![]() |
একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায়- কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত গল্প থেকে " একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন "মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।" প্রশ্নটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। তোমাদের সামনের পরিক্ষায় কর্তার ভূত গল্প থেকে বড় প্রশ্ন হিসাবে “মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য লেখো। " প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো।
কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024-“মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে? উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
ভূমিকাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ কাহিনিতে দেশবাসীর পরিচালক অথবা অভিভাবক বুড়োকর্তার মৃত্যু কালীন অবস্থায় সমস্ত দেশবাসীর তার অবর্তমানে তাদের কী দশা হবে সেই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় বুড়ো কর্তাও দেশবাসীর কথা ভেবে দুঃখিত হয়ে পড়েন ম তখন দেবতারা জানান যে,,বুড়ো কর্তা এখন ভূত হয়েই দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে থাকবেন।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো
• দেবতাদের বক্তব্য - মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত গল্পে উপরিক্ত প্রসঙ্গেই কথাটি বলা হয়েছে।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত' গল্পে রূপকের সাহায্যে প্রাচীন ধর্মকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থার স্বরূপ এবং জনসাধারণের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বুড়োকর্তা ভূত হয়ে অর্থাৎ প্রাচীন সভ্যতা তার ধর্মতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের লোকের ঘাড়ে চেপে থাকে। আর দেশের লোকও তাতে পরম নিশ্চিন্ত হয়, কারণ এই ধর্মতন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পণ করলে নিজের ভাবনা আর ভাবতে হয় না। কারণ মানুষ মরণশীল হলেও ভূতের মৃত্যু নেই। তাই তারা সারাজীবন এই ভূততন্ত্রের আশ্রয়েই কাটাতে চায়। ভূতগ্রস্ত দেশের মানুষেরা চোখ বুজে চলে আর ভবিষ্যৎকে ভূতের খোঁটায় বেঁধে রাখে। বুড়োকর্তা যদি ভূত হয়ে দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে বসেন তাহলে দেশবাসীকে আর অভিভাবকহীন হতে হয় না। সেক্ষেত্রে, তারা তাদের ‘আদিম চলা' অর্থাৎ চোখ বুজে চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
নিজের শক্তি ও আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে অন্ধ সংস্কারের ওপর নির্ভরশীল থাকাটাই দেশবাসীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাই নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও কাজ করার বাসনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভূতরূপী ভবিতব্যের ওপরই দেশবাসী নির্ভর করে থাকে। এই নির্ভরশীলতা থেকেই আসে ভীতি। মানুষের মনের এই অন্তহীন ভয়ের সূত্র ধরেই প্রাচীন ধর্মব্যবস্থার ভূত টিকে থাকে সমাজে। অর্থাৎ বুড়োকর্তা তথা প্রাচীন সভ্যতার ভূতরূপী ধর্মতত্ত্ব অমর হয়ে থাকে।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো