্রতিরোধ নানারূপে হাকাশ করেছিল।
উপবিভাগ: ঘ. ৩
৪.৫ বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের কীরূপ অবদান ছিল?
উওরঃ- গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের ছিলেন প্রথম বাঙালি মুদ্রন ব্যবসায়ী, পুস্তক ব্যবসায়ী, প্রকাশক ও গ্রন্থকার। তাঁর নিবাস ছিল।বর্ধমানের বহুড়া গ্রামে। কাজের খোঁজে তিনি শ্রীরামপুর মিশনারিদের সংস্পর্শে আসেন। শ্রীরামপুর মিশনেই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের মুদ্রণ শিল্প এবং প্রকাশনার কাজে হাতে খড়ি হয়। শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানার কম্পোজিটর, ফেরিস কোম্পানীর স্থাপাখানায় মুদ্রাকর হিসাবে এবং এরপর উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের গোড়ায় কলকাতায় এসে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে ছালাখানা খোলেন ও বই বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন এবং পরিশেষে কলকাতা থেকে প্রেস নিয়ে স্বগ্রাম বহড়ায় চলে আসেন।
গল্গাকিশোর ভট্টাচার্যের প্রেমের নাম ছিল 'বাঙলা গেজেটি যন্ত্রালয়'। এখান থেকেই তিনি প্রকাশ করতেন সাপ্তাহিক "বাঙলা গেজেটি" পত্রিকা। তাঁর প্রেস থেকে তাঁরই সম্পাদিত ভারতচন্দ্রের 'অন্নদামপাল' সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম সচিত্র বাংলা গ্রন্থ 'অন্নদামঙ্গল' প্রকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান অনস্বীকার্য এবং তাঁরা এই প্লেস থেকেই ছাপা হয় এ গ্রামার ইন ইংলিশ এন্ড বোলি', 'গনিত নামতা', 'ব্যাকরণ লিখবার আদর্শ, “হিতোপদেশ’, ‘দায়ভাগ’, ‘চিকিৎসাণৰ' ইত্যাদি অন্যান্য গ্রন্থ।
৪.৬ শ্রীরামপুর মিশন প্রেস কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হল?
উঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৩৮ বছর বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনায় শ্রীরামপুর মিশনের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।▪ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন ও প্রেসের প্রতিষ্ঠা হলেও শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রাণপুরুষ উইলিয়াম কেরি এর দুবছর আগে থেকেই কাঠের মুদ্রণ যন্ত্র ও দেশীয় ভাষায় অর্থাৎ বাংলা হরফ সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং ১৮০০-১৮১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সম্ভবত শ্রীরামপুর মিশন প্রেস লোহার মুদ্রন যন্ত্রও নিয়ে আসে।
▪ মিশনারি জশুয়া মার্শম্যান, উইলিয়ম ওয়ার্ড এবং চার্লস গ্রান্ট প্রমুখদের সঙ্গে নিয়ে কেরি সাহেব বই ছাপার উদ্যোগ নেন এবং বই ছাপার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ভূমিকা নেন 'শ্রীরামপুর ত্রয়ী'।
▪ শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রথম ছাপা বই ছিল বাইবেলের অনুবাদ 'মঙ্গল সমাচার মতীয়ের রচিত। প্রথম দিকে
মিশন মূলত ধর্মীয় বই অনুবাদ করত এবং এখান থেকে ছাত্রদের জন্য অসংখ্য পাঠ্যপুস্তক, পত্রপত্রিকা যেমন মাসিক পত্রিকা 'দিগদর্শণ', সাপ্তাহিক পত্রিকা 'সমাচার দর্পণ' প্রভৃতি ছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থ যেমন- মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার-এর 'বত্রিশ সিংহাসন', 'রাজাবলি', 'প্রবোধচন্দ্রিকা', রামরাম বসু রচিত 'লিপিমালা', 'জ্ঞানোদয়', হরপ্রসাদ রায়ের 'পুরুষ পরীক্ষা’, কেরির 'বাংলা ব্যাকারণ' ইলাবদ্ধ অভিধান' প্রভৃতি প্রকাশিত হয়।
▪ প্রথমে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও কিছুটা পরে ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি-র সঙ্গে সহযোগী হিসাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনায় শ্রীরামপুর মিশন উদ্যোগী হয়েছিল। একটিমাত্র কাঠের মুদ্রণযন্ত্রকে সম্বল করে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস তার যাত্রা শুরু করলেও ১৮২০ খ্রিঃ-এ মুদ্রণযন্ত্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৮টি তে। ১৮০১ খ্রিঃ থেকে ১৮৩২ মিঃ-এর মধ্যে শ্রীরামপুর থেকে চল্লিশটি ভাষায় দু-লক্ষ বারো হাজার বই প্রকাশিত হয়েছিল।
