![]() |
ক্লাস 11 সাহিত্যের ইতিহাসের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা ( wb class 11 Bengali ) " সাহিত্যের ইতিহাসের মধ্যেযুগ থেকে "একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে, কবে, কোথা থেকে আবিষ্কার করেন? এই গ্রন্থটির কাব্যমূল্য সম্পর্কে আলোচনা করো। " তার উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে, কবে, কোথা থেকে আবিষ্কার করেন? এই গ্রন্থটির কাব্যমূল্য সম্পর্কে আলোচনা করো।
উওরঃ শ্রীবসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথিটি আবিষ্কার করেছিলেন।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাব্য মূল্যঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা হলেন বুড়ো চন্ডীদাস। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি মধ্যযুগের রচনা করা হয়েছিল।
• শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা কাব্যে মোট তেরোটি খন্ড রয়েছে। এবং এই তেরোটি খন্ডের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম থেকে শুরু করে তার মথুরা যাত্রা পর্যন্ত এবং শ্রী কৃষ্ণের মথুরা যাত্রার পর শ্রীকৃষ্ণের অবর্তমানে রাধার বিরহের সমস্ত কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
• নাট্য,গীতি এবং নানা বিবৃতির মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বংশী খণ্ড তুলে ধরা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরে রাধার ব্যাকুল হয়ে ওঠার গল্প।
• ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে ইফতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ অথবা অন্ধকার যুগের সৃষ্টি এবং সেই অন্ধকারময় যুগের লৌকিকতার প্রভাব রয়েছে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে। তাই বলে চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কৃষ্ণ হয়ে ওঠে আভীর যুবক, যে অনায়াসে বলতে পারে " রাধাক না থাক না পাআঁ মোর বাআকুল মনে'। রাধাও ক্রমশ হয়ে ওঠে পরকীয়া প্রেমে অভ্যস্ত এক রমণী। আর বড়াই হয়ে ওঠে রাধাকৃষ্ণের পরকীয়া প্রেমে দূতিয়ালি করা এক গ্রাম্য কুটিল চিত্র।
• বড়ু চন্ডীদাসের রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য হলো আদি মধ্যযুগের এক বিশ্বস্ত দলিল বা সমাজ চিত্র। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে রাধার বাল্যাকালের সংসার করার কাহিনী রয়েছে। এর থেকেই আমরা মধ্যযুগের বাল্যবিবাহের পরিচয় পাই। এছাড়াও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বিভিন্ন পেশার মানুষের কথা এবং রয়েছে জীবনের অজস্র সংস্কারের নির্দেশন।।
• মূলত এভাবেই বড়ু চন্ডীদাসের রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আদি মধ্যযুগের একমাত্র সাহিত্য নিদর্শন হিসেবে ভাষা ছাড়াও আরও অজস্র বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।।