মেহেরগড় সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর

0

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর 

WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali || একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর


আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহের ( WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers in bengali ) একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ( WBBSE Class 11 history chapter 2 questions and answers ) একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ "মেহেরগড় সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা"এর উওর একাদশ শ্রেণির ইতিহাস নোট হিসাবে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।

মেহেরগড় সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা


মেহেরগড় সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবনঃ  মেহেরগড় সভ্যতায় প্রথমদিকে শিকার ও পশুপালন মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল। পরবর্তীকালে এখানে কৃষিকাজের বিকাশ ঘটে। ধীরে ধীরে  মেহেরগড় সভ্যতায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প এবং বাণিজ্যেরও বিকাশ ঘটেছিল।  এবং ধীরে ধীরে মেহেরগড় সভ্যতার মানুষের অর্থনৈতিক জীবন ক্রমশ উন্নত হতে থাকে। যেমন- 

কৃষিঃ ভারতের কৃষিকাজের প্রধান কিছু ফসল, যেমন - গম, যব, ভুট্টা ইত্যাদি ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা মেহেরগড় সভ্যতাতেই শুরু হয়েছিল।  মেহেরগড় সভ্যতায় গম ও যব চাষের প্রমাণ মিলেছে। জলধারার বিভিন্ন স্থানে ছোটো ছোটো বাঁধ নির্মাণ করে এখানকার মানুষ কৃষিজমিতে জলসেচের ব্যবস্থা করত। এর ফলে কৃষি উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। উদ্বৃত্ত শস্য সংরক্ষণ করার জন্য এখানে শস্যাগারও তৈরি করা হত। প্রধানত অধিবাসীদের নিজেদের ভোগের উদ্দেশ্যেই কৃষি-উৎপাদন করা হত। এই সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়ে কৃষির ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছি।।


পশুপালনঃ মেহেরগড় সভ্যতার মানুষদের অর্থনীতির ক্ষেত্রে পশুপালনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ কৃষি কাজে পশু শক্তিকে ব্যবহার করার জন্য, পশুর চামড়া নিজেদের পোষাক হিসাবে বা পশুর লোম থেকে সুতা তৈরি করে পোশাক তৈরি, পশু থেকে মাংস সংগ্রহের জন্যেই তারা প্রথমদিকে ছাগল, বুক ও ধাঁর, ভেড়া প্রভৃতি পশুকে তারা পোষ মানিয়েছিল। 

মৃৎশিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় মৃৎশিল্পেরও অগ্রগতি ঘটেছিল। প্রথমদিকে মৃৎপাত্রগুলি হাতে তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিম এশিয়া থেকে দূরত্ব চাকার সাহায্যে মৃৎপাত্র তৈরির কৌশলটি মেহের সভ্যতায় আমদানি করা হয়। ফলে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ নাগাদ মেহেরগড় সভ্যতায় মৃৎপাত্র তৈরিতে ঘুরন্ত ঢাকার ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীকালে মৃৎপাত্রগুলি চুরি আগুনে পোড়ানো এবং তাতে বিভিন্ন রঙের প্রলে দেওয়া শুরু হলে মুৎশিয়ে অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে। দৈনন্দিন ব্যবহার্য পাত্র ছাড়াও এই সভ্যতায় পোড়া মাটির নারীমূর্তি, গবাদিপশুর মূর্তি প্রভৃতি তৈরি হত বঙ্গে নিদর্শনগুলি থেকে অনুমান করা যায়।


বস্ত্র বয়নশিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় বয়নশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানে কার্পাস তুলোর চুর পোড়া বীজ পাওয়া গেছে। এটি ভারতে কাজ তুলো চাষের প্রাচীনতম নিদর্শন বলে মনে করা হয়। অনুমান করা যেতে পারে যে, কাপাসের তুলো দিয়ে মুখো তৈরি করে তা কাপড় বোনার কাজে ব্যবহার করা হয়। এখানে হাতে সেলাই করা বিভিন্ন বস্তু ব্যবহারে

অন্যান্য শিল্পঃ মেহেরগড় সভ্যতায় অন্যান্য বিভিন্ন শিল্প ও প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছিল। এর মধ্যে অন্যতম

অলংকার শিল্প। অলংকারগুলি তৈরি হত পাথর নিয়ে। এখানে ছোটো শব্দ, নীলকান্তমণি, চুনি, লাপিস লামুলি প্রভৃতির যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। মেহেরগড় সভ্যতা


Tags : একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা সমূহ বড় প্রশ্ন উত্তর | wb class 11 history question answer | class 11 history suggestion 2022 | Class 11 history chapter 2 questions answers in bengali | WB Class 11 history notes 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top