'তোর আসল লজ্জা জলে,আসল গর্বও জলে।'- বক্তা কে? কোনির কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা হয়েছে? তার আসল লজ্জা ও আসল গর্ব জলে বলা হয়েছে কেন?
ভূমিকাঃ
মতি নন্দীর রচিত কোনি উপন্যাসটি শুরু হয়েছে কোনির লড়াইয়ের কাহিনী নিয়ে। গঙ্গার ঘাটে আমরা দেখতে পাই কোনি সাধারণ একটা আমের জন্য কেমন করে অন্যের সঙ্গে লড়াই করছে। ঠিক এই একই ধরনের লড়াই আমরা সমগ্র কোনি উপন্যাস জুড়েই দেখতে পাই। জীবনের লড়াইয়ের একপর্যায়ে এমন দেখা যায় যে, কোনি কে সমস্ত দিক থেকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে চলছে নানা চক্রান্ত।এবং এরকম এক চক্রান্ত শিকার হয়ে কোনি সম্পূর্ণ ভাবে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে। এরক ই এক পরিস্থিতিতে এমন একটি কথা উঠে। কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত এই উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষীতিশ সিংহ।
ক্ষিতীশ সিংহের কনিকে এই কথাটি বলার কারণঃ
কোনিকে ছাত্রী হিসেবে পাওয়ার পর ক্ষিতীশ সিংহ যখন কোনিকে সঠিক শিক্ষা দান করে একজন সফল সাঁতারু বানানোর শপথ গ্রহণ করে, ঠিক তখন তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু হয় নানা চক্রান্ত। ক্ষিতীশ সিংহের কাছে কোনি যখন প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে তখন থেকেই তাঁর পথে নানা প্রতিবন্ধকতা এবং বাধার সৃষ্টি হয়। ধীরেন ঘোষ, বুটু চাটুজ্জে,অমিয়া, হরিচরণ এবং আরো কয়েকজনের বিরোধীতা এবং চক্রান্তের জন্যেই কোনি ক্লাবে ভর্তি ভর্তি হতে পারেনা। কোনি নিজের চেষ্টায় নিজেস সেরাটা দিলেও তাকে ডিসকোয়ালিফাই হয়।
এছাড়াও প্রথম হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাকে দ্বিতীয় বলে ঘোষণা করা হয়। এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, অমিয়া যখন লীলাবতীর দোকানে এসে ব্লাউজ তৈরি করতে আসে, তখন অমিয়া সেখানে অমিয়া কোনিকে ঝী বলে সম্বোধন করায় কোনি তখন মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট পরিমাণে আঘাত দেয়। এবং এতে তার মন ভেঙে যায়। এরপর কোনি যখন এসব কথা ক্ষিতীশকে জানায়, তখন ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে উদ্দেশ্য করে 'তোর আসল লজ্জা জলে,আসল গর্বও জলে।' কথাটি বলে।।
কোনি কে উদ্দেশ্য করে ক্ষিতীশ সিংহের এই কথাটি বলার পেছনে কারণ হলো-
• কোনি যেহেতু একজন প্রকৃত সাঁতারু, সেই কারণে কোনির সবচাইতে বড় লজ্জা এবং কোনটি সবচেয়ে বড় গর্ব জলেই থাকা উচিত। কোনি যদি কোনভাবে নিজের সবটা উজাড় করে না দিতে পারে, এবং কোন ভাবে যদি তার পরাজয় বা সে যদি হেরে যায়, তাহলে সেটাই হবে তার সবচেয়ে বড় লজ্জা। এবং অন্যদিকে যদি কোনি সাঁতার প্রতিযোগিতায় নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করে জয়কে ছিনিয়ে আনতে পারে, তাহলে সেটাই হবে তার সবচেয়ে বড় গর্ব।।
• প্রথম থেকেই কোনির বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত তার পথে নানা বাধা প্রতিবন্ধকতা এবং নানাভাবে তার মানসিক বল ভেঙে ফেলার চেষ্টায় চলতে থাকায়, কোনির মানসিক বল অনেকটাই ভেঙে যায়। এজন্য ক্ষিতীশ সিংহ তার অভিভাবক হিসেবে কোনির মানষিক বল ফিরিয়ে আনার জন্য কোনিকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করেন।।
Tags :