আজের এই পোস্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (WBBSE Class 10 History Question Answer & Notes in Bengali ) অধ্যায়ের আরও কিছু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 2 ও 4 মার্কের প্রশ্নের উওর ( WBBSE Class X (10) History Question Answer & Suggestion 2023 ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আজকে এটি দ্বিতীয় ভাগ যেখানে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ যে সমস্ত 2 ও 4 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি থেকে গিয়েছিল, সেগুলোর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। এর আগের একটি পোস্টে আমরা ক্লাস 10 ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 10-15 টি প্রশ্নের উওর তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যদি কেউ সেগুলো না দেখে থাকো তাহলে আগে সেগুলো দেখে নিতে পারো।। আর আমরা প্রতিদিন মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নোটস শেয়ার করে যাবো। তাই তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকো।।
দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উত্তর || WBBSE Class 10 History Question Answer & Suggestion 2023
প্রশ্নঃ ফরাজি আন্দোলন কি??
অথবা,
ফরাজি আন্দোলন কাকে বলে??
উত্তরঃ হাজি শরিয়ৎউল্লাহ মুসলিম ধর্মের শুদ্ধিকরণ এবং ধর্মকে পবিত্র করে দার উল হাবর কে দার উল ইসলামে পরিণত করার জন্য যে আন্দোলনকে শুরু করেছিলেন, তাই ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত। ফরাজি শব্দের অর্থ হলো ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য।। হাজী শরীয়ত উল্লাহ নামে একজন ব্যক্তি ভারতবর্ষে ইসলামের শুদ্ধিকরণ করে ভারতবর্ষকে দার উল হাবর অর্থাৎ বিধর্মীর দেশ থেকে দার উর ইসলাম বা ইসলামের দেশে পরিণত করার জন্য ধর্মীয় আন্দোলনকেই ফরাজি নামক ধর্মীয় আন্দোলনের শুরু করেছিলেন।।
Read More👇
What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You
প্রশ্নঃ দুদুমিঞা স্বরনীয় কেন??
উওরঃ দুদুমিঞা ব মহম্মদ মহসিনের স্বরনীয় হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমন-
• দুদুমিঞা ছিলেন ফরাজি আন্দোলনের প্রানপুরুষ হাজি শরিয়ৎ উল্লাহের পুএ, যিনি পিতার পর ফরাজি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এসেছিলেন।।
• যখন দুদুমিঞা ফরাজি আন্দোলনে নেতৃত্বে দিতে শুরু করেছিলেন, তখন ফরাজি আন্দোলন ধর্মীয় আন্দোলনের বদলে, একটি কৃষক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।। এবং এজন্যই ফরাজি আন্দোলন এক নতুন রুপ পেয়েছিল।। যার জন্য দুদুমিঞা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে এবং, ফরাজি আন্দোলনের বাকি সদস্যদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।।
প্রশ্নঃ তরিকা ই মহম্মদীয়া বলতে কী বোঝা বা তরিকা ই মহম্মদীয়া কী??
উওরঃ ফরাজি আন্দোলনের মতো তরিকা ই মহম্মদীয়াও ছিল একটি মুসলিমদের ধর্মীয় আন্দোলন। তরিকা ই মহম্মদীয় আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের শুদ্ধিকরন ঘটিয়ে ইসলামের নির্দেশনমতো পবিত্র সমাজ গড়ে তোলা।। অষ্টাদশ শতকে আরব দেশে আবদুল ওয়াহাব এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্য যে, তরিকা ই মহম্মদীয়ার উদ্দেশ্যে কোনো হিংসা বা রাজনৈতিক দিক না থাকলেও, এই আন্দোলনের আরেকটি রুপ হলো ওয়াহাবি আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক বা হিংসার দিকটি জড়িত ছিল।।
প্রশ্নঃ নীলকররা নীলচাষিদের ওপর কীভাবে অত্যাচার করতো? তা সংক্ষেপে লেখো।।
• কোনো চাষি নীলচাষ করতে চাইতো না, তখন ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া।
• চাষিকে গরু বাধা খুটির সঙ্গে বেধে চাবুক মারা,গবাদি পশু ছিনিয়ে নেওয়া।
• চাষির পরিশ্রম অনুযায়ী তাকে তার নায্য মূল্য না দেওয়া।
• চাষির ঘরে স্ত্রীকন্যাকেও নির্যাতন করা ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলন সম্পর্কে লেখ।।
প্রশ্নঃ বারাসাত বিদ্রোহ কী??
