![]() |
জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর |
উওরঃ সুষুম্না কান্ডা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জীবদেহের তাৎক্ষণিক, স্বতঃস্ফূর্ত ও অনৈছিক প্রক্রিয়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
• যথা - ১- সহজাত বা শর্তহীন বা জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া। এবং ২ - অভ্যাসগত বা শর্তাধীন বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
সহজাত বা শর্তহীন বা জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়াঃ যে সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত এবং কোনো প্রকার শর্তের অধীন নয়, অর্থাৎ যেই সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বংশগত সূত্রে পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত, তাকে সহজাত বা শর্তহীন বা জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
যেমন : হাচি, কাশি, সদ্য জন্মানো শিশুর দুগ্ধ পান করতে চাওয়া ইত্যাদি।
অভ্যাসগত বা শর্তাধীন বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়াঃ যে সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত নয় এবং বার বার অভ্যাস করার ফলে অর্জন করা হয়, এবং কোনো প্রকার শর্তের অধীন থাকে, সেই সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে অভ্যাসগত বা শর্তাধীন বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
যেমন : সাইকেল চালানো, সাতার শেখা ইত্যাদি।
রুশ বিজ্ঞানী আইভ্যান প্যাভলভ, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘন্টা বাজিয়ে তার কুকুরকে খাবার দিতেন। এই ভাবে কিছুদিন চলার পর, যখন তিনি খাবার না দিয়েও ঘন্টা বাজাতেন, তখনও সেই কুকুরটার মুখ থেকে লালা ঝড়ে পড়তো। এর থেকে বোঝা যায় যে - দীর্ঘদিন ধরে ঘন্টার আওয়াজ শুনে শুনে কুকুরটার এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল যে - যখনই সেই ঘন্টা বাজবে, তাকে তখনই খাবার দেওয়া হবে। এর ফলে সেই কুকুরের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর যে প্রভাব পড়তো, তার থেকেই এটা অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় পরিণত হয়েছিল।
◼ সিদ্ধান্ত :
• খাবার দেখে জিভে জল চলে আসাকে তিনি বলেন সহজাত বা জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
• খাবার না দেখে জিভে জল চলে আসাকে তিনি বলেন অভ্যাসগত বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।