জেনেটিক কাউন্সেলিং কাকে বলে? বংশগতরোগ নির্নয়ে বা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে এর গুরুত্ব আলোচনা করো।

0

 

জেনেটিক কাউন্সেলিং কাকে বলে? বংশগতরোগ নির্নয়ে বা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে এর গুরুত্ব আলোচনা করো।
বংশগতি ও কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর

উওরঃ- যে পদ্ধতির দ্বারা মানুষের মধ্যে বংশগত  রোগের জন্য দায়ী জিনের ক্রোমোজোমগত অবস্থান জানা যায় এবং পরবর্তী প্রজন্মে বংশগত রোগ প্রকাশের সম্ভাবনা নির্ধারণ ও জিনগত রোগহীন সন্তান লাভে দম্পতিকে সাহায্যে করা হয়, সেই পদ্ধতিতে জিনগত পরামর্শ বা জেনেটিক কাউন্সেলিং বলা হয়।

বংশগত রোগ নির্নয়ে এর গুরুত্বঃ-  

বর্তমানে বংশগত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জেনেটিক কাউন্সেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিনগত রোগ নির্নয় বা পরামর্শদানের জন্য প্রথমে রােগীর DNA টেস্ট ও ক্যারিওটাইপ বিশ্লেষণ করে জিনগত রােগ নির্ণয় করা হয়। জেনেটিক কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বিবাহের পূর্বে পাএ-পাএী থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক কি না, তা নির্নয় করার জন্য অর্থাৎ কোনো পরিবারের জিনগত রোগের ইতিহাস বিশ্লেষন ও জেনেটিক পরামর্শ দ্বারা ভবিষ্যত সন্তানের জিনগন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নির্নয় করা হয়। যেসব পরিবারে থ্যালাসেমিয়া মেজর বা মাইনর আছে তাদের পরিবারের ব্যক্তিদের জেনেটিক কাউন্সেলিং দরকার। যদি দুই পরিবারে থ্যালাসেমিয়া মাইনর থাকে তবে তাদের সন্তানদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রােগ প্রকাশ পাবে এবং রক্তল্পতায় মারা যাবে। তাই বিয়ের আগে জিনগত পরামর্শ বা জেনেটিক কাউন্সেলিং দরকার। 

Tags : মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর | বংশগতি ও কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | wbbse class 10 life science question answer 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top