সজ্ঞাঃ
• ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলনঃ বিভিন্ন ধরনের বহিস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে, উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন করাকে ট্যাকটিক চলন বলা হয়।।
• ট্রপিক চলনঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, বিভিন্ন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে বা উদ্দীপকের উৎসের দিকে হয়ে থাকে, তখন সেই প্রকার চলনকে ট্রপিক বা দিক নির্ণীত চলন বলে।।
• ন্যাস্টিক চলনঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, বিভিন্ন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিতে না হয়ে, উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকার চলনকে ন্যাস্টিক বা ব্যাপ্তি চলন বলে।।
নিয়ন্ত্রণঃ
• ট্যাকটক চলনঃ ট্যাকটিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতা ও গতিপথ উভয়ের প্রভাবেই ঘটে।
• ট্রপিক চলনঃ এটি উদ্দীপকের গতিপথ অথবা উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।।
• ন্যাস্টিক চলনঃ এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।।
চলনের প্রকারঃ
• ট্যাকটিক চলনঃ ট্যাকটিক চলন হল একপ্রকার সামগ্রিক চলন ।
• ট্রপিক চলনঃ এটি একপ্রকার বক্র চলন।
• ন্যাস্টিক চলনঃ ন্যাস্টিক চলন হলো উদ্ভিদের বক্র চলন।
স্থান পরিবর্তনঃ
• ট্যাকটিক চলনঃ ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।
• ট্রপিক চলনঃ ট্রপিক চলনের উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না।
• ন্যাস্টিক চলনঃ ন্যাস্টিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না।
অক্সিন হরমোনের প্রভাবঃ
• ট্যাকটিক চলনঃ ট্যাকটিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়না।
• ট্রপিক চলনঃ ট্রপিক চলন -"অক্সিন" -হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়।।
• ন্যাস্টিক চলনঃ ন্যাস্টিক চলন -"অক্সিন"- হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয় না।।
প্রকারঃ
• ট্যাকটিক চলনঃ ট্যাকটিক চলন চারপ্রকার।
• ট্রপিক চলনঃ ট্রপিক চলন প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে।
• ন্যাস্টিক চলনঃ ন্যাস্টিক চলন প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে।।
উদাহরণঃ
• ট্যাকটিক চলনের একটি উদাহরণঃ মসের শুক্রাণু সুক্রোজের হবে ফার্নের শুক্রানু ম্যালিক এসিডের প্রভাবে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয়, এটা হলো এক প্রকার কেমোট্যাকটিক চলন।।
• ট্রপিক চলনের উদাহরণঃ উদ্ভিদের অঙ্গের আলোক উৎসের দিকে চলন।
• ন্যাস্টিক চলনের একটি উদাহরণ হলোঃ লজ্জাবতীর পাতাকে স্পর্শ করলে সেটি নুইয়ে পড়ে,এটি হল একপ্রকার সিসমোন্যাস্টিক চলন।।