উপবিভাগ: ঘ.৪
৪.৭- সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ : দেশ বিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
উঃ ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাংগা ও ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার প্রথম পাঁচ বছরে উদ্বাস্তু সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু উত্তর ও পশ্চিম ভারতে মূলত পাঞ্জাবে আশ্রয় নিয়েছিল। অন্যদিকে পূর্বপাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তু ও শরণার্থীরা জীবন ও জীবিকার স্বার্থেআশ্রয় নিয়েছিল মূলত এপার বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায়।
▪ নিরাপত্তাজনিত অভাব ধর্ম ও সংস্কৃতিগত সাদৃশ্য এবং বাংলা ভাষা স্বাচ্ছন্দ্যের দরুন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুকে আশ্রয় এবং পুনর্বাসন দেওয়া ছিল খুবই কঠিন কাজ। বিপুল জনসংখ্যা, পরিকাঠামো জনিত সমস্যা, কিছুটা কেন্দ্রীয় স্তরের ঔদাসীন্য উদ্বাস্তু সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছিল। বিপুল সংখ্যক শরণার্থী প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিয়েছিল স্টেশনে, ফুটপাতে, খোলা আকাশের নীচে এবং বিভিন্ন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে। পরে অবশ্য ছিন্নমূল এইসব মানুষজন নিজ উদ্যোগে কলোনি গড়ে তোলেন আবার কোথাও বা সরকারি সাহায্যে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
▪ উদ্বাস্তু মানুষদের অসহায়তা জীবনযন্ত্রণা, ভয়াবহ স্মৃতি এবং পূর্বর্তন গ্রাম বা শহরের মধুর স্মৃতি ধরা পড়েছে তাদের আত্মকথা, স্মৃতিকথা এবং সমসাময়িক সাহিত্যে। এই দেশভাগ, দাঙ্গা এবং অভিপ্রয়াণের জ্বলন্ত সাক্ষী
ছিলেন যেসব নারীরা, তারাও তাদের ভয়াবহ স্মৃতি, যন্ত্রণা সর্বোপরি সংগ্রামকে কাগজে কলমে বা আলাপচারিতায় তুলে ধরেছেন।
৪.৮ হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভূক্ত হয়েছিল?
▪ অন্যদিকে নিজামের ভারতবিরোধী অবস্থান মজলিস-ইতেহাদ-উল-মুসলিমিন এর মতো সংগঠনের তৎপরতা বৃদ্ধি সর্বোপরি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষদের উপর নিজামের রাজাকার বাহিনীর তুমুল অত্যাচার হায়দ্রাবাদের ভারতভুক্তিকে অনিবার্য করে তুলেছিল।
▪ এমতাবস্থায় ভারত সরকার প্রথমে অর্থনৈতিক অবরোধ করে এবং পরে নিরুপায় হয়ে মেজর জেনারেল
জনয়াশুনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই সেপ্টেম্বর সামরিক অভিযান অপারেশন পোলো প্রেরণ
করেন। ১৮ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলে আসে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি হায়দ্রাবাস আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতভুক্ত হয়।
বিভাগ- ঙ
৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫.১ উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজগুলির কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উওর পেতে ক্লিক করুন👉👉- উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজগুলির কীরূপ ভূমিকা
৫.২. মানুষ প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।৫.৩ বিংশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীনের ভূমিকা
(কেবলমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য)
আশাকরি যে, আজকের এই ব্লগে তোমাদের সঙ্গে যে, 2018 মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন পত্রের সমাধান (WBBSE Madhyamik 2018 History Question Paper Solutions ) শেয়ার করা হয়েছে তা তোমাদের কাজে লাগবে।।
Tags :