প্রশ্নঃ লিঙ্গ নির্ধারণ কাকে বলে? মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উওরঃ যে পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একই প্রজাতির পুরুষ এবং স্ত্রী জীবদেহ পৃথক করা হয়, তাকে লিঙ্গ নির্ধারণ বলা হয়।
মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতিঃ
• মানুষের দেহকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা হল মোট 46 টি। তার মধ্যে 44 টি হল অটোজোম যা আমাদের দেহের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি নিয়ন্ত্রণ করে। এবং বাকি দুটি ক্রোমোজোম হলো আমাদের দেহের সেক্স ক্রোমোজোম,যা আমাদের লিঙ্গ নির্ধারণের সাহায্য করে।
•মহিলাদের ক্ষেত্রে XX নামক দুইটি সেক্স ক্রোমোজোম থাকে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে X , Y নামক দুইটি সেক্স ক্রোমোজোম থাকে।
• গ্যামেট উৎপাদনকালে মহিলাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র X প্রকৃতির গ্যামেট উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনো X বা কখনো Y ধরনের গ্যামেট উৎপন্ন হয়। এজন্য পুরুষদের হেটারোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয়।
• মানুষের যৌন মিলনের সময় পুরুষদের ক্ষেত্রে দুই ধরনের শুক্রাণু উৎপন্ন হয়। একটি ( 22A + X ) সমন্বিত এবং অপরটি ( 22A + Y ) সমন্বিত।
• অপরদিকে যৌনমিলনের সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক ধরনের ডিম্বাণু ( 22A + X ) উৎপন্ন হয়।
• পুরুষদের (22A + X ) সমন্বিত শুক্রাণু যখন মহিলাদের ( 22A + X ) সম্মনিত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করেন, তখন উৎপন্ন জাইগোটের ক্রোমোজোম সংখ্যা হয় ( 44A + XX ) অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সেই ভ্রুনটি কন্যা সন্তান হয়।
আবার,
যখন পুরুষদের (22A + Y ) সমন্বিত শুক্রাণু যখন মহিলাদের ( 22A + X ) সম্মনিত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করেন, তখন উৎপন্ন জাইগোটের ক্রোমোজোম সংখ্যা হয় ( 44A + XY ) অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সেই ভ্রুনটি পুএ সন্তান হয়।
তাই কোনো সন্তান পুত্র সন্তান হবে নাকি কন্যা সন্তান, সেটা নির্ভর করে পুরুষদের X এবং Y গ্যামেটের ওপর। তাই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।