'নীলধবজের প্রতি জনা' কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন?|| একাদশ শ্রেণির বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

0

'নীলধবজের প্রতি জনা' কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন?|| একাদশ শ্রেণির বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর


একাদশ শ্রেণির বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস 11 বাংলা প্রশ্ন উওর | Class 11 Bengali Question Answer
একাদশ শ্রেণির বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার " একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন "  'নীলধবজের প্রতি জনা' কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন? "প্রশ্নটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। তোমাদের সামনের পরিক্ষায় নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতা থেকে বড় প্রশ্ন হিসাবে 'নীলধবজের প্রতি জনা' কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন?" প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো।

'নীলধবজের প্রতি জনা' কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন? 

উঃ- মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ প্রবীর অর্জুনের সাথে অসম যুদ্ধে প্রাণ ত্যাগ করেন। এর ফলে প্রবীরের মা জনা পুত্রশোকে পাগলিনী হয়ে ওঠেন। এমতাবস্থায় পুত্রের মৃত্যুর বদলা না নিয়ে মাহেশ্বরী রাজ নীলধ্বজ অর্জুনের সাথে মিত্রতা স্থাপন করলে জনা প্রচন্ড আঘাত পান ও ক্রুদ্ধ হন। রাজা নীলধবজের মতি ফেরাতে তিনি মহাবীর অর্জুনের চরিত্রের নানা কু- দিক অর্থাৎ কাপুরুষতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। 

কাপুরুষতাকে প্রকাশ করার আগে জনা অর্জুনের জন্ম-বৃত্তান্তকে তীব্র ব্যঙ্গ করেন। এরপর তিনি একের পর এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন, যেমন--


ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে পাঞ্চালিকে বিবাহঃ ব্রাক্ষণের ছদ্মবেশে দ্রৌপদীর সয়ম্বর সভায় যান। এবং সেখানে যখন সমস্ত বীরেরা, পাঞ্চালির পিতার সেই শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হন, তখন সেখানে ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে উপস্থিত অর্জুন, সেই মাছের চোখে তীরবিদ্ধ করে পাঞ্চালিকে বিবাহ করে।।

ছলের সাহায্য পিতামহ ভীষ্মঃ অর্জুন ছিলেন এমন একজন যে সবসময় ছলচাতুরি সাহায্য নিতেন। এবং সেই ছলচাতুরিতে তাকে সবসময় সাহায্য করতো শ্রীকৃষ্ণ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যখন পিতামহ ভীষ্মকে বধ করার সময় আসে, তখনও অর্জুন শিখণ্ডীকে সামনে রেখে, কাপুরুষের মতো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পিতামহ ভীষ্মকে বধ করে।

ছলনার সাহায্যে অস্ত্রগুরুকে হত্যাঃ  দ্রোণাচার্য ছিলেন অর্জুন এবং কৌরবদের অস্ত্রগুরু। কিন্তু অর্জুন তাদের অস্ত্রগুরুকে ছলনার সাহায্য মারতেও পিছুপা হয়না। যুদ্ধে একসময় অর্জুন সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরের মাধ্যমে মিথ্যা কথা বলার মাধ্যমে,,দ্রোণাচার্যকে আবেগপ্রবণ করে ফেলেন। এবং সেই সুযোগে অর্জুন পেছন থেকে, কাপুরুষের নিরস্ত্র দ্রোণাচার্যকে সাহায্যে অস্ত্রগুরু দ্রৌনাচার্যকে হত্যা করেন।

মহার‍থী প্রথা ভঙ্গঃ অর্জুনকে সবাই বিরাট বীর ভাবে। কিন্তু জনা এটাও দেখিয়েছিলেন যে,অর্জুন কখনোই কোনো বীর ছিলেন না। বীরত্বের পেছনে সবসময়ই অন্য কারোর হাত ছিল। এছাড়াও অর্জুন নিজে একজন বীর হয়ে নিজেই মহারথী প্রথা ভঙ্গ করেছিলেন। প্রবল পরাক্রমশালী কর্ণকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যা করা, ইত্যাদি। 

উপরের দৃষ্টান্তগুলোর সাহায্যে জনা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যে অর্জুনের মতো কোনো  ছলনাময় ব্যক্তিত্ব মহাবীর ও দেবতুল্য হতে পারে না।

Tags :

একাদশ শ্রেণির বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস 11 বাংলা প্রশ্ন উওর | Class 11 Bengali Question Answer | Class 11 Bangali Notes | Class 11 Bengali Suggestion 2022 | ক্লাস 11 বাংলা বড় প্রশ্ন উওর



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top