ট্রপিক চলন এবং ন্যাস্টিক চলন কাকে? ট্রপিক চলন এবং ন্যাস্টিক চলনের মধ্যে পার্থক্য || দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর

0




ট্রপিক চলন কাকে বলে? 

উওরঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, বিভিন্ন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে বা উদ্দীপকের উৎসের দিকে হয়ে থাকে, তখন সেই প্রকার চলনকে ট্রপিক বা দিক নির্ণীত চলন বলে।। 

ট্রপিক চলনের প্রধানত তিনটি ভাগ রয়েছে। এগুলো হলো - 

১ • ফোটোট্রপিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, কোনো আলোর উৎসের দিকে হয়ে থাকে, তখন সেই প্রকার চলনকে ফোটোট্রপিক চলন বলে।। 

যেমন : অন্ধকার রাখা উদ্ভিদের কান্ড - সূর্যের আলোর খোঁজে বিভিন্ন ভাবে একে বেকে বেরিয়ে আসে। 

২ • জিওট্রপিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, মাধাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয়ে থাকে, তখন সেই প্রকার চলনকে জিওট্রপিক চলন বলে।। 

যেমন : সকল গাছের উদ্ভিদের মূল ই অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে  মাটির গভীরে প্রবেশ করে। 

৩ • হাইড্রোট্রপিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, জলের উৎসের পথ অনুসারে হয়ে থাকে, তখন সেই প্রকার চলনকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে।। 

যেমন : উদ্ভিদের মূল ভূ-মধ্যস্থ জলের খোঁজে মাটির গভীরে প্রবেশ করে।।


ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? 

উওরঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, বিভিন্ন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিতে না হয়ে,  উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকার চলনকে ন্যাস্টিক বা ব্যাপ্তি চলন বলে।। 

• ন্যাস্টিক চলন চারপ্রকার হয়ে থাকে। 

যথা - 

১ • ফোটোন্যাস্টিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, আলোর তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়,তখন সেই প্রকার চলনকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে।। 

যেমন : সূর্যমুখী ফুল সূর্যের বেশি আলোতে ফোটে, আর যখন সূর্যের আলো কমে যায়, তখন সূর্যমুখী ফুল মুদে যায়। 

২ • থার্মোন্যাস্টিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, উষ্ণতার তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়,তখন সেই প্রকার চলনকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে।। 

যেমন : টিউলিপ ফুলের পাপড়ি বেশি তাপমাত্রায় খোলে আর কম তাপমাত্রায় বন্ধ হয়ে যায়। 

৩ • সিসমোন্যাস্টিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, স্পর্শ, আঘাত, ঘর্ষন, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদির তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়,তখন সেই প্রকার চলনকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে।। 

যেমন : লজ্জাবতীর পাতায় স্পর্শ করলে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।। 

৪ • কেমোন্যাস্টিকঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন, কোনো রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়,তখন সেই প্রকার চলনকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।। 

যেমন : সূর্যশিশির নামক পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতা, যখন কোনো ছোটোখাটো পতঙ্গের সংস্পর্শে আসে,তখন প্রোটিনের জন্য তার কর্ষিকাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আর এভাবে কেমোন্যাস্টিক চলনের মাধ্যম সূর্যশিশির তার খাদ্য সংগ্রহ করে। 

Tags: ক্লাস 10 জীবনবিজ্ঞান প্রশ্ন উওর | class x life science question answer | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top