প্রশ্নঃ রংপুর বিদ্রোহ কী?রংপুর বিদ্রোহের কারন কী ছিল??
Read More👇
What Is Car Insurance? Best Car Insurance Plan & Companies সম্পর্কে জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
What Is Car Insurance | Types Of Car Insurance | Best Car Insurance Plan For You
প্রশ্নঃ পাগলপন্থী বিদ্রোহ কী??
অথবা,
পাগলপন্থী বিদ্রোহ বলতে কী বোঝায়??
প্রশ্নঃ সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন?? বা সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থতার কারণ
ভূমিকা : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসী ও ফকিররা বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল 1763 খ্রিস্টাব্দে। দীর্ঘ 37 বছর ধরে চলার পর 1800 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই বিদ্রোহ ধীরে ধীরে থেমে গিয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে দীর্ঘ 37 বছর ধরে চলা সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের ব্যর্থতা একাধিক কারণ ছিল একাধিক। যেমন -
◆ আধুনিক অস্ত্রের অভাব : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর কাছে ছিল সমস্ত আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। কিন্তু সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের কাছে সেরকম ভাবেও কোনো আধুনিক অস্ত্র ছিল না। যার সাহায্য তারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারতো।
◆ বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়ার মত সঠিক পরিকল্পনার অভাব :
একটি বিদ্রোহকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিদ্রোহের একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। কিন্তু সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের সেরকম কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না,যে তারা কিভাবে এই বিদ্রোহকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
◆ সঠিক নেতৃত্বের অভাব : সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের শুরুর দিকে ভবানী পাঠক, মজনুশাহ,দেবী চৌধুরানী প্রমুখ নেতারা থাকলেও,পরবর্তীকালে বিদ্রোহকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সঠিক নেতার অভাব হয়ে পড়ে। যার ফলে অযোগ্য নেতাদের হাতে পড়ে সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।।
◆ সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব : সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শোষণ অত্যাচারের জন্য। তাই প্রথম দিকে হয়তো তাদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের সেসব শোষন অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া। কিন্তু মনে করা হয় যে,বিদ্রোহীদের অনেকের মধ্যেই এই বিদ্রোহের লক্ষ সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা ছিলনা।
কিন্তু অনেক সময় এটা দেখা গেছে যে, বিদ্রোহীরা ইংরেজদের বিভিন্ন কুটির আক্রমণ করে সেখানে ডাকাতি করেছে। তাই উইলিয়াম হান্টার সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের ডাকাত বা দস্যু বলে অভিহিত করেছিলেন। সুতরাং সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের লক্ষ্য যদি ব্রিটিশ শাসনকে উৎখাত করে তাদের শোষণ অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া হতো,তাহলে তারা ডাকাতি করার পরিকল্পনা কেন করতেন। তাই সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের সঠিক লক্ষ্য কী ছিল তা, বলা মুশকিল।
◆ আর্থিক সমস্যা : একটি বিদ্রোহকে সঠিক ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়। বিদ্রোহীদের থাকা-খাওয়া, অস্ত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সন্ন্যাসী ও ফকিরদের প্রচুর পরিমানে অর্থের ক্ষয় হয়। এবং শেষ দিকে তাদের কাছে বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়ার মত সঠিক অর্থ ছিলনা বলে মনে করা হয়।
◆ অন্যান্য কারণ : বিদ্রোহের শেষের দিকে বিদ্রোহীদের মধ্যে নেতৃত্ব দান এবং অন্যান্য কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও সন্ন্যাসী ও ফকিরদের মধ্যে আদর্শগত আত্মকলহ এবং বারংবার ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আক্রমণের ফলে এই বিদ্রোহ ধীরে ধীরে থেমে যাওয়ার পথে এসে দাড়ায়।
প্রশ্নঃ নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভূমিকা কিরূপ ছিল??
