একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর || WB Class 11 History Question Answer & Notes
![]() |
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |
আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 'সমাজের ঘটনা প্রবাহ' (WB Class 11 history chapter 6 question answers in bengali) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 'স্পার্টার সমাজ জীবন সম্পর্কে আলোচনা করো' - এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।
গ্রিসের স্পার্টার সমাজ জীবন সম্পর্কে আলোচনা করো। || একাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
ভূমিকাঃ প্রাচীন গ্রিসে আনুমানিক ১৫০০ এর নগররাষ্ট্র বা পলিসের অস্তিত্ব ছিল।। প্রাচীন গ্রীসের এতসংখ্যক পলিস বা নগর রাষ্ট্রের মধ্যে এথেন্স এবং স্পার্টা ছিল অন্যতম। প্রাচীন গ্রিসের নগর রাষ্ট্র অথবা পলিস গড়ে উঠেছিল মূলত পাঁচটি গ্রাম নিয়ে। পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠা সেই নগর রাষ্ট্র বা পলিসের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের রণনৈপন্য এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা। প্রাচীন স্পার্টার সমাজজীবন মূলত তিনটি স্তরে বিভক্ত ছিল। যথা- স্প্যার্টিয়ট, হেলট এবং পেরিকয়। স্পার্টায় সমাজ জীবন যে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, তাদের প্রত্যেকের জীবন যাপন ছিল সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা। যেমন -
স্প্যাটিয়েটঃ
স্প্যাটিয়েটরা হলো স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক। স্প্যাটিয়েটরা সমাজের সবচেয়ে উপরে বসবাস করতো। স্প্যাটিয়টরা মূলত সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করতো এবং সবচেয়ে বেশি সুখে স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করতো। স্প্যাটার নাগরিকত্ব হওয়ার মটেই সহজ ছিল না। স্প্যাটার নাগরিক হতে গেলে বেশ কিছু শর্ত ছিল। যেমন-
• স্পার্টা ছিল একটি অভিজাততান্ত্রিক নগর রাষ্ট্র। এখানকার নাগরিকত্ব লাভের প্রধান শর্ত ছিল নিজ মালিকানায় জমি থাকা।
• সাধারণ ভোজনালয়ের জন্য অর্থ প্রদানের সামর্থ্য এবং যৌবনে সামরিক শিক্ষাগ্রহণ ছিল নাগরিকত্ব লাভের অন্যতম শর্ত। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্পার্টায় নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ গণতান্ত্রিক এথেন্সের চেয়ে কম ছিল।
• স্পার্টায় নারীরা নাগরিকত্ব পেত না। অর্থাৎ নারীদের নাগরিক বলে গণ্য করা হতো না। ফলে স্পার্টায় নাগরিকের সংখ্যা হেলট ও পেরিওকয়দের তুলনায় কম ছিল।
৪৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্পার্টায় মাত্র ৮ হাজার নাগরিক ছিল বলে হেরোডোটাস জানিয়েছেন। ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সংখ্যা ১ হাজারে নেমে আসে বলে জানা যায়।
নাগরিকদের পেশাঃ সৈনিক হিসেবে কাজ করাই ছিল নাগরিকদের একমাত্র পেশা। প্রচুর ভূসম্পত্তির মালিক এই নাগরিকরা হেলটদের দিয়ে তাদের জমি চাষ করতো। স্পার্টিয়েটদের প্রচুর পরিমাণ জমি থাকলেও সেই জমিতে তাদের নিজেদের কোনো কাজ করতে হতো না। তারা হেলট বা ক্রীতদাসদের মাধ্যমে নিজেদের যাবতীয় কাজ করিয়ে নিজেদের আর্থিক অবস্থা দিনের-পর-দিন মজবুত করে নিত। যার ফলে তাদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নেমে আসতো।।