![]() |
একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায়- কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগে আমরা একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত গল্প থেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কর্তার ভূত কি নিছক ভূতের গল্প, নাকি রাজনৈতিক রুপক কাহিনি? ব্যাখ্যা সহ লেখ প্রশ্নটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো আলোচনা করবো। তোমাদের সামনের পরিক্ষায় কর্তার ভূত গল্প থেকে বড় প্রশ্ন হিসাবে কর্তার ভূত কি নিছক ভূতের গল্প, নাকি রাজনৈতিক রুপক কাহিনি? ব্যাখ্যা সহ লেখ। " প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়ো।
কর্তার ভূত কি নিছক ভূতের গল্প, নাকি রাজনৈতিক রুপক কাহিনি? ব্যাখ্যা সহ লেখ।
ভূমিকাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত আসলে একটি রুপক গল্প। রূপক গল্প বলতে এমন গল্পকে বোঝায়, যার মধ্যে থাকবে দুটি কাহিনী। এবং সেই দুটি কাহিনী একই সঙ্গে পরস্পরের সাথে সম্পর্ক রেখে বয়ে চলে। কর্তার ভূত গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূত বলতে বুঝিয়েছেন? হিন্দু সমাজের ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধ বিশ্বাস কুপ্রথা এবং কুসংস্কারের নানা অভ্যাসকে। কর্তার ভূত গল্পটি কোনো দিক থেকেই কোন ভৌতিক রহস্যময় গল্প নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তার ভূত গল্পের মাধ্যমে ভারতীয় হিন্দু সমাজের নানা কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, কূপ্রথা ইত্যাদি বিরুদ্ধে তীর্যকভাবে তীব্র সমালোচনা করেছেন।।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে ভূত বলতে কোনো অলৌকিক প্রসঙ্গকে কখনোই টেনে আনেননি। তিনি ভূত বলতে অতীতের সেই সমস্ত অন্ধবিশ্বাস, কুপ্রথা, কুসংস্কার, ধর্মীয় বাধা নিষেধকে ব্যঙ্গ করেছেন যা।। যা অতীতে তো ছিলোই, কিন্তু বর্তমান সমাজ কেও ছাড়েনি। আসলে বর্তমান সমাজের মানুষই তাকে ছাড়তে চায়নি।। তাই বুড়ো কর্তা মানুষের ঘাড়ে চেপে রয়েছে। এবং সে কারণেই তাই সে প্রতিপ দে মানুষের অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আসলে মানুষের মনের ভয়ই তাকে সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দেয় না। আধুনিক চিন্তাভাবনার পথে এক পা বাড়ালে তার মনের ভয় তাকে বলে ওঠে সে অশুদ্ধ হয়ে যাবে, প্রকৃত প্রাচীন ঐতিহ্যের গর্বকে হারিয়ে ফেলব। এই ভয় ত্যাগ করে। নতুনকে গ্রহণ করতে পারলেই যে পুরোনো ব্যবস্থার বদল ঘটবে—সে কথার ইঙ্গিত এ রচনার শেষে আমরা পাই । সুতরাং, ‘কর্তার ভূত’ ভূতের গল্পের মোড়কে সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপক-কাহিনিই।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো