কার্যকারণ সম্বন্ধ সম্পর্কিত লৌকিক মত || একাদশ শ্রেণীর দর্শন তৃতীয় অধ্যায় কার্যকরণ সম্বন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর

0

কার্যকারণ সম্বন্ধ সম্পর্কিত লৌকিক মত || একাদশ শ্রেণীর দর্শন তৃতীয় অধ্যায় কার্যকরণ সম্বন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর

কার্যকারণ সম্বন্ধ সম্পর্কিত লৌকিক মত || একাদশ শ্রেণীর দর্শন তৃতীয় অধ্যায় কার্যকরণ সম্বন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর


ভূমিকাঃ যখন কোনো একটি কার্য ঘটে, তখন তার পেছনে কোনো না কোনো একটি কারণ অবশ্যই থাকবে বা থাকে। কোনো কার্য ই কোনো কারণ ছাড়া ঘটতে পারে না। তাই কার্য এবং কারণের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তাই হলো কার্য কারণ সম্পর্ক। 


এই কার্যকারণ সম্বন্ধ হল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি প্রত্যক্ষলব্ধ জ্ঞান। ‘খাদ্য ক্ষুধা দূর করে’, ‘বিষপানে মৃত্যু ঘটে’, ‘উত্তাপ বস্তুকে প্রসারিত করে’—এইসব ঘটনাগুলির মধ্যে আমরা কার্যকারণ কার্য ও কারণের মধ্যে সম্বন্ধ দেখতে পাই। এবং এই কার্য এবং কারণের সম্পর্ক আমরা দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পাই বলে বিশ্বাস করি। আমরা স্পষ্টত লক্ষ করি যে, ‘খাদ্য এবং ক্ষুধানিবৃত্তি’, ‘বিষপান এবং মৃত্যু’, ‘উত্তাপ এবং বস্তুর প্রসারণ’-এর মধ্যে একটি কার্যকারণের সম্পর্ক নিহিত আছে এবং এই সম্পর্ক হল অবশ্যম্ভব বা আন্তর।


সাধারণত  আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের দুনিয়ায় কোনো ঘটনাই বিনা কারণে ঘটে না। যদি কোনো কার্য ঘটে থাকে তাহলে তার পেছনে কোনো না কোনো কারণ অবশ্যই রয়েছে। 

• বিষপান করলে মৃত্যু ঘটে। এখানে কার্য হলো মৃত্যু এবং বিষপান হলো কারণ। 

• যখনই কারণ হিসাবে বিষপান আবিষ্কার করা হয় তখনই কার্য হিসেবে মৃত্যু ঘটে। সুতরাং এখানে বোঝাই যাচ্ছে যে,কার্য এবং কারণের মধ্যে এক প্রকার সম্পর্ক রয়েছে। 

কার্যকারণের সম্পর্কের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য


সুতরাং কার্যকারণের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেই সম্পর্ককে আমরা বিশ্লেষণ করলে কার্যকারণের মধ্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারি। যেমন - 

• কারণ হলো কার্যের পূর্ববর্তী ঘটনা।

• ( যেমন বিষপান করলে মৃত্যু ঘটে। সুতরাং মৃত্যুর আগে বিষপান করা হয়। অর্থাৎ কার্যের আগে কারণ ঘটে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু ঘটে অর্থাৎ কার্য পরবর্তীতে ঘটবে।

• কারণ ঘটলেই কার্য অবশ্যই ঘটবে।

• ( যদি কখনো খাদ্য গ্রহণ করা হয় তাহলে আমাদের খিদে কমে যাবে বা ক্ষুধানিবৃত্তি হবে। ) 

• কারণ কার্যকে উৎপন্ন করেঃ আমরা দেখি যে যদি কখনো খাদ্য গ্রহণ করা হয় তাহলে ক্ষুধা নিবৃত্তির ঘটে অথবা যদি বিষপান করা হয় তাহলে মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ এখানে কারণ (বিষপান) মৃত্যুকে উৎপন্ন করে অর্থাৎ কার্যকে উৎপন্ন করে। তাই বলা হয় যে, কারণ হলো এমন এক প্রকার শক্তি যা কার্যকে উৎপন্ন করতে সক্ষম। বিজ্ঞানও কারণকে শক্তি রূপে অভিহিত করে শক্তির অবিনশ্বরতা নীতির উপর আস্থা রেখে বিজ্ঞান বলে যে,কারণ ও কার্যের মধ্যে কোন পরিমাণ কত পার্থক্য নেই কেবলমাত্র গুণগত পার্থক্য আছে।কারণ শক্তি যখন কার্য শক্তিতে পরিণত হয় তখন কার্য হল কারণ শক্তির একটি নতুন রূপ। সুতরাং কার্যকারণের মধ্যে যে সম্পর্ক তা হল সার্বিক এবং অনিবার্য।।


Tags : 

একাদশ শ্রেণীর দর্শন তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর | কার্যকারণ সম্বন্ধ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণীর দর্শন কার্যকারণ সম্বন্ধে অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | কার্যকারণ সম্পর্কে প্রসক্তি তত্ত্বটি আলোচনা করো | class 11 philosophy question answer | wb class xi philosophy question and answer | class 11 philosophy | class 11 philosophy suggestion 2022 | Class 11 philosophy chapter 4 questions and answers in bengali | Wb Class 11 philosophy chapter 4 questions and answers in bengali


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top