উওরঃ হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তার
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার মাধ্যমে নির্ভীকভাবে নীলচাষিদের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিলেন। হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় যেভাবে নীল বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা হলো -
• হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও অন্যান্য খারাপ কাজ কর্মের ব্যপারগুলোও তার প্রতিকার পত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতেন।।
• হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তার হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার মাধ্যমে নীলকর সাহেবদের করা অত্যাচারের ফলে নীলচাষীদের দুরাবস্থা তার পত্রিকার মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন।।
• হরিশচন্দর মুখোপাধ্যায় শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশ করেননি। তিনি সেই সঙ্গে নীলচাষিরা নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল,সেই মামলা গুলো চালানোর জন্য হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় চাষীদের সব সময় আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছিলেন।।
প্রশ্নঃ এলাকা চাষ ও বে এলাকা চাষ কি??
উত্তরঃ এলাকা চাষ ও বেলাকা চাষ হলো নীল চাষের দুটি আলাদা আলাদা পদ্ধতি।
এলাকা চাষঃ নীলকর সাহেবরা যখন কোনো জমিদারের কাছ থেকে জমি নিয়ে সেই জমিদারের জমিতে নীল চাষ করতো, তখন নীল চাষের সেই পদ্ধতিকে বলা হতো এলাকা চাষ বা নিজ- আবাদি চাষ।
বে-এলাকা চাষঃ এলাকা চাষে নীলকর সাহেবদের বেশি মুনাফা না হওয়ায় নীলকর সাহেবরা নীল চাষের অন্য একটি পদ্ধতি বের করে বে-এলাকা চাষ নামে পরিচিত।
যখন কোনো নীলকর সাহেব কোনো চাষীকে কিছুটা অগ্রিম অর্থ দিয়ে বা দাদন দিয়ে তার নিজস্ব জমিতে নীল চাষ করাতো, তখন সেই নীল চাষ পদ্ধতিকে বে-এলাকা চাষ বা রায়তি বলা হত।।।
প্রশ্নঃ দাদন প্রথা কী??
উওরঃ দাদন হলো নীলকর সাহেবদের প্রদান করা অগ্রিম অর্থ। যখন কোনো নীলকর সাহেব বে-এলাকা চাষ পদ্ধতিতে কোনো চাষিকে তার নিজের জমিতে নীল চাষ করার জন্য কিছু অর্থ প্রদান করতো, তখন সেই অগ্রিম প্রদান করা অর্থকে বলা হতো দাদন। সেই দাদন প্রদানের পদ্ধতিকেই বলা হতো দাদন প্রথা।
• এই প্রথায় নীলকর সাহেব একজন কৃষককে খুবই কম টাকা অগ্রিম অর্থ দিয়ে অর্থ দিয়ে তার জমিতে নীলচাষে বাধ্য করতো।। ফলে দাদন গ্রহন করে নীলচাষ করলে নীল চাষির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যেত।।
প্রশ্নঃ নীলদর্পণ নাটকটি বিখ্যাত কেন??
অথবা
নীলদর্পণ নাটকটি থেকে কী জানা যায়??
উত্তরঃ ভারতের কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাস নীল বিদ্রোহের কথা সবসময়ই লেখা থাকবে। কারণ নীল বিদ্রোহ ছিল এক ব্যাপক সফল বিদ্রোহ। ১৮৫৯-৬০ খ্রিষ্টাব্দের সেই নীল বিদ্রোহকে নিয়েই রচিত হয় নীলদর্পণ নাটক। যেটি লিখেছিলেন বিখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র।। এই নাটকটি 1860 খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।। • নীলদর্পণ নাটকটি হলো এমন একটি নাটক যেটা নীল চাষ এবং নীল চাষীদের উপর, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে লেখা।।
• নাটক থেকে জানা যায় যে নীলকর সাহেবরা কিভাবে,নীলচাষিদের ওপর অত্যাচার করতো।।
• এই নাটক থেকে জানা যায়,নীল চাষ করার ফলে চাষিদের আর্থিক অবস্থা , মানসিক অথস্থা এবং তাদের পারিবারিক অবস্থা কতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।।
• নীলদর্পণ নাটকে সেই সমস্ত তথ্য দেওয়া আছে যে কিভাবে একজন নীলকর সাহেব, একজন নীলচাষীকে নীল চাষ করতে বাধ্য করতো।। এবং সে যদি চাষ না করতো, তাহলে তাকে কতটা খারাপ ভাবে নির্যাতন করা হতো।।
মূলত এই সমস্ত বিষয়গুলি ই নীলদর্পন নাটকটি বিখ্যাত হয়ে আছে।।
প্রশ্নঃ নীল কমিশন ইন্ডিগো কমিশন কী??
Tags :