“আমি বাঞ্ছা করি দেখব তারি” কাকে দেখতে চান? কীভাবে তাঁর দর্শন পাওয়া যাবে? || বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
![]() |
একাদশ শ্রেণির বাংলা বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর |
উওরঃ বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতা নয়। এটি হলো পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হতে পারার উপায় রচিত বাউলসাধক লালন ফকিরের একটি গান যা কবিতা আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই কবিতায় লালন ফকির পড়শি বলতে বুঝিয়েছেন তার অন্তরাত্মা বা মনের মানুষকের কথা।
• বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতায় লালন ফকির তাঁর ‘পড়শি’ অর্থাৎ তার মনের মানুষকে’ দেখতে চেয়েছেন।
• কিন্তু কবি জানেন যে তার মনের মানুষ বা পড়শীকে দেখতে পাওয়া মোটেও সহজ নয়।সেজন্য তিনি কিছু উপায় বলেছেন যার সাহায্যে কবি তাঁর দর্শন পেতে পারেন।
• একজন প্রকৃত বাউল সাধক হিসেবে লালন ফকির খুব ভাল করেই বুঝতে পারেন যে, তাঁর মনের ভিতরে রয়েছে এক পড়শী। সেই পড়শীর দেখা পাওয়া মোটেও সহজ নয়। সেই পড়শী বা পরমাত্মার দেখা পেতে গেলে প্রয়োজন তীব্র সাধনার। কিন্তু বিষয়বাসনায় কাতর মানুষের পক্ষে তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়া সহজ কথা নয়। কোনো মন্ত্র-তন্ত্র, সাধনপদ্ধতি নয়, শুধু আত্মোপলব্ধির সাহায্যেই ‘মনের মানুষ’, যাঁকে কবি ‘পড়শি’ বলে উল্লেখ করেছেন,তাঁর দেখা পাওয়া যেতে পারে। কবি বলেছেন "গ্রাম বেরিয়ে অগাধ পানি"। এখানে পানি বলতে সংসারের যাবতীয় মোহমায়া, লোভ, আশাআকাঙ্কা ইত্যাদিকে বুঝিয়েছেন। লালন সাঁই যদি সেই পানি অর্থাৎ সংসারের যাবতীয় মোহমায়া,লোভ, আশা-আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে পারেন তবেই তিনি ‘মনের মানুষ’ বা ‘পড়শি’-র দেখা পাবেন। এবং যখনই লালন সাঁই সংসারের যাবতীয় মোহ মায়া ত্যাগ করে বা সেই পড়শীর সাক্ষাৎ পাবেন,তখন পার্থিব জীবনের সব দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে কবির মুক্তি ঘটবে।