রাষ্ট্রীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে পার্থক্য লেখো। || একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
![]() |
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর হিসাবে ( wb class 11 political science chapter 4 ) " আইন,স্বাধীনতা সাম্য ও ন্যায় " থেকে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ 'রাষ্ট্রীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে পার্থক্য লেখো' এর উওর ( wb class 11 political science question answer ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।
রাষ্ট্রীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।।
রাষ্ট্রীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন এর প্রকারভেদঃ
রাষ্ট্রীয় আইন মূলত দুই প্রকার যথা
• সরকারি রাষ্ট্রীয় আইন এবং বেসরকারি রাষ্ট্রীয় আইন। রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত আইন প্রযুক্ত হয় তাকে বলে সরকারি আইন। এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রযুক্ত নয় এমন আইনকে বেসরকারি আইন বলে।
• অপরদিকে আন্তর্জাতিক আইন হলো দুই প্রকার। যথা সরকারি আন্তর্জাতিক আইন এবং বেসরকারি আন্তর্জাতিক আইন। যেসব নিয়ম যেগুলি আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক,আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কার্যকলাপ ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং তাদের সঙ্গে রাষ্ট্র ও ব্যক্তির সম্পর্ক প্রভৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে,তাকে বলে সরকারি আন্তর্জাতিক আইন। অপরদিকে যখন কোন ব্যক্তির অধিকার বা স্বার্থকে কেন্দ্র করে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ বাধে তখন সে বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য যে সমস্ত আইন রয়েছে সেগুলি বলে বেসরকারি আন্তর্জাতিক আইন।
আইন মান্য করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পার্থক্যঃ
• প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের নাগরিকরা রাষ্ট্রের
সকল আইন মেনে চলতে বাধ্য। আইন যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী রচিত হয় সেই কারণে কেউই আইনের বিরোধিতা করতে পারে না। কেউ যদি আইন কে ভঙ্গ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
• অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ সভার অবস্থিতি প্রত্যক্ষ করা যায় না যার দ্বারা প্রণীত আইন সব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে প্রযুক্ত হবে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন গুলি মেনে চলতে বাধ্য নয় বা মেনে চলে না।।
আইনের ব্যাখ্যাকর্তারল ক্ষমতার ক্ষেত্রে পার্থক্যঃ
• রাষ্ট্রীয় আইন কে ব্যাখ্যা করার জন্য আদালতের অস্তিত্ব রয়েছে রাষ্ট্রের কোন আইনকে কেন্দ্র করে কখনো বিরোধ বিরোধ বা বিতর্ক সৃষ্টি হলে আদালত সেই বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য যে রায় দেয়,তাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। আদালতের রায় সবসময়ই সংবিধান অনুযায়ী হয় বলে আদালতের ক্ষমতা হয় চূড়ান্ত।
• কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনকে ব্যাখ্যা করার জন্য অথবা কোনো আইনকে কেন্দ্র করে কোনো বিরোধ সৃষ্টি হলে সি বিরোধের নিষ্পত্তি করার জন্য কোনো আন্তর্জাতিক ট্রাইবিউনালের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় না।।
আদালতের রায় কার্যকর করার প্রশ্নে পার্থক্যঃ
• রাষ্ট্রীয় আইনের ক্ষেত্রে আইন সংক্রান্ত কোনো একটি বিষয়ে আদালত যে রায় দেয় সেই রায় কার্যকর সমস্ত দায়িত্ব শাসন বিভাগের হাতে থাকে এবং শাসন বিভাগ থেকে যথাযথভাবে পালন করে। যার ফলে আদালতের রায় সবসময় কার্যকর হয়।
• কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রতি আনুগত্য আদায়কারী একটি সাধারন শাসন বিভাগের অস্তিত্ব না থাকায় সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রায় সবসময় যথাযথভাবে কার্যকর হয় না।।
আইনকে মান্য করার ক্ষেত্রে পার্থক্যঃ
• প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের নাগরিকরা রাষ্ট্রের সকল প্রকার আইনকে মেনে চলতে সবসময় বাধ্য থাকে। এবং সেই আইনের প্রতি সাধারণ আনুগত্য প্রদর্শন করা তাদের কর্তব্য।
• কিন্তু কোনো রাষ্ট্র ই সকল আন্তর্জাতিক আইনকে মেনে চলতে বাধ্য নয়। এবং এটা কোনো রাষ্ট্রে কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।।
আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্যঃ
• কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কোনো রাষ্ট্রীয় আইনকে ভঙ্গ করে অথবা সেই আইনের বিরোধ করে তাহলে সেই আইন ভঙ্গ কারি ব্যক্তিকে অথবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তার শাস্তি বিধান করার ক্ষমতা বা অধিকার রাষ্ট্রের রয়েছে।
• কিন্তু কোনো রাষ্ট্র যদি কোনো আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে,তাহলে সেই রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার জন্য সেরকম ভাবে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না।।
Tags :